অনেকেই ভাবেন পরিমাণে কম খেলে তবেই রোগা হওয়া যাবে। পেট খালি রেখে কষ্ট না করলেও যে ওজন ঝরানো যায়, তা অধিকাংশ মানুষই মনে করেন না। পুরনো জিনসে আবার আগের মতো তন্বী দেখানোর জন্য বেশ কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবেই বলে ধারণা করে থাকেন মোটের ওপর সকলেই। কিন্তু এ কথা আদৌ ঠিক নয়। বরং পরিমাণমতো খেয়েও রোগা হওয়া সম্ভব। যদি একটু ভেবেচিন্তে খাওয়াদাওয়া করা যায়, তবেই তা সম্ভব। খাওয়ার পরিমাণ না কমিয়েও যদি রোগা হতে চান, তবে খেয়াল রাখুন এই কয়েকটি বিষয়।
জানলে কাজে লাগবে
পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার
● খনিজ পদার্থে ভরপুর যে সব খাবার, সে সবই খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। ফল, সব্জি, বাদাম বেশি করে খাওয়া দরকার। এই ধরনের খাবারের পুষ্টিগুণ বেশি, কিন্তু ক্যালোরি থাকে কম। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা অনেক কম।
বেশি চিনি নৈব নৈব চ
● খাবারের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, বেশি চিনি থাকলে চলবে না। সামান্য পরিমাণ চিনিও দ্রুত বারিয়ে দিতে পারে ওজন। তার সঙ্গে বাড়াতে পারে ডায়াবিটিস, ক্যানসারের মতো অসুখের ঝুঁকিও।
প্রোটিন রাখুন খাদ্যতালিকায়
● যথেষ্ট পরিমাণ প্রোটিন রাখুন খাদ্যতালিকায়। এতে পেশি মজবুত হবে। তিন বেলা কিছুটা করে প্রোটিন খাওয়া গেলে অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। তাতে কাজের ফাঁকে ভাজাভুজি, মিষ্টির মতো অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি টানও কম থাকে।
শরীরচর্চা
● কাজের মাঝে শরীরচর্চার সময় পান না? তা হলে এমন কিছু ঘরের কাজ করা যেতে পারে, যাতে হাঁটাচলা বেশি হবে। ঘর পরিষ্কার করা, কাপড় কাচা, রান্নাবান্নার মতো কাজ বেশি করে বেছে নিন। তবেই আর কম খেয়ে কষ্ট করে রোগা হতে হবে না।