Skip to content
বুধবার ২ এপ্রিল, ২০২৫


“অ্যাই, তুমি এত রাতে আবার স্নান করলে না-কি?” অঞ্জন প্রায় অবাক হওয়া গলায় জিজ্ঞাসা করল।
উন্মেষা সদ্য স্নানঘর থেকে বেরিয়ে এসেছে। এখনও তার মাথার চুল বেয়ে টুপটাপ দু-এক ফোঁটা জল ঝরে পড়ছে। তোয়ালে দিয়ে সে-সব জলের ফোঁটার দুষ্টুমি বন্ধ করতে করতে উন্মেষা একবার কটাক্ষ করল কেবল, আর কিছু বলল না।
অঞ্জন বলল, “তুমি এবার একটা অসুখ-বিসুখ না-বাঁধিয়ে ছাড়বে না দেখছি! এত রাতে কেউ স্নান করে? এমনিতেই এখানে সন্ধের পর থেকে অল্প-অল্প করে ঠান্ডা পড়তে শুরু করে। কলকাতায় হলে এতক্ষণে হাঁশফাঁস করতাম, কিন্তু এখানে যে এখনও রাতের বেলা এসি চালানোর দরকার পড়ছে না, তার কারণ ওই ঠান্ডা। সেখানে তুমি এই রাত বারোটার সময় মাথার চুল ভিজিয়ে স্নান করলে? এখন যদি জ্বরটর কিছু একটা হয়, তাহলে কিন্তু এই সব অঞ্চলে ভালো ডাক্তার পাবে তুমি?”
উন্মেষা সংক্ষেপে জবাব দিল, “এত ভাবছ কেন? কিছু হবে না!”
“নাহ্‌, তুমি যেন সবজান্তা! আগে থেকেরি জেনে বসে আছ যে, কিছু হবে না!” অঞ্জনের গলায় স্পষ্ট বিরক্তির সুর। কী দরকার ছিল উন্মেষার এ-ভাবে মাঝরাতে স্নান করার? তাও আবার চুল ভিজিয়ে?
“তুমি এত রেগে যাচ্ছ কেন বুঝতে পারছি না! বললাম তো, আমার অভ্যাস আছে। তার উপর মাথাটা ধরেছিল সন্ধ্যে থেকে। স্নান না করলে ছাড়ত না। সেই জন্যই…! যাক্‌ গে, চিন্তা করো না, চুল শুকিয়ে যাবে!”
“সে তো সমস্ত ভিজে জিনিসই একদিন শুকিয়ে যায়, তোমার চুলও যাবে। কিন্তু আমি সত্যিই ওরিড অ্যাবাউট ইয়োর হেলথ্‌ ! আরে ইয়ার, ইয়ে তুমহে করনি নেহি থি!”
“সমঝা মাই হিরো”, বলে আদুরে ভঙ্গিতে অঞ্জনের মাথার চুল এলোমেলো করে দেয় উন্মেষা।
অঞ্জন সেই স্পর্শে কেমন যেন বিহ্বল-বিভ্রান্ত বোধ করে। প্রগাঢ় গলায় ডাকে, “অ্যাই…!”
উন্মেষা ভ্রূ-ভঙ্গি করল। তারপর আলতো গলায় বলল, “কী?”
“ইচ্ছে করছে!”
“কী?” ইচ্ছে করেই না-বোঝার ভান করল উন্মেষা।
“তুমি জানো! অনেকদিন ধরে আমাকে এড়িয়ে থাকছো। আগে বললে ব্রত, তারপর বললে বিয়ের আগে ও-সব নয়। অথচ আমার সঙ্গে একসঙ্গে বেড়াতে এসেছ। এক ঘরেও থাকছো!”
“পুরানো কথা আবার টেনে আনলে কেন? তোমাকে তো বলেছি, এই দেহ-মন সবই তোমার। যা নিজের তা পাওয়ার জন্য এত তাড়াহুড়ো করতে নেই। একদিন তো পাবেই। সবুরে মেওয়া ফলে বলে একটা কথা আছে…জানো তো…”
“জানি। ইন্তেজার কা ফল মিঠা হোতা হ্যায়!”
“তাহলে?”
“বহুত ইন্তেজার করায়া ইয়ার, আই কান্ট ওয়েট ফারদার!” অস্থির গলায় বলে ওঠে অঞ্জন।
“সামহাল কে, সামহাল কে! কন্ট্রোল ইয়োরসেলফ ডার্লিং! বললাম তো, সময় হলেই হবে। আর ওই যে বললে, আমি তোমার সঙ্গে বেড়াতে এসেছি, এক ঘরে থাকছি…সেটা এই জন্য যে, আমি তোমাকে বিশ্বাস করি। এক ঘরে থাকলেও এই জন্য ডাবল্‌ বেড নিয়েছি। সেপারেট থাকছি। জানি, কোন রাতে তুমি আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়তেই পারো চাইলে। কিন্তু আমি জানি অঞ্জন সাক্সেনা আর যাই হোক, আ গুড হিউম্যান বিইং। আমার উপর জর করে কিছু সে করতে পারবে না, চাইলেও। সেই জন্যই আমি তোমার সঙ্গে এভাবে আসতে পেরেছি। তোমার জায়গায় অন্য কেউ হলে, আমি কখনই তার সঙ্গে এতদূরে ট্যুরে আসতাম না। আর এলেও একঘরে রাত কাটানোর কথা ভাবতামই না! বুঝলে সোনা!”
অঞ্জন উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। সে রাতপোশাকের উপর দিয়ে তার পুরুষত্বের জায়গায় হাত বুলিয়ে বলল, “ভুখা শের হয়ে আছি উন্মেষা। কিন্তু তুমি সত্যিই বলেছ, আমি তোমাকে এতটাই ভালোবাসি যে, তোমার উপর তোমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর খাটাতে পারব না ! নাহলে অঞ্জন সাক্সেনা চাইলে মেয়েদের উপর জোর খাটাতে পারবে না, এমনটা নয়। আমার শরীরের খিদের জন্য আমি এক্সট্রিম লেভেল অবধি যেতে পারি। কিন্তু তোমার কাছে ওই একটা জায়গায় আমি লুজার!”
উন্মেষা একটু আনমনা হল অঞ্জনের কথা শুনে। তারপর মৃদু স্বরে বলল, “তুমি ওয়াশরুমে যাও। উত্তেজনা শান্ত করে এসো। না হলে সারারাত ঘুমাতে পারবে না! আমি একটু বারান্দায় যাবো। খোলা হাওয়ায় গিয়ে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে!”
অঞ্জন বলল, “সে না-হয় যাব। কিন্তু তা বলে এত রাতে বারান্দায় যাওয়ার কী দরকার? এমনিতেই এই সময় রোজ জোর হাওয়া ছাড়ে। ঠান্ডা হাওয়া। লোকে এখন উইণ্ডচিটারের নিচে শুয়ে গরম হওয়ার চেষ্টা করছে, আর তুমি কি-না…! তোমার শরীর ঠিক আছে তো উন্মেষা?” বলে সে উন্মেষার কপালে হাত দিতে গেল।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০৭: লুকাবো বলি, লুকাবো কোথায়?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৯o: মা সারদার কথায় ‘ঈশ্বর হলেন বালকস্বভাব’

উন্মেষা একটু তফাতে সরে গিয়ে বলল, “ওয়াশরুমে যাও। আমি ঠিক আছি। বেশিক্ষণ থাকব না। জাস্ট মিনিট পনেরো। তারপরেই এসে ঘুমিয়ে পড়বো। কলকাতায় ফিরতে খুব ইচ্ছে করছে জানো। এখানে আর একটুও ভালো লাগছে না। তুমি দেখো না, যদি কোন ব্যবস্থা করতে পারো। তোমার তো পুলিশের ওপরমহলে অনেক জানাশোনা; দেখ না বলে যদি ওঁরা আমাদের কলকাতায় ফিরে যাওয়ার পারমিশন করিয়ে দিতে পারেন! আরে আমরা তো আর কালাদেও নই, খুনীও নই। অনিলকে খুন করার থাকলে এখানে এনে কেন খুন করব আমরা? তার চেয়ে কলকাতায় খুন করা তো অনেক সহজ। এখানকার পুলিশ যে কী, আমি বুঝি না! লালবাজার থেকে যে গোয়েন্দাটিকে পাঠিয়েছে, শিমুল ফুল। দেখতেই ম্যাচো হিরোর মতো। নচেৎ বুদ্ধিটা মোটেও পাকা নয়। ইন্টারোগেশন করেই যাচ্ছে কেবল। অ্যাকশন কিছু দেখছি না! এদের দিয়ে পুলিশ ফোর্স চলছে আজকাল! সত্যি ভাবতে পারি না!”
অঞ্জন বলল, “আমার কিন্তু তা মনে হল না। লোকটি দেখতে শুনতে চৌকস, বুদ্ধিও যে খুব কম, তা কিন্তু মনে হয় নি। ইন্টারোগেশনের সময় এমনভাবে তাকাচ্ছিলেন, যেন সকলের ভিতরের সব কথা পড়ে ফেলবেন। আর প্রশ্নও করেছেন ট্যু দ্য পয়েন্ট। চাঁচাছোলা! অরণ্যরাও বলছিল। আমার মনে হয়, লোকাল পুলিশ না পারলেও, ওই গোয়েন্দা অফিসার, শাক্য সিংহ না কী-যেন, উনি পারবেন!”
“পারলেই ভালো! কিন্তু কবে? সপ্তাহ গড়িয়ে গেল। আমাদের কথা চিন্তা করো তো? দু-তিন দিনের ট্যুর এখন দু’-সপ্তাহ পার হতে চলল প্রায়! নেহাৎ আমরা বলে থাকতে পারছি, সাধারণ ট্যুরিস্ট হলে পারত?”
“সেটা ঠিক!” উন্মেষার কথাকে সমর্থন করে অঞ্জন।
আরও পড়ুন:

উপন্যাস: আকাশ এখনও মেঘলা, পর্ব-৯: আকাশ এখনও মেঘলা

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৫১: রোজই দেখি আলাস্কা পর্বতশৃঙ্গের বাঁ দিকের চূড়া থেকে সূর্য উঠতে

“সেই জন্যই বলছি, কাল একবার তোমার যে-যে কানেকশন আছে, কথা বলে দেখো। আর নেওয়া যাচ্ছে না!”
“দেখব। এখন ওয়াশরুম থেকে ঘুরে আসি!” বলে অঞ্জন ব্যাজার মুখে ওয়াশরুমের দিকে এগোল, “তুমি কিন্তু বেশিক্ষণ বাইরে থেকো না!”
“আরে না না। তোমার ওয়াশরুমের কাজ হয়ে যাওয়ার আগেই আমি রুমে ঢুকে যাবো। বাইরের তারাভরা আকাশটাকে দেখে নিই। কে বলতে পারে, কলকাতা থেকে আর কোনওদিন কোথাও যাওয়া হবে কি-না কিংবা কবে হবে!” বলে আর উত্তরের অপেক্ষা না করে মোবাইলটা নিয়ে বারান্দার দিকে এগোল।
বারান্দায় বেরিয়ে টাওয়েলটাকে বারান্দার রেলিং-এ মেলে দিল উন্মেষা। সত্যিই হাওয়া ছেড়েছে রোজ যেমন ছাড়ে। সেই হাওয়ায় টাওয়েল উড়ে গিয়ে নিচে পড়তে পারে। একটা ক্লিপ এঁটে দিল সে। তারপর আকাশের দিকে তাকাল।

কলকাতার বাইরে বেরুলেই আস্তে আস্তে রাতের আকাশের চেহারা বদলাতে শুরু করে। হিমালয়ের দিকে কিংবা লাদাখে গেলে তো আরও স্বচ্ছ, আরও নির্মল, আরও গভীরভাবে আকাশ দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে তারায় তারায় যেন ঠেলাঠেলি চলছে। এত লক্ষ কোটি তারা যে রাতের আকাশে থাকতে পারে, কলকাতায় থাকলে তা কোনদিন জানতেই পারবে না কেউ। ফ্যাকাশে আকাশ, দু’চারটি তারা, মনে হয় রাতের আকশে নিঃসঙ্গ কয়েকটি তারা যেন আছে। এখানে এসে মনে হয়, আর যাই হোক, তারারা একা থাকে না, থাকতে পারে না তারা। ভিড় করে একে অপরকে গল্প না শোনাতে পারলে তাদের ঘুমই হয় না।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯৩: সাত-সহেলি

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-২২: নন্দিবিলাস-জাতক: রূঢ়ভাষে কষ্ট কারও করিও না মন

মাথা নাড়িয়ে চুল থেকে জল ঝেড়ে উন্মেষা নিচে বাগানের দিকে তাকাল। দিনের বেলা এই বাগানটি অন্যরকম লাগে। মরশুমি ফুলের গাছ আলো হয়ে আছে ফুলে। বড় বড় গাছে নতুন পাতা ধরেছে। পিছনের ধার ঘেঁষে জঙ্গল শুরু হয়েছে। বেরুনোর গেটের উপরে কেয়ারি করা বুগনভেলিয়ার ঝাড়। সেটাও গোলাপি-সাদা কম্বিনেশনের ফুলে আলোয় আলো হয়ে থাকে সারা দিন। এখন অবশ্য অন্ধকারে বাগানের সেই অপরূপ দৃশ্য অন্তর্হিত হয়েছে। পিছনের গেটের ধার ঘেঁষে ল্যাম্পপোস্টে মিটমিট করে আলো জ্বলছে। সেই আলো সামান্য একফালি অংশ আলোকিত করে হারিয়ে গেছে অন্ধকারে। ইচ্ছে করেই মোবাইলের টর্চ জ্বেলে গেটের দিকে ফেলল সে। যেন এতদূর থেকে সেই সামান্য আলোয় গেটের কাছটা আলোকিত হয়ে উঠবে। মোবাইলের টর্চ তার সামান্য শক্তি দিয়ে কাজটা করতে অবশ্য ব্যর্থ হল। আরও দু’-বার বৃথা চেষ্টা করে উন্মেষা ক্ষান্ত হল।

তৃতীয়বার টর্চটা বন্ধ করার সময় তার যেন মনে হল, বাগানের গেটের দু’পাশে যে ঝোপ মতো গাছ ক’টা আছে, তার আড়ালে যেন স্যাঁৎ করে সরে গেল পুঞ্জীভূত একতাল অন্ধকার। চমকে উঠল সে! কেউ কী লুকিয়ে গেল তাকে দেখে ঝোপের আড়ালে? এত রাতে কে হতে পারে? হোটেলের কর্মচারি কেউ? কিন্তু তা-ই যদি হবে তাহলে তাকে দেখে কিংবা তার ফেলা আলো দেখে লুকিয়ে পড়ার তো কিছু নেই। আগেও দু’-একদিন বারান্দায় বেরিয়ে এমনি মোবাইলের টর্চ জ্বেলে আলো ফেলে সে এদিক-অদিক দেখতে চেয়েছে। তখনই দেখেছে, কাপাডিয়া একটা বড় সেলের টর্চ হাতে রিসর্টের চারপাশ পরীক্ষা করছেন। গেটে তালা পড়েছে কি-না দেখছেন। আগে হয়তো দেখতেন, তবে এমন তাগিদ ছিল না। কিন্তু অনিল আর হোটেলের সেই কর্মচারী, উন্মেষা তার নাম মনে করতে পারল না, সে-যাই-হোক, দুজনের মৃত্যুর পরে কাপাডিয়া আর রিস্ক নেন নি। নিজেই চেক্‌ করতে বেরোন। অবশ্য ভ্রামণিকদের বারান্দা বা রুমের দিকে আলো ফেলে তিনি দেখেন না। সেই ভদ্রতাবোধ কাপাডিয়ার যথেষ্ট আছে। আজকে কি কাপাডিয়া চেক্‌ করে চলে গেছেন? উন্মেষা উপরের দাঁতের পাটি দিয়ে নিচের ঠোঁট চেপে ধরল। সে কী ফোন করবে রিসেপশনে? কিংবা সরাসরি কাপাডিয়াকে? সে কাপাডিয়ার নাম্বার নিয়ে রেখেছিল। ম্যানেজারের নাম্বার নিয়ে রাখা ভালো। কখন কী দরকার পড়ে!
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০৭: সুভদ্রাপুত্র অভিমন্যু ও দ্রৌপদীর পঞ্চ পুত্র, কে বা কারা রইলেন পাদপ্রদীপের আলোয়?

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৭০: বিচারক

ঠিক তক্ষুনি সে দেখতে পেল, কাপাডিয়া আসছেন। তাঁর পাঁচ সেলের টর্চ জ্বলছে আর নিভছে মাঝেমাঝে। সে নিশ্চিন্ত বোধ করল। কাপাডিয়া পিছনের ছোট গেটের সামনে এসে তালা টেনে দেখছেন সে দেখল। তারপর যথারীতি ঘুরে ফিরে আসবেন এমনসময় পরম বিস্ময়ে উন্মেষা দেখতে পেল, কাপাডিয়ার বাঁ-দিকের ঝোপটার আড়াল থেকে বেরিয়ে এল এক চলমান অন্ধকার। যেমন তার হাইট, তেমনই চওড়ায় বিপুল। চোখ দুটো যেন ভাঁটার মতো জ্বলছে। এতদূরে বারান্দায় দাঁড়িয়েও উন্মেষা স্পষ্ট দেখতে পেল যেন সব। এই কি কালাদেও? কেঁপে উঠল উন্মেষা। সে কী চিৎকার করবে? কিন্তু তাতে যদি কালাদেও তাকে আক্রমণ করে? অনিলকেও তো কালাদেও তার রুম থেকেই ছুঁড়ে ফেলেছিল নিচে। আর যদি মানুষের বলা গল্পগুলি নিছক গল্প না হয়, তাহলে হয়তো কালাদেওর অগম্য এমন কোন স্থান নেই, এমন কিছুও নেই যা কালাদেও পারে না। অতএব উন্মেষা নিঃসাড়ে দেখতে লাগল কী হয়। হঠাৎ সে দেখতে পেল, বিপুল অন্ধকার যেন চুপিচুপি আসছে। হাতে তার ওতা কী? মুগুর? না-কি আর কিছু? উন্মেষা আতঙ্কিত চোখে দেখল, সেই মুগুরধরা হাত উঠছে। সামনে মি. কাপাডিয়া হেঁটে যাচ্ছেন, পিছন-পিছন সেই মূর্তিমান বিভীষিকা ! মুগুরের মতো বস্তুটা কালাদেও মাথার উপর ওঠালো আর তারপরেই নেমে এল…! আতঙ্কে চিৎকার করে উঠল সে…!! —চলবে।
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel): পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com