রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


অল্পদিনের মধ্যে দু’ পক্ষের বিবাহের কথা স্থির হয়ে গেল। কিন্তু অভাবের সংসারে শুধু মুখের কথায় তো আর বিয়ে হয় না। সেকালের প্রথা অনুসারে খুব বেশি না হোক, কন্যাপক্ষের কাছে তিনশো টাকা পণ চাইলেন চন্দ্রমণি। পণ? না বলা যায় পুজোর দক্ষিণা! তখনকার দিনের হিসাবে সে টাকা কম নয়। কন্যাপক্ষ সেই টাকাই পণ দিলেন। তাঁদের আদরের সারুর বিয়েতে কোনও কার্পণ্য করা হবে না। মেয়ের বিয়ে তো একবারই হবে। রামচন্দ্র ও শ্যামাসুন্দরী মনে মনে ভাবেন আর আনন্দিত হন, কী আশ্চর্য, এ যে অলৌকিক বিবাহ। নয় তো, সারদার রাশি-নাম কেনই বা হবে ঠাকুরমণি। সব যে পূর্বেই নির্দিষ্ট হয়ে আছে। শ্যামাসুন্দরীর গৃহলক্ষ্মী চন্দ্রমণির ঘরের নারায়ণের জন্য উৎসর্গিতা হয়েই এসেছেন।

Skip to content