বেলগাছিয়া ভিলায় ছিল সাহেব-মেমের আনাগোনা। সমবেত অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য আসত শহরের সেরা গাইয়ে ও বাজিয়েরা। নাচ-ঘরের পাশাপাশি গান-ঘরটিও ছিল সুন্দর করে সাজানো। পাথরের ঘড়ি, নানা দেশের ফুলদানি, মার্বেলের আসবাব, আসবাবের সঙ্গে মানানসই ‘কমলালেবু রঙের দুর্মূল্য রেশমের পর্দা’।
সেরা পাঁচ
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৬: পরামর্শ চায় অরুণাভ
বাবা এরকম কিছু একটা আন্দাজ করেছিলেন। বাবা একবার মায়ের দিকে তাকালেন। হয়তো নিঃশব্দে বলতে চাইলেন, প্রণয়ের জন্য আর কত পাপ করতে হবে। মা-ও তাঁর দৃষ্টিতে হয়ত বুঝিয়ে দিলেন, প্রণয় নয় বাবলির জন্য করতে হবে। বাবা চুপ করে চোখ বুজিয়ে ভাবলেন। আসলে এটা যেন সেই বিশেষ মুহূর্ত, যখন সাহিত্যিক অমলকান্তি দত্ত তাঁর নিজস্ব ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেন।
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৭: রাতচরা
আমার শৈশবে সুন্দরবনের গণ্ডগ্রামে সন্ধে হলেই বেশ জোরে জোরে একটা শব্দ পিছনে পুকুরপাড় থেকে শোনা যেত। শব্দটা বাড়ির সামনে খালের দিক থেকেও শুনতে পেতাম। তারস্বরে কেউ বা কারা যেন ডেকে চলেছে—’ওয়াক ওয়াক ওয়াক’। বড়দের মুখে শুনতাম, এই ডাক হল রাতচরার ডাক। রাতচরা হল এক ধরনের বক, যারা সন্ধে হলে খাবারের সন্ধানে বেরোয়।
মুভি রিভিউ: তেলেগু ছবি ‘শাকিনী ডাকিনী’ নো-প্রেম অ্যাকশন-কমেডি
আদ্যন্ত কমেডি ছবি যাতে অ্যাকশন এসেছে কমেডির অঙ্গ হিসেবে। ছবির অনেকটা জুড়ে পুলিশ ট্রেনিংয়ের খুঁটিনাটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মজা বেশ উপভোগ্য। দামিনী ওরফে ডাকিনীর ভূমিকায় রেজিনা ক্যাসান্দ্রা এবং শালিনী ওরফে শাকিনীর ভূমিকায় নিভেথা টমাসকে বেশ ভালো লাগে। অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নিলেও রেজিনা এমএসসি (সাইকোলজি) আর নিভেথা ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার। মূল কোরিয়ান ছবিতে দু’জন নায়ককে নিয়ে এই গল্প ছিল যেটি ছবির পরিচালক সুধীর বর্মা দু’জন নায়িকাতে রূপান্তর করেছেন।
পর্ব-৯২: মিরাকল
শাক্যর মতে, কে খুন করেছে, কীভাবে খুন করেছে এবং কেন খুন করেছের রাস্তায় তো যে-কোন তদন্তকারীকেই যেতে হবে, কিন্তু তার আগে যে ব্যক্তি খুন হয়েছে, তাঁর ‘হয়ার অ্যাবাউটস্’ জানাটা তার নিজের কাছে জরুরি। কারণ, সে মনে করে কোনও একটি অপরাধে পারিপার্শ্বিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং খুনের ক্ষেত্রে ভিকটিমের জীবনবৃত্তান্ত। ত
গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১৪: আমি তাইতে কি ভয় মানি!
কর্মের এই দুরূহ স্বরূপ কীরকম ঠিক? কোনটি কর্ম, কোনটি অকর্ম, কোনটি বিকর্ম তা না জানলে নিষ্কাম কর্মের সাধন যথার্থ হতে পারে না। কর্তব্যের অনুষ্ঠান হল কর্ম, নিষিদ্ধের অর্থাৎ অকর্তব্যের অনুষ্ঠান বিকর্ম। কর্মোত্তীর্ণ সন্ন্যাস হল কর্মের অকরণ বা অকর্ম। বেদবিহিত কর্তব্যের যথার্থ অনুগমন কর্তব্য বলে নন্দিত।
যৌন ক্ষমতা বাড়াতে প্রতি দিন খাদ্যতালিকায় রাখুন এ সব খাবার
এখনকার জীবনযাত্রা আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে প্রভাবিত করছে। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, নিত্যদিনে রুটিন ঠিক না থাকা এখন আমাদের প্রতিদিনের জীবনের একটা অঙ্গ হয়ে উঠেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে। শুধু তাই নয় এর জেরে আমাদের যৌনজীবনও প্রভাবিত হয়।
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১২: ক্যাথরিন ম্যান্সফিল্ড ও মিডলটন মারে, এক ভালোবাসাহীন বিবাহ
সাহিত্যিক হিসেবেও বুদ্ধিতে ক্যাথেরিন তার চেয়ে অনেক উঁচুতে। এটা প্রতি নিয়ত বুঝতেন মারে। তাই পুরোপুরি আত্মমগ্ন থাকতেন নিজের পড়াশুনার জগতে। স্বার্থপরের মতো থাকতেন, যদিও স্বামী-স্ত্রী তারা। সংসারের সমস্ত কাজই ছিল ক্যাথেরিনের। কোথাও বেড়াতে গেলে প্লান করতেন মারে আর সব আয়োজন এবং কাজ ছিল ক্যাথেরিনের।
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-৮: রাজার অ-সুখ
ধর্মশাস্ত্রে অনেক বিধিনিষেধ আর পরামর্শ রাজার জন্য বরাদ্দ হয়েছে বটে, এমনকী রাজা বিপত্গামী হলে তাঁর অমাত্যগণ তাঁকে নানা উপায়ে পথে আনার চেষ্টা করবেন এমন পরামর্শ আছে অর্থশাস্ত্রে। কিন্তু পাত্র-মিত্র-অমাত্যরাও যদি তথৈবচ হয়! তাঁরাও উত্পীড়ক, তাঁরাও প্রবঞ্চক, শঠ, ধূর্ত অমানুষ।
পর্ব-৫৮: বাথটাব/১০
এ সব ভাবতে ভাবতেই ইতিমধ্যে রাত বারোটা বেজে গিয়েছে সেটা বাবুর খেয়াল ছিল না। খেয়াল হলো শ্রেয়া বাসুর ফোন পেয়ে। শ্রেয়া জানাল ইউটিউবানন্দের ভিডিওর কথা! সন্ধেবেলায় প্রথম ভিডিওটাও শ্রেয়া দেখেছে। কথামতো এখন দ্বিতীয় ভিডিওতে ডাক্তারবাবুর পরিচয় দিয়েছে ইউটিউবার! তিনি কি সুরজিত ব্যানার্জি নাকি অন্যকেউ?
পর্ব-৯১: একটি বিবাহের শুভ ও অশুভ প্রতিক্রিয়া
পাণ্ডব ও দ্রৌপদীর বিবাহ, মহাসমারোহে, সম্পন্ন হল। মহর্ষি ব্যাসদেব ছিলেন পাণ্ডবদের বল ও ভরসা। এই কারণে, দেবতাদের থেকেও তাঁদের ভয় ছিল না। প্রাসাদে, দ্রুপদরাজের মহিষীরা পর্যন্ত নিজেদের নামোল্লেখ করে, প্রত্যেকে, পাণ্ডবমাতা কুন্তীর পদবন্দনা করতেন। কৃষ্ণা পাঞ্চালী, ক্ষৌম বসন পরিধান করে, মাঙ্গলিক কাজ সম্পন্ন করলেন।
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, আনন্দী—এক লড়াইয়ের নাম
পর্ব-৭৪: শ্রীমার গৃহী ভক্তদের সন্ন্যাসদীক্ষা
মা সারদার কাছে বহু গৃহী ভক্ত ব্রহ্মচর্য ও সন্ন্যাসদীক্ষা পেয়ে নিজেদের ধন্য মনে করেছেন। এই দীক্ষাদান নিয়ে শ্রীমা কোন বিশেষ অনুষ্ঠান করতেন না। শুধু ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করেই তাঁর ভক্তদের মহান ব্রতে দীক্ষা দিতেন। ব্রহ্মচারি হতেন যারা তাদের সাদা ডোরকৌপীন বহির্বাস দিতেন আর সন্ন্যাসীদের গেরুয়া পোশাক দিতেন।
শব্দ-ব্রহ্ম: ভুল
মেয়ের জন্য হেমন্তবালা কবির পরা জোব্বা নিয়েছিলেন
সংসারজীবন ও ধর্মজীবনের টানাপোড়েনে মনের অস্থিরতা তখন তীব্র, ঠিক তখনই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে হেমন্তবালার যোগাযোগ। দিশাহীন জীবনে দিশা মেলে, ক্রমেই কবির প্রতি তাঁর নির্ভরতা বাড়ে। হেমন্তবালা লিখেছেন, ‘আমার প্রয়োজন ছিল একটা দৃঢ় অবলম্বন লাভ করবার। আমি তখন হাল-পাল-বিহীন নৌকার অবস্থায় আছি।’ রবীন্দ্রনাথ জীবনের শেষ-বেলায় হেমন্তবালাকে লেখা অজস্র চিঠিতে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন। টানা দশ বছর চলছে এই পত্রচর্চা, পত্রের আদানপ্রদান।