মাছচাষের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু উৎপাদনের প্রতিবন্ধকতাও তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার জীবাণুঘটিত রোগ বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। প্রথাগত বা কিছুটা উন্নত চাষে এই প্রতিবন্ধকতা বিশেষ নেই। আধুনিক মাছ ও চিংড়িচাষে তাই নানা ধরণের রাসায়নিক প্রায়শই ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাঙালির মৎস্যপুরাণ
পর্ব-১০৪: শুধু বেশি উৎপাদনই নয়, সমান গুরুত্ব দিতে হবে রোগবালাই নিরাময়েও
রোগজীবাণু বলতে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস পরজীবি প্রভৃতি। এদের খালিচোখে দেখা যায় না। জলে মিশে থাকে। মাছের রোগাক্রান্ত হয়েছে কিনা এটি বোঝার উপায় হল তাদের কয়েকটি অস্বাভাবিক আচরণ।
পর্ব-১০৩: বেশি উৎপাদনের জন্য মাছের খাবার তৈরি করতে হবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে
শুরুতে প্রতি হেক্টর মিটারে পাঁচ হাজারটি মোট পোনা মজুদের পরিবর্তে এখন ২৫ হাজার হারে চারা ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে প্রাকৃতিক খাদ্যকণার ক্রমাগত ঘাটতির মোকাবেলায় পরিপূরক খাদ্যপ্রয়োগ একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
পর্ব-১০২: ডিমপোনাই হোক বা ধানীপোনা—পুকুরে ছাড়ার সঠিক সময় কখন?
ডিমপোনাই হোক বা ধানীপোনা—পুকুরে জন্মানো প্রাণীকণার পরিমাণের ওপরে তাদের কত সংখ্যায় ছাড়া হবে তা নির্ধারণ করা হয়। যেমন পুকুরের পঞ্চাশ লিটার জলে প্রাণীকণার পরিমাণ দেড় থেকে দুই মিলিলিটার হলে দুই থেকে তিন লক্ষ ডিমপোনা ছাড়া যেতে পারে।
পর্ব-১০১: নিরোগ ও উচ্চমানে মাছচাষের জন্য অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিতে হবে
ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা, খাবার প্রস্তুত ও পুকুরে তা নিয়মিত নিষ্ঠাভরে প্রয়োগ করতে পারলে অনেকটাই ব্যয় সঙ্কোচ হয়। কারণ, মাছচাষে সিংহভাগ খরচ হয় খাবার কেনার জন্য। এ সব ছাড়াও পুকুরে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্রাণীকণার পরিমাণ প্ল্যাঙ্কটন নেটের সাহায্যে যাচাই করে নেওয়া আবশ্যক।
পর্ব-১০০: সঠিক পদ্ধতি মেনে মাছচাষ করলে বিঘাপ্রতি ২০-২৫ হাজার চারাপোনাও পাওয়া সম্ভব
সাধারণভাবে বিঘা প্রতি ৩০ হাজার ধানী পোনাকে (২০-২৫ মিমি) আঁতুর পুকুর থেকে তুলে লালন পুকুরে ছাড়া যায়। পুকুরে ধানী পোনা ছাড়ার সময় হল সাধারণত সকালের দিকে।
পর্ব-৯৯: জলাশয়ে ডিমপোনা ছাড়ার আগে জলজ কীটপতঙ্গের নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে
আগের সংখ্যায় জানিয়েছিলাম, মাছচাষের পুকুর কেমন হবে, জলের ভৌত ও রাসায়নিক গুণমান মাছচাষের পক্ষে অনুকূল, কী জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে এবং কখন ইত্যাদি বিষয়ে। ছোট পুকুর যেখানে জলের গভীরতা বেশি থাকবে না সেখানে ডিমপোনার চাষ করাই ভালো।
পর্ব-৯৮: মাছচাষে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা প্রয়োজন
মে পুকুরে চারাপোনা থেকে বড় মাছ উৎপাদন করা হয় সেটিকে পালন পুকুর বলা হয়। এটির জলের গভীরতা ৫ থেকে ৭ ফুট এবং এর আকার হবে ২০ কাঁটার বেশি। পুকুর পাড়ের দু’ দিকের ঢাল ৪৫ ডিগ্রি হতে হবে।
পর্ব-৯৭: সঠিক পরিমাণে মাছের ডিমপোনা কিনার সহজ উপায় কী, জানেন?
আমাদের রাজ্যে মাছচাষের কর্মকাণ্ড শুরু হয় ফাল্গুনের গোড়াতেই। এ বারে শীত কিছুটা প্রলম্বিত হওয়ায় মাছচাষিরা উদ্যোগ নিয়েছেন খানিকটা দেরিতে।
পর্ব-৯৬: পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ‘মিল্ক ফিশ’ কখনও চেখে দেখেছেন?
আমাদের দেশের পূর্ব উপকূলে, বিশেষ করে আমাদের রাজ্যের সুন্দরবন অঞ্চলে একটি অতীব সুন্দর মাছ পাওয়া যায়। যদিও পরিমাণে নেহাতই কম। কাকদ্বীপে অবস্থিত ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের গবেষণা এবং খামারে এই মাছ রয়েছে। এর নাম চ্যানশ চ্যানশ
পর্ব-৯৫: ফিলে তৈরির জন্য পাঙাশ মাছ আদর্শ, এই মাছচাষে আর্থিক লাভও ঈর্ষণীয়
চাহিদার নিরীখে কম দামের মধ্যে মাছের বাজারে যে কয়েকটি মাছ পাওয়া যায়, পাঙাশ মাছ তাদের মধ্যে একটি। এই ক্যাটফিশ যে কোনও মিষ্টি জলাশয়ে চাষ করা যায়।
পর্ব-৯৪: বিকল্প আয়ের জন্য তোপশে ও আমোদি মাছ চাষ খুবই লাভজনক হতে পারে
তপসে মাছের পছন্দের খাবার হল, খুব ছোট মাছ ও অমেরুদণ্ডী জলজ প্রাণী। এই মাছটির একটি পুষ্টিগত বিশেষত্ব হল, এটি সায়ানোকোবালামিন বা ভিটামিন বি-১২ তে খুব সমৃদ্ধ।
পর্ব-৯৩: আপনার জলাশয়ের জল কতটা পরিশুদ্ধ জানিয়ে দেবে মাছ
জলাশয়ে দূষণ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। আর তার কারণেই জলজ জৈব সম্পদ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ্জ সবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সততই। সতর্ক না হলে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য ব্যাহত হবে। জল দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করা হয় জল পরীক্ষার মাধ্যমে।
পর্ব-৯২: অত্যন্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ ল্যাটা মাছ প্রশিক্ষণ নিয়ে চাষ করলে স্বনির্ভর হওয়া সম্ভব
ল্যাটা মাছের মাথার আঁশের সঙ্গে সাপের মাথার আঁশের মিল আছে। লম্বাটে মাছটির দেহের পরেই থাকে বিরাট পাখনা। ল্যাজের গড়ন কিছুটা চামচের মতো দেখতে হয়।
পর্ব-৯১: স্বল্প খরচেও উন্নত মানের মাছ বা জৈব চাষ করা সম্ভব
অ্যাজোলা এবং স্পিরুলিনা দুটিই অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন-বি১২ ছাড়াও ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ,ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ।