বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

বর্ষাকাল মানেই রাস্তায় এখানে ওখানে খানা-খন্দে হাঁটু অবধি জল। এমন পরিস্থিতিতে বেশ মুশকিলে পড়তে হয় চারচাকা গাড়ি নিয়ে বেরোলে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে গাড়ির মধ্যে জল ঢুকে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয়। বর্ষার মরসুমে গাড়ি নিয়ে বেরনোর অনেক সুবিধা থাকলেও, বেশ কিছু বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কারণ, আপনার সামান্য অসতর্কতায় যেকোনও সময় বড় কোনও বিপদ ঘটে যেতে পারে। তাই বর্ষা ঋতুতে গাড়ি নিয়ে বেরোনোর আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখলে বিপদের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব জেনে নিন একঝলকে।
 

কী করবেন, কী করবেন না?

 

উইন্ডস্ক্রিনে বাষ্প জমলে

অনেক সময় গাড়িতে এসি চলালেও গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে কাচে বাষ্প জমেই যায়। এমন পরিস্থিতিতে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বা এসি-র নবগুলি এমন অ্যাঙ্গেলে ঘুরিয়ে রাখুন, যাতে সহজেই গাড়ির ড্যাশবোর্ডের দিকে এসির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে। এতে সমস্যা মিটবে।
 

উইন্ডস্ক্রিন সাদা হয়ে গেলে

বর্ষায় অনেক সময় উইন্ডস্ক্রিনে জল জমে যায়। এর জন্য উইন্ডস্ক্রিন সাদা হয়ে যায়। এ সময় আপনার সামনে অন্য কোনও গাড়ি আসছে কি না, সহজে বোঝা সম্ভব হয় না। এতে বিপদের ঝুঁকি থাকে। তাই সমস্যার সমাধানে গাড়ি নিয়ে বেরনোর আগে ওয়াইপার ঠিক ভাবে কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখে নিন।

আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩২: কে বলে ঈশ্বর গুপ্ত?

মুভি রিভিউ: সত্যঘটনা অবলম্বনে ভায়োলেন্ট ওয়েব সিরিজ ‘ভাউকাল’ ভালো লাগবে

 

অ্যাক্সিলেরেটরে পা রাখুন

যদিও বর্ষাকালে প্রায় সব রাস্তাতেও কমবেশি জল জমে থাকে। তবুও চেষ্টা করতে হবে রাস্তায় জল জমে আছে এমন রাস্তা এড়াতে। জলমগ্ন রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় একদমই অ্যাক্সিলেরেটর থেকে পা সরাবেন না। একদম শুকনো রাস্তায় উঠে তবেই অ্যাক্সিলেরেটর ছাড়ুন। এতে গাড়ির একজস্ট পাইপে জল ঢুকতে পারবে না। মাঝ রাস্তায় গাড়ি খারাপ হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৮: কোন অজানায় ‘পথে হল দেরী’

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫০: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গরিয়া, গোলপাতা ও হেতাল

 

গতি কমিয়ে গাড়ি চালান

বর্ষার গাড়ি নিয়ে বেরোলে কম গতি কমিয়ে গাড়ি চালানো দরকার। বর্ষার জন্য এ সময় রাস্তাঘাট পিচ্ছিল হয়ে আছে। তাই বেশি গতি বাড়িয়ে চালাতে গিয়ে বিপদ ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
 

অবশ্যই ক্লাচ পরীক্ষা করবেন

শুধু ইঞ্জিন নয়, অবশ্যই গাড়ির ক্লাচও পরীক্ষা করে নিন। কারণ ক্লাচ পিচ্ছিল হয়ে গেলে আপনার সমস্যা বাড়বে।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯০: সাহেবের বেশ না-পরে ফিরেছিলেন সাহেবের দেশ থেকে

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৪: অপরাজিতা রাধারাণী

 

ধীরে ব্রেক কষুন

শুধু কম গতি নয়, কোথাও দাঁড়াতে হলে ব্রেকও কষুন হালকা করে। জলে ডুবে থাকা রাস্তা আর গাড়ির টায়ারের মধ্যে ঘর্ষণ এমনিতেই স্বাভাবিকের থেকে কম হয়। সে কারণে জোরে ব্রেক কষলে আপনার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে।
 

ব্রেক শু ভিজে কার্যকারিতা কমে যায়

বর্ষায় যদি গাড়ি নিয়ে বেরোতেই হয়, তাহলে জল জমা রাস্তার দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় কিছু ক্ষণের জন্য ইঞ্জিনের আরপিএম বাড়িয়ে রাখুন। এতে জমে থাকা জল বেরিয়ে যাবে। আর অবশ্যই জলমগ্ন রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়ার সময় গতি কমিয়ে চালান। কারণ জলমগ্ন রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় ব্রেক শু ভিজে তার কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। তাই বিপদ এড়াতে কম গতিতে গাড়ি চালানো উচিত।

আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬৪: প্রজাদের আনন্দ, স্বস্তি, আশ্রয় রাম—তাঁর কাছে প্রজাদের আনুগত্যের স্থান কোথায়?

আলোকের ঝর্ণাধারায়,

 

ইঞ্জিনে জল ঢোকেনি তো?

জলমগ্ন রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় জল ঢুকে মাঝপথে গাড়ি খারাপ হয়ে গেলে পেশাদারদের ডাকা উচিত। কারণ ইঞ্জিন ভালো করে পরীক্ষা দেখতে হবে জল ঢুকে গিয়েছে কি না। যদি ইঞ্জিনে জল ঢুকে থাকে তাহলে যতক্ষণ না শুকানো হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত গাড়ি স্টার্ট দেওয়া যাবে না।
 

অলিগলি এড়িয়ে চলুন

যে সব জায়গায় জল জমেছে সে সব রাস্তা দিয়ে গাড়ি না চালানোই শ্রেয়। বর্ষাকালে শহরের প্রায় সর্বত্রই অলিগলিতে কমবেশি জল জমে থাকে। তাই এই সময় বড় রাস্তা দিয়েই গাড়ি চালানো অনেক বেশি নিরাপদ। সময় বাঁচাতে অলিগলি দিয়ে না যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
 

হেডলাইট অন করে রাখুন

বর্ষায় গাড়ি নিয়ে বেরোলে সব সময় অবশ্যই হেডলাইট অন করে রাখুন। এতে আপনারও বিপদ বুঝতে সুবিধে হবে। আবার যাঁরা গাড়ি চালাচ্ছেন, তাঁরাও আপনার গাড়ি লক্ষ করতে পারবেন খুব সহজেই।


Skip to content