
ছবি: প্রতীকী।
রাজা, রাজপদ ও উত্তরাধিকার নিয়ে কৌটিলীয় অর্থশাস্ত্রের পর্যবেক্ষণে রাজপুত্রের গর্ভবাস, জন্ম ও সার্বিক প্রতিপালনে বিশেষ যত্নের কথা উঠে আসে। রাজপুত্র ভাবী রাজা, দেশ ও দশের কর্ণধার। রাজপুত্র দুর্বিনীত হলে, চরিত্রবান না হলে সেই ব্যক্তি মানুষের প্রভাব সমষ্টির ওপর ন্যস্ত হবে বৈকী! আদর্শবাদী ও প্রয়োগনিষ্ঠ দুটি শাস্ত্রধারাই রাজশক্তিকে মহিমান্বিত করেছে, যে রাজশক্তি যতটা কল্যাণকামী ঠিক ততটাই কী ততোধিক হয়তো স্বার্থ ও আত্মরক্ষা, অধিকার টিকিয়ে রাখার জন্য বিশেষ তত্পর। রাজা ও রাষ্ট্রের অস্তিত্বের এই সংগ্রামে আঘাত আসতে পারে যেকোনো স্তর থেকেই। ইতিহাস তার সাক্ষ্য দেয়, পিতৃহত্যা, ভ্রাতৃহত্যার রুধিরপ্রবাহে রঞ্জিত সেই অতীত কথাগুলিতে রাজ্যাধিকারের মহাসংগ্রাম কিংবা গুপ্তহত্যার বিপুল বিস্তার তাতে মনে হয় ন্যায় ও সত্যের আদর্শ কেবল আভিধানিক বুঝি। মহাভারতের মহাসংগ্রামের মধ্য দিয়ে, শোণিতসিক্ত পথে ধর্মের প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। রাজার শতপুত্রের সঙ্গে জ্ঞাতিভাইদের সেই যুদ্ধে জ্যেষ্ঠের শ্রেষ্ঠভাগ অর্থাৎ রাজ্যাধিকারের যে দ্বন্দ্ব তা বিশ্রুত। বিস্মৃত অতীতের বুক থেকে উঠে আসা এমন কাহিনীগুলি সভ্যতার নবমূল্যায়ন করে, বিস্মিত শিহরিত করায় জীবনের বিচিত্ররূপকে নতুন নতুন আঙ্গিকে উপলব্ধি করে।
সে অনেককাল আগের কথা। বারাণসীর রাজা ব্রহ্মদত্তের শতপুত্রের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন সংবরকুমার। বোধিসত্ত্ব সেই জন্মে এক বিদগ্ধ রাজ-অমাত্য, তাঁর হাতেই সংবরের বিদ্যাশিক্ষার ভার ন্যস্ত হল। ক্রমে কুমার সর্ববিদ্যাবিশারদ হলেন। অন্যান্য রাজপুত্রদের বিদ্যাশিক্ষা সমাপ্ত হচ্ছে, রাজাও ক্রমে ক্রমে তাদের জনপদশাসক করে যথাস্থানে প্রেরণ করছেন। সংবর গুরুকে একান্ত বাধ্য শিষ্যের মতো প্রশ্ন করলেন যে তিনিও যদি জনপদের ভার পান তবে কি করবেন? গুরু বোধিসত্ত্ব জানালেন যে তিনি যেন জনপদভার গ্রহণ না করেন। তিনি যেন পিতাকে জানান যে কনিষ্ঠটিও চলে গেলে রাজার পাদমূল শূন্য হবে, সুতরাং তিনি রাজার নিকটেই থাকতে চান। তেমনটাই হল। রাজা তুষ্ট হলেন, সম্মত হলেন।
আরও পড়ুন:

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-২৪: তিন্দুক-জাতক: সঙ্কোচের বিহ্বলতা নিজেরে অপমান

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১৭: একাকিত্বের অন্ধকূপ/২: অন্ধকারের উৎস হতে
এখানে অনুদ্ধত সমর্পণ, মানবধর্ম, প্রজ্ঞা ও কূটনীতির একত্র-সমাবেশ। এরপর, সংবর গুরুকে তাঁর কর্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলেন, গুরু উপদেশ দিলেন, রাজপুত্র তা যথার্থ অনুসরণ করলেন। তিনি গুরুর পরামর্শে রাজার কাছ থেকে একটি উদ্যান চেয়ে নিলেন, সেখানে উৎপাদিত পুষ্প ও ফল উপঢৌকন দিয়ে নগরের ক্ষমতাশালী মানুষদের সঙ্গে মিত্রতায় আবদ্ধ হলেন। তারপর আবার গুরুকে কর্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলেন। এবার গুরু নগরবাসীদের যার যার যা যা অর্থানুকূল্য (ভক্তবেতন, খোরাকী, পারিতোষিক) রাজানুগ্রহে প্রাপ্য তার বণ্টণভার রাজার কাছ থেকে চেয়ে নিতে বললেন। তা-ই হল। কুমার অশেষ সাধুতায়, সামান্যমাত্র ব্যতিক্রম না ঘটিয়ে সেই কাজ সুসম্পন্ন করতে লাগলেন। শেষে আবার-ও বোধিসত্ত্বের পরামর্শে রাজার অনুমতি নিয়ে রাজকীয় ভৃত্য, দাস দাসী, যোদ্ধা, অশ্বসকলের বেতন ও বৃত্তির যথাযথ ব্যবস্থা করতে লাগলেন বিন্দুমাত্র তঞ্চকতা না করে। এরপর, বৈদেশিক দূতগণের আবাসের ব্যবস্থার দায়িত্ব তাঁর হল, বণিকদের দেয় শুল্কপরিমাণ ও আদর্শ আচরণবিধি তিনি নির্দেশ করতে লাগলেন। এভাবে বোধিসত্ত্বের পরামর্শে ক্রমে ক্রমে সংবরকুমার দক্ষ হলেন, অন্তর্জন, বহির্জন, পৌর জানপদ ও আগন্তুক সকলের প্রিয়পাত্র হলেন (বৌদ্ধ সংগহবত্তনা অর্থাৎ দান, প্রিয়ভাষণ, সদয় আচরণ ও পক্ষপাতহীন ব্যবহার এই চতুর্বিধ উপায়ের অবলম্বন)।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১১৪: বন্দি, জেগে আছো?

উপন্যাস: আকাশ এখনও মেঘলা, পর্ব-১৬: আকাশ এখনও মেঘলা
এ হয়তো আধুনিক “ইন্টার্নশিপ”, যেখানে যোগ্য হয়ে ওঠার সুযোগ ও তার সদ্ব্যবহারের কথা বলা হয়। অনায়াস অধিকারে প্রাপ্ত সম্পদ মুখ্য নয়, মুখ্য হল সম্পদের ব্যবহার, তার বিনিয়োগ, প্রয়োগ। মানবসম্পদ ও পারস্পরিক সুষ্ঠু সম্পর্ক, মৈত্রী যে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে তা-ই ভাবী সম্ভাবনার ভিত্তি। সুপ্রাচীন এই কাহিনীটিতে তাই আধুনিক হিউম্যান রিসোর্স ও ম্যানেজমেন্টের পাঠ ফুটে ওঠে।
কিছুকাল পরে রাজা মৃত্যুশয্যায়, অমাত্যরা যখন উত্তরাধিকার নিয়ে জানতে চাইলেন, কে হবেন কাঞ্চনমালাশোভিত রাজকীয় শ্বেতছত্রের উত্তরাধিকারী, তখন রাজা জানালেন যে তাঁর পুত্রগণ সকলেই যোগ্য, তবে নির্বাচনের ভার অমাত্যদের। এরপর রাজা প্রয়াত হলে অমাত্যগণ রাজার অন্তিম নির্দেশের ঘোষণা করে সংবরকুমারকে মনোনীত করলেন, তিনিও বোধিসত্ত্বের নির্দেশক্রমে রাজত্ব পরিচালনা করতে লাগলেন।
কিছুকাল পরে রাজা মৃত্যুশয্যায়, অমাত্যরা যখন উত্তরাধিকার নিয়ে জানতে চাইলেন, কে হবেন কাঞ্চনমালাশোভিত রাজকীয় শ্বেতছত্রের উত্তরাধিকারী, তখন রাজা জানালেন যে তাঁর পুত্রগণ সকলেই যোগ্য, তবে নির্বাচনের ভার অমাত্যদের। এরপর রাজা প্রয়াত হলে অমাত্যগণ রাজার অন্তিম নির্দেশের ঘোষণা করে সংবরকুমারকে মনোনীত করলেন, তিনিও বোধিসত্ত্বের নির্দেশক্রমে রাজত্ব পরিচালনা করতে লাগলেন।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৯৭: শ্রীমার কথায় ‘ঠাকুরের দয়া পেয়েচ বলেই এখানে এসেচ’

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৫৫: সর্বত্র বরফ, কোত্থাও কেউ নেই, একেবারে গা ছমছম করা পরিবেশ
অন্যান্য ভ্রাতারা যখন জনপদশাসনের অভিজ্ঞতা অর্জন করছেন, তখন সংবরকুমার রাষ্ট্রযন্ত্রের মূল অঙ্গ পরিচালনার বিবিধ কৌশল আয়ত্ত করছেন নিবিষ্টচিত্তে, অপ্রমত্ত হয়ে। তিনি যথার্থ সংযমের অভ্যাস করেছেন। লোভ কিংবা ক্ষমতার দর্প তাঁকে গ্রাস করেনি।
এরপর অন্যান্য ভ্রাতারা বিমুখ হলেন। তাঁরা জ্যেষ্ঠকেই সিংহাসনে বসাতে চাইলেন। তার জন্য রাজধানী অবরুদ্ধ করলেন, বোধিসত্ত্বকে প্রশ্ন করলে তিনি রাজাকে বললেন যে, ভ্রাতৃগণের সঙ্গে সংগ্রাম অনুচিত। তাঁর এখন যা করণীয় তা হল পৈত্রিক ধন শতভাগে বিভক্ত করে তার সমবণ্টন করা, তাকে পৌঁছে দেওয়া প্রাপকের কাছে। রাজা তা-ই করলেন। তখন জ্যেষ্ঠকুমার অন্যান্যদের ডেকে বললেন যে, এই রাজা কনিষ্ঠ কিন্তু সর্বজনমান্য, তাই তাঁর পরাজয় অসম্ভব। তিনিও শত্রুর সঙ্গে শত্রুতা করেন না। বরং প্রাপ্য ভাগ পৌঁছে দেন, তিনি সদাচারী ।আর তাছাড়া সকলেই কি শ্বেতছত্রের অধিকারী হতে পারবে? তার চেয়ে যোগ্য, সমর্থ মানুষের কাছেই সেই ভার থাকুক। তাঁরা পৈত্রিক ধন রাজার কাছে প্রত্যর্পণের বাসনায় শত্রুতা ত্যাগ করে রাজসমীপে এলেন, সম্মানজ্ঞাপন ও বশ্যতা স্বীকার করে নীচাসনে বসলেন। রাজা সেই সভায় শ্বেতছত্রের নিচে উপবেশন করে মধ্যমণিতুল্য হয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব, প্রভাব ও মাহাত্ম্যে সমুজ্জ্বল ভাস্বর। অন্যান্য পুত্রগণ বিস্মিত হলেন, তাঁদের মনে হল পিতা এঁর চরিত্রগুণ উপলব্ধি করেই বুঝি জনপদ দান করেননি, রাজ্যে রেখেছিলেন। তাঁরা রাজসমীপে কিছুকাল যাপন করে জনপদগুলিকে শান্ত ও নিরাপদ রাখার প্রতিজ্ঞা জানিয়ে যথাস্থানে ফিরে গেলেন।
এরপর অন্যান্য ভ্রাতারা বিমুখ হলেন। তাঁরা জ্যেষ্ঠকেই সিংহাসনে বসাতে চাইলেন। তার জন্য রাজধানী অবরুদ্ধ করলেন, বোধিসত্ত্বকে প্রশ্ন করলে তিনি রাজাকে বললেন যে, ভ্রাতৃগণের সঙ্গে সংগ্রাম অনুচিত। তাঁর এখন যা করণীয় তা হল পৈত্রিক ধন শতভাগে বিভক্ত করে তার সমবণ্টন করা, তাকে পৌঁছে দেওয়া প্রাপকের কাছে। রাজা তা-ই করলেন। তখন জ্যেষ্ঠকুমার অন্যান্যদের ডেকে বললেন যে, এই রাজা কনিষ্ঠ কিন্তু সর্বজনমান্য, তাই তাঁর পরাজয় অসম্ভব। তিনিও শত্রুর সঙ্গে শত্রুতা করেন না। বরং প্রাপ্য ভাগ পৌঁছে দেন, তিনি সদাচারী ।আর তাছাড়া সকলেই কি শ্বেতছত্রের অধিকারী হতে পারবে? তার চেয়ে যোগ্য, সমর্থ মানুষের কাছেই সেই ভার থাকুক। তাঁরা পৈত্রিক ধন রাজার কাছে প্রত্যর্পণের বাসনায় শত্রুতা ত্যাগ করে রাজসমীপে এলেন, সম্মানজ্ঞাপন ও বশ্যতা স্বীকার করে নীচাসনে বসলেন। রাজা সেই সভায় শ্বেতছত্রের নিচে উপবেশন করে মধ্যমণিতুল্য হয়ে নিজের ব্যক্তিত্ব, প্রভাব ও মাহাত্ম্যে সমুজ্জ্বল ভাস্বর। অন্যান্য পুত্রগণ বিস্মিত হলেন, তাঁদের মনে হল পিতা এঁর চরিত্রগুণ উপলব্ধি করেই বুঝি জনপদ দান করেননি, রাজ্যে রেখেছিলেন। তাঁরা রাজসমীপে কিছুকাল যাপন করে জনপদগুলিকে শান্ত ও নিরাপদ রাখার প্রতিজ্ঞা জানিয়ে যথাস্থানে ফিরে গেলেন।
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৭৮: রক্তে ভেজা মাটিতে গড়ে ওঠে সত্যিকার প্রাপ্তি

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১১৩: একটি হিংসা অনেক প্রতিহিংসা, জিঘাংসা, হত্যা এবং মৃত্যুর কারণ হয়ে ওঠে সর্বত্র
আজকের যুগধর্মে এই ঔদার্য হয়তো অচল। কিন্তু সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য থেকে জগৎ ও জীবন হয়তো এখনও বিচ্যুত হয়নি।
কী কী গুণে সংবরকুমার এই উচ্চতায় উত্তীর্ণ হলেন?
অসূয়াহীন নিরপেক্ষ মনোভাব, পূজ্যপাদের সম্মান, ধর্ম ও সুশীল ন্যায়নিষ্ঠ ধার্মিকের পৃষ্ঠপোষণা, নিজে ধর্মপথে চলে অপরের কাছে আদর্শের প্রতিষ্ঠা, পাপকে সযত্নে এড়িয়ে গুরুর বচনের যথার্থ অনুসরণ, বেতন ও বৃত্তিদানে অকুণ্ঠ নিষ্ঠা ও প্রতিদানে ভৃত্য ও যোদ্ধাদের আনুগত্যলাভ, কুশল সদুপদেশদাতা মহামাত্রগণকে সহায়রূপে প্রাপ্তি, বিদেশী বণিকদের রক্ষা, তাদের সুষ্ঠু বাণিজ্য ও লাভের পরিবেশে রাজার ভাগ্যোদয় ও সর্বোপরি এক মৈত্রীভাবাপন্ন বিশ্বাসবাহী অনুকূল পরিমণ্ডলরচনার মধ্য দিয়ে তিনি সর্বজনমান্য ও অজাতশত্রু হয়েছিলেন। পাণ্ডিত্য, শুচিতা ও তীক্ষ্ণ ধীশক্তি ব্যক্তি ও রাষ্ট্রজীবনকে যথার্থ উন্নত করে, সংযমের অভ্যাস, আত্মসম্বরণ, আত্মনিয়ন্ত্রণের অভ্যাস গড়ে তোলে সংবরকুমারদের। বর্তমান পৃথিবী যে স্বপ্নকে লালন করে, যে সামাজিক আদর্শ ছাড়া সেই উচ্চতায় পৌঁছনো স্বপ্নমাত্র সেই জীবনের কথা এই জাতককথার অন্তর্বস্তু। —চলবে।
কী কী গুণে সংবরকুমার এই উচ্চতায় উত্তীর্ণ হলেন?
অসূয়াহীন নিরপেক্ষ মনোভাব, পূজ্যপাদের সম্মান, ধর্ম ও সুশীল ন্যায়নিষ্ঠ ধার্মিকের পৃষ্ঠপোষণা, নিজে ধর্মপথে চলে অপরের কাছে আদর্শের প্রতিষ্ঠা, পাপকে সযত্নে এড়িয়ে গুরুর বচনের যথার্থ অনুসরণ, বেতন ও বৃত্তিদানে অকুণ্ঠ নিষ্ঠা ও প্রতিদানে ভৃত্য ও যোদ্ধাদের আনুগত্যলাভ, কুশল সদুপদেশদাতা মহামাত্রগণকে সহায়রূপে প্রাপ্তি, বিদেশী বণিকদের রক্ষা, তাদের সুষ্ঠু বাণিজ্য ও লাভের পরিবেশে রাজার ভাগ্যোদয় ও সর্বোপরি এক মৈত্রীভাবাপন্ন বিশ্বাসবাহী অনুকূল পরিমণ্ডলরচনার মধ্য দিয়ে তিনি সর্বজনমান্য ও অজাতশত্রু হয়েছিলেন। পাণ্ডিত্য, শুচিতা ও তীক্ষ্ণ ধীশক্তি ব্যক্তি ও রাষ্ট্রজীবনকে যথার্থ উন্নত করে, সংযমের অভ্যাস, আত্মসম্বরণ, আত্মনিয়ন্ত্রণের অভ্যাস গড়ে তোলে সংবরকুমারদের। বর্তমান পৃথিবী যে স্বপ্নকে লালন করে, যে সামাজিক আদর্শ ছাড়া সেই উচ্চতায় পৌঁছনো স্বপ্নমাত্র সেই জীবনের কথা এই জাতককথার অন্তর্বস্তু। —চলবে।
* ড. অভিষেক ঘোষ (Abhishek Ghosh) সহকারী অধ্যাপক, বাগনান কলেজ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগ থেকে স্নাতকস্তরে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। স্নাতকোত্তরের পর ইউজিসি নেট জুনিয়র এবং সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে সাড়ে তিন বছর পূর্ণসময়ের গবেষক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। সাম্বপুরাণের সূর্য-সৌরধর্ম নিয়ে গবেষণা করে পিএইচ. ডি ডিগ্রি লাভ করেন। আগ্রহের বিষয় ভারতবিদ্যা, পুরাণসাহিত্য, সৌরধর্ম, অভিলেখ, লিপিবিদ্যা, প্রাচ্যদর্শন, সাহিত্যতত্ত্ব, চিত্রকলা, বাংলার ধ্রুপদী ও আধুনিক সাহিত্যসম্ভার। মৌলিক রসসিক্ত লেখালেখি মূলত: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে চলেছে বিভিন্ন জার্নাল ও সম্পাদিত গ্রন্থে। সাম্প্রতিক অতীতে ডিজিটাল আর্ট প্রদর্শিত হয়েছে আর্ট গ্যালারিতে, বিদেশেও নির্বাচিত হয়েছেন অনলাইন চিত্রপ্রদর্শনীতে। ফেসবুক পেজ, ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে নিয়মিত দর্শকের কাছে পৌঁছে দেন নিজের চিত্রকলা। এখানে একসঙ্গে হাতে তুলে নিয়েছেন কলম ও তুলি। লিখছেন রম্যরচনা, অলংকরণ করছেন একইসঙ্গে।