বিয়ের পরেও সানন্দা তার পদবি দত্ত-ই লিখতো, শেষে ব্রাকেটে দাশগুপ্ত। ডাক্তার হিসেবে কাগজপত্র সব কিছুতেই সানন্দা দত্ত পরিচিত নাম।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং…
৩য় খণ্ড, পর্ব-১৬: চলো তারক তোমার দিদিকে পরপারে পৌঁছে দিয়ে আসি…
ঠাকুরদালানের সামনে বরফ বোঝাই মেটালবেডে শোয়ানো হয়েছিল স্বর্ণময়ীকে। কাচে ঢাকা একটা বাক্সের ভিতর লালশাড়িতে রানির মতো শুয়েছিলেন স্বর্ণময়ী দত্ত। এয়ারকন্ডিশনড শববাহী গাড়িও তৈরি ছিল। শহরের বিশিষ্টদের জন্য ঘণ্টাখানেক ঠাকুরদালানের সামনে স্বর্ণময়ীকে রাখা হয়েছিল।
৩য় খণ্ড, পর্ব-১৫: আচমকা সিস্টার সিস্টার বলে চিৎকার শুরু করেন বিনয়কান্তি
স্বর্ণর হাতটা অস্বাভাবিক সাদাটে স্বর্ণ ভীষণ ফরসা কিন্তু তার শরীরের একটা গোলাপি লাবণ্য ছিল। এই সেদিন অসুস্থ হবার আগে পর্যন্ত। কিন্তু এখন সে হাত ফ্যাটফ্যাটে সাদা স্বর্ণর হাতের গোলাপী আঙুলগুলো কেমন যেন সবজে নীলরঙের এমন কেন হবে বিনয়কান্তি গলায় যেন শব্দ নেই।
৩য় খণ্ড, পর্ব-১৪: ঠাকুমা স্বর্ণময়ীকে আবার বসুন্ধরা ভিলায় ফিরিয়ে আনা হল
মা ফিরে আসার ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যে আমার ঠাকুমা স্বর্ণময়ী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুস্থ তিনি ছিলেনই। শয্যাশায়ী ছিলেন বহুদিন। কিন্তু এ বার একটা একটা করে নতুন শারীরিক সমস্যা ধরা পড়তে লাগলো। বিদেশ থেকে রোসিনের বিয়ে এবং শ্যাননের আংটি বদলের মোটাসোটা অ্যালবাম নিয়ে ফিরেছিলেন মা।
৩য় খণ্ড, পর্ব-১৩: ঝড় সামলে খ্রিস্টান ও বাঙালি হিন্দু মতে বিয়েতে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিল ঋতু
কীরা কাকিমার ভোকাল টনিকে কাজ হয়েছিল। শারীরিক মানসিক ঝড় সামলে ঋতু খ্রিস্টান ও বাঙালি হিন্দু মতে বিয়ের আচার অনুষ্ঠানে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিল। মায়ের কাছে শুনেছি ফুলকাকা এখন দাড়ি রেখেছেন। সাদা ধবধবে পেঁজাতুলোর মতো কোঁচকানো দাড়ি। লম্বা রূপোলি চুল।
৩য় খণ্ড, পর্ব-১২: কীরা কাকিমার কথা ঋতুর মনে খুব প্রভাব ফেলেছিল
কীরা কাকিমা জানিয়েছিলেন যারা এই ঘটনা জেনেছেন তাদের বাইরে আর কারও এসব জানার প্রয়োজন নেই। তাই ডাক্তার হয়ে ফুলকাকা ব্রিস্টলে বসে বা লন্ডনে পড়তে থাকা শ্যানন কিছুই জানতে পারেনি। রোসিন আর তার হবুবর জেমস অ্যাডাম ছিল আটালান্টায়।
৩য় খণ্ড, পর্ব-১১: শাশুড়িমা বসুন্ধরার আকস্মিক মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি স্বর্ণময়ী
মায়ের এই মৃত্যুর পর থেকেই সংসারের সবাইকে নিয়ে স্বর্ণময়ীর আতঙ্ক শুরু হল। তার কিছুদিন পরেই ঘটে গেল পরপর দু’খানা মানসিক আঘাত।
৩য় খণ্ড, পর্ব-১০: বসুন্ধরার আশীর্বাদ ও স্বর্ণময়ীর উৎসাহে গড়ে উঠেছিল বসুন্ধরা ভিলা
বিনয়কান্তির মা বসুন্ধরা পরিবার গড়তে পারেননি। তাই তাঁর ইচ্ছে ছিল তাঁর পুত্রবধূ একটা নিটোল পরিবার গড়ে তুলুক। স্বর্ণময়ী কথা রেখেছিলেন। মূলত স্বর্ণময়ীর উৎসাহ আর বসুন্ধরার আশীর্বাদে বালিগঞ্জের গড়ে উঠেছিল প্রাসাদোপম বসুন্ধরা ভিলা।
৩য় খণ্ড, পর্ব-৯: গৌরবের চলে যাওয়ায় ঘরে বাইরে কোণঠাসা হয়ে পড়ল প্রণয়কান্তি
গৌরবের চলে যাওয়ায় বসুন্ধরা গ্রুপ এবং বসুন্ধরা ভিলা দুই জায়গাতেই প্রণয়কান্তি কোণঠাসা হয়ে পড়লো। সে চেয়েছিল গৌরবকে একটা ধাক্কা দিতে। কিন্তু সেই ধাক্কাতে গৌরব তার হাতের নাগালের বাইরে চলে গেল।
৩য় খণ্ড, পর্ব-৮: গৌরব বসুন্ধরা গ্রুপ ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাচ্ছে সিটি গ্রুপ যোগ দিতে
উত্তর বাংলা থেকে ফিরে গৌরব বসুন্ধরা ভিলায় এসেছিল। সঙ্গে আভেরি এসেছিল। বাচ্চারা আসেনি। প্রথমেই গৌরব আর আভেরি বাবার কাছে লাইব্রেরি ঘরে ঢুকে গেল। খানিকক্ষণ কথা বলার পর ওপর থেকে নেমে মা লাইব্রেরি ঘরে গেলেন।
৩য় খণ্ড, পর্ব-৭: আমি দাদুর কাছে মাইনে চাইলে এক টাকাই চাইতাম
এতদিনের বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মজীবনে গৌরবমোট কত দিন ছুটি নিয়েছে সেটা আঙুল গুনে বলা যায়। ক্লাইভ রো থেকে অফিস লোয়ার রডন স্ট্রিটের ঝকঝকে অফিসে চলে আসার পর থেকেই সপ্তাহে পাঁচদিনের নিয়ম চালু হল।
৩য় খণ্ড, পর্ব-৬: শ্রীতমার কাছ থেকে বাবলিকে অন্যভাবে দেখলাম চিনলাম জানলাম
ক্লাবে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে আসেন সে কথা ভেবেই কর্তৃপক্ষের এই অনুরোধ উপস্থিত অতিথিরা মেনে নিয়েছিলেন। বসুন্ধরায় ভিলায় যিনি জানতেন তিনি আমার খুব ঘনিষ্ঠ। না আমার মা সুরঙ্গমা নন। ন’ কাকা তরুণকান্তিও নন। সানন্দাও নয়।
৩য় খণ্ড, পর্ব-৫: প্রণয় যে ভীতু, কাপুরুষ বাবলির আর সেটা বুঝতে বাকি নেই
ক্লাবের মাঝখানে জাগলিং শো চলছিল বাবলি সেখানেই বসেছিল। মাঝে মাঝে ঘুরে তাকাচ্ছিল প্রণয়ের দিকে। প্রণয়ের সঙ্গের মদ্যপ বন্ধুদের আদিম উল্লাস শুনে আন্দাজ করছিল প্রণয় হারছে। কিন্তু পরিণতিটা যে কত ভয়ংকর হতে পারে সেটা বাবলি, ভাবতেও পারেনি। অনেকক্ষণ পর খেয়াল হলো চেঁচামেচি বন্ধ হয়েছে।
৩য় খণ্ড, পর্ব-৪: গৌরবকে বসুন্ধরা ভিলার কারও কাছ থেকে শুনতে হল তারা বহিরাগত
এ বাড়ির যার যার নামের ইন্সিওরেন্সের রেকর্ড গ্রুপ কোম্পানির ক্লেম ডিপার্টমেন্টে থাকে। প্রিমিয়াম গ্রুপ থেকেই ভরা হয়। যেমন সুরঙ্গমার ক্ষেত্রে এখন ইনকাম ট্যাক্স নেই, কিন্তু শান্তিলতার আছে। ১৯২২ থেকে ১৯৬১ একই নিয়মে ইনকাম ট্যাক্স নেওয়া হতো। ১৯৬২ পয়লা এপ্রিল থেকে নতুন নিয়ম এসে গেল। তাই ব্যবসাতে যুক্ত সকলের ইনকাম ট্যাক্সের দায়দায়িত্ব ইন্সুরেন্স করানো এসব কোম্পানির নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্ট দেখাশোনা করে। যখন যা সইসাবুদের দরকার অফিসের লোকজন এসে করিয়ে নিয়ে যায়। তন্ময়কান্তি বিয়ের পরে হয়তো ইন্সুরেন্সের নমিনি করেছিল...
৩য় খণ্ড, পর্ব-৩: ঋতু চিঠি নিয়ে ছুটে এল সুরঙ্গমার কাছে
বিনয়কান্তি চেয়েছিলেন স্বর্ণময়ীর মায়ের যেন কোনওদিন কখনও কুণ্ঠাবোধ না হয়। শ্বশুরমশাই আনন্দমোহন তার শাশুড়িমাকে যে রাজকীয়তার মধ্যে রেখেছিলেন তা যেন বজায় থাকে।