অযোধ্যা ত্যাগ করে আসার সময় রাম ছিলেন পঁচিশ বছরের পূর্ণ যুবা, আর সীতা নিজে ছিলেন অষ্টাদশী। জনকনন্দিনী বৈদেহী যুক্তিক্রম হারিয়ে ভুলে যান, অপরিচিতা নারীর দেহসৌন্দর্যের সকাম স্তুতি পরিব্রাজকের স্বভাব নয়।
অবসর
শাশ্বতী রামায়ণী
পর্ব-৫১: মারীচমায়ায় কি দিগভ্রান্ত সীতা?
সোনার হরিণের মোহময় রূপ ভুলিয়েছিল সীতার মন। তার ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে রাম একাই চললেন গভীর বনে। সঙ্গী তাঁর স্বর্ণভূষিত বিপুলকায় শরাসন, ধনু, তীক্ষ্ণ বাণ।
পর্ব-৫০: আমার সোনার হরিণ চাই—সীতার চাওয়া কি সত্যি হবে?
হিতাকাঙ্ক্ষী মারীচের এত কথা কিন্তু রাবণের কর্ণগোচর হল না। তার বহু চেষ্টা বিফলে গেল। সীতাহরণের বিষয়ে রাবণ নিজের সংকল্পে অবিচল থাকলেন। মারীচ নিজের আসন্ন মৃত্যুর চিন্তায় ডুব দিল এবারে।
পর্ব-৪৯: রাবণ-মারীচ সংবাদ এগোল কোন পথে?
রাতের অন্ধকারে যজ্ঞবেদীর চারপাশে মারীচ আর অন্যান্য রাক্ষসেরা যখন নিক্ষেপ করছে মাংসের টুকরো, রক্তে ভরে যাচ্ছে যজ্ঞবেদী, রামের হাতে জ্বলে উঠেছে তখন মানবাস্ত্র।
পর্ব-৪৮: অভীষ্ট লাভ নাকি আত্মবিনাশ — লঙ্কাধিপতি কোনটি বেছে নিলেন?
রামের সঙ্গে যুদ্ধে পরাস্ত, নিহত হল খর, দূষণ, ত্রিশিরা সহ জনস্থানবাসী চোদ্দ হাজার রাক্ষস। শূর্পণখা আশায় বুক বেঁধেছিল যে, খর-দূষণের পরাক্রমের কাছে পরাভূত হবে রাম। রামের উষ্ণ রক্ত সে পান করবে।
মহাকাব্যের কথকতা
পর্ব-৬৩: মহাভারতে উল্লিখিত মিথ্যাশ্রয়ের প্রাসঙ্গিকতা কী আজও আছে?
শর্মিষ্ঠার মনোবাসনা হল যযাতির ঔরসে পুত্রলাভ। অশোক বনের কাছে, নিরালায়, রাজার দর্শনের অপেক্ষায় অবস্থানরতা শর্মিষ্ঠাকে দেখতে পেলেন রাজা যযাতি। শর্মিষ্ঠা, রাজার কাছে সন্তান প্রার্থনা করলেন। শর্মিষ্ঠার বংশপরিচয়, চরিত্র ও রূপ,রাজার অজানা নয়।
পর্ব-৬২: ক্রৌঞ্চবধের বিষাদ কী ছেয়ে আছে রামায়ণের প্রেক্ষাপট?
দেবী কৌশল্যার ক্ষোভ, দুঃখ, দোলাচলচিত্ততা দূর করতে এগিয়ে এলেন লক্ষ্মণজননী দেবী সুমিত্রা। প্রকৃত অর্থে ধার্মিক রাম, সৎ ও পুরুষশ্রষ্ঠ। পিতাকে সত্যবাদীরূপে প্রমাণ করেছে সে। এই কারণে সে রাজ্য ত্যাগ করে বনবাসী হয়েছে। ধার্মিক সৎ ছেলের জন্যে শোক কেন?
পর্ব-৬১: মহাভারতের রাক্ষসরা কী আজও বর্তমান? প্রসঙ্গ— বকরাক্ষসবধ
প্রবল আত্মবিশ্বাসী দেবী কুন্তী। তাঁর মহাবলশালী পুত্র ভীম কখনও ব্যর্থ হবে না। বকরাক্ষসের কাছে ভোজ্য পৌঁছে দেবে সে এবং নিজেও বিপদমুক্ত হবে। দ্বিতীয় পাণ্ডব রাক্ষসের মোকাবিলায় প্রস্তুত।
পর্ব-৬০: আধুনিক ভারতীয় রাজনীতির চালচিত্রে কি দশরথ ও কৈকেয়ীর ছায়া?
রাম পিছুটান উপেক্ষা করে চলেছেন বনবাসে।রামের নির্দেশে সারথি সুমন্ত্র রথ ছোটালেন চরম অশ্বগতিতে। তাঁর রথের পিছনে ধাবমান জনস্রোত, স্বজন, স্নেহশীল বৃদ্ধ পিতা। অন্তঃপুরিকাদের আর্ত চিৎকার, অনাথ, দুর্বল, সহায়হীন মানুষের আশ্রয় যিনি, তিনি আজ কোথায় চলেছেন?
পর্ব-৫৯: মহাভারতের বিচিত্র কাহিনিগুলিতে আছে মৃত্যুজয়ের অভয়বাণী
একচক্রা নগরীতে পাণ্ডবদের আশ্রয়দাতা ব্রাহ্মণের পরিবার, এক ঘোর সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। কোনও এক রাক্ষসের কবলে পরেছে ব্রাহ্মণ পরিবারটি। পরিবারের মধ্যমণি ব্রাহ্মণ ও তাঁর স্ত্রী রাক্ষসের মুখোমুখি হতে ইচ্ছুক। কন্যাটি পিতামাতার আত্মত্যাগের উদ্যোগ ও পরিণাম শুনে, সেও তার নিজ বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তিজাল বিস্তার করল।
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি
পর্ব-৪২: ভৃত্য যদি কোনও অপরাধ করেন, তার দণ্ড প্রভুকেই পেতে হয়
ভগবান শ্রীনারায়ণকে রুক্মপুরে নিজের বাড়িতে দেখে গরুড় লজ্জায় একেবারে মুখ নিচু করে রইল। প্রণাম করে সে নারায়ণকে বললেন, হে ভগবন! আপনি সমুদ্রে মহাশয্যায় শেষনাগের উপর শুয়ে থাকেন আর সেই সমুদ্র আপনার আশ্রয় দিচ্ছে এই ভেবে একেবারে মদোন্মত্ত হয়ে গিয়েছে।
পর্ব-৪২: রাজকোষে সঞ্চিত সোনা-রূপা-ধান্যাদি সবই প্রজাবর্গের, রাজার ব্যক্তিগত নয়
মহাভারতের অনুশাসন পর্বে এক মারাত্মক কথা বলা হয়েছে। পিতামহ ভীষ্ম সেখানে যুধিষ্ঠিরকে রাজনীতির উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছেন, যে রাজা প্রজাকুলকে রক্ষা করে না অথচ তাদের থেকে ধনসম্পত্তি হরণের পাশাপাশি তাদের অধিকারও খর্ব করে সে রাজা আসলে রাজা নয়, সে সাক্ষাৎ কলি।
পর্ব-৪১: প্রতিকার না করেও রাজা যদি প্রজার দুঃখটুকুও শোনেন তাহলেও যথেষ্ট
দম্ভের বশে হাতি পাহাড়ের গায়ে দাঁত দিয়ে আঘাত করে তাকে ধ্বংস করতে চাইলেও পাহাড়ের কিছু মাত্র ক্ষতি হয় না, উল্টে সেই হাতিটিরই দাঁত ভেঙে যায়—সে পরাজিত হয়। তাই সমুদ্রের সঙ্গে লড়াই করবার মতো ক্ষমতা আমাদের মতন ক্ষুদ্র প্রাণীদের কারওই নেই। তাই আমাদের অভিমত হল বিনতার পুত্র বৈনতেয় গরুড়ের কাছে যাওয়া যাক।
পর্ব-৪০: দুর্বল বা অসহায়রা একত্র হলে তাঁরাই অজেয় হয়ে ওঠেন
অর্থশাস্ত্রে তিন রকম শক্তির কথা বলা হয়েছে—মন্ত্রশক্তি, প্রভুশক্তি আর উত্সাহশক্তি। রাজা যদি কোনও অলব্ধবস্তু বা অলব্ধভূমি লাভ করতে চান বা যে বস্তু বা ভূমিটি আগেই উনি লাভ করেছেন তাকে যদি যথাযথভাবে পালন করতে চান তবে প্রয়োজন মন্ত্রণাশক্তির, যা অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের মাধ্যমে লাভ করা যায়।
পর্ব-৩৯: বিপরীত পরিস্থিতিতে পালিয়ে যাওয়াটাও ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে টিকে থাকার উপায়
পাঠকদেরকে ভাগবতের পৌরাণিক উপাখ্যান স্মরণ করতে বলবো। কংসের মৃত্যুর পর তাঁর দুই বিধবা পত্নী অস্তি এবং প্রাপ্তি —দু’ জনে মগধে গিয়ে পিতা জরাসন্ধকে সমস্ত বার্তা জানালে জরাসন্ধ মথুরা আক্রমণ করলেন। প্রসঙ্গত, জেনে রাখাটা দরকার, যে সময়ে কৃষ্ণ জন্মেছিলেন সে সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতিটা কিন্তু একেবারেই তাঁর অনুকূলে ছিল না।
মহাভারতের আখ্যানমালা
পর্ব-৬০: দুই ভাইয়ের সাক্ষাৎ হল, হনুমানের রূপে মুগ্ধ হলেন ভীমসেন
হনুমানকে দেখে ভীমসেন অত্যন্ত তৃপ্ত হন। আরও খুশি হন একথা শুনে যে, রামপত্নী সীতার কাছে এমনি বর পেয়েছিলেন হনুমান যে, যতদিন রামকথা পৃথিবীতে প্রচলিত থাকবে লোকমুখে ততদিনই হনুমানও রয়ে যাবেন এই পৃথিবীতে।
পর্ব-৫৯: দ্রৌপদীর জন্য স্বর্গীয় ফুলের খোঁজে ভীমসেন কোনও পথে পাড়ি দিলেন!
পাণ্ডবভাইয়েরা একের পর এক তীর্থ দর্শন করতে করতে এগিয়ে চলেছেন। সকলেই অধীর হয়ে উঠেছেন, অর্জুনের সঙ্গে দেখা করবার জন্য। কিন্তু অর্জুন যে দেবস্থানে গিয়েছেন। সে স্থান সাধারণের গম্য নয়। অতি কঠোর সে যাত্রাপথ।
পর্ব-৫৮: দেবতাদের আশীর্বাদে আর অর্ব্বাবসুর প্রার্থনায় যবক্রীত বেদজ্ঞান লাভ করলেন
ভরদ্বাজ পুত্রের এমন করুণ মৃত্যুসংবাদ শুনে অত্যন্ত শোকগ্রস্ত হলেন। নানাভাবে বিলাপ করতে করতে তিনি বলে উঠলেন, ‘হে পুত্র! না পড়েও ব্রাহ্মণদের হৃদয়ে বেদের ঠাঁই হোক, এমনটাই প্রয়াস ছিল তোমার।’
পর্ব-৫৭: তপোলব্ধ বেদজ্ঞান দর্পী যবক্রীতের বিনাশ ডেকে আনল
প্রাচীনকালে বালধি নামধারী এক মুনি ছিলেন। তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন। তাঁর কোনও পুত্র ছিল না। তাই তিনি একসময় অত্যন্ত অস্থিরচিত্ত হয়ে পড়েন। একটি অমর পুত্রের কামনায় তিনি তীব্র তপস্যা আরম্ভ করেন।
পর্ব-৫৬: বেদজ্ঞান লাভের জন্য কঠোর তপস্যায় ব্রতী হলেন যবক্রীত
মুনি বলে চলেন, ‘হে পাণ্ডুপুত্র! স্থূলশিরা মুনির আশ্রমের পশেই এই রৈভ্যমুনির আশ্রম। এখানে ভরদ্বাজমুনির পুত্র যবক্রীত বিনষ্ট হয়েছিলেন। আজ তোমাদের আমি কবি যবক্রীতের কাহিনি শোনাবো।’
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি
পর্ব-৮৮: ছবি আঁকতে আঁকতে অবনীন্দ্রনাথ টান দিতেন গড়গড়ায়, চিবোতেন পান
স্কুল অবনীন্দ্রনাথের পিছু ছাড়েনি। ডাক এসেছে আর্ট স্কুল থেকে। ছেলেদের পড়াবেন, ছবি আঁকা শেখাবেন —এ তো এক দারুণ সুযোগ! না, এমনভাবে তিনি ভাবেননি। পুলকিত নয়, বিচলিত হয়েছেন।
পর্ব-৮৭: কবির জন্মদিনে প্রিয়জনের উপহার
রবীন্দ্রনাথের আশি বছর পূর্তি উপলক্ষে টেলিগ্রামে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীজি লিখেছিলেন, ‘আপনার জীবনের আশি বছর পূর্তি যথেষ্ট নয়—শতবর্ষ জীবন প্রার্থনা করি।’
পর্ব-৮৬: যন্ত্রণাদগ্ধ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রাঁচিতে পেয়েছিলেন সান্ত্বনার প্রলেপ
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ তাঁর ‘জীবনস্মৃতি’তে এই রাঁচি-পাহাড়-বাসকে ‘বেদব্যাসের বিশ্রাম’ বলে চিহ্নিত করেছেন। নির্জন পাহাড়ে কখনও অনুবাদকর্মে মন দিয়ে, কখনও বা সংগীত চর্চায় মনোনিবেশ করে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের দিন কেটেছে।
পর্ব-৮৫: ভূপেনবাবুর ভূত
রবীন্দ্রনাথ আশ্রম-বিদ্যালয় কড়া-হাতে চালাতেন। প্রশাসনিক কাজেও তিনি সুদক্ষ ছিলেন। বিদ্যালয়-পড়ুয়ারা সব সময় তাঁর কাছে প্রাধান্য পেত। তাদের স্বার্থ দেখতন সর্বদা। তাদের জন্য কতখানি ভালোবাসা ছিল, দৈনন্দিন নানা ঘটনায় বারবার স্পষ্ট হয়ে উঠত। ছাত্রদের কবি চোখে চোখে রাখতেন।
পর্ব-৮৪: নোবেল পাওয়ায় বন্ধু দিয়েছিলেন লজ্জাবতীর চারা
তাঁর একটিই বই। সে বইয়ের নাম ‘অব্যক্ত’। বইটি প্রকাশের পর পাঠিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের কাছে। বইয়ের সঙ্গে চিঠিও ছিল। চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আজ জোনাকির আলো রবির প্রখর আলোর নিকট পাঠাইলাম।’ হোক না বিজ্ঞানের জগতে ঘোরাফেরা, সাহিত্যেও তিনি সাবলীল।
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা
পর্ব-৬৯: অমৃতের সন্ধানে মাস্টারমশাই /৫
আধ্যাত্মিক জীবন, শুধু খাদ্য-পানীয়ের নিরিখে বিচার যোগ্য নয়। তার থেকেও অধিকতর বড় বিষয় হল মানসিক শুদ্ধতা। সাধকের ক্ষেত্রে, অনেক সময় সাধন অপেক্ষা এ বিচার অধিকতর অর্থবহ হয়ে পড়ে যে কী গ্রহণযোগ্য বা গ্রহণযোগ্য নয়, তা সাধন পথে একপ্রকার বিঘ্ন।
পর্ব-৬৮: অমৃতের সন্ধানে মাস্টারমশাই /৪
উপনিষদের ব্রহ্মজ্ঞানের পার্বত্য পাদদেশে, যেখানে ভক্তির পরাকাষ্ঠা প্রেম নদী বিধৌত করে একে অপরকে। শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন, “এক চৈতন্য অভেদ, বিষ্ঠা, মুত্র, অন্ন, ব্যঞ্জন সবপ্রকার খাবার জিনিস পড়ে রয়েছে, তাঁর (শ্রীরামকৃষ্ণ) ভিতর থেকে জীবাত্মা বেরিয়ে সবকিছুকে স্পর্শ করে গেল।”
পর্ব-৬৭: অমৃতের সন্ধানে মাস্টারমশাই /৩
শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবাবিষ্ট হয়ে রাখালকে বলছেন, “এখানকার শ্রাবণ মাসের জল নয়। খুব হুড় হুড় করে আসে, আবার বেরিয়ে যায়। এখানে পাতাল ফোঁড়া শিব, বসানো শিব নয়।”
পর্ব-৬৬: অমৃতের সন্ধানে মাস্টারমশাই /২
শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে ভক্তেরা অবতার তত্ত্ব শুনছেন, আর ভাবছেন বেদ উক্ত অখণ্ড সচিদানন্দ, যা বাক্য মনের অতীত তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ রূপ ধারণে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। আর তা যদি না হতো তাহলে কী রূপে তিনি রাম, রাম উচ্চারণ করতে করতে সমাধিস্থ হতেন! তিনি নিশ্চয়ই হৃদ পদ্মে রাম রূপ দর্শনে মথিত হচ্ছেন।
পর্ব-৬৫: অমৃতের সন্ধানে মাস্টারমশাই /১
শ্রীরামকৃষ্ণ অনুধ্যানে মাস্টারমশাই দেখছেন, সেই অনন্তের আর এক প্রকাশ ঠাকুরের মধ্যে। তিনি তাঁর স্বরূপ ও ব্রহ্ম, এক করে অনন্তের সন্ধান দিচ্ছেন। ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের পয়লা জানুয়ারি শ্রীরামকৃষ্ণ প্রাণকৃষ্ণ ও মাস্টার মহাশয়ের সঙ্গে কথা বলছেন। অনেকে এমন আছেন অনেক উচ্চ স্তরের কথা বলেন।
যত মত, তত পথ
পর্ব-৯: আনন্দ-পসারি শ্রীরামকৃষ্ণ
শ্রীরামকৃষ্ণ জানতেন, এখন তাঁকে কেউ বুঝবে না। তাই বলেছেন “কালে বুঝবে। বাউলের দল এলো গেল, কত নাচলে গাইলে, কেউ চিনল না।”
পর্ব-৮: আনন্দের ফেরিওয়ালা
রামকৃষ্ণ নামে এক ফেরিওয়ালা রাস্তায় ফেরি করতে বেরিয়েছে। অদ্ভুত লোক বটে! ঝুড়িতে তাঁর খাঁটি সোনার সব গহনা—জ্ঞান, ভক্তি, বিবেক, বৈরাগ্য, আনন্দ, সমাধি। সেই অমূল্য সব গহনা সে বিনা পয়সায় দিতে চায়। কিন্তু নেবার লোক নেই।
পর্ব-৭: ঈশ্বরে মনে রেখে সংসার ধর্ম—শ্রীরামকৃষ্ণ ও রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ সংসারী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মন, সব কাজের মধ্যেও সবসময়, উত্তর-মুখ কম্পাসের কাঁটার মতো, ঈশ্বরের দিকে ঘুরে আছে। একথা প্রমাণ হয় তাঁর প্রতিদিনের জীবনচর্যা অনুসরণ ও সংগীত সহ চিঠিপত্র, প্রবন্ধ ও বিবিধ রচনাবলী পড়লেই।
পর্ব-৬: ঈশ্বরলাভ ক’রে / শুদ্ধাভক্তি লাভ ক’রে সংসারে থাকা—শ্রীরামকৃষ্ণ ও রবীন্দ্রনাথ
শ্রীরামকৃষ্ণ (কথামৃত : ১-১-৫) সব কাজ করবে কিন্তু মন ঈশ্বরেতে রাখবে। স্ত্রী, পুত্র, বাপ, মা, সকলকে নিয়ে থাকবে ও সেবা করবে। যেন কত আপনার লোক। কিন্তু মনে জানবে যে তারা তোমার কেউ নয়।
পর্ব-৫: ঈশ্বরের আনন্দ ও সংসার—শ্রীরামকৃষ্ণ ও রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রসংগীত রবীন্দ্রনাথ সংসারে থেকেও ঈশ্বরের আনন্দ পেয়েছিলেন বলেই, যৌবনে মানুষ যখন সাংসারিক আনন্দে একেবারে মেতে থাকে, তখন তাঁর কলম থেকে বের হয়েছে এইসব কালজয়ী গান।
বিবেকের কাছে
কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি
আপনার অনুরোধ করা পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুসন্ধান পরিমার্জিত করার চেষ্টা করুন অথবা ওয়েবসাইট মেনু থেকে পোস্টটি সনাক্ত করুন।
আলোকের ঝর্ণাধারায়
পর্ব-৪৬: শ্রীমায়ের দুই ভ্রাতৃবধূর কথা
শরৎ মহারাজ শ্রীমাকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করতেই মা সারদা বলেন, ‘এসেছ বাবা শরৎ। তোমার জন্যই নিমপাতা পাড়ছি, তুমি খাওয়ার সময় প্রথমপাতে তেতো নিমবেগুন খেতে ভালবাস, জানি’। শ্রীমা সকলকে এবার বললেন, ‘জল খেয়ে সবাই একটু জিরিয়ে নিয়ে স্নান কোরো’।
পর্ব-৪৫: কথার কথা মা নয়—সত্য জননী
সেই যুগে শিক্ষিত মেয়েদেরও অবিবাহিত জীবনযাপন কল্পনাতীত ছিল। মা সারদা মানসিক দিক থেকে সময়ের চাইতে অনেক এগিয়ে ছিলেন। তাই তিনি শুধু উপদেশ দিয়ে নয়, নিজেও দৃঢ়ভাবে তা কার্যে পরিণত করেছেন। সন্ন্যাসিনী গৌরীপুরী মাতার পালিতা কন্যা দুর্গাকে সকলের অমত সত্ত্বেও তিনি ইংরাজি শিখতে পাঠান।
পর্ব-৪৪: সারদা মায়ের মানসিক দৃঢ়তা
শ্রীমার মানসিক দৃঢ়তা তৎকালীন সমাজের প্রেক্ষিতে কতখানি ছিল, তা এই একটি উদাহরণে তুলে ধরা যায়। লোকমান্য তিলক ও রানাডে মহারাষ্ট্রের এক খ্রিষ্টান মিশনারিদের সভায় গিয়েছিলেন। সেখানে সকলের জন্যই ‘চা’ পরিবেশন করা হয়। আর তাই নিয়ে সমাজে কথা উঠল।
পর্ব-৪৩: শ্রীমার বড় ভাইজিরা—নালু ও মাকু
কোনও পল্লীতে কাজের খোঁজে গেলে গৃহস্তরা আতঙ্কে দরজা বন্ধ করে দেয়। এক মুসলমান কয়েকটি কলা এনে মাকে বললে, ‘এগুলি ঠাকুরের জন্য এনেছি, নেবেন কি’? শ্রীমা হাত পেতে বললেন, ‘ঠাকুরের জন্য এনেছ, নেব বৈ কি’।
পর্ব-৪২: শ্রীমার ভাইপো খুদি
শ্রীমার সেজভাই বরদাপ্রসাদের স্ত্রী ইন্দুমতীর কথা থেকে জানা যায় যে, তার বড়ছেলে খুদিরামকে মা সারদা খুদির বদলে ‘ফুদি’ ডাকতেন। সে ফল খেতে খুব ভালোবাসত। তার জন্য শ্রীমা কলকাতা থেকে কখনও বা পার্সেল করে ফল পাঠাতেন।
নিবেদিতা নানা রূপে
কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি
আপনার অনুরোধ করা পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুসন্ধান পরিমার্জিত করার চেষ্টা করুন অথবা ওয়েবসাইট মেনু থেকে পোস্টটি সনাক্ত করুন।
গল্পের ঝুলি
এক বাক্স চিঠি/৩
ডাক্তার চৌধুরীর অ্যাপার্টমেন্টের দরকার পড়েনি। ওষুধও আনাতে হয়নি। তবে ঘুমের ওষুধগুলো সব শেষ হয়ে গিয়েছে। লাবণ্য ঘুমের মধ্যেই চিরদিনের মতো চিরঞ্জীবের কাছে ফিরে গিয়েছে।
এক বাক্স চিঠি/২
হঠাৎ একটা শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়ায় ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। চাদরটা পায়ের কাছ থেকে নিতে গিয়েচমকে উঠল লাবণ্য টেবিলের পাশেচেয়ারে কে বসে? কে?
এক বাক্স চিঠি/১
১৯ বছরের চিরঞ্জীব মণ্ডল চিঠি দিয়েছিল ১৫ বছরের লাবণ্য মুখার্জিকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক লাবণ্য এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি।
শারদীয়ার গল্প-৪: সীমানা ছাড়ায়ে…
আজ কুড়ি বছর পর দেখা। ঊর্মি কথা বলে যাচ্ছে—পঞ্চাশেই বুড়ো হয়ে গেছিস যে। আমিও টুকটাক উত্তর দিচ্ছি হেসে। জোর করে প্রশ্নটা করেই ফেললাম। কেন চলে গিয়েছিলি সেদিন…
শারদীয়ার গল্প-১: পুরুষোত্তম/৬
সতীর চোখে চোখ রাখল পদ্মা। সতী তাকাল তার ছোটবোন সাবিত্রীর দিকে, পদ্মা হাত রাখল দু-মেয়ের মাথায়। সতীর হাত কাঁপছে! প্রথমবারের চেষ্টায় দেশলাই জ্বলল না যে, পদ্মা তাকাল। দ্বিতীয়বারের চেষ্টাও ব্যর্থ হল।
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক
পর্ব-৬৬: মুখোমুখি প্রথমবার /১
শাক্য চাইছিল যেভাবেই হোক, লোকটা ধরা পড়ুক। তাহলেই জানা যাবে, কী উদ্দেশ্য নিয়ে লোকটা এখানে এসেছিল। সে কি তাদের উপর নজর রাখবার জন্য এসেছিল, না কি নিজের প্রয়োজনেই এসেছিল? এই প্রশ্নের উত্তরের উপর নির্ভর করছে ভাবনার গতি কোন দিকে যাবে, সেই বিষয়টি।
পর্ব-৬৫: অরণ্য আদিম
অঞ্জন ক্যান খুলে এক চুমুক খেয়ে বলল, “তোমাকে খুব টেনশড্ লাগছে অরণ্য ! এনিথিং রং?” তাড়াতাড়ি নিজেকে গুটিয়ে নিতে চায় অরণ্য। মুখে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে বলে, “কিসের টেনশন? কেনই বা টেনিশন করতে যাবো?”
পর্ব-৬৪: জঙ্গল বিপদে আছে…
সত্যব্রত একবার মাত্র দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন, তাও কয়েক মুহূর্তের জন্য, কিন্তু বাইরে তা বুঝতে দিলেন না। মুখে হাসিটা ধরে রেখে বললেন, “তাই তো দেখছি! আমার কপাল ভালো বলতে হবে। নাহলে, পর পর দু’ দিন সাইলেক বাবুর সঙ্গে দেখা হওয়া তো ভাগ্যের ব্যাপার।”
পর্ব-৬৩: যেখানে দেখিবে ছাই
পাভেল একটু দূরে উবু হয়ে কিছু সূত্রটুত্র পাওয়া যায় কি না দেখছিল। শাক্যর কথা শুনে সে বলল, ‘আরে, কাল অবধি তো আমি ক্যামাফ্লেজ করে ছিলাম! আসবো কী করে? কাল যদি আসতামও পুলিশ আমায় দেখতে দিত?
পর্ব-৬২: দাঁড়িয়ে আছো তুমি আমার ফোনের ওপারে
হিরণ্ময় খুব সাই ছিল। মিশুকে ছিল না। নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকতে ভালোবাসত। যেদিন তাকে প্রপোজ করে সে, সেদিন অবাক হয়ে গিয়েছিল উন্মেষা। তার জীবনে যে ঝড় বয়ে গিয়েছিল তখন, তার পরেও যে কোনও পুরুষ তাকে মুগ্ধ দৃষ্টি দিয়ে দেখতে পারে, ভালোবাসতে পারে, এ তার কল্পনাতেও ছিল না।
রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!
পর্ব-৩০: তাহলে ট্রেন টিকিটের সেই এম-২৫ কে?
রীনার কতটা সাড়া ছিল বা ছিল না সেটা এখন আন্দাজ করা কঠিন। বিদ্যুৎ আরও খবর পেয়েছে রীনা আর তৃণাকে আলাদা সময়ে পড়াতেন। তৃণাকে ভোরবেলা অফিস যাওয়ার আগে। আর রীনা পড়ত রাত আটটার পর কল্যাণ ভট্টাচার্য অফিস থেকে ফেরার পর সোম থেকে শনি একই রুটিন।
পর্ব-২৯: ঘুমের ওষুধ কি সিন্নিতে মেশানো ছিল?
লোকাল থানার এএসআই বিদ্যুৎ সাঁপুইকে নিজের ফোন নম্বর দিয়ে এসেছিল ধৃতিমান। সে কি কোনও নতুন সূত্র পেল? সূত্র পেলে যে সেটা তার সবজান্তা গুরুঠাকুর বস এসএইচও নিত্যানন্দ মিত্রকে দিয়ে কোন লাভ হবে না, সেটা বোঝার মতো বুদ্ধিমান বিদ্যুৎ সাপুঁই।
পর্ব-২৮: সব রহস্যই কি ট্রেনের টিকিটে লুকিয়ে?
একটা টু-টায়ার এসির টিকিটের ছেঁড়া অংশ। ট্রেন নম্বর ১৮৪০৯। পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেস। ডেট অফ জার্নি খুনের রাতে। কয়েকটা টুকরো মিসিং। তাই নামের অংশটা পাইনি। যাত্রী দু’জন ছিলেন। এ২৫ এবং এফ২১।
পর্ব-২৭: সিন্নিতে কোনও বিষই নাকি পাওয়া যায়নি? তাহলে?
ওপ্রান্ত থেকে মফিজুলের বলা এই সামান্য কয়েকটা শব্দ ধৃতিমানের বুকের মধ্যে থেকে হাজার কেজির পাথরটা যেন এক নিমেষে সরিয়ে দিল।
পর্ব-২৬: রকিং চেয়ারে বসে দোল খাচ্ছে বাবু
আসলে বহুদিন সিনেমার থেকে নির্বাসিত ধৃতিমান। আলো ক্যামেরার ফ্লোরের ব্যস্ততার অদ্ভুত একটা নেশা আছে। যারা এর স্বাদ পেয়েছে তারা জানে। তাছাড়া রোজগারও চাই জমানো টাকা তো দিনে দিনে ফুরিয়ে আসছে।
উপন্যাস: দেওয়াল পাড়ের দেশ
কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি
আপনার অনুরোধ করা পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুসন্ধান পরিমার্জিত করার চেষ্টা করুন অথবা ওয়েবসাইট মেনু থেকে পোস্টটি সনাক্ত করুন।
গা ছমছমে ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া
পর্ব-২৫: আফিফা কি ভয়ংকর ভাবে তার প্রতিশোধ নিল
আফিফা চেয়েছিল আমি স্বচক্ষে এটা যেন দেখতে পাই। এবার মুক্তি পাবে ওরা। হয়ত আমিও। আমাকে ফিরে বুনিকে সব বলতে হবে। এ বার নিশ্চিন্তে কলকাতা ফিরবো।
পর্ব-২৪: পিঠের পেছনে চেয়ারের ফ্রেমটা তাঁর চেহারার মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছে
ঠিক যেমন প্লাস্টিকের প্যাকেটে ঢাকা জিনিস দেখা যায়। তেমনি বাবার শরীর ভেদ করে দেখা যাচ্ছে আরও দূরে আমার লেখার টেবিলটা।
পর্ব-২৩: লেখার অক্ষরগুলোতে লাল রংটা ক্রমশ শুকিয়ে খয়েরি হয়ে যাচ্ছে, তবে কি রক্ত?
আমার অন্য লেখার ডট পেনের লাল রং নয়। আমার কাছে কোন লালকালির পেন নেই! আর এই লেখার অক্ষরগুলোতে লাল রংটা ক্রমশ শুকিয়ে খয়েরী হয়ে যাচ্ছে। তবে কি রক্ত!
পর্ব-২২: ঈপ্সিতা চ্যাটার্জির কপাল থেকে সারা মুখ রক্তাক্ত
ভয়ংকর শ্বাসকষ্ট, ঠিক মতো কথা বলতে পারছেন না। ছটফট করছেন। শরীরটা বেঁকে যাচ্ছে। তারপর একটা সময় আর পারলেন না।
পর্ব-২১: এতক্ষণ নড়তে থাকা হাত-পা ক্রমশ এলিয়ে পড়ল
…হঠাৎ ধপ করে সেই চাদরমোড়া এলিয়ে-পড়া শরীর দুটোতে আগুন ধরে গেল। পোড়া শরীরের চড়চড় শব্দ শুনতে পাচ্ছি।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং…
৩য় খণ্ড, পর্ব-১৭: দাহের জন্য স্বর্ণময়ীকে চুল্লিতে দিয়েই বিনয়কান্তি আর অপেক্ষা করেননি
বিয়ের পরেও সানন্দা তার পদবি দত্ত-ই লিখতো, শেষে ব্রাকেটে দাশগুপ্ত। ডাক্তার হিসেবে কাগজপত্র সব কিছুতেই সানন্দা দত্ত পরিচিত নাম।
৩য় খণ্ড, পর্ব-১৬: চলো তারক তোমার দিদিকে পরপারে পৌঁছে দিয়ে আসি…
ঠাকুরদালানের সামনে বরফ বোঝাই মেটালবেডে শোয়ানো হয়েছিল স্বর্ণময়ীকে। কাচে ঢাকা একটা বাক্সের ভিতর লালশাড়িতে রানির মতো শুয়েছিলেন স্বর্ণময়ী দত্ত। এয়ারকন্ডিশনড শববাহী গাড়িও তৈরি ছিল। শহরের বিশিষ্টদের জন্য ঘণ্টাখানেক ঠাকুরদালানের সামনে স্বর্ণময়ীকে রাখা হয়েছিল।
৩য় খণ্ড, পর্ব-১৫: আচমকা সিস্টার সিস্টার বলে চিৎকার শুরু করেন বিনয়কান্তি
স্বর্ণর হাতটা অস্বাভাবিক সাদাটে স্বর্ণ ভীষণ ফরসা কিন্তু তার শরীরের একটা গোলাপি লাবণ্য ছিল। এই সেদিন অসুস্থ হবার আগে পর্যন্ত। কিন্তু এখন সে হাত ফ্যাটফ্যাটে সাদা স্বর্ণর হাতের গোলাপী আঙুলগুলো কেমন যেন সবজে নীলরঙের এমন কেন হবে বিনয়কান্তি গলায় যেন শব্দ নেই।
৩য় খণ্ড, পর্ব-১৪: ঠাকুমা স্বর্ণময়ীকে আবার বসুন্ধরা ভিলায় ফিরিয়ে আনা হল
মা ফিরে আসার ঠিক এক সপ্তাহের মধ্যে আমার ঠাকুমা স্বর্ণময়ী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অসুস্থ তিনি ছিলেনই। শয্যাশায়ী ছিলেন বহুদিন। কিন্তু এ বার একটা একটা করে নতুন শারীরিক সমস্যা ধরা পড়তে লাগলো। বিদেশ থেকে রোসিনের বিয়ে এবং শ্যাননের আংটি বদলের মোটাসোটা অ্যালবাম নিয়ে ফিরেছিলেন মা।
৩য় খণ্ড, পর্ব-১৩: ঝড় সামলে খ্রিস্টান ও বাঙালি হিন্দু মতে বিয়েতে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিল ঋতু
কীরা কাকিমার ভোকাল টনিকে কাজ হয়েছিল। শারীরিক মানসিক ঝড় সামলে ঋতু খ্রিস্টান ও বাঙালি হিন্দু মতে বিয়ের আচার অনুষ্ঠানে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিল। মায়ের কাছে শুনেছি ফুলকাকা এখন দাড়ি রেখেছেন। সাদা ধবধবে পেঁজাতুলোর মতো কোঁচকানো দাড়ি। লম্বা রূপোলি চুল।
কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি
আপনার অনুরোধ করা পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুসন্ধান পরিমার্জিত করার চেষ্টা করুন অথবা ওয়েবসাইট মেনু থেকে পোস্টটি সনাক্ত করুন।