অযোধ্যা ত্যাগ করে আসার সময় রাম ছিলেন পঁচিশ বছরের পূর্ণ যুবা, আর সীতা নিজে ছিলেন অষ্টাদশী। জনকনন্দিনী বৈদেহী যুক্তিক্রম হারিয়ে ভুলে যান, অপরিচিতা নারীর দেহসৌন্দর্যের সকাম স্তুতি পরিব্রাজকের স্বভাব নয়।
অবসর
শাশ্বতী রামায়ণী
পর্ব-৫১: মারীচমায়ায় কি দিগভ্রান্ত সীতা?
সোনার হরিণের মোহময় রূপ ভুলিয়েছিল সীতার মন। তার ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে রাম একাই চললেন গভীর বনে। সঙ্গী তাঁর স্বর্ণভূষিত বিপুলকায় শরাসন, ধনু, তীক্ষ্ণ বাণ।
পর্ব-৫০: আমার সোনার হরিণ চাই—সীতার চাওয়া কি সত্যি হবে?
হিতাকাঙ্ক্ষী মারীচের এত কথা কিন্তু রাবণের কর্ণগোচর হল না। তার বহু চেষ্টা বিফলে গেল। সীতাহরণের বিষয়ে রাবণ নিজের সংকল্পে অবিচল থাকলেন। মারীচ নিজের আসন্ন মৃত্যুর চিন্তায় ডুব দিল এবারে।
পর্ব-৪৯: রাবণ-মারীচ সংবাদ এগোল কোন পথে?
রাতের অন্ধকারে যজ্ঞবেদীর চারপাশে মারীচ আর অন্যান্য রাক্ষসেরা যখন নিক্ষেপ করছে মাংসের টুকরো, রক্তে ভরে যাচ্ছে যজ্ঞবেদী, রামের হাতে জ্বলে উঠেছে তখন মানবাস্ত্র।
পর্ব-৪৮: অভীষ্ট লাভ নাকি আত্মবিনাশ — লঙ্কাধিপতি কোনটি বেছে নিলেন?
রামের সঙ্গে যুদ্ধে পরাস্ত, নিহত হল খর, দূষণ, ত্রিশিরা সহ জনস্থানবাসী চোদ্দ হাজার রাক্ষস। শূর্পণখা আশায় বুক বেঁধেছিল যে, খর-দূষণের পরাক্রমের কাছে পরাভূত হবে রাম। রামের উষ্ণ রক্ত সে পান করবে।
মহাকাব্যের কথকতা
পর্ব-৯৮: রামানুজ ভরত ও লক্ষ্মণ, আনুগত্যের প্রকাশে দু’জনেই অনন্য
বনবাসী জ্যেষ্ঠ রামকে ফিরিয়ে আনতে চলেছেন কুমার ভরত। পথে রামের সখা নিষাদরাজ গুহর সঙ্গে সাক্ষাৎ। নিষাদপতির মনে সন্দেহের জটিলতা। এই সশস্ত্র ভরত, হয়তো রামের কারণে, নিষাদরাজের অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলবেন। নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করে, তিনি ভরতের সাক্ষাতে নিজের আশঙ্কা প্রকাশ করলেন। গুহর সমস্ত আশঙ্কা দূর করলেন ভরত।
পর্ব-৯৭: পাণ্ডবদের নিজরাজ্যে প্রত্যাবর্তন ও রাজ্যার্দ্ধপ্রাপ্তিতে, সদর্থক চিন্তার অবদান
আলিঙ্গনাবদ্ধা, কমলনয়না দ্রৌপদীর স্পর্শে যেন এক অশুভ ইঙ্গিত। গান্ধারীর মনে হল, এই পাঞ্চালীই হবেন আমার পুত্রদের মৃত্যুর কারণ। পরিষ্বজ্যৈব গান্ধারী কৃষ্ণাং কমললোচনাম্। পুত্রাণাং মম পাঞ্চালী মৃত্যুরেবেত্যমন্যত।। সুবলকন্যা গান্ধারী, সুচিন্তিত, যুক্তিসঙ্গত, সিদ্ধান্ত জানালেন বিদুরকে। আপনার যদি রুচিকর মনে হয় তবে, অন্যতম, লগ্ন, নক্ষত্র এগুলির যোগে শুভ তিথিতে সমস্ত উপকরণ সহযোগে, দেবী কুন্তীকে, বধূমাতা রাজপুত্রীসহ, পাণ্ডুর আলয়ে সত্বর নিয়ে যান।
পর্ব-৯৬: রাজনৈতিক পরিসরে অখ্যাতি ও সন্দেহর আবিলতা থেকে কি মুক্তি সম্ভব?
বনবাসী রামের সন্ধানে ভরতের যাত্রাপ্রস্তুতি সম্পূর্ণ হল। ভোরবেলায় শয্যা ত্যাগ করেই ভরত, উত্তম রথে আরোহণ করে, রামের দর্শনলাভের ইচ্ছায় যাত্রা শুরু করলেন। তাঁর সম্মুখবর্তী অশ্বযুক্ত সূর্যতুল্য রথে, চললেন মন্ত্রী ও পুরোহিতগণ। নয় সহস্র সুসজ্জিত হাতি ইক্ষ্বাকুকুলনন্দন ভরতের অনুগমন করল। ষাট সহস্র রথে,ধনুক ও নানা অস্ত্রধারী যোদ্ধারা যশস্বী সত্যসন্ধ ভরতের সহযাত্রী হলেন। শত সহস্র অশ্বারোহী সেনা, সত্যপ্রতিজ্ঞ জিতেন্দ্রিয় ভরতকে অনুসরণ করলেন।
পর্ব-৯৫: বিরোধিতায় নয়, মৈত্রীবন্ধনেই রয়েছে পারিবারিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানসূত্র
দুর্যোধনের পরিকল্পিত চক্রান্ত ও বিভেদ সৃষ্টির মাধ্যমে পাণ্ডবদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করে তাঁদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার পন্থায় কর্ণের মোটেই আস্থা নেই। কর্ণের প্রস্তাব ছিল—চতুরঙ্গ সেনা নিয়ে সোজাসুজি দ্রুপদরাজ্য আক্রমণ এবং পাণ্ডবদের দ্রুত নিজেদের রাজ্যে এনে তাঁদের বশে আনা। সন্তুষ্ট প্রৌঢ় রাজা ধৃতরাষ্ট্র প্রাজ্ঞ,বিজ্ঞ স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের পরামর্শগ্রহণে আগ্রহী।
পর্ব-৯৪: দশরথপুত্র ভরত, এক ব্যতিক্রমী চরিত্র, বর্তমানের নিরিখে এক বিরলতম প্রজাতি
রাজা দশরথের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। চতুর্দশ দিবসে রাজার কর্মসহায়ক মন্ত্রীরা সকলে মিলিত হয়ে ভরতকে বললেন, মন্ত্রীদের মাননীয় রাজা দশরথ। তাঁর গুরুত্ব গুরুর থেকেও বেশি। জ্যেষ্ঠ রাম ও মহাবীর লক্ষ্মণকে নির্বাসিত করে, রাজা আজ প্রয়াত হয়েছেন। নেতৃত্বহীন রাজ্যে কোন অপরাধমূলক কাজ এ পর্যন্ত ঘটেনি। হে মহাযশস্বি রাজনন্দন, আপনি আমাদের রাজা হন।
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি
পর্ব-৭০: অনিশ্চিত ফলের পিছনে না ছুটে নিশ্চিত ফল-প্রদায়ক কাজের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত
উন্নতিকামী যে কোনও পুরুষের মধ্যে উত্সাহ গুণ থাকাটা সর্বদা আবশ্যক। যেক্ষেত্রে আলস্য ত্যাগ করে উত্সাহের সঙ্গে কোনও কার্য করা হয় এবং ন্যায়নীতির সঙ্গে মানুষের পৌরুষও যেখানে মিলে থাকে, লক্ষ্মীশ্রী সেখানেই অচঞ্চল হয়ে অবস্থান করে। ব্যবসায় উন্নতি করতে গেলে যেকোনও ব্যবসায়ীর মানসিকতাটা ঠিক এইরকমই হওয়াটা বাঞ্ছনীয়। সব কিছুই হল ভাগ্যের খেলা।
পর্ব-৬৯: টাকা-পয়সা থাকলে চোর-ডাকাতকেও লোকে সম্মান দেখায়
সোমিলক নিজের স্ত্রীকে বুঝিয়ে বললে, নিজের সামর্থ্য অনুসারে কঠোর পরিশ্রম করেও দুর্ভাগ্যবশত যদি কোনও মানুষের কার্যসিদ্ধি না হয়, তাহলেও সেই মানুষকে কিন্তু কখনই হতোদ্যম করা উচিত নয়। কারণ সে অন্তত প্রচেষ্টা করেছে। তাই অবশ্যই এখন অন্য দেশে যাওয়াটাই আমার প্রয়োজন।
পর্ব-৬৮: কাপুরুষরাই শুধু দৈবের দোহাই দিয়ে নিজেকে ভাগ্যের হাতে সঁপে দেয়
বায়স লঘুপতনকের আচরণে খুবই প্রসন্ন হয়েছিলেন মন্থরক। সে যেমন করে মূষিক হিরণ্যককে আশ্বস্ত করে আরও বললে, এছাড়া পরদেশে বাস করতে হচ্ছে বলে দুঃখ করবারও কোনও কারণ নেই। ধৈর্যবান মননশীল মানুষজনের কাছে বিদেশই বা কি আর স্বদেশই বা কি? তিনি তো যে দেশেই থাকেন সে দেশকেই আপন বাহুবলে নিজের অধীন করে নেন।যেমন সিংহ যে বনেই যায় সেখানেই নিজ দাঁত, নখ আর লেজকে অস্ত্র করে হাতিকে পর্যন্ত হত্যা করে তার রক্তলেখায় নিজের পিপাসা নিবারণ করে।
পর্ব-৬৭: সুখে-দুঃখে যাঁরা মিত্রতা বজায় রাখেন, তেমন সজ্জন পুরুষদের সঙ্গেই মিত্রতা করা উচিত
মিত্রসম্প্ৰাপ্তি বিবাহের শুভ মুহূর্ত যখন প্রায় উপস্থিত, তার কিছু সময় পূর্বে থেকেই সে দেশের শ্রেষ্ঠীর ঘরের দরজার সামনে সজ্জিত মণ্ডপে তাঁর পুত্রী বিবাহ বেদীতে মঙ্গলসূত্র বেঁধে বিবাহের উপযুক্ত মঙ্গল বেশভূষা ধারণ করে প্রতিক্ষা করছিল বরকীর্তির জন্য। ঠিক সে সময়েই কোথা থেকে এক মদমত্ত হাতি তার পিঠে বসা মাহুতকে মেরে পালাতে পালাতে বরযাত্রীদের কোলাহলের মধ্যে ঢুকে পড়লো। তাকে দেখে সকল বরযাত্রীরা বরকে শুদ্ধ নিয়ে প্রাণ বাঁচাতে এদিক ওদিক পালিয়ে গেল। ঠিক সেই সময়েই ‘প্রাপ্তব্যমর্থ’ ভয়ে চঞ্চল নেত্রে স্থিত কন্যাকে দেখে বললো ‘মা...
পর্ব-৬৬: দরিদ্রেরা কিছু দান করবার ইচ্ছা নিয়ে এলেও লোকে ভাবে কিছু চাইতে এসেছে
দুর্ভাগ্য এমনই যে কোনও নির্ধন ব্যক্তি যদি কোনও ধনি ব্যক্তির ঘরে কিছু দান করবার ইচ্ছাতেও আসেন তাহলেও লোকে ভাবে সে হয়তো কিছু চাইতেই এসেছে। দরিদ্রের কপাল থেকে যাচক-নামের কলঙ্ক ঘোছে না। জীবনে দারিদ্র এক বিরাট অভিশাপ।
মহাভারতের আখ্যানমালা
পর্ব-৬০: দুই ভাইয়ের সাক্ষাৎ হল, হনুমানের রূপে মুগ্ধ হলেন ভীমসেন
হনুমানকে দেখে ভীমসেন অত্যন্ত তৃপ্ত হন। আরও খুশি হন একথা শুনে যে, রামপত্নী সীতার কাছে এমনি বর পেয়েছিলেন হনুমান যে, যতদিন রামকথা পৃথিবীতে প্রচলিত থাকবে লোকমুখে ততদিনই হনুমানও রয়ে যাবেন এই পৃথিবীতে।
পর্ব-৫৯: দ্রৌপদীর জন্য স্বর্গীয় ফুলের খোঁজে ভীমসেন কোনও পথে পাড়ি দিলেন!
পাণ্ডবভাইয়েরা একের পর এক তীর্থ দর্শন করতে করতে এগিয়ে চলেছেন। সকলেই অধীর হয়ে উঠেছেন, অর্জুনের সঙ্গে দেখা করবার জন্য। কিন্তু অর্জুন যে দেবস্থানে গিয়েছেন। সে স্থান সাধারণের গম্য নয়। অতি কঠোর সে যাত্রাপথ।
পর্ব-৫৮: দেবতাদের আশীর্বাদে আর অর্ব্বাবসুর প্রার্থনায় যবক্রীত বেদজ্ঞান লাভ করলেন
ভরদ্বাজ পুত্রের এমন করুণ মৃত্যুসংবাদ শুনে অত্যন্ত শোকগ্রস্ত হলেন। নানাভাবে বিলাপ করতে করতে তিনি বলে উঠলেন, ‘হে পুত্র! না পড়েও ব্রাহ্মণদের হৃদয়ে বেদের ঠাঁই হোক, এমনটাই প্রয়াস ছিল তোমার।’
পর্ব-৫৭: তপোলব্ধ বেদজ্ঞান দর্পী যবক্রীতের বিনাশ ডেকে আনল
প্রাচীনকালে বালধি নামধারী এক মুনি ছিলেন। তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন। তাঁর কোনও পুত্র ছিল না। তাই তিনি একসময় অত্যন্ত অস্থিরচিত্ত হয়ে পড়েন। একটি অমর পুত্রের কামনায় তিনি তীব্র তপস্যা আরম্ভ করেন।
পর্ব-৫৬: বেদজ্ঞান লাভের জন্য কঠোর তপস্যায় ব্রতী হলেন যবক্রীত
মুনি বলে চলেন, ‘হে পাণ্ডুপুত্র! স্থূলশিরা মুনির আশ্রমের পশেই এই রৈভ্যমুনির আশ্রম। এখানে ভরদ্বাজমুনির পুত্র যবক্রীত বিনষ্ট হয়েছিলেন। আজ তোমাদের আমি কবি যবক্রীতের কাহিনি শোনাবো।’
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি
পর্ব-১০৭: ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগে মহর্ষি পেলেন চরম দুঃসংবাদ
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ছিলেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। সব সময় যে দূরে কোথাও চলে যেতেন, তা নয়, কাছেপিঠেও যেতেন। হিমালয়ের নির্জনবাসের প্রশান্তি হয়তো পেতেন চুঁচুড়োতেও। নদীর প্রতি ছিল অমোঘ আকর্ষণ। যেতেন প্রায়শই জলপথে। জীবনের বেলা শেষে, মহর্ষি তখন রুগ্ন শরীরে সবে ফিরেছেন চৌরঙ্গীর বাড়িতে। অসুস্থতা তখনও রয়ে গিয়েছিল।
পর্ব-১০৬: ‘একবার মাখিলেই চুল ওঠে’ — জোড়াসাঁকোয় তৈরি ভেষজ তেলের সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ
ক্ষিতীশবাবুর মাথায় রকমারি ভাবনা খেলা করত। ভেষজ নিয়ে তাঁর ভীষণ আগ্রহ ছিল। করতেন রকমারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা। নিজের ঘরে বসে এক ধরনের মাথায় মাখার সুগন্ধি তেল তৈরি করেছিলেন। সে তেলের একটা সুন্দর নামও দিয়েছিলেন। ‘অলকানন্দা হেয়ার অয়েল’। তেল তৈরির পর মাথায় এক ব্যবসায়িক বুদ্ধি আসে। অনেকানেক তেল তৈরি করবেন, বিক্রি করবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। বোতলে ভরে বিক্রির ব্যবস্থা হয়।
পর্ব-১০৫: রবীন্দ্রনাথ ভয় পেতেন মহর্ষিদেবকে
যশোরের সারদাসুন্দরী যখন ঠাকুরবাড়িতে বধূ হয়ে এলেন, দেবেন্দ্রনাথের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন, তখন তাঁর বয়স ছয়। কেউ বলে আট। ছয়-আট যাই হোক না কেন, তখন তিনি যে নিতান্তই বালিকা, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ক্রমে তাঁদের পনেরোটি পুত্র-কন্যার জন্ম হয়। একটি পুত্র ও একটি কন্যা অকালে মারা যায়। অল্পায়ু কন্যাটি সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। নামকরণ হওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
পর্ব-১০৪: আশ্রমের আনন্দময় পিকনিক
আশ্রমে আনন্দ-আহরণের অফুরান আয়োজন ছিল। নৃত্যগীতি পরিবেশন থেকে নাট্যাভিনয়, এমনকি ফুটবলও। ছাত্র ও শিক্ষকের সম্মিলিত উপস্থাপন, ফলে আনন্দও হত দেদার। আনন্দ হত পিকনিকেও। আনন্দের জন্যেই তো সেই আয়োজন। শীতকালেই পিকনিক হত বেশি।
পর্ব-১০৩: দেবেন্দ্রনাথ হয়েছিলেন ‘কল্পতরু’
ভোগবিলাসের আবর্তে দেবেন্দ্রনাথ ঘুরলেও কখনও রুচি বিসর্জন দেননি। যতই অর্থবান হোক না কেন, রুচিহীন মানুষজনকে কৌশলে তিনি ধিক্কারও জানিয়েছেন। তিনি বাবুয়ানায় মজে ছিলেন সত্য, আবার সেই জায়গা থেকে সহসা সরেও দাঁড়িয়েছিলেন।
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা
পর্ব-৮০: আধ্যাত্মিক জীবন গঠনের মূল কথা— সত্যের ধারণা ও পালন
আধ্যাত্মিক জীবন গঠনের মূল বিষয় বা নিয়মগুলির যে কয়েকটি আমাদের সাধারণ জীবনযাপনকে নিয়ন্ত্রিত করে তার মধ্যে একটি হল—সত্যের ধারণা ও পালন। যা কিছুকেই মানুষ সত্য বলে গ্রহণ করে। তাই তার সমগ্র সত্তা, চিন্তারাশি, অনুভূতি এবং তার আকাঙ্ক্ষাকে আকর্ষণ করে।
পর্ব-৭৯: নারদীয় ভক্তির স্বরূপ কামনাহীন প্রেম, শুধু নিজেকে উৎসর্গ করা
নারদীয় ভক্তির প্রকাশ হল ভক্তি প্রার্থনার মধ্যেই নিজেকে কৃত-কৃতার্থ অনুভব করা। ঈশ্বরীয় সুখে লীন হয়ে যাওয়া। এগোপিনীদের দুঃখ প্রকাশ না চির সুখের অনুভব!
পর্ব-৭৮: ব্রহ্ম ও মায়া মূলত এক ও অভেদ
বেদের মায়া ও তন্ত্রের মহামায়া সমার্থক না হলেও ব্রহ্ম ও মহামায়া মূলত এক। ঈশ্বর ও প্রকৃতি শক্তি যেমন অভেদ। সৃষ্টির আদিতে ব্রহ্মই একমাত্র ছিল। শক্তিকে আশ্রয় করে সৃষ্টি শুরু হলে এই জীবজগৎ প্রকাশ করে তার মধ্যে চৈতন্য রূপে প্রকাশিত হতে থাকল। বেদ ও তন্ত্রের পার্থক্য এই যে, বেদ সিদ্ধান্ত শাস্ত্র আর তন্ত্র সাধন শাস্ত্র। বেদ প্রাচীন অপৌরুষেয় হলেও শক্তিপুজোর উল্লেখ রয়েছে।
পর্ব-৭৭: নির্জনতা মনকে শান্ত করে
আধ্যাত্মিক জীবনে নির্জনতার প্রয়োজনীয়তা আছে। অনেকে নির্জন স্থানে গিয়ে হাঁপিয়ে যান একাকিত্বের জন্য। আবার কারও জন্য একাকিত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। জীবনে কখনও কখনও একাকিত্ব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষকের কাজ করে।
পর্ব-৭৬: ঈশ্বর যেমন জীব ছাড়া থাকেন না, তেমনই ভক্তও প্রভুকে ছাড়া থাকতে পারেন না
জীবনের সুখ-দুঃখ উভয়কে শান্তভাবে নিজের ভালো-মন্দ কাজের ফল বলে মনে করে। ও নিজে যতটা সম্ভব ভালোভাবে জীবনযাপন করার চেষ্টা করে। অপর কেউ কেউ, সব ঈশ্বরের দান মনে করে যথাসম্ভব অনাসক্ত এবং সন্তুষ্ট থাকতে চেষ্টা করে। অন্য কেউ কেউ সুখ-দুঃখকে সংসারের অবিচ্ছেদ কর্মফল অনুযায়ী পুরস্কার হিসেবে গ্রহণ করে।
যত মত, তত পথ
পর্ব-৯: আনন্দ-পসারি শ্রীরামকৃষ্ণ
শ্রীরামকৃষ্ণ জানতেন, এখন তাঁকে কেউ বুঝবে না। তাই বলেছেন “কালে বুঝবে। বাউলের দল এলো গেল, কত নাচলে গাইলে, কেউ চিনল না।”
পর্ব-৮: আনন্দের ফেরিওয়ালা
রামকৃষ্ণ নামে এক ফেরিওয়ালা রাস্তায় ফেরি করতে বেরিয়েছে। অদ্ভুত লোক বটে! ঝুড়িতে তাঁর খাঁটি সোনার সব গহনা—জ্ঞান, ভক্তি, বিবেক, বৈরাগ্য, আনন্দ, সমাধি। সেই অমূল্য সব গহনা সে বিনা পয়সায় দিতে চায়। কিন্তু নেবার লোক নেই।
পর্ব-৭: ঈশ্বরে মনে রেখে সংসার ধর্ম—শ্রীরামকৃষ্ণ ও রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ সংসারী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর মন, সব কাজের মধ্যেও সবসময়, উত্তর-মুখ কম্পাসের কাঁটার মতো, ঈশ্বরের দিকে ঘুরে আছে। একথা প্রমাণ হয় তাঁর প্রতিদিনের জীবনচর্যা অনুসরণ ও সংগীত সহ চিঠিপত্র, প্রবন্ধ ও বিবিধ রচনাবলী পড়লেই।
পর্ব-৬: ঈশ্বরলাভ ক’রে / শুদ্ধাভক্তি লাভ ক’রে সংসারে থাকা—শ্রীরামকৃষ্ণ ও রবীন্দ্রনাথ
শ্রীরামকৃষ্ণ (কথামৃত : ১-১-৫) সব কাজ করবে কিন্তু মন ঈশ্বরেতে রাখবে। স্ত্রী, পুত্র, বাপ, মা, সকলকে নিয়ে থাকবে ও সেবা করবে। যেন কত আপনার লোক। কিন্তু মনে জানবে যে তারা তোমার কেউ নয়।
পর্ব-৫: ঈশ্বরের আনন্দ ও সংসার—শ্রীরামকৃষ্ণ ও রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রসংগীত রবীন্দ্রনাথ সংসারে থেকেও ঈশ্বরের আনন্দ পেয়েছিলেন বলেই, যৌবনে মানুষ যখন সাংসারিক আনন্দে একেবারে মেতে থাকে, তখন তাঁর কলম থেকে বের হয়েছে এইসব কালজয়ী গান।
বিবেকের কাছে
কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি
আপনার অনুরোধ করা পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুসন্ধান পরিমার্জিত করার চেষ্টা করুন অথবা ওয়েবসাইট মেনু থেকে পোস্টটি সনাক্ত করুন।
আলোকের ঝর্ণাধারায়
পর্ব-৮১: ইষ্টদেবীরূপে মা সারদা
জাগতিক ব্যবহারে মা সারদা কারও মনে যাতে আঘাত না লাগে, তাই সকলের মন বুঝে চলতেন। অপরদিকে জগতের কোনও বস্তুরই তাঁর অপেক্ষা নেই। সর্বদা তাঁর আত্মস্থ অবস্থা। শ্রীমার এই অদ্ভুত ভাবাতীত অবস্থা যোগীনমা ও গোলাপমাই বেশিরভাগ সময় প্রত্যক্ষ করতেন। তাই তাঁদের মন সর্বদা যেন শ্রীমার কাছে রয়েছে। আর তাঁদের দৈনন্দিন ব্যবহারে একদিকে যেমন শ্রীমাকে ইষ্টদেবীজ্ঞানে শ্রদ্ধা ও ভক্তির অন্ত ছিল না।
পর্ব-৮০: শ্রীশ্রীমার অনুগ্রহ
বদনগঞ্জ হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান শিক্ষক প্রবোধবাবু সেই অঞ্চলের সম্মানিত ব্যক্তি। কামারপুকুরে ঠাকুরের জন্মস্হানের কাছে ‘গোঁসাইয়ের ভিটা’ জমি কিনে মন্দির এবং আশ্রম প্রতিষ্ঠার জন্য আগ্রহী হয়ে শরৎ মহারাজ ওই জমির মালিক লাহাবাবুদের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রবোধবাবুর উপর ভার দেন। প্রবোধবাবু তার জন্য বিশেষ চেষ্টা করেন। আর মাঝে মধ্যে কামারপুকুর যাতায়াত করেন। শ্রীমারও এই বিষয়ে আগ্রহ আছে।
পর্ব-৭৯: বালিকাভাব মা সারদার
মা সারদা আহার হয়ে যাওয়ার পর বিশ্রাম করছেন। তখন শীতের বিকেল। বাইরের বাটিতে ডিসপেনসারিতে সেসময় স্বামী সারদেশানন্দ কাজ করছিলেন। হঠাৎ তিনি খবর পেলেন যে ‘মায়ের পেটে ব্যথা, খুব কষ্ট হচ্ছে’। তিনি ছুটে গিয়ে বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে জানতে চাইলেন, ‘কেমন ব্যথা, কখন হয়েছে, কেন হয়েছে, কোথায় কামড়াচ্ছে’ ইত্যাদি।
পর্ব-৭৮: মা সারদার ‘পরকে আপন করা’
মা সারদার নতুন বাড়ি হওয়ায় সেখানে দুধের অভাব দূর করার জন্য জ্ঞানানন্দ মহারাজ দুটি ভালো গরু কিনে আনেন। সুরেন্দ্রনাথ গুপ্ত এই গরু কেনার খরচ বহন করেন। তবে শ্রীমা সংসারী হয়েও সন্ন্যাসিনী ছিলেন, নিজের জন্য কোনো ঝঞ্ঝাট বাড়াতে চাইতেন না। নিজের জন্য আলাদা বাড়ির ইচ্ছাও তাঁর ছিল না। যখন তাঁর ভাইরা আলাদা হয়ে নিজেদের বাড়ি করে তখন কালীকুমার তাঁর দিদি শ্রীমার সাহায্যে ভালো বাড়ি, বৈঠকখানা করেন।
পর্ব-৭৭: কোয়ালপাড়া আশ্রমের রাজেন মহারাজ ও মা সারদার প্রসাদী
ছেলেদের খাওয়া হয়ে গেলে শ্রীমা মেয়েদের খেতে দিয়ে তাদের সঙ্গে নিজেও একটু খেতেন। ভক্তদের আনা ফলমিষ্টি শ্রীমা সামান্যই মুখে দিতেন, সেসব অন্যেরাই পেত। ইদানীং তাঁর দাঁত গেছে, চারটি মুড়িই জল খাওয়া, তাও চিবোতে পারেন না। তাই আঁচলে মুড়ি নিয়ে একটা নোড়া দিয়ে সেগুলো গুঁড়ো করে নবাসনের বৌকে ডেকে বলেন, ‘বৌমা, দাও তো একটু নুন, লঙ্কা’।
নিবেদিতা নানা রূপে
কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি
আপনার অনুরোধ করা পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুসন্ধান পরিমার্জিত করার চেষ্টা করুন অথবা ওয়েবসাইট মেনু থেকে পোস্টটি সনাক্ত করুন।
গল্পের ঝুলি
ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার গল্প: জুতা আবিষ্কার
বরকর্তা হিসেবে একটা নিটোল বিয়ের সুচারু ব্যবস্থাপনার পর সবাই নিশ্চিন্ত হয়ে বিয়ের আসর ছেড়ে ভুরিভোজের ঠিকানায় পা বাড়িয়েছি, তখন কন্যাপক্ষের এক যুবক এসে বললেন—কাকু ট্রলিব্যাগটা দিয়ে দিন। গাড়িটা যাচ্ছে ব্যাগটা বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
দীপাবলির গল্প, থ্রেট /২
শব্দবাজির কম্পাঙ্ক কমানোর জন্য আইনকানুন আলোচনা সবই হচ্ছে কিন্তু আখেরে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। কানফাটানো শব্দের কোন বিরাম নেই। আর পাড়ার ভেতরে এতো কড়া আইনকানুন বলে কিছু নেই। মানা করতে গেলে বেশিরভাগ লোকই নাক কান চুলকে বলবেন——কালী পুজোর সময় বাজি পুড়বে না? এ কি হয় নাকি মশাই? কানে তুলে দিয়ে রাখুন, জোরসে মিউজিক চালিয়ে দিন।
দীপাবলির গল্প, থ্রেট /১
আজকাল শিরদাঁড়া নিয়ে খুব আলোচনা চলছে। মাইতিবাবু নিশ্চিত তাঁর শিরদাঁড়া আর সোজা নেই। বাড়ি করা ছেলেমেয়ে মানুষ করা তাদের বিয়ে-থা এ সব সামলে সোজা শিরদাঁড়া বেঁকে গিয়েছে। এখন শোবার সময় পিঠের চালাটা একটু টিপে দেবার জন্য বৌকে সাধ্যসাধনা করতে হয়। তাই বোধহয় আজকাল সামান্য একটু ঝুঁকেও চলতে হয়।
শারদীয়ার গল্প: গৌরী এল দেখে যা লো /২
শরৎ আলোর আঁচল টুটে কীসের ঝলক নেচে ওঠে কে জানে, ওই চরণমূলে মরণের নাচের তালে তালে হাহারবে নিখিল অশ্রুসাগরের কূলে পূজা সাঙ্গ হয়, প্রতিবার।
শারদীয়ার গল্প: তখন বিকেল/৫
ঘরে সুবিনয় আর কবিতা। কারো মুখে কথা নেই। শুধু বারেবারে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে চারটি চোখ। এতদিন মনে মনে দু’জন দু’জনাকে কত কথাই বলেছে। কত অভিমান… কত ভালোবাসা… কিন্তু এখন সামনাসামনি একটা কথাও সরছে না কারো মুখ থেকে। মন চাইছে আঁকড়ে ধরে এতদিনের সব যন্ত্রণাকে বাঁধভাঙা মুক্তি দিতে। কিন্তু পা দুটোকে কে যেন শক্ত করে মাটির সঙ্গে চেপে ধরে রেখেছে। কিছুতেই এগোতে পারছে না।
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক
পর্ব-৯৮: কপোত-কপোতী
অঞ্জন সাক্সেনা যেন মনে-মনে এমন নারীকেই চেয়েছিল, যে কেবল শয্যাসঙ্গিনী হবে না, হবে আ ভেরি ট্র্যু লাইফপার্টনার—ফ্রেন্ড, ফিলোসপফার অ্যান্ড গাইড। এ-কারণেই এত দূরে বেড়াতে এসে, এক রুমে থেকেও সে নিজেকে সংযত রেখেছে। যদিও সে জানে, কলকাতায় ফিরে গেলেই তাকে কাউকে ডাকতে হবে। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা জুড়ে নামে-বেনামে ছড়িয়ে থাকা কোন ফ্ল্যাট কিংবা বাড়িতে এক-দু’রাতের উদ্দাম সেক্স না করলে সে হয়ত পাগল হয়ে যাবে এরপর।
পর্ব-৯৭: ভাগ নুনিয়া, ভাগ
নুনিয়া দৌড়াচ্ছিল। অন্ধকারে যত জোরে দৌড়ানো যায়, সম্ভবত তার চেয়েও বেশি জোরে। এর আগে সে পালিয়েছে হোস্টেল থেকে, স্কুল থেকে, চার্চের ঘেরাটোপ থেকে, কিন্তু এত রাতে কখনও নয়। যে-পথ দিয়ে সে এর আগে বহুবার পালিয়েছে, এমনকি শাস্তি পাওয়ার পরেও পালিয়েছে, সেই পথই এত রাতে তার কাছে অজানা-অচেনা বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই তাকে পালাতেই হবে।
পর্ব-৯৬: যদি হই চোরকাঁটা
অনিলের কথায় অরণ্য হালকা-তরল মুড ছেড়ে আবার সিরিয়াস গম্ভীর হয়ে গেল। বলল, “না! অনিলকে কে মারল আর কেনই বা মারল, সেই প্রশ্ন আমাকে কুরে-কুরে খাচ্ছে আর্য! আমি যত ভাবছি, তত অবাক হয়ে যাচ্ছিস!”
আর্য বলল, “আমিও!”
পর্ব-৯৫: পরবর্তী পদক্ষেপ
সত্যব্রতর কাছ থেকে ফেরার সময় গাড়িতে শাক্য বা সুদীপ্ত কেস নিয়ে কোন কথা বলছিল না। শাক্যই বারণ করেছিল। এখন সে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগ লড়াই শুরু করেছে, তারা যে যথেষ্ট শক্রিশালী কোন গ্যাং, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে, পিশাচপাহাড় রিসর্টের মার্ডার। কালাদেও কেন যে পিশাচপাহাড় রিসর্টে ঢুকে মার্ডার করতে যাবে, এটা শাক্য বা সুদীপ্ত কারওই মাথায় আসেনি।
পর্ব-৯৪: নুনিয়া কোথায়?
সত্যব্রতর কাছ থেকে ফেরার সময় গাড়িতে শাক্য বা সুদীপ্ত কেস নিয়ে কোন কথা বলছিল না। শাক্যই বারণ করেছিল। এখন সে কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। যাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভাগ লড়াই শুরু করেছে, তারা যে যথেষ্ট শক্রিশালী কোন গ্যাং, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এর সঙ্গে আবার যুক্ত হয়েছে, পিশাচপাহাড় রিসর্টের মার্ডার। কালাদেও কেন যে পিশাচপাহাড় রিসর্টে ঢুকে মার্ডার করতে যাবে, এটা শাক্য বা সুদীপ্ত কারুরই মাথায় আসেনি।
রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!
পর্ব-৬৫: বাথটাব/১৭
শ্রেয়া গাড়ি নিয়ে অফিস চলে আসার পর একা একা রাস্তা হাঁটতে হাঁটতে ধৃতিমানের মাথায় এইসব ঘুরছিল। তাই প্রাথমিক প্রশ্নগুলোর পরে এই প্রশ্নটাই তার মাথায় প্রথম এসেছিল। আর এটাই যে লক্ষ্যভেদ করবে সেটা ধৃতিমান আঁচ করতে পারেনি।
পর্ব-৬৪: বাথটাব/১৬
শ্রেয়া অফিসে পা দিয়েই বুঝে গেল লালবাজারের নির্দেশ এসে পৌঁছেছে এবং খুব স্বাভাবিকভাবে তার প্রতিক্রিয়া সুখকর নয়। তাঁর গ্রেফতার করা আসামিকে গোয়েন্দা ধৃতিমান চৌধুরী জেরা করবেন, ব্যাপারটার রণজয় রায়ের মোটেই পছন্দ হয়নি। জয়েন সিপি ক্রাইমের কাছে এসিপি রণজয় রায় যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
পর্ব-৬৩: বাথটাব/১৫
শ্রেয়াকে যাদবপুর বা প্রেসিডেন্সির ছাত্রী বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু চোখের দিকে তাকিয়ে সামনের মানুষটির শরীরের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিতে জানে সে। কথা বলার এমন একটা দাপুটে ভঙ্গি, হার্ডকোর ক্রিমিনালের কথা আলাদা, কিন্তু সাধারণ আমজনতাকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্য যথেষ্ঠ।
পর্ব-৬২: বাথটাব/১৪
ধৃতিমানের আশঙ্কা সত্যি হল। ভোররাতে গ্রেফতার করা হল ডাক্তার সুরজিৎ ব্যানার্জিকে। পরদিন কলকাতার প্রায় সমস্ত প্রথমসারির দৈনিক শেষরাতে পাওয়া এই গুরুত্বপূর্ণ খবর ছোট করে হলেও প্রথমপাতায় ছেপে দিলেন। তবে কোনও এক অজানা কারণে খবরওয়ালারা, কৌশিকী ও ডাক্তার সুরজিৎ ব্যানার্জির মধ্যের রগরগে রসায়নের খোঁজ এখনও পাননি।
পর্ব-৬১: বাথটাব/১৩
জানো চ্যাম্প, আমি এমনি এমনি তোমায় এই নামটা দিইনি। তুমি সত্যানুসন্ধানী তুমি নাট্যকার, পরিচালক, আবার তুমিই চিত্রনাট্যকার সিনেমা এবং তথ্যচিত্রনির্মাতা! ব্যোমকেশ লিখতে পারলে শরদ্বিন্দুকে অজিত সাজতে হত না। আবার দেখো ফেলুদা সঙ্গে একজন সুপারহিট রহস্যকাহিনিকার থাকতেও লেখার স্বত্ব একজন সেরা লেখককে দিয়েছেন।
উপন্যাস: আকাশ এখনও মেঘলা
কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি
আপনার অনুরোধ করা পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুসন্ধান পরিমার্জিত করার চেষ্টা করুন অথবা ওয়েবসাইট মেনু থেকে পোস্টটি সনাক্ত করুন।
গা ছমছমে ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া
পর্ব-২৫: আফিফা কি ভয়ংকর ভাবে তার প্রতিশোধ নিল
আফিফা চেয়েছিল আমি স্বচক্ষে এটা যেন দেখতে পাই। এবার মুক্তি পাবে ওরা। হয়ত আমিও। আমাকে ফিরে বুনিকে সব বলতে হবে। এ বার নিশ্চিন্তে কলকাতা ফিরবো।
পর্ব-২৪: পিঠের পেছনে চেয়ারের ফ্রেমটা তাঁর চেহারার মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছে
ঠিক যেমন প্লাস্টিকের প্যাকেটে ঢাকা জিনিস দেখা যায়। তেমনি বাবার শরীর ভেদ করে দেখা যাচ্ছে আরও দূরে আমার লেখার টেবিলটা।
পর্ব-২৩: লেখার অক্ষরগুলোতে লাল রংটা ক্রমশ শুকিয়ে খয়েরি হয়ে যাচ্ছে, তবে কি রক্ত?
আমার অন্য লেখার ডট পেনের লাল রং নয়। আমার কাছে কোন লালকালির পেন নেই! আর এই লেখার অক্ষরগুলোতে লাল রংটা ক্রমশ শুকিয়ে খয়েরী হয়ে যাচ্ছে। তবে কি রক্ত!
পর্ব-২২: ঈপ্সিতা চ্যাটার্জির কপাল থেকে সারা মুখ রক্তাক্ত
ভয়ংকর শ্বাসকষ্ট, ঠিক মতো কথা বলতে পারছেন না। ছটফট করছেন। শরীরটা বেঁকে যাচ্ছে। তারপর একটা সময় আর পারলেন না।
পর্ব-২১: এতক্ষণ নড়তে থাকা হাত-পা ক্রমশ এলিয়ে পড়ল
…হঠাৎ ধপ করে সেই চাদরমোড়া এলিয়ে-পড়া শরীর দুটোতে আগুন ধরে গেল। পোড়া শরীরের চড়চড় শব্দ শুনতে পাচ্ছি।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং…
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৫২: যবনিকাপতন
আপনাদের সকলের কাছে আমার একটা সবিনয় প্রশ্ন আছে। আমার এই ব্যক্তিগত অনুভূতির কথা কি আমি আর বলব? আপনারা না বললে আমি কোনও দুঃখ পাবো না। তাহলে আমার পরবর্তী বক্তারা বলবার সুযোগ পাবেন, আপনাদের মতো আমিও তাদের কথাও শুনতে পারব।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৫১: প্রায়শ্চিত্ত
ঈশ্বর পৃথিবীর সবকিছুতে সময়ের নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন। বাড়ির দলিলের এই আইন মোতাবেক পরিবর্তনটা জরুরি ছিল। তাই বিনয়কান্তি দত্ত শারীরিকভাবে সজ্ঞানে ছিলেন। বসুন্ধরা ভিলায় এখন আর ছন্দ নেই সুর নেই। সর্বত্র যেন সুরতাল ছন্দহীন সময়ের ক্রমাগত ক্ষয়। বাড়িতে দু-দুজন অত্যন্ত সংকটজনক রোগী। ব্যবসায়ের আগের সময়কার রমরমা কমে আসছে। বসুন্ধরার স্বপ্নে দেখা সেই সকলকে নিয়ে ভরা সংসারের শিকড়ের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৫০: পুনরুত্থান
এরমধ্যে সুরঙ্গমার কাছে বাবলির একটা চিঠি এল। সেই চিঠির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানির কাছে পাঠানো আলাদা আলাদা করে প্রণয়কান্তি ও বাবলি’র ই-মেল মারফৎ আবেদনের ছাপা কপি রয়েছে। প্রণয়কান্তি জানিয়েছে, তার যদি কিছু কিছু অর্থকরী পাওনা হয়ে থাকে সেই টাকা স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ডে সে দান করে দিতে চায়।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৯: আত্মশুদ্ধি
সুজাতা চিৎকার করে উঠলেন। তাড়াহুড়ো করে প্রণয়কে বাধা দিতে গিয়ে হুইলচেয়ারের চাকায় পা জড়িয়ে গিয়ে মুখ থুবড়ে পুরো শরীরের ভার নিয়ে মেঝের ওপর পড়ে গেলেন। নাক-মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বের হতে লাগলো। সুরঙ্গমা আর বাবলি ছুটে গিয়ে সুজাতাকে সোজা করে শোয়াতে গিয়ে দেখলেন সুজাতার জ্ঞান নেই।
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৮: স্বীকারোক্তি
দিল্লিতে সামরিক পরিমণ্ডলে বড় হয়েও ন’ কাকিমা তন্ত্রমন্ত্র বশীকরণ বাণ মারা, এসব কালা জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিকে বিশ্বাস করতেন। দিল্লি কালীবাড়িতে নাকি একজন তান্ত্রিক আসতেন। তাঁর কাছেই অবিবাহিতার সুজাতা এবং তাঁর মা ঘন ঘন যেতেন। সেই তান্ত্রিক বাবাকে নিয়ে কি একটা সমস্যা হবার পর কালীবাড়ি কমিটি কালীবাড়ির মধ্যে তার বসার ওপর নিষেধ জারি করেন…
কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি
আপনার অনুরোধ করা পৃষ্ঠাটি খুঁজে পাওয়া যাবে না। আপনার অনুসন্ধান পরিমার্জিত করার চেষ্টা করুন অথবা ওয়েবসাইট মেনু থেকে পোস্টটি সনাক্ত করুন।