স্কুল অবনীন্দ্রনাথের পিছু ছাড়েনি। ডাক এসেছে আর্ট স্কুল থেকে। ছেলেদের পড়াবেন, ছবি আঁকা শেখাবেন —এ তো এক দারুণ সুযোগ! না, এমনভাবে তিনি ভাবেননি। পুলকিত নয়, বিচলিত হয়েছেন।
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি
পর্ব-৮৭: কবির জন্মদিনে প্রিয়জনের উপহার
রবীন্দ্রনাথের আশি বছর পূর্তি উপলক্ষে টেলিগ্রামে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। গান্ধীজি লিখেছিলেন, ‘আপনার জীবনের আশি বছর পূর্তি যথেষ্ট নয়—শতবর্ষ জীবন প্রার্থনা করি।’
পর্ব-৮৬: যন্ত্রণাদগ্ধ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রাঁচিতে পেয়েছিলেন সান্ত্বনার প্রলেপ
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ তাঁর ‘জীবনস্মৃতি’তে এই রাঁচি-পাহাড়-বাসকে ‘বেদব্যাসের বিশ্রাম’ বলে চিহ্নিত করেছেন। নির্জন পাহাড়ে কখনও অনুবাদকর্মে মন দিয়ে, কখনও বা সংগীত চর্চায় মনোনিবেশ করে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের দিন কেটেছে।
পর্ব-৮৫: ভূপেনবাবুর ভূত
রবীন্দ্রনাথ আশ্রম-বিদ্যালয় কড়া-হাতে চালাতেন। প্রশাসনিক কাজেও তিনি সুদক্ষ ছিলেন। বিদ্যালয়-পড়ুয়ারা সব সময় তাঁর কাছে প্রাধান্য পেত। তাদের স্বার্থ দেখতন সর্বদা। তাদের জন্য কতখানি ভালোবাসা ছিল, দৈনন্দিন নানা ঘটনায় বারবার স্পষ্ট হয়ে উঠত। ছাত্রদের কবি চোখে চোখে রাখতেন।
পর্ব-৮৪: নোবেল পাওয়ায় বন্ধু দিয়েছিলেন লজ্জাবতীর চারা
তাঁর একটিই বই। সে বইয়ের নাম ‘অব্যক্ত’। বইটি প্রকাশের পর পাঠিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের কাছে। বইয়ের সঙ্গে চিঠিও ছিল। চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘আজ জোনাকির আলো রবির প্রখর আলোর নিকট পাঠাইলাম।’ হোক না বিজ্ঞানের জগতে ঘোরাফেরা, সাহিত্যেও তিনি সাবলীল।
পর্ব-৮৩: বিপর্যয়ের দিনে বন্ধু রবীন্দ্রনাথ
কোনও বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়, রবীন্দ্রনাথ যুবক বয়স থেকে আর্ত-পীড়িত মানুষের পাশে এই ভাবে দাঁড়িয়েছেন। যুবক-বয়সে কখনো সুন্দরবনের দরিদ্র মানুষজনকে ঘরবাড়ি বানানোর জন্য, কৃষিকাজে সহায়তা করার জন্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন, আবার কখনো-বা বাঁকুড়ার দুর্ভিক্ষ-কবলিত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন।
পর্ব-৮২: রবীন্দ্রনাথ সাহেব-শিক্ষকদের কাছেও পড়েছেন
রবীন্দ্রনাথ শিক্ষক হিসেবে কেমন ছিলেন সে সুখকর বিবরণ আছে নানাজনের স্মৃতিচর্চায়। আশ্রম শিক্ষক অজিতকুমার চক্রবর্তীকে তিনি লিখেছিলেন, ‘ছেলেদের পড়াতে এত ভালো লাগছে যে, এর সঙ্গে আর কোনো কাজের তুলনা হয় না…।’
পর্ব-৮১: কবির ‘গানের ভাণ্ডারী’ দিনেন্দ্রনাথ বৈষয়িক-কারণে শান্তিনিকেতন ত্যাগ করেছিলেন
রবীন্দ্রনাথের ‘বড়দা’ দ্বিজেন্দ্রনাথের পৌত্র দিনেন্দ্রনাথ। দিনেন্দ্রনাথের পিতা দ্বিপেন্দ্রনাথ। পত্নী সুশীলাকে তিনি হারিয়েছিলেন অকালে। তাঁদের বছর দশকের বিবাহিতজীবন।
পর্ব-৮০: ঠাকুরবাড়ির ফরাসি-পাচক
ঠাকুরবাড়িতে বিদেশি ভাষার চর্চা ছিল। দুই ভ্রাতা হেমেন্দ্রনাথ ও জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ভালো ফরাসি জানতেন। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ফরাসি থেকে সরাসরি গল্প-উপন্যাসও অনুবাদ করেছিলেন। হেমেন্দ্রনাথকে ফরাসি শিখিয়েছিলেন বাড়ির পাচকঠাকুর। যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে।
পর্ব-৭৯: কবির ভালোবাসার পশুপাখি
রবীন্দ্রনাথের শেষ-বয়সের সঙ্গী ছিল ‘পুপেদিদি’। রথীন্দ্রনাথ ও প্রতিমা দেবীর পালিতকন্যা নন্দিনী ছিলেন কবির আদরের পুপে। পুপে তাঁর দাদামশায়কে জানিয়েছিল, পাখি পুষতে চান। দাদামশায় বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ পুষবে বৈকি।’
পর্ব-৭৮: ষাট-বাষট্টি, বড়োজোর সত্তর বছর বাঁচবেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছিল এক গণৎকার
ঠাকুরবাড়িতে জ্যোতির্বিজ্ঞানের চর্চা ছিল, জ্যোতিষচর্চা কখনোই নয়। জ্যোতিষশাস্ত্র বুজরুকি ছাড়া কিছু নয়। জ্যোতির্বিজ্ঞান চন্দ্র-সূর্য-চাঁদ-তারা-গ্রহ-নক্ষত্র নিয়ে পর্যালোচনা করে। এটি বিজ্ঞান।
পর্ব-৭৭: আস্তাবলে সহিসদের রাখি পরাতে রবীন্দ্রনাথ ছুটে গিয়েছিলেন
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি আমাদের পথ দেখিয়েছে। সাহিত্যচর্চায়, বিজ্ঞানচর্চায়, সংস্কৃতিচর্চার নানা অঙ্গনে তাঁরাই নিয়েছেন পথপ্রদর্শকের ভূমিকা। পরাধীনতার গ্লানি মুছে ফেলার জন্য জাতিকে উদ্দীপ্ত করেছেন। স্বাদেশিকতাবোধ জাগানোর ক্ষেত্রেও এই পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রথমে দৈনন্দিন জীবনে, পরিবারিক স্তরে স্বাদেশিকতাবোধ জাগানোর চেষ্টা চলেছে। পরে তা ছড়িয়ে পড়েছে বৃহত্তর সমাজজীবনে। জোড়াসাঁকোয় তাঁত বসানোর ব্যবস্থা হয়েছে, চরকা কাটার ব্যবস্থা হয়েছে। খোলা হয়েছে 'স্বদেশী ভাণ্ডার'। বন্ধ হয়েছে বিলিতি জিনিসের...
পর্ব-৭৬: রবীন্দ্রনাথ চা নয়, প্রতিদিন সকালে কফি খেতেন
কবি কী পোশাক পরতেন, সে বিবরণও আছে সুধীরচন্দ্র করের লেখায়। জানা যায় কবি ঢিলে পাঞ্জাবি পরতেন। লুঙ্গি ও পাজামা ছিল সাধারণ পরিধেয়। কখনোসখনো দুটো পাঞ্জাবি একত্রে পরতেন।
পর্ব-৭৫: রাণুর মধ্যে মাধুরী
অসহনীয় শোকযন্ত্রণা। দিশেহারা বিধ্বস্ত কবি গাড়ি ঘুরিয়ে গিয়েছিলেন রাণুদের বাড়ি। চিঠিতে যার সঙ্গে যোগাযোগ, তাকে চোখের দেখা দেখতে চেয়েছিলেন।
পর্ব-৭৪: চাঁদ ঢাকার কৌশল
অধিক সন্তানের জননী, স্বভাবতই আঁতুড়ঘরে কেটেছে সেকালের অধিকাংশ মায়েদের। রবীন্দ্রনাথ সেভাবে মাকে পাননি। সারদাসুন্দরীর চতুর্দশ সন্তান, অষ্টম পুত্র তিনি।