রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


অলঙ্করণ: সৌমি দাসমণ্ডল।

তখনও ভালো করে আলো ফোটেনি। সবে পূব দিকটা একটু আলো হয়েছে। পাখ-পাখালিরা ঘুম ভেঙে সারাদিনের লড়াইয়ে বেরুনোর আগে প্রার্থনা করতে শুরু করেছে। ফুলেরা সাজুগুজু করে তৈরি হচ্ছে আবারও কোনও দিকভ্রষ্ট ভ্রমরের মনোহরণ করে গর্ভিণী হবে বলে। একেই বলে পবিত্র ভোর। এমন ভোরে কোন হিংসা, হানাহানি, ঈর্ষা, রাগ, বিদ্বেষ জন্মাতেই পারে না।

সুবলদের কোয়াটার্সগুলি রিসর্টের এক প্রান্তে। মাথায় টালির চাল দেওয়া একটানা ঘরে পাশাপাশি পাঁচখানা রুম। কমন টয়লেট পিছনের দিকে পাশাপাশি দুটি। প্রতি ঘরে দু’জন করে থাকার ব্যবস্থা। তবে আপাতত সুবল একাই আছে মাস তিনেক। তার রুমে যে থাকত, সে একমাসের ছুটি নিয়ে বাড়ি গিয়ে আর ফিরে আসেনি। সম্ভবত অন্য কোথাও কিংবা অন্য কোন কাজে যোগ দিয়েছে। মোবাইলের সিমটাও বদলে ফেলেছে মনে হয়। সেই জন্যই পুরানো নম্বরে কিছুতেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। কাপাডিয়া নতুন লোক খুঁজছেন। পেলেই এই রুমে সুবলের প্রায় তিন মাসের একচ্ছত্র অধিকার শেষ হয়ে যাবে। সেটা যত দেরিতে হয় ততই সুবলের মঙ্গল। কারণ, একা একটা রুম ভোগ করার যে গোপন সুখ, তা এই ক’ মাসে সে টের পেয়ে গিয়েছে।

সুবল বিছানায় শুয়ে শুয়ে মোবাইলে একটা পর্ন ওয়েবসাইট খুলে পর্ন দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করছিল। ভোরের বেলা এই জিনিসটা করতে তার ব্যাপক লাগে। অবশ্য অনেক সময় রাতের বেলাতেও ব্যাপারটা না করে সে ঘুমাতে পারে না কিছুতেই। কিন্তু এই ক’ মাসে নিয়মিত এই অভ্যাসটি ভোরের বেলা করে করে প্রায় নেশার মতো হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই পাণ্ডববর্জিত জায়গা। এর আগে সে কিছুদিন হায়দরাবাদে ছিল। সাধারণ বাসনপত্তর ধোয়ার কাজ। গালভরা নাম, কুকিং অ্যাসিস্ট্যান্ট। কিন্তু ওই পর্যন্তই। অন্যের এঁটোকাঁটা ঘেঁটে সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে রাত করাই ছিল তার কাজ। তাও সয়ে যেত, কিন্তু বাড়ি থেকে এতদূর, তার উপর ছুটি দিতে চাইতো না, মাইনেপত্তরও বাড়ছিল না তেমন। ফলে সে কলকাতার দিকে কোনও কাজ খুঁজছিল। কিন্তু মনের মতো কাজ পায় তো মাইনেপত্তর শুনে মন ওঠে না।
শেষ পর্যন্ত তার এক পরিচিত এই পিশাচ পাহাড় রিসর্টে কাজের সন্ধান দেয়। বাসনপত্র ধোয়ার কাজ নয়, রুমে রুমে পার্টির জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া, অর্ডার মাফিক খাবার ইত্যাদি দেওয়া, টুকটাক ফাইফরমাশ খাটা—এইসব কাজ। বাসন ধোয়ার চেয়ে অনেক অনেক ভালো। তার উপর টাকাকড়িও মন্দ নয়। আগের কাজে উপরি পাওয়ার রাস্তা বন্ধ ছিল। এখানে পার্টির দেওয়া টিপস থেকে ভালোই ভাগ পায় সে। নিয়ম অনুযায়ী, সপ্তাহান্তে সবার টিপস এক জায়গায় জমা করে, তা সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়। সিজনের সময় তাতে উপরি আয় মন্দ হয় না, ম্যানেজারকে টেন পার্সেন্ট দিয়ে থুয়েও তাদের এক-একজনের হাতে ভালোই আসে। অনেক সময় এর মধ্যেও গুপ্পি কেস থাকে। হয়তো পার্টি টিপস্‌ দিল দুশো টাকা। তার থেকে পঞ্চাশ টাকা সরিয়ে একশো পঞ্চাশ হয়তো জমা হল কমন ফান্ডে। এই রকম সবাই করে, সুবলও করে। আগে যখন জানতো না, তখন বোকার মতো সব জমা করত, কিন্তু এখন সে সেয়ানা হয়ে উঠেছে। আর তাকে বোকা বানানো সহজ নয়।

এই রিসর্টে এসে সুবলের আর একটা মনোমত ব্যাপার হয়েছে। রুম বয়ের খাতিরে অনেকের অনেক গোপন কাজকর্ম কিংবা অসতর্ক মুহূর্তের সাক্ষী সে। বিশেষ করে, কোন অল্পবয়সী কাপল কিংবা হানিমুন করতে ছুটে আসা দম্পতি হলে তো কথাই নেই। হয়তো তারা উদ্দাম প্রণয় লীলায় মত্ত, রুম সার্ভিস অর্ডার করেছে, কিন্তু দরজা যে আনলক, সেদিকে খেয়াল নেই। তারপর সে ঢুকে পড়েছে সামান্য নক করেই। তাদের অবশ্য তখন ‘কাম ইন’ বলার মতো খেয়াল ছিল না, অন্য কামে তারা মত্ত ছিল। এখন সে ঢুকে পড়ে ওই ব্যাপারটি দেখে ফেলায় সব সময় নিজে লজ্জার ভান করে, জিভ কাটে বটে, কিন্তু মনে মনে জানে, এ সব ক্ষেত্রে পার্টিই বেশি লজ্জা পেয়ে যায়। টিপস-এর পরিমাণ বেড়ে যায়। নীরব কিন্তু আকুতি ভরা আবেদেন থাকে পার্টির চোখের মধ্যে, “দেখো ভাই, কেউ যেন এ সব জানতে না পারে!”

তবে সবচেয়ে বেশি মাল খিঁচে নিতে পারে সে, কোনও গুপি কেসে। অনেকেই এই রিসর্টে আসে, এর-ওর বৌ কিংবা অফিসের সহকর্মী কিংবা আর কাউকে নিয়ে। অনেক মালদার বয়স্ক পার্টি যখন কচি মেয়ে নিয়ে আসে রিসর্টে সময় কাটাতে, সুবল মনে মনে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে, যেন তাকেই ওই রুমে সার্ভিসের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অনেক সময় আগ বাড়িয়ে সে মালপত্র হাতে তুলে নেয় পৌঁছে দেবে বলে। এই সব ক্ষেত্রে তারাই তখন ম্যানেজারকে অনুরোধ করে, “এই ছেলেটিকেই আমাদের ঘরে সার্ভিসের দায়িত্ব দিন না” বলে। কাপাডিয়া আর ফেলতে পারেন না কথা। সুবল মনে মনে হাসে। তার কৌশল ফলে গিয়েছে। এইসব পার্টির নানা আবদার থাকে, দামি ড্রিংক থেকে কনডোম কিংবা পিল পর্যন্তও এনে দিতে হয়েছে তাকে।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-২৭: কালাদেওর ইতিহাস-পুনর্বার

অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৩: অভিনয় নয়, কিশোর মনে-প্রাণে একজন গায়ক হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলেন

এখান থেকে শহর বেশ খানিকটা দূরে। সুবলের বাইক নেই, সাইকেল আছে। তাতে করে প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশ মিনিট গেলে কাছের শহর। শহর নামেই, আধা-মফস্বল। তবে হাতে গোনা কয়েকটি দোকানে সব মেলে। আলপিন থেকে কনট্রাসেপটিভ, কনডেনস মিল্ক থেকে মুঙ্গের মেড পিস্তল পর্যন্ত। যে জানে সেই জানে, যার দরকার তাকে জেনে নিতে হয়। পুলিশও সব জানে, কিন্তু তাদের কাছে মাসিক সেলামি পৌঁছে যায় বলে তারা দেখেও দেখে না। তবে এরা আছে বলে সুবলদের মতো মানুষদের সুবিধে। এ-যেন হাতের কাছে স্বর্গ। পিশাচ পাহাড়ে থেকে কলকাতার সুবিধে পাওয়া! সীমান্ত-শহরগুলির এগুলি হল সাধারণ চিত্র। অস্বাভাবিক কিছু না। তবে এনে দিলে পার্টি ভাবে, সুবল অসাধ্যসাধন করেছে। খুশি হয় তারা। টিপস-ও এদের কাছ থেকে ভালোই আদায় হয়। পকেটে রেঁস্তর জোর না থাকলে বৃদ্ধস্য তরুণী কমপ্যানিয়ন জোটে না।

তবে ইদানীং সুবল একটা কাজ করছে, সেটা এই রিসর্টের কেউ জানে না। কাজটা সে করছে শহরের ‘রকমারি স্টোর্স’-এর মালিক ঘনশ্যাম জয়সোয়ালের আনুকূল্যে। আজকাল আর সাজানো পর্ন-এর বাজার নেই। লোকে চায় লাইভ, লোকে চায় রিয়্যাল। এই কারণে নানা হোটেল, রিসর্টের রুমে, ওয়াশ রুমে কায়দা করে লুকিয়ে রাখা হিডন ক্যামেরায় উঠে যায় আমাদের একান্ত মুহূর্তের ছবি, ঘনিষ্ঠ অবস্থার ভিডিও। চিনা প্রযুক্তিতে তৈরি সুপার বাগ হিডন ক্যামেরা এতই ছোট যে কোথাও রেখে দিলে সহজে কারও চোখে পড়বে না। অথচ যে রাখবে, তার কাজ হাসিল হয়ে যাবে। সুবলকে ঘনশ্যাম ওই রকমই একটা ক্যামেরা দিয়েছে। সুযোগ সুবিধা মতো সুবল সেটা লুকিয়ে রেখে আসে রুমে কিংবা ওয়াশ রুমে। আর তারপর যথাসময়ে সংগ্রহ করে সে ঘনশ্যামের কাছে পৌঁছে দেয়। নতুন প্রযুক্তিতে তৈরি এই সব ক্যামেরা ব্যাটারি চালিত, চব্বিশ ঘণ্টা কার্যকর থাকে, এবং এক মেইল দূর থেকেও ওয়্যারলেশ প্রযুক্তিতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ভিডিও কিংবা ছবি, যে মোডেই রাখা হোক না কেন, ক্যামেরা কাজ করে যায় নিখুঁত ভাবে। তারপর সেই ভিডিও ঘনশ্যামের হাতে পৌঁছে দিলেই সে আগে দেখে নেয়। তারপর সুবলের অ্যাকাউন্টে দুই কিংবা চার হাজারের নোট ঢুকে যায় খুব তাড়াতাড়ি।
আরও পড়ুন:

পাখি সব করে রব, পর্ব-২: দুর্লভ পরিযায়ী পাখি ল্যাপউইং

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৭: গৃহিণী সারদার প্রথম দক্ষিণেশ্বর আগমন

এই কালকেই তো অঞ্জন নামের লোকটির রুমে সে ক্যামেরা লুকিয়ে রেখে এসেছে। ওই কাপলদের দেখলেই বোঝা যায়, গুপি কেস। আর লোকটার চোখ-মুখ কেমন কামুক টাইপের। এই জাতীয় লোকেরা সব সময়েই খাই-খাই করে এবং এই রিসর্টে তার আসা যে, সেই উদ্দেশ্যেই তা বুঝতে তার দেরি হয় না। এবারে সে অঞ্জন আর তৃধাদের বেডরুমে ক্যামেরা রেখে এসেছে। তবে সবটাই কপাল। ঘর একেবারে অন্ধকার থাকলে ক্যামেরা যতই ভালো হোক না কেন, পিকচার ক্লিয়ার উঠবে না। সেক্ষেত্রে ঘনশ্যাম মালকড়ি দেবেও না। যদিও এই সব অবৈধ কেসে পার্টি অন্ধকারের চেয়ে আলোতেই ঘনিষ্ঠ হতে চায় বেশি। দেখে নিতে চায় পার্টনারের শরীরের সবটুকু। তবুও ব্যতিক্রম তো থাকেই। অতএব একটা চাপা টেনশন কাজ করে তার মধ্যে। আজও সেই টেনশন থেকেই সে দ্রুত হস্ত চালনা করছিল। হাতে ধরা মোবাইল থেকে এই রকম কোন বিদেশি ভিডিওর শীৎকারের আওয়াজ তাকে আরও উত্তেজিত করে তুলছিল। তার শরীরে এখন সুতোটিও নেই। জানালা বন্ধ। মাঝরাত থেকে ঠান্ডা পড়তে শুরু করে, ভোরের দিকে তা বেড়ে যায় অনেকখানি।
সে দ্রুত হাত চালাচ্ছিল। মহাপতনের মুহূর্ত আর বেশি দেরি নেই, এমন সময় একটা চাপা গলার আওয়াজ তার কানে এল। কেউ যেন তার নাম ধরে ডাকল, “সুবল!”

সুবল অবাক হল, বিরক্তও। কে তাকে ডাকে এমন অসময়ে? কর্মচারীদের এখানে সাড়ে ছটার মধ্যে উঠে রেডি হয়ে যেতে হয়। আর এখন তো পাঁচটা বাজে মাত্র। বাইরে ভালো করে আলোও ফোটেনি। তাহলে? সে উঠল না। এই মুহূর্তে ওঠা মানে সাত-সকালেই মুড অফ হয়ে যাওয়া। সারাদিন তার জের চলবে। তার হাতের কাজ না সেরে সে উঠবেই না।
আবারো কেউ চাপা গলায় ডাক দিল, “সুবল!”
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৩: কানে ব্যথা? তেল দেবেন কি?

কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৬: ঐতিহাসিক বিরল বিবাহ ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়া

জানালা খোলা। যে ডাক দিচ্ছে, সে যদি জানালার সামনে চলে আসে, তাহলে সুবলকে এই অবস্থায় দেখে ফেললে লজ্জার একশেষ। কিন্তু এই মুহূর্তে কোনও চাদর টানার ইচ্ছেও করছে না তার। যে ডাকছে ডাকুক বলে সে নিজের কাজে মন দিল। আরও কয়েকবার তার নাম ধরে ডাকল কেউ। কিন্তু সুবল নির্বিকার। শরীরের সমস্ত আনন্দ যতক্ষণ না বেরিয়ে এল, সে আর কোনও দিকে মনোযোগ দিল না। সব মিটে যাওয়ার পর একটা রুমালে নিজেকে পরিষ্কার করে তারপর উঠে বসল সে, লুঙ্গিটা টেনে নিল কোনওরকমে। বিছানার ধারে সেটা পড়ে ছিল রোজ যেমন থাকে। গায়ে জামা দিল একটা। তার পরে চাদরটা ভালো করে জড়িয়ে নিল। বাইরে খুব ঠান্ডা এখন। তবে আর কোন ডাক শোনা যাচ্ছে না। তাহলে যে তাকে ডাকছিল সে কি চলে গিয়েছে? কিন্তু সে যে কে, সেটাই সে বুঝতে পারছে না। কে এত ভোরে তাকে ডাকবে? সে যে এই সময়েই উঠে পড়বে, সে কথাই বা জানল কী করে লোকটি? না কি, ঘুমন্ত না জাগ্রত রয়েছে সে, তা জানবার জন্যই এই ডাক? এতক্ষণে তার মনে হল, গলার আওয়াজটা যেন কোথায় শুনেছে? এই বিশেষ ভাবে ডাকার ভঙ্গি যেন তার খুব পরিচিত! কে সে?

দরজা খুলে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এল। এখনও অন্ধকার রয়েছে। তার উপর কুয়াশা। সে আশেপাশে তাকাল, কিন্তু কিছুই দেখতে পেল না। পাশের রুমগুলো বন্ধ। সকলেই এই সময়ের ঠান্ডা উপভোগ করছে। ঘুমাচ্ছে কিংবা তার মতোই…! সে নেমে এল উঠান থেকে। একটু এগিয়ে গেল। তার জানালার পাশেই খানিকটা খোলা জায়গা। তার পরেই একটা লেবু গাছ, পাশে কামরাঙা গাছ, তার পাশে একটা হরিতকী গাছ। তার পরে বাউন্ডারি ওয়াল, সেদিকে কি কেউ ছিল খানিকক্ষণ আগে? সে এগিয়ে গেল দেখবার জন্য। পর মুহূর্তেই ভারি কিছুর আঘাত তার মাথার উপর নেমে এল অব্যর্থ লক্ষ্যে। নিমেষে চুরমার হয়ে গেল খুলি। রক্ত-মজ্জা সব ছিটকে গেল চারদিকে। আর্তনাদেরও সময় পেল না সুবল। শরীরটা কেবল থির থির করে শেষবারের মতো প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। ঠিক তখনই একটা নিপুণ হাত তার ধড় থেকে গলাটা এমন ভাবে কেটে নিল যেন আঙুরগুচ্ছ থেকে আঙুর ছিঁড়ে নিল কেউ। তারপর পা দিয়ে একটা লাথি মারল সে সুবলের শরীরে, শরীরটা গড়িয়ে গেল কিছুটা। তারপর আততায়ী চলে গেল নিঃশব্দে।

একটা পবিত্র ভোরকে কেউ যেন ছিঁড়ে রেখে গেল। কুয়াশা কতক্ষণ আর সেই সত্যকে আড়াল করে রাখবে?—চলবে।
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel) – পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।

আপনার রায়

ইসরোর চন্দ্রযান-৩ কি তৃতীয় বারের এই অভিযানে সাফল্যের স্বাদ পাবে?

Skip to content