রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪


অলঙ্করণ: সৌমি দাসমণ্ডল।

সত্যব্রত বসে বসে অপেক্ষা করছিলেন চার্চে, যাজকদের জন্য নির্দিষ্ট ভবনটির সামনের টানা বারান্দায়। ফাদার রডরিগ খুব অসুস্থ। তাঁর হয়ে কাজ চালাচ্ছেন ফাদার আন্তনিও। তিনি একটা বিশেষ কাজে ব্যস্ত আছেন এই মুহূর্তে। ফলে সত্যব্রতকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। সেই অপেক্ষাই করছেন তিনি এখন।

বসে বসে নানা কথা ভাবছিলেন সত্যব্রত। বুধনের ব্যাপারটা তাঁকে ভিতরে ভিতরে অস্থির করে রেখেছে। যতদিন না এর একটা সঙ্গত উত্তর তিনি পাচ্ছেন, ততদিন তিনি নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকতে পারবেন না। মনোরমা আজ সকালেই কলকাতা চলে গিয়েছে। ভোরের ট্রেনে তাদের তুলে দিয়ে এসেছে ড্রাইভার ড্যানিয়েল হরিপদ মাহাতো। সত্যব্রত অবশ্য এবার আর আটকানোর চেষ্টাই করেননি। আসলে তিনি নিজেও বিভ্রান্ত। চোখের সামনে এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে দেখে কে-ই বা না বিভ্রান্ত বোধ করবে?

তিনি যে আজ চার্চে আসছেন, সে কথা কাউকে বলেননি। গোবিন্দকেও না। গত কয়েকদিন ধরে গোবিন্দ যা করছে, তাতে তাঁর মনে হয়েছে যে, গোবিন্দ কোনও কারণে ওই ঘটনায় মানসিক সুস্থতা হারিয়েছে। তার বিশ্রাম এবং চিকিৎসার প্রয়োজন। তাকে ছুটি নিতেও বলেছিলেন তিনি। কিন্তু সে নিতে চায়নি। উল্টে তাঁকেই অভয় দিয়ে বলেছে, “আমি যতক্ষণ আছি স্যার, ইউ ডোণ্ট নিড টু স্কেয়ার! এই গোবিন্দ থাকতে কেউ আপনার কিছু করতে পারবে না!”
সত্যব্রত অবশ্য নিজের কথা আদৌ ভাবছেন না। তিনি ভাবছেন একজনের কথা, সে নুনিয়া। এই কেসে নুনিয়ার ভূমিকা কিছুটা অদ্ভুত। অনেকগুলি ঘটনার সময় নুনিয়া হয় ঘটনাস্থলে কিংবা তার কাছাকাছি উপস্থিত ছিল, এমনকি শোনা যাচ্ছে, সে না কি রিসর্টেও ঢুকে পড়ে কাউকে সাবধান করেছিল, তারপর তো আজ সকাল হতে না হতেই গোটা মহল্লা জেনে গিয়েছে, রিসর্টে জোড়া লাশ পাওয়া গিয়েছে। এখানে মর্গ নেই, মর্গের ডাক্তারও নেই। তবে চার্চের একটা নিজস্ব সেট-আপ আছে, পুলিশ অনেক সময় সেখান থেকে সাহায্য নেয়। আজও হয়তো নেবে।

তবে সদরেও চালান করতে পারে। পুলিশের কখন কী মর্জি হয়, সে-কথা তিনি কেমন করে জানবেন? তাঁর এখন একটাই লক্ষ্য, নুনিয়ার সম্পর্কে খোঁজখবর করা। নুনিয়া আদতে ডাইনি, সে না কী কালাদেওর দূত। অনেকে বলত, এখন এই সব হত্যালীলা চলার পর আরোও অনেকে বলতে শুরু করেছে। আর বলাটা সঙ্গত, কারণ সাম্প্রতিকের প্রায় প্রতিটি ঘটনার সময় তার উপস্থিতি। বুধনের ব্যাপারটা তো তাঁর নিজের চোখে দেখা। বুধনের সঙ্গে নুনিয়ার পরিচয় ছিল, গল্প করতে যেত তার সঙ্গে, খাবারও খাওয়াতো। হেলথ হোমে ভর্তি ছিল যে, সে প্রেত হোক কিংবা মানুষ—তাকে দেখার জন্যও নুনিয়া সেখানে এসে উপস্থিত হয়েছিল। জানালা দিয়ে তাকে একদৃষ্টে বুধনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখেছেন তিনি। শেফালিরাও দেখেছে। কিন্তু নুনিয়াকে ডাকতেই সে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তবে কী সত্যসত্যই নুনিয়া মানুষরূপী ডাইনি? কিন্তু তা কেমন করে হবে? ডাইনি ব্যাপারটাই তো ভণ্ডামি। এরকম কিছুর অস্তিত্ব থাকতেই পারে না।

কিন্তু তাহলে কেন নুনিয়াকে বারবার মৃতদেহ যেখানে, সেখানেই দেখা যাচ্ছে? অনাথ নুনিয়া চার্চেই আশ্রয় পেয়েছে অনেকদিন ধরে, সুতরাং চার্চের মানুষেরাই কেউ না কেউ বলতে পারবেন, এখানে থাকার সময় নুনিয়ার মধ্যে তাঁরা কোনও অস্বাভাবিকত্ব দেখেছে কী না! সে-কথা জানতেই তিনি এসেছে এখানে। আর সেই সঙ্গেই নুনিয়ার পাস্ট হিস্টরি জানার ইচ্ছে। কোথাও মেয়েটির বিসদৃশ অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণের পিছনে তার অন্ধ অতীত অপেক্ষা করে নেই তো?
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৩৭: অকুস্থলে শাক্য

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২০: সুন্দরবনের বসন্ত রোগ নিরাময়কারী দেবী শীতলা

সত্যব্রতকে চার্চের অনেকেই চেনে। হেলথ্‌ সেন্টারের ইনচার্জ ‘ডক্টরবাবু’ বলেই লোকে বেশি করে চেনে। কখনও কখনও কেউ চার্চে দেখাতে অপারগ হলে কিংবা চার্চের চিকিৎসায় রোগ-অসুখ না সারলে হেলথ্‌ সেন্টারে দেখাতে আসে। তবে প্রেগন্যান্সি কেসই বেশি আসে। চার্চের পক্ষে তো আর একদিনে দশটা কেস সামলানো সম্ভব হয় না। ফলে সারা মাস ডেলিভারি কেস সামলানোই তাঁর কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয়, এখানে থেকে তাঁর ডাক্তারিশাস্ত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞতা কিছু বাড়ছে না। চমকপ্রদ বা নতুন নতুন রোগ-অসুখের সঙ্গে যে-সব ডাক্তারেরা লড়াই করার সুযোগ লাভ করেন, তাঁরা তত অভিজ্ঞ ডাক্তার হয়ে ওঠেন।

এই কারণেও কেউ কেউ পছন্দ করেন ভিড় আছে, এমন হাসপাতালে পোস্টিং নিতে। যত ভিড়, তত পেশেন্ট, তত অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই একসময় কেউ কেউ ডাক্তারিটাকে প্রায় ম্যাজিক করে তোলেন। রটে যায়, অমুক ডাক্তারবাবু এত অভিজ্ঞ যে, তাঁর কাছে যাওয়া মানেই রোগ-অসুখ একেবারে নির্মূল হয়ে যাওয়া। নাহ্‌ তাঁর আর হল না সে-সৌভাগ্য। এখান থেকে রিট্যায়ার করার পর কোন গাইনি-বিশেষজ্ঞ হিসেবেই কাজ করতে হবে আজীবন।
“আরে ডাগতার সাহেব যে? ইখানে? কী মনে করে?”

একটা কৌতূহলী প্রশ্ন শুনে চমক ভাঙল সত্যব্রতর। মুখ তুলে তাকালেন তিনি। সাইকেল জন হেমব্রম। টানা বারান্দার সামনের বাঁধানো পথ দিয়ে সে বোধহয় কোথায় যাচ্ছিল। এখনও সাইকেলের উপর বসে, এক পা মাটিতে রেখে তাঁকে প্রশ্ন করছে। হয়তো মালখানায় কিংবা অন্য কোথাও কোন কাজে এসেছিল। লোকটা নানা ধান্দায় ঘুরে বেড়ায়। পিশাচ পাহাড় রিসর্টেও কী সব সাপ্লাই দেয়। এখানে বাজারে অনেক দোকানের মাল করতে কলকাতাতেও যায় সপ্তাহে সপ্তাহে। বেশ এলেমদার লোক। অনেকের সঙ্গে জানা-চেনা। তবে চোখ-মুখের ভঙ্গি দেখে বিশেষ সুবিধার বলে মনে হয় না।

সত্যব্রত বললেন, “আরে সাইকেল যে! আমি তো এসেছি ফাদারের সঙ্গে একটু কথা বলতে। বুঝতেই তো পারো, হেলথ সেন্টারে আমাদের ঢাল নেই তরোয়াল নেই, নিধিরাম সর্দার দশা! তাই আর কী? কিন্তু তুমি এখানে? কেউ অসুস্থ হল না কি?”
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৪: পানমশলা খেলে ক্যানসার হয়?

পরিযায়ী মন, পর্ব-১৩: টাকির ভাসানের ব্যথা

সত্যব্রতর কথা সাইকেল কী বুঝলো কে জানে, দাঁত বের করে হাসলো কেবল। তারপর বলল, “ইখানে এসেছিলাম কিছু মাল সাপ্লাই দিতে। আমার যা কাজ বুঝলেন কি না!” বলে আবার কান এঁটো করা হাসি হাসল। তারপর হাসি থামিয়ে বলল, “তা ফাদারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তো ইখানে বসে আছেন কিনো? আমি কুথা বলিয়ে দেবো ? ফাদার আমার কথা ফেলতে পারেন না। আমি তো কারুর পারমিশন না নিয়েই সিধে ঢুকে যাই ওনার রুমে।” বলে যেন বিশ্ববিজয় করেছে, এমন ভঙ্গি করল।
“না, না ঠিক আছে। ফাদার একটা জরুরি কাজ করছেন। আমাকে অপেক্ষা করতে বলেছেন। কাজ শেষ হলেই ডেকে নেবেন!”
“তাহলে এক্ষুনি ডাক পাবেন ! ফাদারের জরুরি কাজ শেষ হইঞ গেছে !” সাইকেল বিজ্ঞের মতো বলল।
“তাই না কি?” সত্যব্রত এমনিই মজার ছলে জিজ্ঞাসা করলেন। এই সব লোকজন নিজেদের গুরুত্ব আর ক্ষমতা বোঝাতে অনেকসময় অনেকরকম সম্ভব-অসম্ভব কথা বলে উল্টোদিকের মানুষদের চমকে দিতে চায়।
“সন্দেহ নেই কোন ডাগতার সাহেব!”
ঠিক এমন সময় ফাদারের রুমের দরজা ফাঁক করে তাঁর এক অ্যাটেনডেন্ট ডাকলেন তাঁকে, “ডক্টর সাব, প্লিজ কাম ইন। ফাদার ইজ ওয়েটিং ফর ইউ। সর্যি ফর কলিং ইউ আফটার সাচ আ লঙ টাইম ওয়েটিং !”
“ইট’স্‌ ওকে!” মুখে বললেন বটে সত্যব্রত, কিন্তু মনে মনে ভারি অবাক হলেন। এই সাইকেল জন হেমব্রম হাত গুণতে জানে না কি? সে বলল, ফাদারের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, এক্ষুনি তাঁর ডাক পড়বে, সেটাই হল! অথচ এমন নয় যে, সাইকেল জন-ই ফাদারের ঘরে ছিল। কারণ, সে অন্যদিক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল, তাঁকে দেখতে পেয়ে এখানে দাঁড়িয়েছিল মাত্র। তাহলে বলতে হবে, হয় লোকটির অনেক ক্ষমতা আছে, নয় তো সাইকেল এমনিই বলেছিল কথাটা, লেগে গিয়েছে। ঝড়ে কাক মরে আর ফকিরের কেরামতি বাড়ে!
“এলাম সাইকেল। আবার দেখা হবে!” বলে তার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে হাত নেড়ে সত্যব্রত ফাদারের ঘরে ঢুকলেন।

ফাদারের ঘর বলতে ফাদার আন্তোনিওর অফিস রুম। ফাদার রডরিগের সঙ্গে এখন কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। দেখা করলেও যে তিনি কিছু বলতে পারবেন, এমন অবস্থায় তিনি নেই। আন্তোনিও একখানা বড় টেবিলের ওপাশে বসে ছিলেন। বিশাল কাঠের বাহারি চেয়ারে বসে সামনে ঝুঁকে পড়ে কিছু জরুরি কাগজে সই-সাবুদ করছিলেন তিনি। পুরোদস্তুর সাহেব, ধর্মান্তরিত কোন স্বদেশীয় নয়। বয়স বেশি নয়, চল্লিশ-বিয়াল্লিশ হবে। গায়ের রঙ পাকা আপেলের মতো, তবে এই গরমের দেশে বারো মাস থেকে সেই রং কিছুটা তামাটে বর্ণ ধারণ করেছে। যথেষ্ট শক্ত-সামর্থ্য দেহ। পূর্বাশ্রমে বোধহয় জিম করতেন, তার রেশ কিছু এখনো থেকে গিয়েছে।

সত্যব্রত তাঁর সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই অ্যাটেনডেন্ট ফাদারকে মৃদু স্বরে কী সব বললেন, ফাদার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দিকে মুখ তুলে তাকিয়ে বললেন, “সর্যিড ফর দ্য ওয়েটিং। প্লিজ সিট ডাউন ডক্টর!”

সত্যব্রত বললেন, “নো মেনশন। প্লিজ ফাদার। আই নো ইউ উইল সো বিজি এভরিটাইম। বাট আই অ্যাম হেল্পলেস। আই ওয়ান্ট টু টক টু ইউ সামথিং প্রাইভেট ! ইফ ইউ গিভ মি দ্য পারমিশন…!”
আরও পড়ুন:

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-২১: ওঠো ওঠো রে! বিফলে প্রভাত বহে যায় যে!

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১৮: ইষ্টদর্শন

সত্যব্রতর কথা শুনে ফাদার আন্তোনিও অ্যাটেনডেন্টকে ইশারায় ঘর থেকে চলে যেতে বললেন। তারপর স্পষ্ট বাংলায় বললেন, “আশা করি, এবার আপনি স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন ডক্টর ? ঘরে কেবল আমি আছি, আর আপনি। বলুন কী কথা বলতে চান!”

সত্যব্রত শুনেছেন, ফাদার আন্তোনিও বহু ভাষাবিদ্‌। ফলে তাঁর মুখে স্পষ্ট বাংলা শুনে তিনি অন্তত অবাক হলেন না। বললেন, “থ্যাংক ইউ ফাদার! আমি এসেছি একজনের ব্যাপারে ছানবিন্‌ করতে!”
“কী করতে?” ফাদার না-বুঝতে পেরে বললেন।
“খোঁজখবর নিতে। আসলে আপনি জানেন নিশ্চয়ই আমাদের হেলথ সেন্টারে একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে ?”
“হ্যাঁ, জানি!”
“সেই ব্যাপারটির সঙ্গে আপনাদের চার্চের অরফ্যানেজ হোমের একজন জড়িয়ে আছে। আমি তার ব্যাপারে কথা বলতে এসেছি!”
“হু ইজ হি ?”
“হি নয় ফাদার, সি! আমি নুনিয়ার ব্যাপারে কথা বলতে এসেছি!”
“নুনিয়া!” উত্তেজনায় চেঁচিয়ে ওঠেন ফাদার, “সে আবার কী করেছে?”
“কিছু না!” সত্যব্রত বললেন, ছেলেটির সঙ্গে তার ভাব ছিল খুব। প্রায়ই সে যেত ছেলেটির সঙ্গে খেলাধূলা করতে। তবে ঘটনার দিন সে ছিল না। আমি আসলে সেই বুধন নামের অদ্ভুত ছেলেটির সঙ্গে নুনিয়ার কোন কথা হত কি না, হলেও কী ধরনের কথা হতো, সে গুলি জিজ্ঞাসা করতাম মাত্র!”
“ও!” ফাদার যেন নিশ্চিন্ত হলেন, এমন ভঙ্গি করলেন।
“হ্যাঁ ফাদার!”

“তাহলে বলুন, কী জানতে চান? আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আমার তরফ থেকে! কিন্তু ওই মেয়েটি, নুনিয়া, সাচ আ পুয়োর গার্ল, আমাদের চার্চের কোন নিয়ম মানে না, নেহাত ফাদার রডরিগ তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। ফলে তিনি বেঁচে থাকতে নুনিয়াকে আমরা কিছু বলতে পারছি না। তবে ফাদার রডরিগ না থাকলে আমরা নুনিয়ার ব্যাপারে নতুন কিছু ভাবব, সেটাও ঠিক আছে!” শেষের কথাটা বলতে গিয়ে ফাদার আন্তোনিওর চোয়াল শক্ত হয়ে উঠল। সত্যব্রত বুঝতে পারলেন, নুনিয়া তার আশ্রয়দাতাদের কাছেও বিড়ম্বনার কারণ। ওঁরা তাকে তাড়াতে পারলে বাঁচেন। অনাথ অসহায় মেয়েটির জন্য হঠাৎ কষ্ট হল তাঁর। —চলবে।
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel): পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।

Skip to content