রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪


মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়।

রবীন্দ্রনাথ বিয়ের ঘটকালিও করেছেন। হ্যাঁ, অবনীন্দ্রনাথের কন্যা করুণার বিয়ের ঘটকালি করেছিলেন কবি। ব্যস্ততার শেষ ছিল না কবির। গগনস্পর্শী সেই ব্যস্ততার মধ্যেও কার সঙ্গে কার বিয়ে দেওয়া যায়, সেকথা ভাবতে হয়েছে তাঁকে। আপতভাবে বিস্ময়কর, প্রশ্ন জাগতে পারে, এতদিকে কবি মন দিতেন কী করে!

রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রবলভাবে সামাজিক। স্বেচ্ছায় অনেক দায়দায়িত্বই নিজের কাঁধে নিতেন। হ্যাঁ, বিয়ের ঘটকালিও করেছেন। আকস্মিক ঘটনাচক্রে একবার নয়, একাধিকবার এ-কাজ তিনি করেছেন। স্বেচ্ছায়, স্বতঃস্ফুর্তভাবেই করতেন।‌ ঘটকালি শুধু নয়, প্রিয়জনের বিবাহ-উপলক্ষে আশীর্বাদী-পদ্যও লিখে দিতে হয়েছে তাঁকে। ভ্রাতুষ্পুত্রদের মধ্যে অবনীন্দ্রনাথকে তিনি অত্যন্ত স্নেহ করতেন। রবিকাকার প্রেরণাতেই অবনীন্দ্রনাথ ছোটদের জন্য কলম ধরেছিলেন। রং-তুলির সঙ্গে কালি-কলম চলেছে সমানতালে। অবনীন্দ্রনাথের চারকন্যা, উমা, করুণা, শোভা ও সুরূপা। করুণার সঙ্গে বিয়ে হয় মণিলালের। তাঁর আদি বাড়ি ছিল ঢাকার অদূরে, বিক্রমপুরে। পিতা অবিনাশচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়।

রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন পঞ্চাশও হয়নি। বেশ কয়েকজন তরুণ লেখক তাঁর অনুরাগী ও গুণগ্ৰাহী হয়ে উঠেছিলেন। মণিলাল ছিলেন তাঁদেরই একজন। গগনেন্দ্রনাথের কন্যা পূর্ণিমা দেবীর লেখা ‘ঠাকুরবাড়ির গগনঠাকুর’ বই থেকে জানা যায়, সেসময় করুণার জন্য ‘ভালো ছেলে’ খোঁজা হচ্ছে। শুধু ভালো ছেলে হলেই হবে না, ঘরজামাই থাকতেও রাজি হতে হবে। ঠাকুরবাড়িতে রেওয়াজ ছিল ঘরজামাই রাখার।

এই খোঁজাখুঁজির খবর জানতে পেরে রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছিলেন, তাঁর হাতে একটি ‘ভালো ছেলে’ আছে! কেমন ছেলে, কবি তা বিশদে বলেছেন, ‘বইটই লেখে। একটু ভাবুক‌ গোছের। বিয়ে দিলে সংসারী হবে।’

মণিলাল সরকারি চাকরি করতেন, সিমলায়। অবনীন্দ্রনাথের পরামর্শেই সব ছেড়েছুড়ে কলকাতায় চলে এসেছিলেন। শ্বশুরমশায় ব্যবস্থা করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত একটি প্রেস ‌ খোলা হল। চাকরি করে জামাইবাবাজি কী আর তেমন করতে পারবে! বরং ব্যবসা করুক, মনে হয়েছিল অবনীন্দ্রনাথের। সাহিত্যচর্চা চলবে, পাশাপাশি রোজগারপাতির কাজকর্ম। কী নাম হবে প্রেসের, রবীন্দ্রনাথই ঠিক করে দিলেন ‘কান্তিক প্রেস’। হঠাৎ এমন নাম কেন, সকলেরই চোখেমুখে জিজ্ঞাসা। রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘কান্তিক’ কথার অর্থ ‘লোহা’। ‘কান্তিক প্রেস’ মানে ‘লোহার যন্ত্র’।

কান্তিক প্রেস থেকে রবীন্দ্রনাথের অনেক বই-ই ছাপা হয়েছিল। এমনকী গীতাঞ্জলিও প্রথম এই প্রেস থেকে ছাপা হয়ে বেরিয়েছিল। মণিলাল নিজেও ছিলেন সুলেখক। ছোটদের জন্যই লিখেছেন বেশি। ‘জাপানি ফানুস’, ‘খেয়ালের খসরৎ’ ‘ঝুমঝুমি’, ‘কল্পকথা’ — এমন বেশ কয়েকটি বই লিখেছিলেন মণিলাল। ভূতের গল্পে তিনি অনবদ্য। তাঁর ‘কায়াহীনের কাহিনী’ পড়লে এই একুশ শতকেও ভয়ে কুঁকড়ে যেতে হয়! বড়দের জন্যও লিখেছেন কিছু। সম্পাদনা করেছেন ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘ভারতী’ পত্রিকা। শুধু কি লেখা, নাট্যনির্দেশক হিসেবেও তাঁর খ্যাতি ছিল। শিশিরকুমার ভাদুড়ির ‘সীতা’ নাটকের নৃত্য পরিকল্পনাও তিনি করেছিলেন।

অতীব সুদর্শন, শুধু রূপবান নন, মণিলাল ছিলেন প্রকৃত গুণবান। নানা দিকে ছিল তাঁর অভাবনীয় পারদর্শিতা। দুঃখের বিষয়, তিনি দীর্ঘজীবী হননি। অকালে অসময়ে মাত্র ৪১ বছর বয়সে নিউমোনিয়ায় প্রয়াত হয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ যে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মণিলালকে, তা নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। স্নেহের পাত্র মণিলাল স্নেহময় রবীন্দ্রনাথের মধ্যে এক অদ্ভুতুড়ে নেশা ধরিয়ে দিয়েছিলেন। সে-নেশা প্ল্যানচেটের। অবনীন্দ্রনাথের পৌত্র সুমিতেন্দ্রনাথের অনুমান, প্ল্যানচেট সম্পর্কে ‘কর্তাবাবা’ মানে রবীন্দ্রনাথের আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল মণিলালের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার পর। তিনি মনে করতেন, ‘মেজপিসেমশায়’ মণিলালই ছিলেন ‘কর্তাবাবা’র অনুপ্রেরণা।’

সুমিতেন্দ্রনাথের লেখা থেকে জানা যায়, অবনীন্দ্রনাথের স্ত্রী সুহাসিনী ও মেয়ে-জামাই সক্কলে যোগ দিতেন মণিলালের প্ল্যানচেটের আসরে। চার ফুটের তেপায়া টেবিল। টেবিলের উপর হাতের আঙুলের ডগা ছুঁয়ে যেত। এক আশ্চর্য কৌশলে ডাকা হত, কোনও বিদেহী আত্মাকে। মণিলালের মেজপিসি ভালো ‘মিডিয়াম’ হতে পারতেন। তাঁর মাধ্যমে কাগজে-পেনসিলে ফুটে উঠত নানা প্রশ্নের জবাব। কেউ কেউ নাকি ‘আত্মার প্রতিচ্ছবি’ও দেখতে পেতেন। অবনীন্দ্রনাথ যে এসব বিশ্বাস করতেন, তা নয়। অবিশ্বাস নিয়েই প্ল্যানচেটের আসরে তিনিও নিয়মিত যোগ দিতেন।

জোড়াসাঁকোর পাঁচ নম্বর বাড়িতে বসত মণিলালের প্ল্যানচেটের আসর। এই আসরে যেমন অনেক মজাদার ঘটনা ঘটত, তেমনই ঘটত বুদ্ধি দিয়ে ব্যাখ্যা মেলে না, এমন সব অদ্ভুতুড়ে ঘটনা।‌ সুমিতেন্দ্রনাথের লেখায় আছে, তাঁর ‘মেজপিসি’ আঙুল ছুঁয়ে থাকা তেপায়া ঠকঠক করে পুরো দোতলা ঘরের সিঁড়ি দিয়ে তেতলায় উঠে এ-ঘর ও-ঘর ঘুরে শেষে খুঁজে দিয়েছিলেন ‘দিদিমণি’র চাবির গোছা।

প্ল্যানচেটের আগ্রহ সকলের মনে এতই তীব্র ছিল যে তেপায়াটা টক্কর খেতে খেতে একসময় বেশ নড়বড়ে ও পুরোনো হয়ে পড়ে! বাইরের ঘরে তা রাখা থাকত। সুমিতেন্দ্রনাথ খানিক কৌতুক মিশিয়ে জানিয়েছেন, ‘শেষের দিকে বিদেহীদের ক্রমান্বয়ে আসা যাওয়ায় তা এমন হয়ে পড়েছিল যে ওই তেপায়াটা থেকে আত্মারা আর যেতে চাইতো না।’ শেষে তেপায়াটা নিয়ে এমন সব প্রচার হল, বুদ্ধি দিয়ে যার ব্যাখ্যা মেলে না। রাতদুপুরে নাকি বাড়ির ভেতর থেকে তেপায়াটার ঘুরে বেড়ানোর শব্দ পাওয়া যেত। অনেকেই শুনেছিল, ভয়ও পেয়েছিল। শেষে তেপায়াটার স্থান হয়েছিল বাড়ির আঁস্তাকুড়ে, পুরনো জিনিসপত্র ও ভাঙাচোরা আসবাব যে ঘরে জমা থাকত, সে ঘরে।‌ সুমিতেন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘তেপায়াটার স্থানান্তরের পর আস্তে আস্তে প্ল্যানচেট করার আগ্রহ আমাদের পরিবার থেকে বিদায় নেয়।’

অবনীন্দ্রনাথের পরিবারে প্ল্যানচেটচর্চা থেমে গেলেও রবীন্দ্রনাথ আরও বেশি করে মনোনিবেশ করেছিলেন। জোড়াসাঁকোর লালবাড়িতে বসত প্ল্যানচেটের আসর। সাতাশ বছরের ছোট মণিলাল রবীন্দ্রনাথের মনে প্ল্যানচেট ঘিরে যে বাড়তি আগ্রহ-কৌতূহল জাগিয়ে তুলেছিলেন, তা সহসা নির্বাপিত হয়নি। পরলোকচর্চা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের আগ্রহ কমেনি, বরং দিনে দিনে বেড়েছে। মণিলাল কবির মনে আগ্রহ বাড়িয়ে তুললেও প্ল্যানচেট নিয়ে চর্চা ঠাকুরবাড়িতে ঢের আগে শুরু হয়েছিল। পরিবারের অনেকেই পরলোকচর্চা নিয়ে মাথা ঘামাতেন। আত্মাকে আনতে তাঁদের তেমন বেগ পেতে হত না। তাঁদের কথায় নিশ্চিতভাবে অতিরঞ্জন ছিল, তা সত্ত্বেও বলতে হয়, চর্চার এই ধারাটি দীর্ঘদিন ধরেই ঠাকুরবাড়িতে অব্যাহত ছিল।
রবীন্দ্রনাথ তখন ছোট। সে সময় বাড়ির বড়রা ঠাকুরবাড়ির খাজাঞ্চি কৈলাস মুখুজ্জেকে প্ল্যানচেটে ধরেন। মুখুজ্জেমশায় যথেষ্ট রসিক ব্যক্তি ছিলেন। মরণোত্তরকালেও সেই রসিকতায় ভাটা পড়েনি। রবীন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি’ থেকে জানা যায়, তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল তিনি যেখানে আছেন, সেই পরলোক জায়গাটা কেমন! উত্তরে কৈলাস মুখুজ্জে বলেছিলেন, মরে গিয়ে অতি কষ্টে তিনি যা জেনেছেন, প্রশ্নকর্তারা না মরে তা জেনে নেবেন, সেটি হবে না!

রবীন্দ্রনাথ প্ল্যানচেটে কাদম্বরী দেবীর সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছেন। মৃণালিনী দেবীকে প্রয়োজন পড়লেই প্ল্যানচেটে আনতেন, তাঁর‌ সঙ্গে পরামর্শ করতেন। মৃণালিনী দেবীর শতবর্ষে তাঁর সম্পর্কে ‘বিশ্বভারতী’ পত্রিকায় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ভগ্নী ঊর্মিলা দেবী একটি স্মৃতিচর্চা লিখেছিলেন, সে লেখায় রবীন্দ্রনাথের জবানিতে মৃণালিনী-সম্পর্কে আছে, ‘মানুষ মরে গেলেই যে একেবারে হারিয়ে যায়, জীবিত প্রিয়জনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সে কথা আমি বিশ্বাস করি না। তিনি এতদিন আমাকে ছেড়ে গেছেন কিন্তু যখনই আমি কোনো একটা সমস্যায় পড়ি, যেটা একা মীমাংসা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, তখনই আমি তার সান্নিধ্য অনুভব করি। শুধু তাই নয়, তিনি যেন এসে আমার সমস্যা সমাধান করে দেন।’

প্ল্যানচেট করার নেশা সত্যিই পেয়ে বসেছিল রবীন্দ্রনাথকে! কতজনকে তিনি ধরেছেন প্ল্যানচেটে। মাধুরীলতা, শমীন্দ্রনাথ, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ, হিতেন্দ্রনাথ, বলেন্দ্রনাথ, মোহিতচন্দ্র সেন, সন্তোষচন্দ্র মজুমদার, সতীশ রায়, অজিত চক্রবর্তী, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, সুকুমার রায়, লোকেন পালিত—এমন অনেক প্রিয়জনকে তিনি প্ল্যানচেটে এনেছেন, তাঁদের আলাপচারিতার কিছু কিছু লিখিত বিবরণ শান্তিনিকেতনের আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। সুমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘কর্তাবাবা’ রবীন্দ্রনাথের এই প্ল্যানচেট-আসক্তিকে ‘বাতিক’ বলেছেন। রবীন্দ্রনাথ সত্যিই কি এসব বিশ্বাস করতেন, নাকি নিতান্তই মজা করে এসব বলেছেন, করেছেন ও লিখেছেন, সে প্রশ্ন তো রয়ে যায়! কখনও কখনও তাঁর কথাবার্তায় মনে হয়েছে ,তিনি বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে ভুগতেন। অনায়াসে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন, তা নয়। জীবনের ‌ শেষবেলায় মৈত্রেয়ী দেবীর আবাসভূমি মংপুতে কিছুকাল ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ‘মংপুতে রবীন্দ্রনাথ’ বইতে কবির পাহাড়-বাসের সেই স্মৃতি ধরা আছে। রবীন্দ্রনাথ মৈত্রেয়ীকে বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে কত কিছু তুমি জানো না, তাই বলেই সে সব নেই? কতটুকু জানো? জানাটা এইটুকু, না-জানাটাই অসীম — সেই এতটুকুর উপর নির্ভর ক’রে চোখ বন্ধ ক’রে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া চলে না। আর তাছাড়া এত লোক দল বেঁধে ক্রমাগত মিছে কথা বলে, এ আমি মনে করতে পারিনে। তবে অনেক গোলমাল হয় বৈকি! কিন্তু যে বিষয়ে প্রমাণও আর করা যায় না, অপ্রমাণও করা যায় না, সে সম্বন্ধে মন খোলা রাখাই উচিত। যে কোন এক দিকে ঝুঁকে পড়াটা গোঁড়ামি।’
না, রবীন্দ্রনাথ ‘গোঁড়ামি’ দেখাননি। বুদ্ধি দিয়ে, বিজ্ঞান দিয়ে এসবের ব্যাখ্যা করা যায় না। তাই অনেকের মতোই রবীন্দ্রনাথের একান্ত সচিব কবি অমিয় চক্রবর্তীরও মনে হয়েছিল, এসব ‘মহাপৌরুষের ছেলেমানুষী’।

প্ল্যানচেটচর্চা ছেলেবেলাতেই দেখছেন রবীন্দ্রনাথ। সেই চর্চায় ভীতি মিশ্রিত আমোদ ছিল। সন্দেহ নেই যে রবীন্দ্রনাথ তা উপভোগ করতেন। এই প্ল্যানচেট নিয়ে সমকাল রবীন্দ্রনাথের স্নেহভাজনও কেউ কেউ সন্দিগ্ধ হয়ে উঠেছিলেন, আমরাও সন্দিগ্ধচিত্তেই এসব দেখতে চাই। ভাবতে ভালো লাগে, কবির প্ল্যানচেট-আগ্রহ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন নাতজামাই মণিলাল। আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল বলেই কবির ঝোলায় এতগুলি প্ল্যানচেট-আখ্যান জমা হয়েছিল! মণিলাল আগ্রহ জাগাতে, বাড়াতে পেরেছিলেন বলেই আমাদের এই প্রাপ্তিযোগ! কবির কাছ থেকে এও তো আমাদের কম পাওয়া নয়!

ছবি: লেখক

* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (tagore-stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।

 


Skip to content