কার্ত্তিকের সামনে ভিড়টা এতক্ষণে পাতলা হয়েছে। ঠোঁটে টেনে রাখা হাসিটা ধরে রাখতে রাখতে ময়ূরবাহন বললেন, “সরো, এদের ইস্কুল অথবা পড়ার ঘরে সারপ্রাইজ ভিজিট করিস? কতবার তোকে বলেছি… এটা একটা যুদ্ধ, শিরদাঁড়াগুলো সোজা করে লং লাস্টিং করতে গেলে একটা স্ট্র্যাটেজি লাগে।
হরেকরকম্বা
ক্যাবলাদের ছোটবেলা
পর্ব-৩১: আমার মতে, তোর মতো কেউ নেই
কন্দর্প বিস্মিত হয়ে বলল, “আমাকে কে চাকুরি দেবে? পিতা দুইবেলা আমাকে ক্যাবলা বলে তাড়না করেন, বলেন, আমার মস্তিষ্কের অন্দরমহল বিশুদ্ধ গোময়ে পরিপূর্ণ। সংখ্যা কী শব্দ, ভূত কি ভবিষ্যৎ সব বিষয়েই নাকি আমি সমদর্শী, সূক্ষ্মদৃষ্টিহীন একটি আস্ত আকাট। অবশ্য মাতা ও সুহৃদের দল আমার বুদ্ধির প্রশংসা করে।”
পর্ব-৩০: বাতাসে বহিছে প্রেম, নয়নে লাগিল নেশা
ভরা পেটে শিল্প হয়। খালি পেটেও। দুটোর ধরণ বদলে বদলে যায়। আবার, শুধু খাদ্যাখাদ্যের নিরাপত্তা থাকলেই কর্মের বাসনা কী অকর্মের কী অপকর্মের বাসনা কিংবা সভ্যতা-অসভ্যতা জেগে ওঠে না যে!
পর্ব-২৯: কে আবার বাজায় বাঁশি
রাজা যান যুদ্ধে কিংবা দিগ্বিজয়ে। সঙ্গে চলে মন্ত্রী-অমাত্য-চতুরঙ্গ সেনা। প্রতিবেশীকে জব্দ করেন। পাশের পাড়ায় শৌর্য স্থাপন করেন। দূরের পাড়ায় তাঁর নীতি বদলায়। মাঠে নামেন। অসি ঘোরান। বেশ যুদ্ধ হয় খানিক। তারপর শত্রু হেরে যায়।
পর্ব-২৮: তার লাগি পথ চেয়ে আছি পথেই যে জন ভাসায়
টেনিদার রক আর হযবরল-র জগৎ ছাড়িয়ে আমরা অনেকদূর এসে পড়েছি। হাজার বছর ধরে অতীতের পথে হাঁটতে হাঁটতে যদি উদয়ন-বাসবদত্তার রাজপুরীতে প্রবেশ করা যায়? ওহো! রাজপুরী থাকলেও রাজা সেখানে কোথায়? রাজা রাজ্যচ্যুত।
বাঙালির মৎস্যপুরাণ
পর্ব-১০৫: সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে মাছচাষে রাসায়নিক ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে
মাছচাষের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু উৎপাদনের প্রতিবন্ধকতাও তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার জীবাণুঘটিত রোগ বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। প্রথাগত বা কিছুটা উন্নত চাষে এই প্রতিবন্ধকতা বিশেষ নেই। আধুনিক মাছ ও চিংড়িচাষে তাই নানা ধরণের রাসায়নিক প্রায়শই ব্যবহৃত হচ্ছে।
পর্ব-১০৪: শুধু বেশি উৎপাদনই নয়, সমান গুরুত্ব দিতে হবে রোগবালাই নিরাময়েও
রোগজীবাণু বলতে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস পরজীবি প্রভৃতি। এদের খালিচোখে দেখা যায় না। জলে মিশে থাকে। মাছের রোগাক্রান্ত হয়েছে কিনা এটি বোঝার উপায় হল তাদের কয়েকটি অস্বাভাবিক আচরণ।
পর্ব-১০৩: বেশি উৎপাদনের জন্য মাছের খাবার তৈরি করতে হবে বৈজ্ঞানিক উপায়ে
শুরুতে প্রতি হেক্টর মিটারে পাঁচ হাজারটি মোট পোনা মজুদের পরিবর্তে এখন ২৫ হাজার হারে চারা ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে প্রাকৃতিক খাদ্যকণার ক্রমাগত ঘাটতির মোকাবেলায় পরিপূরক খাদ্যপ্রয়োগ একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।
পর্ব-১০২: ডিমপোনাই হোক বা ধানীপোনা—পুকুরে ছাড়ার সঠিক সময় কখন?
ডিমপোনাই হোক বা ধানীপোনা—পুকুরে জন্মানো প্রাণীকণার পরিমাণের ওপরে তাদের কত সংখ্যায় ছাড়া হবে তা নির্ধারণ করা হয়। যেমন পুকুরের পঞ্চাশ লিটার জলে প্রাণীকণার পরিমাণ দেড় থেকে দুই মিলিলিটার হলে দুই থেকে তিন লক্ষ ডিমপোনা ছাড়া যেতে পারে।
পর্ব-১০১: নিরোগ ও উচ্চমানে মাছচাষের জন্য অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিতে হবে
ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করা, খাবার প্রস্তুত ও পুকুরে তা নিয়মিত নিষ্ঠাভরে প্রয়োগ করতে পারলে অনেকটাই ব্যয় সঙ্কোচ হয়। কারণ, মাছচাষে সিংহভাগ খরচ হয় খাবার কেনার জন্য। এ সব ছাড়াও পুকুরে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্রাণীকণার পরিমাণ প্ল্যাঙ্কটন নেটের সাহায্যে যাচাই করে নেওয়া আবশ্যক।
বিচিত্রের বৈচিত্র
পূর্বোত্তরে অন্য রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরা থেকে মণিপুরী নৃত্য শিক্ষক নিয়ে গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনে। অসমের তাঁত বাংলার ঘরে ঘরে চালু করতে চেয়েছিলেন। মণিপুরী নৃত্যের পাশাপাশি মণিপুরী বয়নশিল্পেরও প্রসার চেয়েছিলেন তিনি।
মহামানবের সাগরতীরে
রবীন্দ্রনাথ মনীষী? ঠাকুর? যুগপুরুষ? রবীন্দ্ররচনাবলীতেই তাঁর সর্বস্ব আটকে গিয়েছে? আকাশ পানে কাহার তরে হাত বাড়ানো কোনও শাপগ্রস্ত যক্ষের অকৃত্রিম আনন্দমগ্ন কল্পনাই কেবল রবীন্দ্রনাথ? রবীন্দ্রনাথ মানেই জীবত্কালে ছায়াতরু কিংবা পারিজাত হয়ে ওঠা?
হে নূতন…
বাঙালি তার পঞ্জিকায় নববর্ষকে জেনেছে, আলপনায় তাকে ভরিয়েছে। পুরনো কর্জ মিটিয়ে নতুন জমার হিসাব শুরু করেছে। নতুন নতুন স্বপ্নজাল বুনতে চেয়েছে। এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে তার জীবনশৈলীর চেনাবাঁধা ছক, পছন্দ অপছন্দের টুকিটাকি। তারপরেও নদী তার নিজের ছন্দে চলেছে। বাতাস বয়েছে আপন খেয়ালে।
ত্রিপুরায় বছর সন্ধির কৃষিকেন্দ্রিক পার্বণ
চৈত্র-বৈশাখের সন্ধিক্ষণে ত্রিপুরার জনজাতিদের প্রধান লোক উৎসব গরিয়া অনুষ্ঠিত হয়। গরিয়া হলেন সুখ ও সমৃদ্ধির দেবতা। জনজাতিদের বিশ্বাস গরিয়া দেবতা তুষ্ট হলে সম্পদ, সন্তান ও শান্তি সুনিশ্চিত হবে। গোলা ভরা ফসল হবে। চৈত্র সংক্রান্তির দিন আবাহন হয় গরিয়ার। এক সপ্তাহ পর উৎসবের সমাপ্তি ঘটে বৈশাখে।
ত্রিপুরার রাজ পরিবারে হোলি উৎসব
ত্রিপুরায় সুদূর অতীতকাল থেকেই হোলির এক ঐতিহ্য রয়েছে। অষ্টাদশ-ঊনবিংশ শতকে মাণিক্য রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজধানীতে হোলি উৎসবের তথ্য পাওয়া যায় ইতিহাসে। মহারাজা বীরচন্দ্রের রাজত্বকালে ত্রিপুরায় হোলি অন্যতম এক প্রধান উৎসবে পর্যবসিত হয়েছিল।
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি
পর্ব-৪৪: বৈষম্যের চোরাবালি ভাবনার কিনারায়
দিল্লির রাজপথে মহিলা কুস্তীগিরদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে পুরুষ কুস্তীগিরদের আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে। আন্দোলন সফল হল না বিফল হল তা নিয়ে পরে আলোচনা করা যাবে। কিন্তু এই অনুভুতি যে নিজেদের উপর হয়ে যাওয়া কাঠামোগত অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে।
পর্ব-৪৩: মহিলা সহকর্মী বা স্ত্রী কি কেবল খেলার পুতুল?
পুরুষ নিজের স্ত্রীকে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে তুলনা করে বলতে শোনা যাচ্ছে তার স্ত্রী দায়িত্ব পালন করছে না। আবার অন্য দিকে স্ত্রী পুরুষের কম রোজগার বা স্ত্রীর ভরণপোষণ ভালো ভাবে করলে না পারার অনুযোগ জানালে বলা হচ্ছে স্ত্রী সব সময় টাকা চেয়ে অত্যাচার করছে।
পর্ব-৪২: অভীপ্সা বনাম অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন
নারীদের অভীপ্সা থাকে বা রাখতে বলা হয় কীভাবে এই সব নারীরা সন্তান মানুষ করবেন যাতে তাদের সন্তানরা বা মূলত পুত্র সন্তানরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে কিছু নির্দিষ্ট পেশা গ্রহণ করে।
পর্ব-৪১: রিল জীবিকা বনাম জীবিকার বাজারে মেয়েরা
নারীকে লিলিথ হতে দিতে সমাজ যখন বাধা দিতে পারবে না তখন নারীর শরীরে নারীর অধিকার কায়েম হবে। কিন্তু সমাজে তখন কে শিশুর পিতা আর কেই বা মাতা তাই নিয়ে বিবাদের সম্ভবনা বাড়বে।
পর্ব-৪০: রূপ, অলঙ্কার ও নারীর অবস্থান
গয়না পরব কিনা বা পরলেও কীভাবে পরব সেই চেতনা একটি মেয়ের যেমন থাকা দরকার তেমনি যে ছেলে বিয়ে করতে যাচ্ছে একটি মেয়েকে সেও বলবে গয়না না পরলেও মেয়েটিকে একটি গুণী, বুদ্ধিদীপ্ত মেয়ে মনে হচ্ছে, রূপে লক্ষ্মী নয়।
অজানার সন্ধানে
সেকালের দোল উৎসব
বসন্তের আগমনে দেশের নানা জায়গায় মানুষের মধ্যে যে উৎসব পালিত হয় সেটাই কালক্রমে দোল উৎসব নামে পরিচিত। উত্তর ভারতের লোকেরা অবশ্য এই দোলকে হোলি বলে থাকেন। কিন্তু বাংলা এবং ওড়িশায় এটি দোলযাত্রা নামে পরিচিত।
দেশের ও দশের জন্য নিবেদিত প্রাণ সুভাষ
জানকিনাথ তাঁর স্ত্রীকে বললেন, আমার তো সময়ই হয় না, তুমি তো একটু খোঁজখবর নিতে পারো সুভাষের। প্রভাবতী দেবী স্থির করলেন, এ বার থেকে ছেলের দিকে তিনি কড়া নজর রাখবেন।
নাবালক বয়সে হ্যাক নাসার ওয়েবসাইট, মাত্র ২৪-এই রহস্যমৃত্যু! কে এই জোনাথন?
জোনাথন জোসেফ জেমস। ছোট থেকেই জোনাথনের অমোঘ আকর্ষণ ছিল কম্পিউটার এবং কম্পিউটারের যাবতীয় যন্ত্রাংশের প্রতি। জোনাথনই ছিলেন আমেরিকার প্রথম কিশোর হ্যাকার।
এই ভূতুড়ে দ্বীপে তিনিই একমাত্র মহিলা, দিন কাটে দাগি অপরাধীদের সঙ্গে, ‘দ্বীপের রানি’র কেন এমন সিদ্ধান্ত?
সেটা ২০১১ সাল। সে বছর নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটানোর জন্য পিয়ানোসাকে বেছে নিয়েছিলেন জিউলিয়া। পিয়ানোসা দ্বীপে অতীতে ইতালির বন্দিদের রাখা হত। ওই দ্বীপে একটাই মাত্র হোটেল রয়েছে।
এক লিটার পেট্রলে গাড়ি ছুটবে ১০০ কিমি! যুগান্তকারী যন্ত্র আবিষ্কার করেও রহস্যজনক ভাবে উধাও হন বিজ্ঞানী ওগলে
টম এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন, যা গাড়ির ইঞ্জিনের কার্বুরেটরে প্রতিস্থাপন করলে এক লিটার পেট্রোলে গাড়ি ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটতে পারবে। টমের বক্তব্য, তাঁর এই যন্ত্র গাড়ির জ্বালানি সঞ্চয়ী করে তুলবে।
ইতিহাস কথা কও
পূর্বোত্তরে ইতিহাস ঐতিহ্যে হাতি
পূর্বোত্তরে সর্বাধিক হাতি রয়েছে অসমে। অতীতের তুলনায় অবশ্য বর্তমানে এর সংখ্যা দারুণ ভাবে কমে এসেছে। একদা রাজশক্তির অন্যতম মাপকাঠি এবং গৌরবের প্রতীক ছিল হাতি। অসমের ইতিহাসের নানা অধ্যায়ে জড়িয়ে আছে আপাত নিরীহ এই প্রাণীটি।
পর্ব-১৫: দেবদেউল কথা ও গোসানিমারি কামতেশ্বরী মন্দির
জনশ্রুতি খেন বংশীয় রাজা নীলধ্বজ ‘দেবী কামদা’ বা ‘কামতার’ উপাসক ছিলেন। উপাস্য দেবীর নাম অনুসারেই রাজ্যের নাম হয় কামতা এবং রাজধানীর নাম হয় কামতাপুর। নীলধ্বজই এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা।
পর্ব-১৪: মধুপুর ধাম, বাণেশ্বর মন্দির ও ধলুয়াবাড়ি সিদ্ধ নাথ শিবমন্দির
কোচবিহার শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে কোচবিহার আলিপুরদুয়ার পাকা রাস্তার উপর এবং রেলপথে বাণেশ্বর রেলস্টেশনের পাশেই উত্তরবঙ্গ ও অসমের অগনিত ভক্তের তীর্থক্ষেত্র বাণেশ্বর শিবমন্দির।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-১৩: সাগর দীঘির ধারে হিরণ্যগর্ভ শিবমন্দির ও মধুপুর ধাম
হিরণ্যগর্ভ শিবমন্দিরের কথা বলতে গেলে আমাদের সেই কৈশোর বেলা ঘুরে ঘুরে আসে। বাড়ির মেয়ে বউয়েরা সকলে শিব পজোর নির্জলা উপোস করত। কেউ কেউ আগের দিন থেকে পারণ পর্ব ও চালাত।
কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-১২: স্বপ্নাদেশের দেবী ভবানী
মদনমোহন মন্দির আর দেবী বাড়ির মেলা জুড়ে মানুষের আবেগ একইরকম ভাবে বিস্তৃত এখনও। এই দেবী দুর্গা ভবানীর মূর্তির বিশালতা, মুখ চোখের বৃহত্ত্বের সঙ্গে অন্যান্য দুর্গা মূর্তির মিল নেই।
প্রিয় পোষ্য
কোকিল কাহিনি
পরিযায়ী পাখি হওয়ার জন্য এরা যেমন বিভিন্ন রোগের জীবাণু বহন করে, তেমনি বিভিন্ন রোগে মৃত্যুও ঘটে এদের। শীতের শুরু এবং গ্রীষ্মকালে শুষ্কতার জন্য বহু জঙ্গলের দাবানল ঘটে, এর ফলে অন্যান্য পশু-পাখির মতো কোকিলেরও মৃত্যু ঘটে প্রতিবছর।
পাখি সব করে রব, পর্ব-৬: হাজারে হাজারে গোপালি ছটা মাখা ফ্লেমিংগো পাখিদের অবাধ আড্ডা সেখানে
ফ্লেমিংগো পাখির নাম নিশ্চই আপনারা শুনেছেন। আমি যেহেতু পুণের বাসিন্দা তাই এই অনন্যসুন্দর পাখিটি দেখার সৌভাগ্য হয়েই থাকে।
পাখি সব করে রব, পর্ব-৫: জঙ্গল অভিযানের পরে অবশেষে দেখা মিলল মন ভুলিয়ে দেওয়া সেই রেইন কোয়েলের
আজকের লেখাটি রেইন কোয়েল (Rain Quail) বা ব্ল্যাক ব্রেস্টেড কোয়েল (Black Breasted Quail) নিয়ে। রেইন কোয়েল একটি ১৫ থেকে ১৭ সেনটিমিটারের ছোট পাখি।
পাখি সব করে রব, পর্ব-৪: অরুণাচলের সেলা পাসে বরফ পড়তেই ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে এল গ্র্যান্ডেলা পাখি
ওখানে প্রচণ্ড জোর হাওয়া বইছিল, সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা। আমরা সবাই অনেক শীতের পোশাক পরেও ঠকঠক করে কাঁপছিলাম। এ বার আমাদের ভয় হল যে এত ঠান্ডা আর হাওয়ার মধ্যে আদৌ কোনও পাখির দেখা পাওয়া যাবে কিনা।
পাখি সব করে রব, পর্ব-৩: আচমকা বলরাম চেঁচিয়ে বলল, ‘বাপি, বাপি—ওই যে বাপি’
ভারতে শুধু সুন্দরবনে মাঝে মাঝে দেখা দেয়। বাংলাদেশ, মায়ানমার, তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর থেকে কম্বোডিয়া, লাওস এবং ভিয়েতনাম পাওয়া যায়। এই পেঁচার শরীরের পালক বাফি (হলুদ-বাদামি)।
প্রবাসীর ডায়েরি
কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি
আপনার অনুরোধ করা পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুসন্ধান পরিমার্জিত করার চেষ্টা করুন অথবা ওয়েবসাইট মেনু থেকে পোস্টটি সনাক্ত করুন।
বরণীয় মানুষের স্মরণীয় সঙ্গ
পর্ব-১৪: সত্যজিৎ রায়ের চিকিৎসার দায়-দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ কান্তিভূষণ বক্সী
মাধবী মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণ— ‘মানিকদা একদিন ফোন করে বললেন, কবিগুরুর নষ্টনীড় গল্পটা পাঠাচ্ছি৷ পড়ে দেখো৷ বলেছিলাম, আমার পড়া৷ উনি বললেন, আবার পড়ো৷
পর্ব-১৩: কবিগুরুর ‘নষ্টনীড়’ অবলম্বনে ‘চারুলতা’ ছবির নায়িকা আমি! ভাবতেও পারছিলাম না: মাধবী
মাধবীদির সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল ‘মহানগর’ ছবি নিয়ে। তাঁর কথায়: ‘ঋত্বিক ঘটকের 'সুবর্ণরেখা'র শ্যুটিং আগে শুরু হলেও মানিকদার 'মহানগর'ই প্রথম মুক্তি পেয়েছিল৷ ১৯৬৩ সালের কথা৷ দেখতে দেখতে প্রায় ৬০ বছর হয়ে গেল৷ কারও কারও হয়তো মনে আছে 'মহানগর'-এ আমার চরিত্রের নাম ছিল আরতি মজুমদার৷ আমার স্বামীর ভূমিকায় ছিলেন অনিল চট্টোপাধ্যায়৷ স্বামীর চাকরি চলে যায়৷ সংসার চালানোর জন্য বাধ্য হয়ে আরতিকে সেলসগার্লের চাকরি নিতে হয়৷ একদিন তার সহকর্মী অ্যাংলো ইন্ডিয়ান বন্ধু এডিথেরও চাকরি চলে যায়৷ এডিথের চাকরি যাওয়ায় এই প্রথম ক্ষোভে...
পর্ব-১২: সত্যজিৎ রায়ের শ্যুটিং দেখার সেই স্বপ্নপূরণের ঘটনা আজও ভুলতে পারিনি
মাধবীদি’র ফ্ল্যাটের দেওয়ালে দুটো বড় ফোটো পাশাপাশি—রবীন্দ্রনাথ এবং সত্যজিৎ রায়৷ মাধবীদি বলেছিলেন, ‘কবিগুরু হলেন আমার জীবনদেবতা৷ আর মানিকদা বিরাট মাপের মানুষ৷ আলোর ঠিকানা৷’
পর্ব-১১: পরজন্মে যেন বাঙালি হয়েই জন্মগ্রহণ করি: অশোককুমার
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টিভি সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন অশোককুমার৷ কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন দাদামণি? তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেছিলেন, 'আমরা যাঁরা অভিনয় করি, অন্যদের অভিনয় আমাদের বেশি করে দেখা উচিত৷ আমার মধ্যে যেটার অভাব সেটা ধীরে ধীরে মেরামত করে নিতে পারলেই আর সমস্যা থাকে না৷ আমার অভিনয়ের অনেক দোষত্রুটি ছিল৷ কিছু কিছু কাটাতে পেরেছি৷ তবে আজও মনে হয়, আমি একজন শিক্ষার্থী৷ ক্যামেরার সামনে যখন দাঁড়াই মনে করি, এই প্রথম ক্যামেরা ফেস করছি৷' হলিউডের ছবি দেখার প্রচণ্ড নেশা ছিল অশোককুমারের৷ তাঁর প্রিয় অভিনেতা...
পর্ব-১০: হিন্দি ছবির এক সময়ের যাত্রাধর্মী অভিনয়কে বদলে দিয়েছিলেন অশোককুমার
ছেলে অভিনয়ের জগতে থাকলেও নায়িকাদের সঙ্গে তাঁর মাখামাখি পছন্দ হয়নি কুঞ্জলাল গাঙ্গুলি ও গৌরীদেবীর৷ বেশিদিন এরকম চলতে থাকলে ছেলের মাথা বিগড়ে যেতে পারে এই ভয়ে কুঞ্জলালবাবু স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অশোককুমারকে ডেকে পাঠালেন খান্ডোয়ায়৷ মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া অশোককুমারের পৈতৃক বাড়ি৷ তখন 'বচন' ছবির শ্যুটিং চলছে৷ খান্ডোয়া রেল স্টেশনে নেমে অশোককুমার দেখেন বাবা দাঁড়িয়ে আছেন৷ জানালেন, এখুনিই কলকাতায় যেতে হবে৷ কেন? কুঞ্জলালবাবুর মুখে কোনও উত্তর নেই৷ ঘণ্টাচারেক পর একটা বড় জংশন স্টেশনে ট্রেন থামতেই তিনি ছেলেকে বললেন,...