বুধবার ২৬ মার্চ, ২০২৫


শাক্য কাপাডিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখছিল। ভদ্রলোক মাঝেমধ্যেই থরথর করে কাঁপছেন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসলে সঙ্গে-সঙ্গে সে ট্রমা কাটিয়ে ওঠা কঠিন। এই কারণেই সে সময় দিচ্ছিল তঁকে। কাপাডিয়াকে এর আগেরদিন বৈশিষ্ট্যহীন একজন সাধারণ মানুষ বলে মনে হচ্ছিল। আজ ভালো করে খুঁটিয়ে দেখতে গিয়ে শাক্য দেখল, মানুষটির মুখে বহুকালের পোড়খাওয়া চিহ্ন খোদাই করা আছে। অসংখ্য বলিরেখা, ডান চোখটা ছোট বাম চোখের তুলনায়, সেদিকে গালের চামড়া শুকিয়ে গুটিয়ে গেছে, ভদ্রলোক এই মুহূর্তে সম্ভবত মনের ভুলে সানগ্লাস পরেননি। আসলে সানগ্লাস মুখের বলিরেখা, খুঁত ইত্যাদিকে এমনভাবে ঢেকে দেয় যে, অনেকেই সানগ্লাস ব্যবহার করে বয়সটাকে লুকানোর জন্য। আগের দিন সম্ভবত কাপাডিয়া সানগ্লাস পরেছিলেন।

আজকে যদিও নিজেই বলেছেন, ফোটোক্রোমাটিক লেন্স ব্যবহার করেন তিনি। ফলে চড়া আলোয় অনেকখানি নিশ্চিন্ত। তাঁর বাইকের একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল, ডান দিকে চোট পান, সেই থেকে ওই দিকটার চামড়া গুটিয়ে ছোট হয়ে গেছে, এইজন্যই ডাক্তার তাকে স্বাস্থ্যের কারণে সবসময় চশমা, যা ফোটোক্রোমাটিক লেন্স পরে থাকতে বলেছেন সবসময়। তাহলে না-কি সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাবেন তিনি। সেই আশাতেই ওদিকটা বেশিরিভাগ সময় চশমা ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে রাখেন কাপাডিয়া। আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, শাক্য যখন তাঁর সঙ্গে করমর্দ্দন করছিল, তখন সে একটা অদ্ভুত ব্যাপার অনুভব করেছিল। সেটা তাঁকে বলা যায় না, শিষ্টাচার বলে তো একটা সংস্কার আছে। তবু যদি বলতে পারত সে, তাহলে বলত, ছোটবেলায় মায়েরা যেমন বেয়াড়া ছেলেকে মারধোর দেওয়ার পরেও যখন তার লজ্জা কিংবা সংশোধন কোনটাই হত না, তখন তাঁরা বলেন, “হবে কী করে ? গণ্ডারের চামড়া যে!” কাপডিয়ার হাতটিও মোটা-খসখসে, ঠিক যেন গণ্ডারের চামড়া।
সুদীপ্ত বলল, “আপনার গার্ডেরা তখন কোথায় ছিল?”
কাপাডিয়া নিজেকে সামলে নিতে নিতে কোনরকমে বললেন, “আজ্ঞে স্যার, পিছনের দিকে তো আলাদাভাবে কোন গার্ড থাকে না। সামনের গেটে থাকে। তবে তাদের যেমন করে মালিক নির্দেশ দিয়েছেন, তেমন করেই তারা দু’জন সামনের গেটে পাহারা দেওয়ার ফাঁকে দু’বার পিছনের দিকে ঘুরে আসে। আজকে তখনও তাদের সেদিকে যাওয়ার সময় হয়নি। ফলে ওইদিকে কেউ ছিল না!”
সুদীপ্ত বলল, “আপনি যখন পড়ে যান, তখন তাহলে কেউ সেখানে ছিল না? আই মিন, আই-উইটনেশ বলতে যা বোঝায়, তেমন কেউই ছিল না!”
কাপাডিয়া বললেন, “না, আগে সেটাই ভেবেছিলাম। কিন্তু আমি পড়ে যাওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে একজন কেউ উপর থেকে মোবাইল টর্চের আলো ফেলে ‘কে? কে?’ বলে চেঁচিয়ে উঠতেই আততায়ী কিংবা কালাদেও পালিয়ে যান। পরে শুনলাম, তিনি উন্মেষা।”
শাক্য বলল, “তাহলে তো উন্মেষা ম্যাডামকে ডাকতে হয়!”
“আজ্ঞে, জরুর! উনিই বলতে পারবেন ভালো করে কিছু দেখেছেন কি-না! আমাকে পিছন দিক থেকে আক্রমণ করেছিল, ফলে তাকে আমার দেখতে না-পাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে উন্মেষা ম্যাডাম কিছু দেখলেও দেখতে পারেন। তখন এখন মেন্টাল ট্রমার মধ্যে রয়েছেন যে, সে-কথা কতখানি মনে থাকবে তাদের, জানি না !” কাপাডিয়া বললেন।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০৭: লুকাবো বলি, লুকাবো কোথায়?

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০৬: ভারতীয় পারিবারিক জীবনে স্নেহময় জ্যেষ্ঠর ভূমিকায় রামচন্দ্র কতটা আকর্ষণীয়?

শাক্য দেরি করল না বেশি। এদিকের তদন্ত সেরে তাকে কাল যে-ভাবেই হোক মহকুমাশাসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হবে। উনি টাইম দিয়েছেন হাফ-অ্যান আওয়ার। সেটা ফেল করলে খুব চাপে পড়ে যাবে শাক্য। সে অবশ্য মেইল পাঠিয়েছিল। উনি পরে মেইল চেক করে শাক্যের সঙ্গে কথা বলেছেন। শাক্য কিছু ব্যাপারে অনুরোধও জানিয়েছে। সেই কথা ডি.এম ছাড়া আর কারও জানবার কথা নয়। কাপাডিয়ার কথা শুনে সে বলল, “তাহলে উন্মেষা ম্যাডামকেই আসতে বলি!”

একজন কনষ্টেবেলকে নির্দেশ দেওয়া হল।

উন্মেষা ম্যাডাম যতক্ষণ না-আসে শাক্য এটা-ওটা বলছিল, কখন কাপাডিয়াকে ভরসা যোগাচ্ছিল। এটা-ওটা বলতে গিয়েই তার মনে পড়ল সেই বিজ্ঞাপনের কথা। যাতে একটি বক্স অফিস নাম্বারও দেওয়া আছে। সে কাপাডিয়াকে জিজ্ঞাসা করল, “আচ্ছা কাপাডিয়া সাহেব, একটি কথা মনে হল। কিছু মনে না-করেন তো বলি?”
“হ্যাঁ। বলুন, কী বলবেন?” কাপাডিয়া ভাবলেশহীন গলায় বলল।
“নাহ্‌, বলছিলাম এদিকের কোন একটি রিসর্ট বিক্রি হবে বলে বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে। যদিও রিসর্টের নাম দেওয়া হয়নি। কিছু যদি মনে না করেন, তাহলে আপনার এই রিসর্টটিও—” কথা শেষ করল না শাক্য।
“আমাদের রিসর্ট?” গলায় বিস্ময় ঝরে পড়ল কাপাডিয়ার।
“হ্যাঁ। এই দেখুন, আমি স্ক্রিন-শট্‌ নিয়ে রেখেছিলাম। সঙ্গে দেওয়া রিসর্টের ছবিটাও যেন আপনাদের এই রিসর্টেরই!” শাক্য মোবাইল থেকে দেখাল কাপাডিয়াকে।
“কিন্তু আমাদের রিসর্ট বিক্রি হবে বলে আমরা তো কোন বিজ্ঞাপন দিইনি! তাছাড়া বিষয়টা নিয়ে আমরা কেউই কোন কথা বলিনি ! অথচ দেখুন, কেউ না-কেউ আমাদের রিসর্টের ছবি দিয়ে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গি করতে উঠে-পড়ে নেবেছে। এতে আমাদের রিসর্টের রেপুটেশন খারা হয়ে যাবে। আর রিসর্টের রেপ্যুটেশনেও দাগ লাগবে! এ-তো উচিৎ কথা নয়! আমি এক্ষুনিই সুদীপ্তবাবুকে এই মর্মে একটা ডায়েরি লেখাতে চাই!”
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৪: রবীন্দ্রনাথের ‘মুকুট’ ত্রিপুরার ইতিহাসাশ্রিত গল্প

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৯: সে এক স্বপ্নের ‘চাওয়া পাওয়া’

সুদীপ্ত বলল, “ঠিক আছে। করবেন এখন। কিন্তু আপনাদের রিসর্ট বিক্রি নয়, সে-তো বুঝলাম। চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি যে, অন্যান্য রিসর্ট যখন মাছি তাড়াচ্ছে, তখন আপনাদের পিশাচপাহাড় ট্যুরিস্টের ভিড়ে গমগম করছে। আপনাদের রিসর্টের লক্ষ্মীলাভ কে আটকায়! কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারছি না, কে এ-কাজ করেছে ? আপনারা যে করেননি, তা নিয়ে আমার মনে কোন অস্পষ্টতা নেই। কিন্তু আপনার কোন অনুমান বা সন্দেহ, কে করে থাকতে পারে এর পিছনে?”

কাপাডিয়া অসহায়ের মতো বলে উঠলেন, “আমি কী করে বলব বলুন তো? আমার মাথা কাজ করছে না, আগেই বলেছি!”

শাক্য কাপাডিয়ার কথা কানে নিল বটে কিন্তু শুনল না। সে বার-বার প্রশ্ন করেই চলল, যাতে কথোপকথনের সময় কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা সূত্র, যা হয়তো কাপাডিয়া ভুলে গেছেন, সেগুলি জানা যায় এবং একটা সম্ভাব্য সমাধান কিংবা অন্যান্য সূত্রগুলি পাওয়া সম্ভব হয়। শাক্য বলল, “আপনাদের রিসর্টের রাইভ্যাল কে? না-কি একজন নয়? অনেকে?”
“দেখুন”, কাপাডিয়া বললেন, “হোটেল-রিসর্ট ইত্যাদি ব্যবসাতে কেউ কারুর বন্ধু নয়, কেউ কারুর শত্রুও নয়। সকলেই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে, তবে তা উপর-উপর। মনে-মনে কিন্তু সকলেই সকলকে পিছনে ফেলে আগে যানা চাহতে হ্যায় ! সো এনিওয়ান ক্যান বি আওয়ার এনিমি অর সো-কলড্‌ ফ্রেন্ড!”
“আপনি এখানকার সমস্ত হোটেল রিসর্টগুলি নিশ্চয়ই চেনেন?”
“হাঁ, চিনি! কেন?”
“আপনি একটু গোপনে খোঁজ নিয়ে বলতে পারবেন আমাদের?”
“কী?”
“কে বা কারা কোন্‌ রিসর্ট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে? এটা আমাদের পক্ষে জানা সবসময় সম্ভব না-ও হতে পারে কিংবা হলেও খুব তাড়াতাড়ি জানা সম্ভব হবে না নিশ্চয়ই। কিন্তু আপনার পক্ষে সম্ভব, কারণ আপনি আপনার বসের বকলমে হাফ-মালিক হিসেবেই কাজ করছেন এতদিন। আমার তো মনে হয় আজ এই রিসর্টের এত উন্নতি, তাতে আপনার অবদান এবং সিদ্ধান্তের গুরুত্ব সর্বাধিক!” শেষের কথাটি ইচ্ছে করেই বলল শাক্য। এতে যত কঠিন মন হোক না কেন, ক্ষোভ জন্মাতে পারে না উল্টোদিকে যে বসে আছে, তাঁদের মনে; বরং একটু ক্লোজ হওয়া যায়।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯২: দুর্গা টুনটুনি

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-২০: জ্ঞান ও অজ্ঞান

কাপাডিয়া লাজুক গলায় বললেন, “না না, ইয়ে সব বাত বোলবেন না। তাতে মালিক শুনলে গুস্‌সা করবেন। দেখুন, আমি আমার কাজটুকু করছি মাত্র। ইয়ে হাম লোগোকা রোটিরুজি। তরক্কি না করলে মালিক রাখবেন কেন? আর ইসি উমর্‌ মে নৌকরি চলে গেলে কেউ ফিরে নৌকরি দেবে না! যাই হোক্‌, আমি চেষ্টা করবো। তবে পারবই, তেমন কথা দিচ্ছি না!”
শাক্য বলল, “ওই, ওই আপনার চেষ্টাটুকুই যথেষ্ট। আমার বিশ্বাস ওতেই কাজ হবে!”
“কিন্তু রিসর্ট বিক্রিকে আপনি এত গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন?” কাপাডিয়া অবাক গলায় জিজ্ঞাসা করলেন।
“সে ক্রমশ প্রকাশ্য। আপনি একটু চেষ্টা করুন। প্লিজ! নাহলে হয়তো তীরে এসে তরী ডূববে!”
কাপাডিয়া বললেন, “দেখিয়ে, এখানে পহেলে তো কুছু ছিল না। আমাদের মালিক এ-জায়গাটিকে সিলেক্ট করে যব ইয়ে রিসর্ট বনায়া, তব কাঁহা থে উয়ো আদারস্‌ পাবলিক ? আমাদের দেখাদেখি পরে আস্তে-আস্তে বাকিরাও এসে জোটে। এ-দিককে কেন্দ্র করে একাধিক হোটেল-রিসর্ট তৈরি হয়। এই পথ কিন্তু দেখিয়েছিলেন, আমাদের মালিক। অ্যাব্রোডে থাকেন কি-না। ভাবনাচিন্তাই অন্যরকম। তবে ইদানীং এত ভিড়ভাট্টা হয়ে যাচ্ছিল কী, পিশাচপাহাড়ের রুম ফাঁকা পড়ে না-থাকলেও, ট্যুরিস্ট পার্টি যে নিরালা অ্যাটমোসফিয়ার মাঙ্গতা হ্যায়, উয়ো দেনা মুশকিল হো যা রাহা হ্যায়। সেই জন্য মালিক তো আমাকে একবার বলেছিলেন, উনি ভাবছেন এই জমি ছেড়ে দিয়ে উনি অন্যত্র রিসর্ট বানাবেন। এই পিশাচপাহাড়ে আর রিসর্টের বিজনেস নয়! আমি কোনমতে আটকাই তাঁকে!”
“তাহলে কি আপনার মালিক এই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন?” শাক্য জিজ্ঞাসা করল।
“না না, তেমন কিছু করলে পহলে আমাকে ঠিকই বলতেন। আমার তা মনে হয় না!” কাপাডিয়া বললেন বটে তবে তাঁর মুখখানি পাংশুবর্ণ ধারণ করল। মনে-মনে কি তিনিও সন্দিহান হয়ে উঠলেন? ভয় পেলেন এই বয়সে চাকরি চলে যাবে বলে?
শাক্য সেই মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, “আপনি মালিককে ফোন করে জিজ্ঞাসা করুন না কেন? এক্ষুনিই করুন!”
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৮: সকালবেলাই হাঁটতে হবে?

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৯o: মা সারদার কথায় ‘ঈশ্বর হলেন বালকস্বভাব’

কাপাডিয়া বললেন, “নাহ্‌, মালিক নিজেই ফোন করেন কিংবা মেইল পাঠালে রিপ্লাই দেন। সেখানেই কী করণীয় ইত্যাদি বলে দেন তিনি। তার উপরে নিতান্ত এমার্জেন্সি ছাড়া ওনাকে ফোন করা বারণ।”
“ওনার নাম্বারটা কি পেতে পারি ?” শাক্য গলায় মধু ঝরিয়ে জিজ্ঞাসা করল।
“নিশ্চয়ই। তবে উনি ফোন না উঠালে আমাকে দোষ দিবেন না। নিন লিখুন…” বলে একটা নাম্বার দিলেন। শাক্য আর সুদীপ্ত দুজনেই সেই নাম্বারটি সেভ করে নিলেন।
এমনসময় দরজার কাছ থেকে ভেসে এল একটি মার্জিত কিন্তু সুরেলা কন্ঠস্বর। “আসতে পারি?”
সুদীপ্ত এবং শাক্য দুজনেই ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল, কনস্টেবলের সঙ্গে উন্মেষা এসেছেন। তাঁর মাথার চুল খোলা, সম্ভবত ভেজা। এখানে এই সময়েও রাতের বেলা এত ঠান্ডা থাকে যে একজন মহিলা কেন, কেউই স্নান করার কথা চিন্তাই করে না। সেখানে উন্মেষা মাথার চুল ভিজিয়ে স্নান করেছেন, এটা সচরাচর দেখা যায় না। ওনার কি প্রেশার হাই? শাক্য মনে মনে নিজেকেই জিজ্ঞাসা করছিল। এ-সব কথা তো ইন্টারোগেট করার সময়েও জিজ্ঞাসা করা যায় না। তবে মনে-মনে শ্বীকার করল, মহিলার মধ্যে ব্যক্তিত্ব, রূপ এবং পুরুষদের আকর্ষণ করার ক্ষমতা আছে। কিন্তু এমন একটা সংযমের চাদর পরে আছেন উন্মেষা যে, যে-কেউ চাইলেই তাঁর কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
শাক্য বলল, “বসুন উন্মেষা। বুঝতেই পারছেন, অনিচ্ছা সত্ত্বেও আপনাকে ডাকতে হচ্ছে কারণ, আপনি সম্ভবত এক এবং অদ্বিতীয় আই-উইটনেস, যাঁর সাক্ষ্য আমাদের কাছে বিশেষভাবে মূল্যবান।”
উন্মেষা বসে পড়ে বলল, “মাই প্লেজার!”
শাক্য বলল, “তাহলে উন্মেষা আপনি বলেছেন, যখন মিঃ কাপাডিয়ার উপর আক্রমণ হয়, তখন আপনি তা দেখেছেন?”
“হ্যাঁ, আমি দেখেছি। তবে তা না-দেখার সামিল!”
“মানে…?”
“বলছি। শুনলেই বুঝতে পারবেন, আমি অকারণ হেঁয়ালি করছি না!” —চলবে।
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel): পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content