রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ বাটা খাওয়ার চল বহু পুরনো। তবে বাটাবাটির ঝক্কি এড়াতে সেই নিয়ম খানিক আলগা হয়ে গিয়েছিল। অতিমারির সময়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে আবার কাঁচা হলুদ খাওয়া শুরু করেছেন অনেকে। তবে এই সবের পাশাপাশি হলুদ খাওয়ার আরও একটি কারণ রয়েছে। ‘ফ্রন্টিয়ার ফার্মাকোলজি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, হলুদের মধ্যে ‘কারকিউমিন’ নামক এমন একটি উপাদান রয়েছে যা মেদ ঝরাতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করে।
 

হলুদে কী কী আছে?

 

বিপাকহার বাড়ে

শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বিপাকহারের মান খারাপ হতে শুরু হয়। এর ফলে বিপাকহারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সমস্যাগুলি প্রকট হতে শুরু করে। এ নিয়ে ‘সায়েন্টিকা ফার্মাসিউটিকা’ জার্নালে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, হলুদে থাকা ‘কারকিউমিন’ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাই এই ধরনের সমস্যা এড়াতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাঁচা হলুদ সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬২: শ্রীমার দক্ষিণ ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৪: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গিরা শাক ও যদু পালং

 

ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি

শরীরে মেদের পরিমাণ বাড়ার একটি অন্যতম ‘ফ্যাক্টর’ হল ইনসুলিন হরমোন। আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ওজনের উপর তার প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ খেলে ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি অনেকটা ভালো হয়।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৯: ভারতের বিপ্লবী মেয়েরা এবং অন্তরে রবীন্দ্রনাথ

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫২: পুলক রাখিতে নারি (কেল)

 

প্রদাহজনিত সমস্যা কমে

প্রদাহজনিত সমস্যা থাকলে আমাদের বিপাকহার কমতে শুরু করে। তাই আমাদের ওজনও বেড়ে যেতে পারে। হলুদের মধ্যে থাকা ‘কারকিউমিন’ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই প্রদাহনাশ করতে হলুদের বড় ভূমিকা রয়েছে।

আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!, পর্ব-৪৬: দুবেজিকে নিয়ে ধৃতিমানের অনুমান সত্যি

 

রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে

হলুদে রয়েছে কারকিউমিন। প্রদাহ নাশক হিসাবে এই উপাদান যথেষ্ট কাজের। অ্যান্টিঅক্সিড্যআন্টে ভরপুর হলুদ রোগ প্রতিরোধ শক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে। হজমের গোলমাল থাকলেও রাতে খাবার খাওয়ার কিছু ক্ষণ পর হলুদ মেশানো দুধ খেতে পারেন।

আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮২: খটকা

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১০: মর্ত্যে আনিল ধ্রুবতারকারে ধ’রে

 

মশলা ছাড়া হলুদ আর কী কী ভাবে খাওয়া যায়?

হলুদ মূলত রান্নাতেই ব্যবহার করা হয়। তবে কেউ কেউ কাঁচা হলুদের গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। এমন ক্ষেত্রে এক চিমটে হলুদ এবং গোলমরিচ ঈষদুষ্ণ জলে মিশিয়ে নিয়ে খাওয়া যেতে পারে। আবার স্মুদিতেও এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যাবে।


Skip to content