রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


অলঙ্করণ : সৌমি দাসমণ্ডল।

থানায় বসে থাকতে থাকতে প্রথমত সত্যব্রত ভাবছিলেন, কতক্ষণে সেকেন্ড অফিসার আসবেন আর তাঁর কথা শুনবেন। তারপর সেই অফিসার সুদীপ্তবাবু এলেন কিন্তু কথা শুরু হওয়ার মুহূর্তেই বাধা পড়ল। একটা ফোনকল, কোথাও কিছু ঘটেছে। সুদীপ্তবাবুর মুখে সামান্য বিরক্তিসূচক ভঙ্গি দেখতে পেলেন সত্যব্রত, যদিও পরক্ষণেই তা মুছে গিয়ে একজন দায়িত্বশীল অফিসারের মুখোশ পরে নিলেন তিনি। সবিনয়ে বললেন, “স্যরি ডক্টর। একটা ঘটনা ঘটায় আমাকে এক্ষুনি বেরুতে হবে। আপনাকে খামোকা বসে থাকতে হল। আপনি যদি কাল কিংবা পরশু, কিংবা আপনার সময়মতো একদিন আসেন, আমি কথা দিচ্ছি, সেদিন আপনার সব কথা শুনবো।”

“সে ঠিক আছে। কী আর করবেন বলুন। পুলিশ আর ডক্টরের কখন কী কল আসে, তা তো আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। আমাদের চব্বিশ ঘণ্টাই অ্যালার্ট থাকাই নিয়ম। অতএব মনে কিছু করার নেই। তবে কোনও বিপদ-আপদ কি? আবার কালাদেওর আবির্ভাব ঘটল? না-কি অন্য কিছু? আমার যদি কোন সাহায্য লাগে, তাহলে আমি যেতে পারি। আমি হেলথ সেন্টারের গাড়ি নিয়ে এসেছি। আপনাকে অনুসরণ করতে অসুবিধা নেই।”

সুদীপ্ত একটু ভাবলেন। থানার খবর বাইরের কারও কাছে শেয়ার করার নিয়ম নেই। তবে লালবাজারের দুই পুলিশ অফিসার এখানে তদন্তে এসে জঙ্গলের গভীরে হারিয়ে গিয়েছেন, এ-খবর বেশিক্ষণ চাপা থাকবে না। জঙ্গলের মধ্যে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা আহত হলে তখন তো নিয়ম অনুযায়ী সরকারি ডাক্তারের কাছেই আগে নিয়ে যেতে হবে। কিংবা ডেকে পাঠাতে হবে এই সত্যব্রতকেই। তাহলে আর গোপন রেখে কী লাভ? সে বলল, “আপনার কানে গিয়েছে কি-না জানি না, লালবাজার থেকে দুজন অফিসার এসেছেন, কালাদেও-সম্পর্কিত ঘটনার প্রাইমারি ইনভেস্টিগেশনের জন্য। জানেন?”
“হ্যাঁ। ও-কথা তো এখন পিশাচপাহাড়ের বাচ্চা-কাচ্চারাও জেনে গিয়েছে। সাংবাদিকদের সৌজন্যে অবশ্যই। আপনি বোধহয় নিউজ চ্যানেলগুলি ফলো করেননি। করলে দেখতে পেতেন, দুপুরে সব ক’টি চ্যানেলই বলতে গেলে পিশাচপাহাড় রিসর্টের ঘটনা নিয়ে থেকে থেকেই বিশেষ স্টোরি দেখিয়ে যাচ্ছে। সেখানে বলেই দেওয়া হচ্ছে, কলকাতার লালবাজারের দুজন দুঁদে গোয়েন্দা অফিসার এই তদন্তে এসে উপস্থিত হয়েছেন!”
“আপনি হেলথ্‌ সেন্টারের ব্যস্ততার মাঝে টিভি দেখার সময় পান?”

“হেলথ্‌ সেন্টারকে তো গরু-ছাগলের খোঁয়াড় বানিয়ে ছেড়েছে প্রশাসন। ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দারের মতো হেলথ সেন্টারের খালি বাড়িটা থাকলে পেশেন্ট আসে? সকলেই যা চার্চের হসপিটালে। সেখানে গেলে অন্তত সব ধরণের চিকিৎসার প্রাথমিক সুযোগটুকু পাবে। কেউ তেমন আসে না অফিসার, কেউ তেমন আসে না। এখানে আর কয়েক বছর থাকলে আমি ডাক্তারিটা ভুলে যাব। দরখাস্ত তো করেছি, কবে বিড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে, কিংবা আদৌ ছেঁড়ে কি-না, সেটা দেখার জন্য বসে আছি। অতএব অখণ্ড অবসর। তবে টিভি দেখি না। এতে দেখি!” বলে হাতের স্মার্টফোনটা তুলে দেখালেন।

সুদীপ্ত উঠে পড়ে বলল, “বুঝলাম। তাহলে বলি, সেই দুই অফিসার আজ তদন্তে বেরিয়ে সেই স্পটে গিয়েছিলেন, যেখানে ক’দিন আগে কালাদেওর বলি হিসেবে একজনের ডেডবডি পাওয়া গিয়েছিল। তারপর তাঁরা না-কি জঙ্গলে ঢোকেন, কিন্তু অনেকক্ষণ হয়ে গেল, এখনও বেরিয়ে আসেননি। আর আপনি তো জানেন, জঙ্গল বাইরে থেকে দেখতে মনোরম হলেও এর বাঁকে বাঁকে কত বিপদ ওত পেতে থাকে! জঙ্গল সম্পর্কে অনভিজ্ঞ মানুষের পক্ষে জঙ্গলে ঢোকা যত সহজ, বেরোনো তত নয়। আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, তাঁরা দুজন হয়তো পথ ভুলে আরও গভীর জঙ্গলে চলে গিয়েছেন এবং আর বেরোনোর পথ খুঁজে পাচ্ছেন না! সেইজন্যই অন্তত দিনের আলো ফুরানোর আগেই সেখানে যাতে যেতে পারা যায়, সেই জন্যই স্যার তাগাদা দিলেন। তা না হলে, আপনার কথা শুনে বেরুলেও ক্ষতি ছিল না!”
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭৯: সংশয় আর সন্দেহ

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬২: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— সুখদর্শন ও হুড়ো

সত্যব্রত বললেন, “তাহলে তো সত্যিই ভাবনার কথা! হঠকারির মতো স্থানীয় গাইড কাউকে না নিয়ে জঙ্গলের ভিতরে ঢোকা উচিৎ হয়নি। কোনও বিপদ-আপদ হলে তো কিছু করতেও পারবেন না!”
“সেটাই তো চিন্তার বিষয়!”
“আপনি যদি অনুমতি দেন, আমি আপনাকে অনুসরণ করতে পারি। তাহলে কোন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যানস দরকার হলে আমি হেল্প করতে পারব।”
“বেশ আসুন। আপনি আমার গাড়িতেও আসতে পারেন, তাহএল যেতে যেতে আপনার কথাও শোনা যাবে”, সুদীপ্ত বলল।
“নাহ্‌, আমি যা বলতে এসেছি, তা আমি পাঁচকান করতে চাইছি না। আর আমি ভেবেছিলাম, লালবাজারের অফিসারদেরও এখানে পেয়ে যাব। তাহলে আমার ব্যক্তিগত তদন্তের রিপোর্টও ওনাদের জানাতে পারতাম। কিন্তু তার বাইরে এখনই কাউকে জানাতে চাইছি না। খুব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার!”
সুদীপ্ত ভ্রূ কুঁচকে তাকাল সত্যব্রতর দিকে। তারপর বলল, “এটা কি কালাদেওর সঙ্গে রিলেটেড কোনো রিপোর্ট ?” বলে সে দরজার দিকে এগিয়ে গেল।
সত্যব্রত তাকে অনুসরণ করে যেতে যেতে বললেন, “কালাদেও কি-না জানি না, যোগ থাকতেও পারে, না-ও পারে। এটা আসলে বুধন মাহাতো মার্ডার কেসের ঘটনা!”
আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৫: পতন আসন্ন হলেই সবার বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়

দশভুজা, পর্ব-৩৬: মৃণালিনী— রবি ঠাকুরের স্ত্রী-র লেখকসত্তা

“হোয়াট?” থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়াল সুদীপ্ত, তারপর বলল, “বুধন মাহাতোকে কালাদেও খেয়ে গিয়েছিল বলেই সকলের বিশ্বাস। তার মারা যাওয়ার পরেও নিজের বাড়িতে জীবিত মানুষের মতো বাস করা, ছেলে হয়েও প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়া, তারপর আপনার হেলথ সেন্টারে যাওয়া, সেখান থেকে নিখোঁজ হওয়া, এ-সব কিছুর মধ্যে একটা অলৌকিক ব্যাপার আছে, তা তো মানবেন। এই আমি, যে কি-না ভূত-প্রেত ইত্যাদি কিচ্ছু মানতাম না, এই ঘটনা তাকেও হতভম্ব করে দিয়েছে। আমি এখন বিশ্বাস-অবিশ্বাসের মাঝামাঝি জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। কোনও কিছু দিয়েই আমি বুধন মাহাতো হত্যা রহস্যের ব্যাখ্যা করতে পারিনি। কোর্টে কেস উঠলেও আমি একই কথা মাননীয় জজসাহেবকে জানিয়েছি। আপনি নিজেও বডি উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন। আপনি তো জানেন, কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল বুধনকে। ও বডি কখনও এক সপ্তাহের কম পুরানো হতেই পারে না। লাশটায় আর কিছু বাকি ছিল না বলতে গেলে। মাথাটা চিবিয়ে খেয়ে নিলে আর চেনাও যেত না বুধন বলে। তখন দেহাংশের ডিএনএ টেস্ট করা ছাড়া উপায় ছিল না। আর আপনি বলছেন, সেই কেস নিয়ে আপনি ব্যক্তিগত ভাবে তদন্ত করেছেন। কেন ? আর তদন্তে এমন কী পেলেন যে থানায় ছুটে এসেছেন?”

সত্যব্রত বলল, “তদন্ত করলাম কেন, সেই উত্তরটাই এখন দিই। হেলথ্‌সেন্টার থেকে বুধন যে-ভাবে পালিয়েছিল, সেটা আমাকে আহত করেছিল। সেন্টারের চার্জ আমার উপর থাকায়, একজন পেশেন্টকে সুরক্ষিত না-রাখতে পারার দায় নিশ্চয়ই আমার উপরে বর্তায়? ঘটনা যাই হোক, কেসটা নিয়ে আমি খুব ভাবতে শুরু করি। নেট ঘেঁটে, পুরানো মেডিকেল জার্নাল ঘেঁটেও তথ্য জোগাড় করি। আমার একটা নির্দিষ্ট সন্দেহ হয়েছিল, সেই পথেই আমি অনুসন্ধান শুরু করি। বলতে বাধা নেই যে, আমার সন্দেহ যে অমূলক, তার অনেক নির্দিষ্ট এবং সুদৃঢ় প্রমাণ আমি পেয়েছি। যে ছেলে আমাদের সেন্টারে অ্যাডমিট নিল, তার এক সপ্তাহ আগের পচাগলা বডি কীভাবে জঙ্গলে পাওয়া গেল, সেটা আলাদা তদন্তের বিষয়। সেটা আপনারা করবেন। আমি কেবল মারা যাওয়ার পরেও যে অলৌকিক বুধন ফিরে এসেছিল, আবার পালিয়েও গিয়েছিল, তার ব্যাপারেই আলোকপাত করতে চাই!”
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬০: শ্রীমার রামেশ্বরম যাত্রা

সুদীপ্ত কিছু মুহূর্ত সত্যব্রতর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকলেন, তারপর বললেন, “তাহলে সেটা গাড়িতে যেতে যেতে বলতে বাধা কোথায় ? আমার কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং বিষয় বলে মনে হচ্ছে!”
সত্যব্রত বললেন, “দেখুন, কথায় বলে, দেওয়ালেরও কান আছে। আর যে-গাড়িতে আপনার ফোর্স যাচ্ছে, সেখানে সকলেই কাটা-কান বলতে চাইছেন?” বলে নিজের রসিকতায় নিজেই হাসলেন। তারপর আবার বললেন, “আমরা এখন তাড়াতাড়ি লালবাজারের অফিসারদের সন্ধানে যাই। সেটা এই মুহূর্তে আরও জরুরি। তারপর না-হয় ওই বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবে?”
“বেশ। আপনার যেমন ইচ্ছা!” বলে সুদীপ্ত আর দাঁড়াল না।

থানার বাইরে গাড়ি রেডিই ছিল। বড়বাবু সম্ভবত অন্যদেরও ফোন করে রেডি থাকার হুকুম দিয়েছিলেন। সুদীপ্ত গাড়ির কাছে পৌঁছতেই তাকে নিয়ে গাড়ি রওনা দিল, সঙ্গে কয়েকজন পুলিশ। সত্যব্রতর গাড়ি থানার কম্পাউন্ডের মধ্যেই অপেক্ষা করছিল। ড্যানিয়েল হরিপদ একজন দেহাতি লোকের সঙ্গে কথা বলছিল। হাতে বিড়ি। লোকটি সম্ভবত তার চেনা। স্থানীয় লোক। খালি গা, আধময়লা ধুতি পরা, কাঁধে গামছা। হাত-পা নেড়ে ড্যানিয়েল হরিপদ তাকে কিছু বোঝাচ্ছিল, আর লোকটি ঘাড় নেড়ে বেকুবের মতো তাতে সায় দিচ্ছিল। লোকটিকে এক ঝলক দেখে তাঁর মনে হল, একে কোথায় যেন দেখেছেন। কিন্তু কোথায়, সেটা মনে করতে পারলেন না। সত্যব্রতকে বেরিয়ে আসতে দেখেই অবশ্য ড্যানিয়েল প্রথমে যেটা করল, তা হল, হাতের বিড়ি ছুঁড়ে ফেলা। ডাক্তারবাবুর সামনে সে সিগারেট-বিড়ি খায় না। হাতের ইশারায় লোকটিকে বিদায় করে ড্যানিয়েল গাড়ির দিকে এগিয়ে গেল। সত্যব্রত পৌঁছাতেই তাঁকে বলল, “কাজ হয়ে গেল স্যার?”
“নাহ্‌। কিছুই হল না। হয়তো আবার আসতে হবে। তবে এখন হেলথ্‌সেন্টারে ফিরে যাব না। আমাদের অন্য আর এক জায়গায় যেতে হবে হরিপদ।” বলে সত্যব্রত তাকে বিষয়টা সংক্ষেপে বললেন।
“কোনও অসুবিধা নেই স্যার। আমাদের যাওয়াটা কর্তব্য। ওনারা কলকাতা থেকে এসেছেন। এই অঞ্চলের অতিথি। কোনও বিপদ-আপদ হলে সাহায্য করতে পারলে খুশিই হব। চলুন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ে যাচ্ছিস আপনাকে!”
গাড়ি স্টার্ট দেয় ড্যানিয়েল হরিপদ। তারপর গাড়ি কিছুদূর গেলে বলল, “ওই যে লোকটিকে দেখলেন আমার সঙ্গে কথা বলতে, চিনতে পারলেন?”
“নাহ্‌, যদিও চেনা-চেনা মনে হচ্ছিল। কে?”
“মারুতি মাহাতো ? চিনতে পারলেন না?”
“আরে তাই তো! এই সেদিন গেলাম আর ভুলে গেলাম? হরিপদ, আমার বয়স হচ্ছে এবার। অ্যালজাইমার’স রোগ ধরল কি-না তাই বা কে জানে! দু’দিন আগে দেখা মানুষটিকে ভুলে গেলাম! উফফ্‌, আর ক’দিন পরে আরও বৃদ্ধ হলে কী যে হবে আমার! তা ও কেন এসেছিল?”
আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’

“ওকে না-কি কেউ থানায় গিয়ে বলতে বলেছিল যে, বুধনের মৃত্যুর তদন্ত আর হোক তা তারা চায় না। এতে কালাদেও রুষ্ট হবেন। কালাদেও যাকে নেন, তার উপর দাবি আছে বলেই নেন। এ-নিয়ে বেশি খোঁজখবর করলে তিনি আরও রুষ্ট হবেন, তখন তার অভিশাপ গোতা গ্রামের উপর নেমে আসবে। সেই জন্য সে এসেছিল, কিন্তু বড়বাবু না থাকায় সে কিছু বলতে পারেনি। তার উপর থানার ভিতর ঢুকতেও সে ভয় পাচ্ছিল।”
“পাগল না-কি? ও জানে না, কোনও মার্ডার-কেস এইভাবে হঠাৎ করে পুলিশ ক্লোজ করে দিতে পারে না। পরিবারের কোন ইচ্ছে-অনিচ্ছের উপর এ-ধরণের কেসের তদন্ত নির্ভর করে না। এটা রাষ্ট্রের কর্তব্য। যাই হোক, বড়বাবু থাকলেও কিছু হত না। ওকে ফিরে যেতে হত খালি হাতে। কিন্তু ওকে কে এইসব বোঝাল, তার নামটা জানতে পারলে?”
“নাহ্‌, কিছুতেই বলতে চাইল না। একবার বলল, অত মনে নেই ওর। কিন্তু আমার বেশ মনে হল, মিথ্যে কথা বলছে !” —চলবে।
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel): পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।

Skip to content