মাঝারি উচ্চতার বৃক্ষ হল ওড়া। ১০-৩০ ফুট উঁচু হয়। গাছের চারপাশে নরম কাদা মাটি ফুঁড়ে ৪০-৫০ সেমি লম্বা নলাকার শ্বাসমূল জন্মায়। বাকলের রং কালচে-বাদামি। বাকলে ছোট ছোট ফাটল দেখা যায়। পাতা গাঢ় সবুজ বা কালচে-সবুজ রঙের, রসালো এবং অবডিম্বাকার (Obovate)। ফুলের পাপড়ির রং সাদা।
এই দেশ এই মাটি
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-২১: গুয়াহাটি শহরের গল্পগাথা
১৯৪০ সালে বর্তমান জায়গায় স্থানান্তরিত হয় এবং স্যার রাধাকান্ত হ্যান্ডিকের সম্মানার্থে এই কলেজের নাম হ্যান্ডিক গার্লস কলেজ। আর কে হ্যান্ডিকের সহযোগিতা ছাড়া মহিলাদের জন্য এই মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবপর হত না। রাজবালা দেবী একজন প্রমুখ স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সমাজ কর্মী ছিলেন।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-১১: কলকাতায় ত্রিপুরার রাজনীতি
সুখময়বাবু অবশ্য জরুরি অবস্থার ব্যবস্থা গুলোকে নিজের অনুকূলে ব্যবহারের সুযোগ হাতছাড়া করেননি। প্রথমেই তিনি নিজের প্রতিপক্ষদের মিসা আইনে জেলে পুরে দেন। এ জন্য তাদের চোরাকারবারী, কালোবাজারি ইত্যাদি অভিযোগেও অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৮: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা: কাঁকড়া, গরান ও গেঁওয়া
গর্জনের ফল, পাতা ও কাণ্ডের রস ডায়েরিয়া, জ্বর, ডায়াবেটিস ও যন্ত্রণা উপশমে ব্যবহার করা হয়। কৃমি, পোড়া ক্ষত ও লিভারের রোগে পাতার রস ব্যবহৃত হয়।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-২০: স্বাধীনতা সংগ্রামে অসমের দুই জননেতা
গোপীনাথ বড়দলই অসমকে দেশভাগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি অসমের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বলা যায়, লোকপ্রীয় গোপীনাথ বড়দলইয়ের নেতৃত্বে সমগ্র অসম তথা গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল কেবিনেট মিশন প্ল্যানের হাত থেকে রক্ষা পায়।
পর্ব ১০: পূর্ণ রাজ্যে প্রথম কংগ্রেস মন্ত্রিসভা
পূর্ণ রাজ্য ঘোষণার পরই রাজ্যে ভোটের দামামা বেজে উঠে। পূর্ণ রাজ্য ত্রিপুরার বিধানসভার সদস্য সংখ্যা হয় ৬০। অর্থাৎ আগের চেয়ে দ্বিগুণ। রাজনৈতিক তৎপরতাও বেশি। প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দল কংগ্রেস এবং সিপিএম পুরোদমে আসরে নেমে পড়ে।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—বাইন ও গর্জন
আমাদের এলাকায়, মানে সুন্দরবনের পশ্চিমাংশে বাইন গাছ লোকমুখে বানি গাছ নামে বেশি পরিচিত। কোথাও কোথাও বিনা নামেও পরিচিত। বাইন গাছেরা হল, সুন্দরবনের স্থলভাগের উপকূল রক্ষীবাহিনী।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-১৯: শিলচর শহরের বড় হয়ে উঠার গল্প
মূলত ইংরেজরাই শিলচরকে নতুন চেহারা প্রদান করে। তারা নিজেদের সুবিধার জন্য রেল লাইন পেতেছিল। তার ফলে এ অঞ্চলের বিপুল পরিবর্তন হয়। রেললাইন স্থাপিত হওয়ায় দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা অনেকটা সহজ হয়ে উঠে। জানিগঞ্জ-সদরঘাট অঞ্চলে অফিস আদালত গড়ে উঠে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৯: একাত্তরে ত্রিপুরা, মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় মাইন বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটতে থাকে। গেরিলা কায়দায় হামলারত মুক্তি ফৌজকে ঠেকানোর জন্য পাক সেনারা ত্রিপুরার সীমান্ত এলাকায় সেদিন মাইন পুতে রেখেছিল। মাইন বিস্ফোরণে বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। যাইহোক, এরই মাঝে একদিন পাক-ভারত যুদ্ধের দামামা বেজে গেল।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৬: সুন্দরবনের লৌকিক চিকিৎসায় ম্যানগ্রোভ—হরগোজা ও কেয়া
কোনও মানুষ বাঘের আক্রমণে আহত হলে তার ক্ষতস্থানে পাতার রস ও মণ্ড লাগানো হয়। মানুষের বিশ্বাস এতে ক্ষতস্থানের বিষক্রিয়া দূরীভূত হয়। ক্যানসারেও পাতার রস ব্যবহৃত হয়।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-১৮: স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতাজির ডাকে সাড়া দিয়েছিল গোটা অসমবাসী
নেতাজি প্রথম বার ১৯২৭ সালে অসমে যান। ছিলেন শিলংয়ে। ১৯৩৮ সালে তিনি আবার অসমের তৎকালীন রাজধানী শিলংয়ে গিয়েছিলেন। সেই সফরে তিনি গোলকগঞ্জ এবং ধুবড়ি শহরেও যান। গৌরীপুরের একটি শোভাযাত্রায় বক্তৃতাও দেন। অসম থেকে বহু মানুষ নেতাজির আজদ হিন্দ ফৌজে যোগদান করতে এগিয়ে এলেন।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৮: ভারতভুক্তির পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা
১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে ত্রিপুরার ভারতভুক্তি ঘটে। সুদীর্ঘকাল মাণিক্য রাজবংশের শাসনের পর ত্রিপুরা ক্রমে ক্রমে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার দিকে যাত্রা শুরু করে।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৫: সুন্দরবনের প্রকৃত ম্যানগ্রোভ ও ম্যানগ্রোভ-সহযোগীরা
সারা পৃথিবীতে প্রায় ৮০টি প্রকৃত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের প্রজাতি পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ৫০-৬০টি প্রজাতি ম্যানগ্রোভ অরণ্য গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা নেয়। ২০১১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে দেখা যাচ্ছে, সুন্দরবনে প্রকৃত ম্যানগ্রোভ প্রজাতির সংখ্যা ৩৪ এবং সহযোগী ম্যানগ্রোভের সংখ্যা ৪০।
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-১৭: ইংরেজদের কোপে পড়ে মহীতোষ পুরকায়স্থকে ছাড়তে হয়েছিল স্কুল
গোয়েন্দারা ডাক বিভাগের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সন্দেহজনক চিঠিগুলি খুলে পড়ত। তেমনি এক চিঠির জন্য মহীতোষকে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন স্কুল ছাড়তে হয়। চিঠির কথা পুলিশ তাঁর স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানালে তিনি মহীতোষের উপর চাপ সৃষ্টি করেন কে চিঠি পাঠিয়েছে জানতে।
ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৭: রাজা বীরবিক্রম মৃত্যুর কিছু দিন আগেই ত্রিপুরার ভারতভুক্তির সিদ্ধান্ত নেন
বীরবিক্রমের রাজত্বকালে ত্রিপুরার উন্নয়নে এক নবদিগন্তের সূচনা ঘটে। সুদৃঢ় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা-সহ শিক্ষা, যোগাযোগ নানা ক্ষেত্রে বহুমুখী উদ্যোগ নেন রাজা। আগরতলা-সহ রাজ্যের অভ্যন্তরে নানা রাস্তাঘাট নির্মিত হয়। কমলাসাগর থেকে দুটি রেলপথেরও মঞ্জুরী দিয়েছিলেন রাজা। রাজধানী আগরতলাকে এক আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেন তিনি।