ছবি: প্রতীকী।
কলকাতার আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ঝড়বৃষ্টি শুরু হতে পারে, বৃষ্টি চলতে পারে দু’ থেকে তিন ঘণ্টা। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে। আবহাওয়া দফতর বৃষ্টির সময় শহরবাসীকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। তবে শুধু কলকাতা নয়, আগামী কয়েক ঘণ্টায় হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তীব্র গরম আবহাওয়া ছিল। একেবারে হাঁসফাঁস অবস্থা। মুর্শিদাবাদে ছিল সব থেকে বেশি তাপমাত্রা। এই জেলায় শনিবার তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছলে গিয়েছিল। পানাগড় এবং বাঁকুড়ার পারদ উঠেছিল ৪১ ডিগ্রি। আসানসোল, বোলপুর, ব্যারাকপুর, পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৯৮: মাছচাষে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা প্রয়োজন
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫৭: সাধারণের প্রতি পাণ্ডবদের কৃতজ্ঞতার প্রকাশ কোন মহাভারতীয় শিক্ষা?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার কলকাতার আলিপুরে দিনের পারদ ছিল ৩৭.৪ ডিগ্রি। অর্থাৎ স্বাভাবিকের থেকে ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেশি। দমদমের তাপমাত্রার পারদ ছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি। অর্থাৎ স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। হাওড়ায় শনিবার দুপুরে তাপমাত্রার পারদ ছিল ৩৭ ডিগ্রি।
আরও পড়ুন:
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৮: মোহিতকুমারী এক মহিলা আত্মজীবনীকার
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪০: মা সারদার নিজবাটি
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস ছিল, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় কালবৈশাখীর জেরে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে। এই জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে থাকতে পারে। কালবৈশাখী হতে পারে দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া এবং দুই বর্ধমানে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির জেরে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমতে পারে। ফলে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের মানুষ সাময়িক ভাবে দহনজ্বালা থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন।