রবীন্দ্রনাথ কবিতায় ‘কেষ্টা’কে অমরত্ব দিয়েছেন। বাস্তবে অবশ্য তেমন ‘কেষ্টা’ নামে কোনও ‘পুরাতন ভৃত্য’-র অস্তিত্ব ছিল না। আমরা জানি, ছেলেবেলায় তাঁর শ্যাম ছিল, ঈশ্বর ছিল। এই দুই ভৃত্যের কথা ‘জীবনস্মৃতি’তে আছে। দু’জনের কথা আমাদের সুবিদিত, দু’জনেই পরিচিত। শ্যামের কথা অধিক পরিচিত, যে সীতাহরণের গল্প শুনিয়ে শিশু রবীন্দ্রনাথকে খড়ির গণ্ডিতে বন্দি করে রাখত। ‘ঈশ্বর’ নামের ভৃত্যটি ছিল ভারি মজার, কথা বলত বিশুদ্ধ সাধু ভাষায়! ‘বরানগর’ না বলে তার মুখে শোনা যেত ‘বরাহনগর’। ঈশ্বরের সাধু ভাষায় কথা বলা নিয়ে বাড়ির বড়রা যে হাসাহাসি করত, তা বালক রবীন্দ্রনাথের নজর এড়িয়ে যেত না। ছোটদের জলখাবার কিনে দেওয়ার জন্য ঈশ্বরকে প্রতিদিন পয়সা দেওয়া হত। সস্তাদরের খাবার ফরমাশ করলেই খুশি হত। বাড়তি পয়সা নিজের পকেটস্থ করত সে।