পুজো মণ্ডপ থেকে ভেসে আসা কিশোরকণ্ঠের উপহার ‘আকাশ কেন ডাকে মন ছুটি চায়’ গানটি কানে এলে ‘মন’ বোধহয় সত্যিই ছুটি চায়। এ যেন মনের এক ন্যায্য আবদার। সেই আবদার মেটাতে আমরা বাধ্য। যেমন গৌরীবাবুর লেখা, তেমনই পঞ্চমের মেলোডি।
পঞ্চমে মেলোডি
পর্ব-৬২: বুক ভরা মোর কান্না দিয়ে দিলাম চিঠি লিখে…
‘শ্বেত পাথরের থালা’ ছবির সেই বিখ্যাত গান ‘যে প্রদীপ জ্বালছ তুমি’ গানটি কি আমরা আজও ভুলতে পেরেছি? মুকুল দত্তের সেই অসামান্য লেখা এবং সেটিতে পঞ্চমের উপযোগী সুর।
পর্ব-৬১: হায়রে কালা একি জ্বালা…
‘না না কাছে এসো না মায়াবী এই রাতে’ গানটি পঞ্চমের অগুন্তি অনবদ্য সৃষ্টির মধ্যে একটি। গাইয়েছেন আশা ভোঁসলে এবং এসপি বালা সুব্রহ্মণ্যমকে দিয়ে। খেয়াল করে দেখবেন, এক অদ্ভুত ধরনের আধুনিকতার ছোঁয়া আছে গানটিতে। যে আধুনিকতা হয়তো আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক।
পর্ব-৬০: একটু বসো চলে যেও না…
‘কবে যে কোথায় কী যে হল ভুল’। ভূপিন্দর সিংহের গাওয়া এই গানটিতে যে প্যাথস সঞ্চারিত হয়েছে, সেটি আপনার মনকে বেদনাতুর করে তুলবেই। ১২ স্ট্রিং গিটারে শুরু হওয়া প্রেলুড এবং তারপর তবলা, গিটার এবং রেসো-রেসোকে আশ্রয় করে ছন্দের বিস্তার আপনাকে মুগ্ধ করবেই করবে।
পর্ব-৫৯: আমার স্বপ্ন যে সত্যি হল আজ…
‘হায়রে পোড়া বাঁশি’। এই গানটির অভিনবত্ব লুকিয়ে রয়েছে গানটির ছন্দে। যে ছন্দে তবলার পাশাপাশি মাদল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছে পুরো গানটি জুড়ে। কেন? এই গানটির ক্ষেত্রে মাদল, ফিলার এবং ছন্দ, দুটি ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়েছে।
পর্ব-৫৮: অন্যরা যখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন তখন পঞ্চমের হাত ধরলেন শক্তি সামন্ত
শেষ হয় আশির দশক। আসে ১৯৯০ সাল। কিন্তু কোথায় সেই ব্যস্ততা? পঞ্চমের মিউজিক রুমে কোথায় সেই জনসমাগম? কোথায় গেলেন সেই প্রযোজক এবং নির্দেশকেরা, যাঁরা পঞ্চমের ডেট পাওয়ার জন্য একসময় মুখিয়ে থাকতেন? তাহলে কি মুখ ফিরিয়ে নিল বলিউড? বিলুপ্ত হয়ে গেল সেই জনপ্রিয়তা?
পর্ব-৫৭: আশির দশকের শেষ পর্বে পঞ্চমকে অনেকেই কাজ দিতে চাননি
কিশোর কুমারের অকালপ্রয়াণ দিয়ে যেন পঞ্চমের জীবনের আরও একটি অধ্যায়ের অবসান ঘটলো। ১৯৭৫ সালে তিনি বাবা শচিন দেব বর্মণকে হারিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেই সময় কিশোর তাঁর পাশে ছিলেন। বলা যেতে পারে, একটি ভরসার জায়গা। এমনিতেই শচীনকর্তাকে কিশোর অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন।
পর্ব-৫৬: আচমকা ‘বন্ধু’ কিশোরের প্রয়াণে ভেঙে পড়েছিলেন পঞ্চম
বাড়িতে তখন লিনার সঙ্গে রয়েছে কিশোরের কনিষ্ঠ পুত্র ছোট্ট সুমিত। অসহায় লীনা বুঝে উঠতে পারেন না ডাক্তার না আসা অবধি তাঁর কি করা উচিত। চোখের সামনে স্বামীকে এই ভাবে ছটফট করতে তিনি আগে কখনও দেখেননি। ততক্ষণে কিশোর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে শুরু করেছেন।
পর্ব-৫৫: মেরা কুছ সামান তুমহারে পাস পড়া হ্যায়…
‘মেরা কুছ সামান তুমহারে পাস পড়া হ্যায়’ গানটি গুলজার সাহেব যখন পঞ্চমকে প্রথমবার শুনিয়ে তাতে সুর প্রদান করতে বলেন, তখন প্রবল চটে গিয়েছিলেন পঞ্চম। সেটি একটি আধুনিক কবিতা হিসেবে এক কথায় অসাধারণ। কিন্তু তাই বলে সেটিকে গানের রূপ দেওয়া?
পর্ব-৫৪: কাতরা কাতরা মিলতি হ্যায়…
‘কাতরা কাতরা মিলতি হ্যায়’ গানটি সবাই শুনেছেন। কিন্তু গানটির অভিনবত্ব কোথায় জানেন? গানটির বেশ কিছু অংশে আশা ভোঁসলের কণ্ঠকে সুপার-ইম্পজ করিয়েছেন পঞ্চম।
পর্ব-৫৩: রোজ রোজ আঁখো তলে…
বিগত বছরগুলির তুলনায় ১৯৮৬ সালে ছবির কাজ কিছুটা কমে যায়। কিন্তু তাতে কী? যাঁর ধমনীতে দিবারাত্র বয়ে চলেছে সুরের স্রোত, তিনি কি আর নিজেকে উজাড় না করে দিয়ে থাকতে পারেন? ‘অনোখা রিস্তা’ ছবিতে আশাকে দিয়ে পঞ্চম গাওয়ান ‘চল সহেলি ঝুমকে’ গানটি।
পর্ব-৫২: সাগর কিনারে, দিল ইয়ে পুকারে…
‘সাগর কিনারে, দিল ইয়ে পুকারে’ গানটি আমাদের কলেজ জীবনে তো বটেই, এমনকি আজও একইভাবে নাড়া দিয়ে যায়। কিশোর-লতার আবেগঘন কণ্ঠ, সঙ্গে পঞ্চমের সেই মেলোডি আবেগতাড়িত না হয়ে যাই কোথায়?
পর্ব-৫১: পঞ্চমের মিউজিক-ম্যাজিক—অ্যায়সা সামা না হোতা…
‘হাম দোনো’ ছবির আরও একটি গান ‘তু লাজাওয়াব বেমিসাল’ গানটি জন্ম নিয়েছে আনন্দ বকশিরই কলম থেকে। তাই গানের কথা, দৃশ্য, নায়ক রাজেশ খান্না এবং নায়িকা হেমা মালিনীর কথা মাথায় রেখে গানে সুরারোপ করেন পঞ্চম। এখানেও শুধুই মেলোডি আর মেলোডি।
পর্ব-৫০: আরডি শুধু সঙ্গীত পরিচালক নন, ভারতীয় সঙ্গীত ও চলচ্চিত্র জগতের এক অসামান্য ব্যক্তিত্ব
‘সানি’ ছবির লতার গাওয়া ‘জানে কেয়া বাত হ্যায়’ গানটি আপনারা সবাই কখনও না কখনও নিশ্চই শুনেছেন। একই সুরে একটি বাংলা গান ‘চোখে নামে বৃষ্টি’ পঞ্চম গাইয়েছিলেন আশাকে দিয়ে। দুটি ক্ষেত্রেই একই সুর। একই সংগীত পরিচালক।
পর্ব-৪৯: জন্মান্তরের সুরসাধক পঞ্চম
আসে ‘ঝুঠা সচ’ ছবিটি। এই ছবির ‘যাহা বিন হাওয়াকে পর্দা হিলে’ গানটি নিশ্চই শুনেছেন আপনারা। গানটির দৃশ্যায়ন এমনই ছিল যে, সেই যুগের পড়ুয়ারাও অভিভাবকদের চোখের আড়ালে গিয়ে সেটি দেখেছেন।