বুধবার ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪


অলঙ্করণ: সৌমি দাসমণ্ডল।

ওরা সবাই ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিল। এখানে কালাপাহাড়ের পশ্চিম দিক থেকে একটা ছোট নদী বেরিয়ে দক্ষিণ দিক দিয়ে ঘুরে পাহাড়ের গা ঘেঁষে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। আরও অনেকটা পথে শীর্ণ ধারায় ছুটে চলে ঝাড়খণ্ডের মধ্যে ঢুকে সুবর্ণরেখায় গিয়ে মিশেছে। নদীর উৎসে পৌঁছনো সম্ভব না। এককালে পথ ছিল হয়তো, কিন্তু এখন ঝোপঝাড়, শাল, কুসুম, কাঁটা শিমূল আর বুনো কুলের দুর্ভেদ্য বলয় ঠেলে যাওয়াই মুশকিল। ওরা যে চেষ্টা করেনি, তা নয়। কিন্তু শেষে হতোদ্যম হয়ে আপাতত ঝর্ণার ধারে বসেই মদ খাওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে।

নদীটা পাহাড়ের মাথা থেকে বেরিয়ে একজায়গায় বড় পাথরের চাটানের উপর পড়ে কিছুটা দুরন্ত গতিতে কয়েক ফিট নীচে এসে পড়ছিল। সেখানে জলের ক্ষয়ে এখন পাথরের চাতাল মতো হয়ে গিয়েছে। শীতকালে, পুজোর ছুটিতে এ-সব জায়গা ট্যুরিস্ট পার্টির ভিড়ে গমগম করে। কেউ আসে পিকনিক করতে, কেউ আসে নিছক ভ্রমণবিলাসী বলে, কেউ আসে ব্লগ তৈরি করবে বলে। তবে জোড়ায় জোড়ায় যারা আসে, তারা তখন এই জায়গাটা এড়িয়ে চলে। কারণ, এখানে তখন নির্জনতা বড় কম। পিকনিকের মরসুমের পরে আশেপাশে পড়ে থাকে খালি চিপ্‌সের প্যাকেট, কমলালেবুর খোসা, অভুক্ত খাবারের অবশেষ, মুরগির হাড়, ছেঁড়া চপ্পল, শালপাতার থালা, থার্মোকলের পাত্র, সিগারেটের দগ্ধাবশেষ, আর অবশ্যই মদের বোতল, বিয়ারের ক্যান। বাঙালি পুরুষের সিগনেচার মার্ক এখন মদ্যপান। ওটা না করলে সোসাইটিতে কল্কে পাওয়া যায় না। মজার ব্যাপার, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে এ-ব্যাপারে মোটের উপর বেশিরভাগেরই পক্ষপাত আছে। তার উপর আবার কোথাও ঘুরতে গিয়ে হোটেলে কিংবা কোন একটা জায়গায় জড়ো হয়ে বসে বসে মদ খাওয়ার ব্যাপারটায় একটু অ্যারিস্টোক্রেসি আছে বলে, পয়সাওলা বাঙালি ঘরে মদ খায় না। ও খায় পাতি বাঙালিরা। পাহাড়ে কিংবা সমুদ্রে, এমনকি হাজার মেইল দূরে গিয়ে মদ না খেলে শিক্ষিত-অভিজাত বাঙালির জাত থাকে না। ওরা ক’জনও তেমনই বাঙালি।
ওরা ক’জন মানে অনিল, অরণ্য, আর্য, অঞ্জন, তৃধা আর উন্মেষা। এই কালাপাহাড়ের ঝর্ণার ধারে ওরা এসেছিল দিনটাকে নিজেদের মতো এনজয় করবে বলে। তাদের মধ্যে অঞ্জন বাদ দিয়ে বাকি পাঁচজনই কলকাতার এক নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ব্যাচের বন্ধু। বেশ কয়েকবছর ওরা পাশ করে কেউ চাকরি, কেউ ব্যবসা, কেউ সংসার ইত্যাদি করেছে। আপাতত ফেসবুকে নিজেদের গ্রুপের সূত্রে ওরা আবার একজায়গায় হয়েছে। পুরানো স্মৃতি রোমন্থন, হালকা ‘ইশ্‌ক’, আর দেদার মদ আর ফূর্তি। কাল রাতে এসেছে ওরা। আজ গোটা দিন আনন্দ করে কাল সন্ধ্যার দিকে আবার ফিরে যাবে যে-যার জায়গায়।

এদের মধ্যে অনিল একটি মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানির হাওড়া ব্রাঞ্চের এরিয়া ম্যানেজার। সেই খুঁজেপেতে এই স্পটটা বার করেছে। আনুষঙ্গিক ব্যবস্থাপনা করেছে সেই-ই। এই যে খানিক দূরে কয়েক টুকরো পাথর সাজিয়ে আগুন জ্বেলে তার উপর শিকে গাঁথা মুরগি ঝলসানো হচ্ছে, সে-ও তারই ব্যবস্থাপনা। সে বিয়ে-থা করেনি। তার একটা ব্যর্থ প্রেমের তিক্ত স্মৃতি আছে, যা এখনও সে ভুলতে পারেনি। ফলে, একাকী জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার একটাই লক্ষ্য এখন, পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে মাঝেমাঝে মিলিত হয়ে আনন্দ-ফূর্তি করা। এই আজ যারা এসেছে, তারা ছাড়া আরও অনেকের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। আছে আলাদা আলাদা গ্রুপও। তাদের অনেকের সঙ্গেই সে ছোটখাট ট্যুরের ব্যবস্থা করে মাঝেমধ্যেই। আজ যেমন এদের সঙ্গে করেছে।
অরণ্য চাকরি করে না। সে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেরিয়ে কিছুদিন একটা মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানিতে যাতায়াত করেছিল, কিন্তু ওই পর্যন্তই। সেখানে তার মন বসেনি। আপাতত সে একটা জিম অ্যান্ড স্পা খুলে সেটাই দেখভাল করে। কলেজ লাইফ থেকেই সে বলতে গেলে জিম অ্যাডিক্টেড। তার সুঠাম দেহ, সিক্স প্যাক অ্যাব দেখলে সকলেই তার দিকে ফিরে তাকায়। কিছু খুচরো মডেলিং করেছে, ইচ্ছে থাকলেও অভিনয়টা পারে না বলেই সে ফিল্মলাইনে যোগাযোগ করেনি। তবে ইনস্টাতে রিল বানিয়ে সে বেশ ভালোই ইনকাম করে। তার উপর আছে প্রোডাক্ট অ্যাডের কাজ। সে তার শরীর নিয়ে সচেতন। খানিকক্ষণ আগেও ছোট্ট সর্টস পরে উদোম হয়ে সে ঝর্ণার জলে দাঁড়িয়ে রিল বানাচ্ছিল। ক্যামেরাবন্দি করছিল আর্য। তৃধার সঙ্গে অরণ্যর একটা সম্পর্ক আছে। যদিও তা প্রাতিষ্ঠানিক না। তৃধার বর মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। সে বছরের বেশিরভাগ সময় ভাসমান অবস্থায় এ-দেশ, সে-দেশের বন্দরে বন্দরে কাটায়। ফলে সেই সময়টুকু তার শরীর-মনের যাবতীয় দায়িত্ব দেখভাল করে অরণ্য। তৃধা কিছুক্ষণ আগেও উপভোগ করছিল স্নানদৃশ্য। অরণ্য তাকে ডেকেওছিল। যদিও তার রিল থাকত না। কিন্তু তৃধা যায়নি। একে তো সে কোন উপযুক্ত স্নানপোশাক নিয়ে আসেনি, তার উপর উন্মেষাকে সে বিশ্বাস করে না। মেয়েটার মুখ আর মন যেন আলাদা বলে তার মনে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মেয়েটি তাদের সঙ্গে সামান্যই কথা বলত। পরে তাদেরই বন্ধু হিরণ্ময়ের সঙ্গে বিবাহ হয় তার। সকলে চমকে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১: একটি ক্লান্তিকর বাসযাত্রা এবং…

হেলদি ডায়েট: ডার্ক চকোলেট হার্টের অসুখ-সহ নানা রোগের দাওয়াই, কতটা খাবেন, কেন?

উন্মেষা, যাকে বলে ডানা কাটা পরী। রূপের দেমাকে তার মাটিতে পা পড়ত না। আর হিরণ্ময় সেখানে নেহাতই বাঁকুড়া থেকে পড়তে যাওয়া হোস্টেলে থাকা সাধারণ চেহারার একটি ছেলে। তাদের মধ্যে যে কীভাবে এবং কেমন করে প্রেম হয়েছিল, কেউ জানে না। বিয়ে করেছিল বাকিদের প্রায় লুকিয়েই। যেন, তাদের বিয়ের খবর বন্ধুরা জানতে পারলে বাগড়া দেবে। তারপর বিয়ের বেশ কিছুদিন বাদে তারা বন্ধুদের জন্য যে পার্টি থ্রো করেছিল, সেখানেই সবাই জেনেছিল, চার বছরের কোর্টশিপের পরে তাদের এই বিয়ের সিদ্ধান্ত। সুখেই ঘরসংসার চলছিল তাদের, তারপরেই উন্মেষার জীবনে এল সেই ভয়াবহ দিন। অফিসের কাজে পেনসেলভেনিয়ায় গিয়েছিল হিরণ্ময়। সেখান থেকে ফেরার সময় প্লেন ক্র্যাশ করে বাকি সকলের সঙ্গে সে-ও মারা যায়। সকলে ভেবেছিল, উন্মেষা হয়ত পাগল হয়ে যাবে। কিন্তু না, উন্মেষা আশ্চর্য শান্ত হয়ে গিয়েছিল। সে নিজেও একটা চাকরি করত। তার সঙ্গে একটা এনজিও-র সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারা অনাথ শিশুদের নিয়ে কাজ করে। সেখানে নিজের অবসর সময়টা উজাড় করে দিয়েছিল উন্মেষা। বছর দু’য়েক এমনি চলছিল। তারপর তার জীবনে এল অঞ্জন সাক্সেনা। অঞ্জনের কোম্পানিতেই উন্মেষা চাকরি করে। খানিকটা দূরে একটা হুডখোলা জিপ আর একটা লেটেস্ট ফ্যাশানের বাইক দাঁড় করানো আছে। এই বাইকটা অঞ্জনের। বাকিরা সকলে ট্রেনে করে এখানে এসে জিপে করে স্পটে এলেও, উন্মেষা এসেছে তার ফিঁয়াসের বাইকে। অঞ্জন এই মুহূর্তে জিপের মধ্যে থেকে খাবারদাবারের ক্রেট, হুইস্কির বোতল নামাতে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন:

শিশুকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন? কী কী ওষুধ সঙ্গে রাখবেন? রইল পরামর্শ

হোমিওপ্যাথি: খেয়ালি ঋতুর ফাঁদে সর্দি-কাশি-জ্বর? সুস্থ থাকতে এগুলি মেনে চলুন

অঞ্জনের বয়স বছর পঁয়ত্রিশ। তাদের চেয়ে বেশ কয়েক বছরের বড়। যদিও অঞ্জনও জিম করে, তাছাড়া তার চেহারার মধ্যে আলগা চটক আছে, ফলে তাকে দেখতে বছর পঁচিশের বলে মনে হয়। মুখে চাপদাড়ি। চেইন স্মোকার, ক্যামেরা-অন্ত প্রাণ। শহরের নাইট ক্লাবগুলিতে নিত্য যাতায়াত আছে, পারফেক্ট পার্টিম্যান বলতে যা বোঝায় সে একেবারে তাই। বাড়িতে বউ আছে, তবে শোনা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি বউকে ডিভোর্স দিয়ে উন্মেষাকে বিয়ে করবে অঞ্জন। যদিও তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু সার্কেলের মধ্যে সে পড়ে না। তবুও তাকে সবাই নিজেদের দলের একজন বলে মেনে নিয়েছে উন্মেষার খাতিরে। তাছাড়া আর একটা কারণ আছে, এই সফরের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করছে অঞ্জনই। এ নিয়ে উন্মেষার মধ্যে চাপা অহংকার নেই, তা নয়।

উন্মেষা পরে আছে একটা লাল কালো কম্বিনেশনের শাড়ি। মেদহীন ছিপছিপে দেহ। সুডৌল স্তন, বিভাজিকা শাড়ির অপ্রশস্ত আঁচলের আওতার বাইরে দৃশ্যমান। কিছু আগেই অঞ্জনের সঙ্গে জঙ্গলের গাছের আড়ালে হারিয়ে গিয়েছিল তারা দু’জন। যদিও এ-নিয়ে কারও মনে কোনও শুচিবায় নেই। সকলেই অ্যাডাল্ট এবং স্বাধীন। উন্মেষার মা ছাড়া কেউ নেই। তিনিও অসুস্থ এবং মেয়ের উপর নির্ভরশীল বলে মেয়ের কোনও ব্যাপারে নাক গলান না। তাছাড়া অঞ্জনের মতো একজন শাঁসালো জামাই পাবেন, অতএব তার আগে তারা দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিক-প্রেমিকা কী করছে, তা নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই।
আরও পড়ুন:

চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-৭: কুডার ছুঁয়ে শিরপুর

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫১: বিয়েশাদির ঠাকুরবাড়ি

এদের মধ্যে আর্য একটু বেমানান। সে কার্যত কিছুই করে না। বনেদি বাড়ির একমাত্র সন্তান। বাবা ছিলেন অধ্যাপক। মারা গিয়েছেন। মা একটি স্কুলে পড়ান। ওকে উদরের চিন্তা করতে হয় না। ব্যাংক-ব্যালেন্স আহামরি না হলেও একজনের হেসেখেলে চলে যায়। দু-একটা চাকরির পরীক্ষা দিয়েছিল। হয়নি। তারপর লেখালেখির দিকে ঝুঁকেছে। কলেজ লাইফেই একখানা লিটল ম্যাগাজিন বের করতো। এখনো নানা জায়গায় কবিতা, ফিচার লেখে। বর্তমানে একটি নিউজ পেপারের সঙ্গে ফ্রি-ল্যান্স হিসাবে যুক্ত। কবিতা লেখে, কবি হিসেবে কিছু নামও হয়েছে। খান-দুই কবিতার বই কলকাতার বড় প্রকাশনা-হাউস থেকে বেরিয়েছে। কিন্তু অনিলের ভাষায়, ওই বেরনোই সার, সে সব না কি আর্য আর গুটিকয় বাপে-তাড়ানো মায়ে-খেদানো উন্মাদ ছাড়া আর কেউ তেমন পড়ে না। প্রথম প্রথম আর্য এ-সব কথা শুনলে রাগ করত, আজকাল আর করে না। বরং ‘গাঁধিগিরি’ করে যে-যা বলে শুনে নেয়। এখানে তাকে নিয়ে আসার ব্যাপারে অনিল, অরণ্য কিংবা তৃধার তেমন গরজ ছিল না। কিন্তু আশ্চর্য হল এই যে, উন্মেষা গ্রুপে এই নিয়ে আলোচনা চলার সময় আর্যর পক্ষে রীতিমতো সওয়াল-জবাব করেছে। আর্য না কি পারফেক্ট জেন্টলম্যান, কোনও অহংবোধ নেই বলে যে-কারও, যে-কোন প্রয়োজনে সে নির্দ্বিধায় সাহায্য করে। আর্য থাকলে মেয়ে হিসেবে সে একটু আশ্বস্ত হয়। তার কথা শুনে অরণ্য চ্যাট-ওয়ালে লিখেছিল—“ব্রো, তুই কি অঞ্জনকে ছেড়ে আর্যর প্রেমে পড়লি না কি?”
আরও পড়ুন:

কিম্ভূতকাণ্ড, পর্ব-৫: জ্বলন্ত দুটো চোখ, শরীর ভাসছে অন্ধকারে, ঠোঁটের দু’পাশে রক্তাক্ত বড় দুটো দাঁত…

বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৭: হয় বলো ভালোবাসি, নয় তো ভালোবাসি না!

তৃধা শুনে স্মাইলি দিয়েছিল। অনিল মজা করেছিল, “সুন্দরী মেয়েরা কবি দেখলেই কেন যে টপাটপ প্রেমে পড়ে যায়। তাও যদি রিয়্যাল কবি হতো ! আর্য তো কবি না, কপিবর!”
“শাট আপ”, গর্জে উঠেছিল উন্মেষা, “আর্যর মতো আমরা কেউ প্রতিভাধর নই, নিজেদের লেখাপড়ার বাইরে আর কী পারি আমরা? কেবল পিএনপিসি করা ছাড়া? আর্য নিতান্ত ভদ্র ছেলে বলে, শান্ত ছেলে বলে আমাদের ক্ষমা করে দেয়। আর কেউ হলে আমাদের মতো ‘গুড ফর নাথিং’দের সঙ্গে টাচে থাকা তো দূর, কথাই বলত না! আর্য, প্লিজ এদের কথা শুনে রাগ করে আবার বেঁকে বসিস না। তোকে যেতে হবে আমাদের সঙ্গে, প্লিজ, যাবি কিন্তু ফর মি!”—চলবে
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel) – পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ

Skip to content