মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪


অলঙ্করণ : সৌমি দাসমণ্ডল।

“দেখুন, আজ যা বলতে যাচ্ছি, সে-কথাটা সেদিনই বলতাম, যেদিন পাভেলবাবুর সঙ্গে ওই ব্যাড ইনসিডেন্টটা ঘটে। আমি সুদীপ্তবাবুর সামনেই বসেছিলাম, থানায়। তখন আপনাদের কথা জানিয়ে মিস্টার মালাকার ফোন করেন। ফলে কথা না বলেই সুদীপ্তবাবুকে বেরিয়ে পড়তে হয়। একজন ডাক্তার হিসেবে আমারও যাওয়া উচিত বলে আমি গিয়েছিলাম তাঁর সঙ্গে। সে-কথা তো আপনি জানেন।” সত্যব্রত গভীরভাবে তাকালেন শাক্যর দিকে।

শাক্য আজ সকালে এসেছে সত্যব্রতর হেলথ্‌ সেন্টারে। তার সঙ্গে সুদীপ্তও এসেছে। শাক্য আর কিছুতেই ওয়াক-ওভার দিতে চাইছে না কালাদেও কিংবা তার নামধারী অপরাধীদের। ভূত-প্রেত কিংবা মানুষ যেই হোক না কেন, সে এ বার সম্মুখ সমরে নেমে পড়তে চাইছে দেরি না করে। যথেষ্ট দেরি হয়ে গিয়েছে। বছরখানেক আগে যখন এই ঘটনাগুলি শুরু হয়, তখনই লোকাল থানা উদ্যোগ নিলে হয়তো এতগুলি প্রাণ, পাভেলের আহত হওয়ার মতো ঘটনা রক্ষা পেত। রহস্যের পর রহস্য জমে উঠেছে কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতায়।

ঘড়িতে এখন এগারোটা বেজে গিয়েছে। তারা এসেছিল সাড়ে দশটার কিছু আগে। এ-সময় শাক্য ভেবেছিল, হেলথ সেন্টার লোকে লোকারণ্য থাকবে, ফলে সে আরও পরে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু এসে দেখল, তার কিছুই নয়। জনা চার-পাঁচেক নারী-পুরুষ সেন্টারের বাইরে কাঠের বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করছিল। তারা চলে যাওয়া পর্যন্ত শাক্য এবং সুদীপ্ত অপেক্ষা করল। এ-অবস্থায় সত্যব্রতকে বিরক্ত করা উচিত নয়। রুগীর দাবি ডাক্তারের কাছে আগে। ভিতরে অবশ্য খবর চলে গিয়েছিল। তবে শাক্য জানিয়ে দিয়েছিল, তারা অপেক্ষা করবে। কোন তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই।

সব মিটে যাওয়ার পর তারা যখন ভিতরে গেল, তখন রোদ বেশ চড়ে উঠেছে। শেষ বসন্তে এখানে গরম ভালোভাবেই পড়ে গিয়েছে, তা শাক্য অনুভব করতে পারল। মাথার উপর একটা ফ্যান ঘুরছে বটে, কিন্তু তার দরুণ যে হাওয়া পাওয়া যাচ্ছে তা নয়। তার টি-শার্ট ঘামে ভিজে উঠেছিল। সুদীপ্তের অভ্যাস আছে। তাও তার কপালে বিন্দু-বিন্দু ঘাম। এখানে একমাত্র অপারেশন থিয়েটারে এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম আছে। তবে কারেন্ট না থাকলে সেটাও কাজ করে না।
সুদীপ্তই সত্যব্রতর কথা বলেছিল। তার কাছেই শুনেছে শাক্য বুধন মাহাতো কেসের কথা। একই সঙ্গে সেই কেসে জড়িয়ে পড়া নুনিয়ার কথা। তাছাড়া এই কেসেও কালাদেও আছে। লোকের ধারণা কালাদেও বুধনকে খেয়ে ফেলেছিল, তারপর প্রেত হয়ে বুধন ফিরে এসেছিল, পরে পালিয়ে গিয়েছে। এই কারণে মূল কেসের সঙ্গে এই কেসের যোগ একটা আছেই। সুদীপ্ত নিজেও ওই কেসে ইনভলভড ছিল। ঘটনাটা তাকেও বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছিল। বুধন মারা গিয়েছে, তার ধড়হীন মুণ্ডু পাওয়া গিয়েছে, এই অবধি ঠিক ছিল।

পুলিশ-লাইফে এই রকম ঘটনার সঙ্গে তারা সকলেই পরিচিত হয়ে গিয়েছে। সার্ভিস-লাইফের একেবারে গোড়ার দিকে সে ছিল মালদার একটা থানায়, সেখানে প্রথম কেসটাই ছিল মার্ডার করে মাটিতে পুঁতে সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়ে রাখার কেস। পচা-গলা মৃতদেহ যখন সেমেন্ট ফাটিয়ে বার করা হচ্ছিল, সেই দৃশ্য-গন্ধ সে সহ্য করতে পারে নি। বমি করে ফেলেছিল বাইরে গিয়ে। তখন তার সিনিয়র অফিসার বলেছিলেন, “ঠিক আছে। প্রথম প্রথম এইরকম হবে, তারপর আর এ-সবে কিছু যায় আসবে না। এই দেখ না, এর মধ্যেই আমি কেমন নির্বিকার ভাবে চ্যুইংগাম চিবুচ্ছি!”

সেই অফিসারের অভ্যাস ছিল দিনরাত চ্যুইংগাম চিবুনো। তখন তাঁকে দেখে কেমন আশ্চর্য হয়েছিল সে, কিন্তু এখন আর হয় না আশ্চর্য। কারণ লাশ পড়ে রয়েছে আর তারা পাশেই দাঁড়িয়ে চায়ে চুমুক দিতে দিতে ফরেন্সিক এক্সপার্টের সঙ্গে কথা বলছে, এমন ঘটনা এখন হামেশাই ঘটে। সুতরাং বুধনের মর্মান্তিক মৃত্যু তার কাছে শকিং বলে মনে হয়নি। কিন্তু বুধন মারা যাওয়ার পরেও দিন পনেরো তার নিজের বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে কাটিয়ে গেল, তারপর সত্যব্রত যে হেলথ সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত সেখানে প্রেগন্যান্সির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হল এবং সেই রাতেই পালিয়ে গেল, গোটা ঘটনাটা সে মেলাতে পারছে না।

এই ব্যাপারটাই তার কাছে রীতিমতো শকিং! এর আগে কোন কেসে এমন আজব অলৌকিক ব্যাপার সে দেখেনি। নিজে ভূত-প্রেত বিশ্বাস করে না বলে তার একটা গর্ব ছিল, কিন্তু এখন সেই বিশ্বাসে হালকা চিড় ধরেছে। যদিও বিষয়টা তার মনের মধ্যে খচ্‌খচ্‌ করে, কোথাও যেন কী একটা ফাঁকি আছে, তা সে ধরতে পারছে না বলেই সমস্যা হচ্ছে। অবচেতন তাকে ধরিয়ে দিতে চাইছে, কিন্তু বাইরের মন আর অবচেতনের সমন্বয়টা গড়ে উঠছে না ঠিক ভাবে।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬২: শ্রীমার দক্ষিণ ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৪: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গিরা শাক ও যদু পালং

শাক্য মন দিয়ে শুনছিল সুদীপ্তর কথা। আগেই সে শুনেছে যদিও। কিন্তু সুদীপ্ত গোটা ঘটনাটা তাকে আর-একবার ব্রিফ করছিল। শাক্য মাঝেমাঝে প্রশ্ন করছিল। সুদীপ্ত তার মতো করে উত্তর দিচ্ছিল। আসলে অপেক্ষার সময়টাও এতে কাটছে, কিন্তু বোর হতে হচ্ছে না। শাক্য নিজে মনে করে একটা কেস যতবার যত জনের সঙ্গে আলোচনা-পুনরালোচনা করা যাবে, তত নতুন নতুন অ্যাঙ্গেল বেরিয়ে আসবে এবং সমাধানের সম্ভাবনাও বাড়বে।

বুধন মাহাতোর লাশ উদ্ধারের ঘটনার কথা বলে সুদীপ্ত একটু থামতেই শাক্য জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা, সুদীপ্ত, আপনি একটা ব্যাপার লক্ষ্য করেছেন এই কেসে যা কালাদেওর অন্য কেসগুলির সঙ্গে মিলছে না?”
“কী বলুন তো?” সুদীপ্তর ভ্রু কুঁচকে গেল।

“কালাদেওর বলি গত এক বছরে যত জন হয়েছে, কালাদেও তাদের মাথার দিক থেকে আক্রমণ করেছে। কোথাও মুণ্ডু চিবিয়ে খেয়েছে, কোথাও শরীরের উপরের অংশ খেয়ে বাকিটুকু ফেলে গেছে, কিন্তু বুধন মাহাতোর ক্ষেত্রে শরীরের নিম্নাংশ খেয়েছে সে। কিন্তু মাথাটুকু ফেলে গিয়েছে! তাই না?”

“হ্যাঁ, সেটা তো ঠিকই। কিন্তু তাতে অস্বাভাবিক কি কিছু আছে? ধরুন বাচ্চারা যেমন ক্রিম বিস্কিটের দু’ ভাগটা আলাদা করে আগে ক্রিমটুকু চেটে খায়, তারপর যে কোন এক দিকের বিস্কিটটা মুখে ভরে। কালাদেওও তেমনই। ইচ্ছে হয়েছে তাই পায়ের দিক থেকে খেয়েছে!” সুদীপ্ত জবাব দিল। সে এই ঘটনার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু খুঁজে পাচ্ছিল না।

শাক্য বলল, “দেখুন সুদীপ্ত, মানুষ বলুন আর অন্য প্রাণী, সকলের একটা নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে। বাচ্চারা যে-ভাবে ক্রিম বিস্কিট খায় বললেন, সেটা ঠিক। কিন্তু আপনি যদি সাধারণভাবে সব বাচ্চাকে একসঙ্গে বিবেচনা না করে, যে-কোন একটি বাচ্চাকে বার বার ক্রিম বিস্কিট দিয়ে ভালোভাবে ওয়াচ করেন, তাহলে দেখবেন, সে কিন্তু ক্রিমটুকু খেয়ে নেওয়ার পর একবার যে হাতের বিস্কিটটি প্রথম মুখে ভরছে কিংবা দাঁতে কাটছে, দ্বিতীয়বার কিংবা তৃতীয়বার কিংবা তারও বেশি বার সে ক্রিম চেটে নেওয়ার পর নির্দিষ্ট হাতের বিস্কিটই মুখে ভরবে, অন্য হাতের নয়। একশোর মধ্যে এক-আধটা ব্যতিক্রম থাকে।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৯: ভারতের বিপ্লবী মেয়েরা এবং অন্তরে রবীন্দ্রনাথ

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫২: পুলক রাখিতে নারি (কেল)

এক্ষেত্রে কালাদেও বাকি সমস্ত কেসেই অ্যাটাক্‌ করেছে মাথার দিক থেকে। অতএব এটাই তার প্যাটার্ন। কিন্তু বুধন মাহাতোর ক্ষেত্রে সে মাথাটুকুই অবিকৃত রাখল, কেন? তাহলে আগের ঘটনাগুলিতে কালাদেও চায়নি ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশ পাক? আর এক্ষেত্রে উল্টোটাই চেয়েছে যে, ভিকটিমকে সকলে চিনুক! কেন? বুধন মাহাতো মারা যাওয়ার পরেও যে তার বাবা-মার সঙ্গে কাটিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকদিন, এটা বোঝানোই কি উদ্দেশ্য ছিল? তা না হলে, বুধনের মাথাটিকে সে যেমন পরিপাটি করে রেখে গেছে, বাকিদের ক্ষেত্রে তা রাখেনি কেন?”

“জটিল বিষয় স্যার! এ-ভাবে ভাবিনি। আপনার তাহলে মনে হয়, কালাদেও কিংবা যেই হোক, সে ইচ্ছাকৃত বুধনের মাথাটিকে ওইখানে রেখে গিয়েছিল। আর সে চেয়েছিল, যাতে বুধনের মাথাটার সন্ধান আমরা পাই। যাতে সকলে জানতে পারে বুধন মারা গিয়েও ফিরে এসেছিল। আচ্ছা, একটা অলৌকিক আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য কেউ এটা করেনি তো?”

“এক্সাক্টলি। এতক্ষণে আপনি আমার পয়েন্ট অফ ভিউজটা বুঝতে পেরেছেন। সো মেনি থ্যাংকস। আমিও সেটাই মনে করি যে, কালাদেও একটা আতঙ্ক ছড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু কেন? তাতে তার কী লাভ? লোকে তো এমনিতেই আতঙ্কগ্রস্ত ছিল। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা মারা কেন তবে?”
“আপনার কী মনে হয়? বিশেষ কোনও কারণে কালাদেও চাইছিল আরও আতঙ্কিত হোক পাবলিক?”
“আমার মনে হয়, এখানে, ওই পিশাচ-পাহাড়ে এমন কোন রহস্য আছে, যাকে আপাতত গোপন রাখার জন্যই কালাদেওর এই সযন্ত প্রচেষ্টা। বড় কোনও লাভ-লোকসানের ব্যাপার এর মধ্যে আছেই আছে, তা-না-হলে এতটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে লাভ ছিল না তার।”
“কিন্তু কালাদেও তো একজন প্রেত, তার কী স্বার্থ থাকতে পারে?”
“আপনি কালাদেওকে বিশ্বাস করেন সুদীপ্ত?” তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল শাক্য।
সুদীপ্ত একটু থতমত খেল। সে যে এখন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝখানে আছে, তা কী করে বলে ঊর্দ্ধতন অফিসারকে। সে দোনামোনা করতে লাগল।
আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!, পর্ব-৪৬: দুবেজিকে নিয়ে ধৃতিমানের অনুমান সত্যি

শাক্য বলল, “আপনাকে বলছি সুদীপ্ত, লিখে রাখুন, কালাদেও কোন কালে ছিল কি-না জানি না, একালে নেই। কালাদেও নামের আড়ালে যে একটা দুষ্টচক্র কাজ করছে, তাতে সন্দেহ নেই। সেই চক্রটিকে না-ধরতে পারলে আরও অনেক কেসের মতো এই কেসটিও আনসলভড থেকে যাবে।” শাক্যর গলার মধ্যে এমন একটা জোর ছিল যে, সুদীপ্ত অবাক হয়ে তার দিকে তাকালো।

শাক্য আবার বলল, “দ্বিতীয় কথা, এই পিশাচপাহাড়ে কেবল কালাদেও নয়, এই কালাদেও-নামক মিথকে কাজে লাগিয়ে অন্য একটি কিংবা দুটি অপরাধ-চক্রও অথবা অপরাধীও মাঠে নেমে পড়েছে। পিশাচপাহাড় রিসর্টের ঘটনার সঙ্গে কালাদেওর কোন যোগ নেই। কিন্তু তাকে ওইরকম একটা আকার দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।”

শাক্যর কন্ঠস্বরের দৃঢ়তা দেখে অবাক সুদীপ্ত কেবল বলতে পারল, “স্যার!”
“সুদীপ্ত, আপনি বুদ্ধিমান অফিসার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইনফরর্মার কাজে লাগিয়ে পিশাচপাহাড় রিসর্টের সকলের বায়োডাটা তৈরি করুন। না হলে হয়তো পাখি উড়ে যাবে, আর আমাদের ভাগ্যে জুটবে শূন্য খাঁচা!”
“আমি আজকে গিয়েই বিষয়টা দেখছি!” সুদীপ্ত বলল।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮২: খটকা

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১০: মর্ত্যে আনিল ধ্রুবতারকারে ধ’রে

“দেখুন। আর একটা কথা। এই কেসে নুনিয়া নামের মেয়েটি ট্যাম্প কার্ড হয়ে উঠতে পারে। আর সে-কথা হয়তো আমাদের প্রতিপক্ষরা জেনে গিয়েছে, কিংবা জানতে বাকি নেই। আমি সেদিন নুনিয়ার সঙ্গে যতটুকু কথা বলেছি, তাতে আমার মনে হয়েছে, সে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জানে। আর সেই জন্যই ওকে রেসকিউ করা এখন আমাদের পুলিশ ডিপার্টিমেন্টের দায়িত্ব। বুঝতে পেরেছেন আমি কী বলতে চাইছি? আজ-কালের মধ্যে ওকে তুলে নিন, এমন জায়গায় রাখুন, যাতে যে-কেউ ওর কাছে পৌঁছাতে না পারে। যে অপরাধীরা এত নির্বিচারে হত্যালীলা চালাতে পারে, তারা নিমেষেই নুনিয়াকে মেরে ফেলতে দ্বিধা বোধ করবে না। তার আগেই ওকে আমাদের বাঁচানো দরকার। ও কী জানে, আর কী জানে না, সেগুলিও আমাদের জেনে নিতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। এখন দেখা যাক, ডাক্তারবাবু আমাদের বুধন মাহাতো হত্যারহস্য সম্পর্কে কী ইনফো দেন!”

এমন সময় ‘ডাক্তারবাবু’ নিজেই বেরিয়ে এলেন। বললেন, “অনেকক্ষণ বসিয়ে রেখেছি আপনাদের। স্যরি, ভেরি স্যরি। আসুন। ভিতরে আসুন!”—চলবে।
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel): পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।

Skip to content