বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

দক্ষিণবঙ্গের উপরে এখনও নিম্নচাপের ভ্রুকুটি রয়েছে। আরও কিছু দিন বর্ষণ চলতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। তবে এখন বাংলার পশ্চিমাংশের দু’ একটি জেলা ছাড়া অন্য কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবের জেরে সোমবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে, গাঙ্গেয় পশ্চিবঙ্গের উপরে থাকা নিম্নচাপ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়েছে। এখনও তা গভীর নিম্নচাপ রূপেই রয়েছে। নিম্নচাপ গত ছ’ঘণ্টায় প্রতি ঘণ্টা তিন কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৫: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— নোনা শাক ও নোনা ঝাঁজি

মুভি রিভিউ: ‘বাবলি’ স্বর্ণযুগের বাংলা ছবির মতো রোম্যান্সে ভরপুর

এখন নিম্নচাপ বাঁকুড়া থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ, জামশেদপুর থেকে ৯০ কিলোমিটার পূর্ব এবং রাঁচী থেকে ১৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে। হাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই গভীর নিম্নচাপ আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে শক্তি হারিয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে। নিম্নচাপ ক্রমশ সরবে আরও পশ্চিম দিকে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নিম্নচাপ পৌঁছে যাবে ঝাড়খণ্ড এবং উত্তর ছত্তীসগঢ় সংলগ্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৯: ভারতের বিপ্লবী মেয়েরা এবং অন্তরে রবীন্দ্রনাথ

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫২: পুলক রাখিতে নারি (কেল)

নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় জেলাগুলিতেই শুক্রবার থেকে বর্ষণ চলছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে এখনই আর ভারী বৃষ্টি হবে না। যদিও সারা সপ্তাহ জুড়েই বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলতে পারে। সোমবার পশ্চিমের দু’টি জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায়। বাকি জেলাগুলিতে আবহাওয়া নিয়ে কোনও সতর্কতা জারি করেনি আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬৩: বেলুড়মঠে শ্রীমায়ের অভিনন্দন

নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ এবং ওড়িশা উপকূলে, সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে। সোমবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। আপাতত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। এদিকে আবহাওয়া দফতর উত্তরবঙ্গের কোনও জেলায়ই আবহাওয়া নিয়ে সতর্কতা নেই। টানা বৃষ্টির জন্য দক্ষিণবঙ্গের কিছু নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছে। হুগলি, বীরভূমের বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮২: খটকা

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

শুক্রবার থেকে কলকাতায় বৃষ্টি চলছে। শনিবার শহরে দিনভর দফায় দফায় ভারী বর্ষণ হয়েছে। রবিবার বৃষ্টি কিছুটা কমেছে। তবে সোমবারও সকাল থেকে কলকাতার আকাশের মুখভার। বৃষ্টি চলছে বিক্ষিপ্ত ভাবে। তাপমাত্রাও অনেকটা কমেছে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছিল ২৫.১ ডিগ্রি, অর্থাৎ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ছিল ২৬.২ ডিগ্রি, অর্থাৎ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।

Skip to content