বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি : প্রতীকী।

কখনও কখনও এমন হয় যে অফিসে পৌঁছতে না পৌঁছতেই শরীরে ক্লান্তি এসে জড়ো হয়। কিছুতেই কাজে মন বসে না। চোখে ঘুম ঘুম ভাব। বহু মানুষেরই এমনটা হয়ে থাকে। মুশকিল হল এমন কেন হচ্ছে তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। চিকিৎসকদের বক্তব্য, এই ধরনের ক্লান্তির মূলে ‘ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম’ এর হাত রয়েছে। কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই কখনও সখনও এই ‘ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম’-এ ভোগেন। কেন এই সমস্যা হয়?
 

ঘুমের ঘাটতি

একটা সময় ছিল তখন বিনোদন বলতে কেবল টিভি দেখা। আজকাল এর সঙ্গে যোগ হয়েছে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, কম্পিউটার ইত্যাদি। আমাদের অজান্তেই এ সবের নেশায় ডুবে দফারফা হয়ে যাচ্ছে। ফল স্বরূপ পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ফলে শরীর যেহেতু প্রয়োজন মতো বিশ্রাম পাচ্ছে না, তাই সহজে ক্লান্তিও কাটছে না।

আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৬১: মিষ্টি কথার মানুষের কোনও শত্রু হয় না

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’

 

মানসিক স্বাস্থ্য

ক্লান্তি অনেক সময়ই আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও নির্ভর করে। দীর্ঘদিন মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে তার প্রভাব আমাদের পেশিতেও পড়ে। ফলে মাথাব্যথা, পেটের সমস্যাও আজকাল অনেকেই ভুগছেন। ক্লান্তি সেই থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৮৫: সাফল্য কি বংশগত উত্তরাধিকার? না কি ব্যক্তিগত কৃতিত্বের প্রমাণ?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬৮: লক্ষ্মীস্বরূপিনী মা সারদা

 

এক কাজে একঘেয়েমি

এমন হয়, কোনও একটি কাজ দীর্ঘ দিন ধরে করার ফলে সেই কাজে একটা অনীহা চলে আসে। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার এক অফিসে একটানা একই রকম কাজ করলেও কাজে সহজে মন বসে না। ক্লান্তি আসে শরীরে। দীর্ঘদিন এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে নতুন কাজের হদিস করা ভালো।

আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭০: সুন্দরবনের পাখি: লাল কাঁক

 

রক্তে শর্করার মাত্রা

আবার দেহে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটা বাড়ে গেলেও শরীর তা জানান দেয়। অনেকে হয় তো জানেন না, ডায়াবিটিসের একটি গুরুতর উপসর্গ হল ক্লান্তি।

আরও পড়ুন:

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৩৩: বীরচন্দ্রের রাজকার্যে বাংলা

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

 

অনিয়ন্ত্রিত ওজন

আরেকটি জরুরি কথা হল, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। শরীরের ওজন বাড়তে থাকলে অর্থাৎ অনিয়ন্ত্রিত বাড়তি ওজনের কারণে আমাদের যে কোনও কাজেই বেশি খাটতে হয়। ফলে ফলে অনেক বেশি শক্তি খরচ হবে। তাই যাঁদের ওজন স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি তাঁদের সহজে ক্লান্তি কাটতে চায় না।


Skip to content