শনিবার ১ মার্চ, ২০২৫


সুদীর্ঘকাল আগে লেখা ‘রাজর্ষি’র বক্তব্য যেন আজ আরও প্রাসঙ্গিক। ‘রাজর্ষি’র জন্য রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরার রাজার কাছে ঐতিহাসিক উপাদান চেয়েছিলেন। রাজা তা পাঠিয়েওছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিষয়টি পর্যালোচনা করে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরার ইতিহাস সম্পর্কে মোটামুটি ওয়াকিবহাল ছিলেন রাজার সঙ্গে পত্র যোগাযোগের আগেই। রবীন্দ্রনাথ বীরচন্দ্রকে চিঠি দেওয়ার আগেই ১২৯২ বঙ্গাব্দে ‘বালক’-এ ‘রাজর্ষি’র ২৬টি অধ্যায় প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল। এই অধ্যায় গুলোর মধ্যেই রয়েছে গোবিন্দ মাণিক্যের বিরুদ্ধে পুরোহিতের চক্রান্ত,চন্তাই, ভুবনেশ্বরী মন্দির,ভুবনেশ্বরী পূজার চোদ্দ দিন পর গভীর রাত্রে চতুর্দ্দশ দেবতার পূজার সময় একদিন দুই রাত্রি কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারে না-এই সব। কিছু কিছু বিচ্যুতি থাকলেও মোটামুটি ত্রিপুরা সম্পর্কে কিছু না জানলে এ সব লেখা সম্ভব ছিল কি? আসলে ভুবনেশ্বরী নয়,চতুর্দ্দশ দেবতার পুজো অর্থাৎ খার্চির চোদ্দ দিন পর হয় কের। কের পূজার চৌহদ্দির মধ্যে থাকে নিষেধাজ্ঞা। আজও, সীমিত পরিসরে হলেও, এই নিয়ম চলে আসছে।
‘রাজর্ষি’তে বর্ণিত ভুবনেশ্বরী মন্দিরই কি চতুর্দ্দশ দেবতার মন্দির? না কি ত্রিপুরেশ্বরী? গোবিন্দ মাণিক্যের রাজত্বকালে চতুর্দ্দশ দেবতার মন্দির উদয়পুরেই ছিল। উদয়পুরের প্রাচীন মন্দির সমূহের শিলালিপি বিশ্লেষণ করে গবেষকগণ কোনও মন্দিরকেই ভুবনেশ্বরী মন্দির হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেননি। উদয়পুরে গোমতীর তীরে ভগ্ন রাজপ্রাসাদের পাশে যে মন্দিরটি ভুবনেশ্বরী মন্দির হিসেবে বর্তমানে পরিচিত এবং প্রচারিত-তা তো নয়ই! এই মন্দিরটির শিলালিপি সূত্রে জানা গিয়েছে, পিতৃদেবের স্বর্গ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে গোবিন্দ মাণিক্যের পুত্র রামদেব এটি নির্মাণ করিয়েছিলেন। তা হলে কি ভুবনেশ্বরী মন্দির আদৌ ছিল না? হয়তো ছিল কোনও কালে, হয়তো বা ছিল না। অবশ্য ‘রাজমালা’তে রয়েছে যে, ধন্য মাণিক্য (১৪৯০-১৫১০খ্রিঃ) এক মণ স্বর্ণ দ্বারা ভুবনেশ্বরী মূর্তি নির্মাণ করে তা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। উল্লেখ্য, ধন্য মাণিক্য রাজত্ব করেছিলেন গোবিন্দ মাণিক্যের প্রায় দেড়শো বছর আগে। যাই হোক, আজ আর ইতিহাসের ভুবনেশ্বরীর সন্ধান বড় কথা নয়। ‘রাজর্ষি’র আলোকেই আজ আমরা দেখছি ভুবনেশ্বরী মন্দিরকে।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮৯: বুলবুলি

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫০: কবিগুরু ‘রাজর্ষি’র জন্য বীরচন্দ্রের কাছে গোবিন্দ মাণিক্যের রাজত্বকালীন বিবরণ চেয়েছিলেন

‘বালক’-এ প্রকাশিত ২৬টি অধ্যায়ে আমরা যেন সেদিনকার ত্রিপুরার একটা ছবি পেয়ে যাই। আজকের ত্রিপুরার ছবি আঁকতে গেলেও সে সব প্রায় অপরিহার্য। যেমন ‘রাজর্ষি’র ৩য় পরিচ্ছেদে রয়েছে-“…পুরোহিতের নাম রঘুপতি। এ দেশে পুরোহিতকে চোন্তাই বলিয়া থাকে। ভুবনেশ্বরী পূজার চোদ্দ দিন পরে গভীর রাত্রে চতুর্দ্দশ দেবতার এক পূজা হয়। এই পূজার সময় একদিন দুই রাত্রি কেউ ঘরের বাহির হইতে পারে না, রাজাও না। রাজা যদি বাহির হন, তবে চোন্তাইয়ের নিকটে তাঁহাকে অর্থদণ্ড দিতে হয়। প্রবাদ আছে, এই পূজার রাত্রে মন্দিরে নরবলি হয়।এই পূজা-উপলক্ষে সর্ব প্রথম যে সকল পশু বলি হয় তাহা রাজবাড়ির দান বলিয়া গৃহীত হয়।…”

সংশ্লিষ্ট পুরোহিতকে এখনও চন্তাই বলা হয়। মহা সমারোহে আজও পুরাতন আগরতলায় চৌদ্দ দেবতার পূজা হয়। হয় পশুবলিও। খার্চির চৌদ্দ দিন পর হয় কের। কের পূজার সময় একটি নির্দিষ্ট সীমায় প্রবেশ ও চলাচলে আজও বিধিনিষেধ জারি হয়। ‘রাজর্ষি’র ৮ম পরিচ্ছেদে রয়েছে-গোমতী নদীর দক্ষিণ দিকের এক স্হানের পাড় অতিশয় উচ্চ। বর্ষার ধারা ও ছোট ছোট স্রোত এই উন্নত ভূমিকে নানা গুহাগহ্বরে বিভক্ত করিয়া ফেলিয়াছে। ইহা কিছু দূরে প্রায় অর্ধচন্দ্রাকারে বড় বড় শাল ও গাম্ভারী গাছে এই শতধাবিদীর্ণ ভূমিখণ্ডকে ঘিরিয়া রাখিয়াছে,কিন্তু মাঝখানের এই জমিটুকুর মধ্যে বড় গাছ একটিও নাই।…”— এই বর্ণনায় যেন ত্রিপুরার এক নিটোল ছবি ভেসে ওঠে চোখের সামনে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ গোমতী নদী দেখেননি। ‘বালক’-এ এই লেখা বের হবার সময় ত্রিপুরার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগই হয়নি। তবু নদী, নদীর পাড়, গাছ-গাছালি, ভূমির রূপ-এ সব কী ভাবে এল বর্ণনায়? রবীন্দ্রনাথ নিজেই বলেছেন এটি তাঁর স্বপ্নলব্ধ গল্প। এই স্বপ্নের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজা গোবিন্দ মাণিক্যের পুরাবৃত্ত মিশিয়ে ‘রাজর্ষি’ লিখতে শুরু করলেন ‘বালক’-এ। ‘বালক’-এ প্রকাশিত ‘রাজর্ষি’র প্রথম পরিচ্ছেদের প্রথম লাইনেই আছে ভুবনেশ্বরী মন্দির আর নদী গোমতীর নাম। দ্বিতীয় লাইনে ত্রিপুরার মহারাজা আর তৃতীয় লাইনে রাজার ভ্রাতা নক্ষত্ররায়ের নাম।বস্তুত স্বপ্নলব্ধ গল্প হলেও শুরু থেকেই যেন ইতিহাসের জানালাটা খুলে রাখা হয়েছিল এতে।
আরও পড়ুন:

ঈশ্বর কী সাড়া দেন তামিলে, সংস্কৃতে?

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০৪: খরগোশ ও কচ্ছপ

কিন্তু ইতিহাসের জন্য ত্রিপুরা কেন? সুদূর অতীত থেকেই ত্রিপুরার রাজপরিবারের ইতিহাসে ভ্রাতৃবিরোধ, ষড়যন্ত্র, দোর্দণ্ডপ্রতাপ পুরোহিত কিংবা সেনাপতিদের চক্রান্ত এ সব চলে আসছে। আবহমানকাল যাবৎ ত্রিপুরায় ছিল সহস্র নরবলির প্রথা। ধন্য মাণিক্য সেটা হ্রাস করেছিলেন,আর গোবিন্দ মাণিক্য নরবলির প্রথা রদ করে দিয়েছিলেন। ‘রাজর্ষি’ লেখার আগেই রবীন্দ্রনাথের সে সব জানা হয়ে গিয়েছিল। গোবিন্দ মাণিক্যের সিংহাসন লাভে তাঁর বৈমাত্রেয় ভাই নক্ষত্ররায় যে নিতান্ত অসন্তুষ্ট ছিলেন এটা ইতিহাস। নক্ষত্ররায়ের এই দুর্বল স্হানে আঘাত দিয়েই ‘রাজর্ষি’র রঘুপতি গোবিন্দ মাণিক্যকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিলেন। উপন্যাসের পঞ্চম পরিচ্ছেদে রয়েছে—
“… রঘুপতি কহিলেন, ‘সে কথা পরে হইবে। রাজা হইবার আগে কী করিতে ইবে সেটা শোনো আগে।মা রাজরক্ত দেখিতে চান,স্বপ্নে আমার প্রতি এই আদেশ হইয়াছে।’
নক্ষত্ররায় কহিলেন, ‘মা রাজরক্ত দেখিতে চান,স্বপ্নে আপনার প্রতি এই আদেশ হইয়াছে!এ তো বেশ কথা।’
রঘুপতি কহিলেন, ‘তোমাকে গোবিন্দ মাণিক্যের রক্ত আনিতে হইবে।’…”
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৮৬: এক সন্ধ্যায় মা সারদার বলা ভূতের গল্প

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৭: উত্তরণ-অবতরণ শেষে স্বপ্নের ‘সূর্যতোরণ’

যদিও স্বপ্নলব্ধ গল্প, তবু শুরু থেকেই যেন তাতে মিশে যায় ত্রিপুরার পুরাবৃত্ত। ত্রিপুরার ইতিহাসে নানা রাজার রাজত্বকালে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের কথা রয়েছে। ‘রাজর্ষি’তেও অনুসৃত হয়েছে সেই ভ্রাতৃদ্বন্দ্ব আর চক্রান্তের কথা। বলি বন্ধের ঘটনায় পুরোহিত তো রুষ্ট হবেনই! সে ক্ষেত্রে চক্রান্তের জন্য নিশ্চিত ভাবেই রাজার ভ্রাতাকেই তার দোসর করতে হবে! বস্তুত রবীন্দ্রনাথকে মহারাজা বীরচন্দ্র প্রেরিত গোবিন্দ মাণিক্যের রাজত্বকালীন ঐতিহাসিক উপাদানের চেয়ে আরও বেশি কিছু, তৎকালীন ত্রিপুরার এক নিবিড় ছবি যেন আমরা ‘রাজর্ষি’তে পাই।তাতে ছিল ত্রিপুরার জুম চাষ (শিফটিং কালটিভেশন) এবং সহজ সরল জুমিয়ার কথা, ছিল ইঁদুরের উপদ্রবে শস্য বিনষ্টের কথা ইত্যাদি। গোবিন্দ মাণিক্য যখন রাজধানী ত্যাগ করে চলে যান তখন তাঁর উদ্দেশ্যে নগরবাসীদের গালিগালাজের মধ্যেও জুম খেত থেকে আসা এক জুমিয়াই তাঁকে ভক্তিভরে প্রণাম করে।

উপন্যাসের ৩৭ পরিচ্ছেদে রয়েছে—”…গোবিন্দ মাণিক্য যে পথ দিয়া অশ্বারোহণে যাইতেছিলেন সে পথে কেহই তাঁহাকে সমাদর করা আবশ্যক বিবেচনা করিল না।দুই পার্শ্বের কুটীরবাসিনী রমণীরা তাঁহাকে শুনাইয়া শুনাইয়া গালি দিতে লাগিল…একজন জুমিয়া ক্ষেত্র হইতে আসিতেছিল, সে রাজাকে দেখিয়া ভক্তিভরে প্রণাম করিল।রাজার হৃদয় আদ্র হইয়া গেল।…” আশ্চর্য, আজকের দিনে ত্রিপুরার দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের সরল জুমিয়ার সঙ্গে যেন হুবহু মিলে যায় ‘রাজর্ষি’র জুমিয়া! ৩০ পরিচ্ছেদে রয়েছে—”এই বৎসরে ত্রিপুরায় এক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটিল। উত্তর হইতে সহসা পালে পালে ইঁদুর ত্রিপুরার শস্যক্ষেত্রে আসিয়া পড়িল। শস্য সমস্ত নষ্ট করিয়া ফেলিল,এমন কি, কৃষকের ঘরে শস্য যত কিছু সঞ্চিত ছিল তাহাও অধিকাংশই খাইয়া ফেলিল-রাজ্যে হাহাকার পড়িয়া গেল। দেখিতে দেখিতে দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইল।…”
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০২: ভরতের মতো একমুখী লক্ষ্যে এগিয়ে চলা কী সম্ভব?

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১১২: দারুণ এক গগনবিহারী খেলনা বানিয়েছিলেন গগনেন্দ্রনাথ

এখানে উল্লেখ করা যায় যে, শুধু ত্রিপুরা নয়,উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি রাজ্য সমূহে জুম খেতে কয়েক বছর পর পর ইঁদুরের উপদ্রব হয়, ঘটে শস্য হানি। ত্রিপুরার পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরামে ইঁদুরের উপদ্রবে শস্য বিনষ্টের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দশক আগে বিরাট দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। ‘রাজর্ষি’র ৩০ পরিচ্ছেদে আরও রয়েছে—” স্হানে স্হানে নদীর জল বাঁধিয়া তাহাতে মাদকলতা ফেলিয়া দিলে মাছেরা অবশ হইয়া ভাসিয়া উঠে; সেই সকল মাছ ধরিয়া লোকেরা খাইতে লাগিল এবং শুকাইয়া সঞ্চয় করিল। “—ত্রিপুরার জঙ্গলে এক রকম বিষলতা রয়েছে-যা জলে দিলে মাছ মরে ভেসে ওঠে।একসময় এ ভাবে নদীতে মাছ ধরা হত।৩৩ পরিচ্ছেদে যুদ্ধ প্রস্তুতির বর্ণনায় রয়েছে-“বড়ো বড়ো শিলাখণ্ডের দ্বারা গোমতী নদীর জল বাঁধিয়া রাখিলেন-নিতান্ত পরাভবের আশঙ্কা দেখিলে সেই বাঁধ ভাঙ্গিয়া দিয়া জলপ্লাবনের দ্বারা মোগল-সৈন্যদিগকে ভাসাইয়া দেওয়া যাইতে পারিবে।”

গোবিন্দ মাণিক্যের রাজত্বকালের অনেক অনেক কাল আগে ধন্য মাণিক্য এই পদ্ধতিতে জব্দ করেছিলেন বাংলার নবাব হুসেন শাহের সৈন্যদের। নদীতে বাঁধ দিয়ে জল আটকে আবার সেই বাঁধ ভেঙে দিয়ে জলস্রোতে শত্রু সৈন্যদের ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাহলে দেখা যাচ্ছে ত্রিপুরার ইতিহাসে যুদ্ধ বিজয়ের নানা ঘটনাও রবীন্দ্রনাথ সংগ্রহ করেছিলেন। ঐতিহাসিক উপাদানের পাশাপাশি ত্রিপুরার সেদিনকার জনজীবনের চিত্রও প্রতিফলিত হয়েছে ‘রাজর্ষি’তে।

ইতিহাসের গোবিন্দ মাণিক্য আক্ষরিক অর্থেই ঋষিতুল্য ছিলেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে।কিন্তু ‘রাজর্ষি’র গোবিন্দ মাণিক্য ধর্মে ও কর্মে ঋষিতুল্য ছিলেন। তিনি সহজেই ত্যাগ করতে পারেন সিংহাসন। নির্বাসনে গিয়েও তিনি শিক্ষার জন্য স্কুল খোলেন। আবার তিনিই বলেন—”রাজাকে বধ করিয়া রাজত্ব মেলে না ভাই, পৃথিবীকে বশ করিয়াই রাজা হইতে হয়।”—চলবে।
* ত্রিপুরা তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে পান্নালাল রায় এক সুপরিচিত নাম। ১৯৫৪ সালে ত্রিপুরার কৈলাসহরে জন্ম। প্রায় চার দশক যাবত তিনি নিয়মিত লেখালেখি করছেন। আগরতলা ও কলকাতার বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে ইতিমধ্যে তার ৪০টিরও বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের ইতিহাস ভিত্তিক তার বিভিন্ন গ্রন্থ মননশীল পাঠকদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও সে-সব উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। রাজন্য ত্রিপুরার ইতিহাস, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সম্পর্ক, লোকসংস্কৃতি বিষয়ক রচনা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সঞ্জাত ব্যতিক্রমী রচনা আবার কখনও স্থানীয় রাজনৈতিক ইতিহাস ইত্যাদি তাঁর গ্রন্থ সমূহের বিষয়বস্তু। সহজ সরল গদ্যে জটিল বিষয়ের উপস্থাপনই তাঁর কলমের বৈশিষ্ট্য।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content