সোমবার ৩ মার্চ, ২০২৫


শাক্য জিজ্ঞাসা করল, “তাহলে আপনি ভেবে বলছেন তো, যে কালাদেও বা আর কিছু আপনাকে আক্রমণ করেছিল, তাকে আপনি দেখতেই পাননি?”

কাপাডিয়া ভয়ে জড়সড় হয়ে আছেন। চোখমুখের অবস্থা ভালো নয়। একজন ডাক্তারকে কল করা হয়েছিল। তিনি এই রিসর্টের এমার্জেন্সি সার্ভিসের সঙ্গেই যুক্ত, কখন কোন বোর্ডার অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে প্রাইমারি ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই জন্য অনেক রিসর্ট-হোটেলেই আজকাল এ-ধরণের ব্যবস্থা রাখা হয়। আর এক্ষেত্রে তো কোনও বোর্ডার নয়, রিসর্টের ম্যানেজার স্বয়ং আহত। ডাক্তার এসেছেন, দেখে জানিয়েছেন, কাঁধের চোট গুরুতর না হলেও কাল সকালে এক্সরে করিয়ে নিতে হবে। আপাতত ব্যথা কমানোর জন্য মাইল্ড ডোজের পেইন কিলার এবং রাতে ঘুমানোর জন্য ঘুমের ওষুধ প্রেসক্রাইব করে গিয়েছেন। কাপাডিয়ার মধ্যে এখন আতঙ্ক কাজ করছিল স্বাভাবিকভাবেই। শাক্যর প্রশ্ন যেন মনের ভয়টা আরও বাড়িয়ে তুলল। কোনরকমে সেই অবস্থাতেই চিঁ-চিঁ করে বললেন, “হ্যাঁ স্যার। আমি সত্যিই দেখতে পাইনি। পিছন থেকে অ্যাটাক করেছিল তো!”
“অ্যাটাকের আগে কোন শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন পিছনে?” শাক্য জিজ্ঞাসা করল শান্ত স্বরে।
“আজ্ঞে না। কোয়ি ভি সাউণ্ড-আউণ্ড কুছ ভি নেহি শুনা ম্যায়নে! ফির ভি…”
সুদীপ্ত বলল, “স্যার, আগে থেকে কেউ যদি লুকিয়ে থাকে ঝোপঝাড়ের পিছনে ? তাহলে ?”
“সেটাই হয়তো হয়েছে, কারণ আমি ওইখানে একটা ঝোপের পিছনের ঘাস দলে যাওয়া অবস্থায় পেয়েছি। সম্ভবত আততায়ী ওইখানে অপেক্ষা করছিল কাপাডিয়ার জন্য।”
কাপাডিয়া আতঙ্কগ্রস্ত চোখ-মুখ নিয়ে বললেন, “কী বলেন স্যার! আততায়ী নয় কালাদেও। আর কালাদেও কেন আমাকে মারতে চাইবেন, এটাই তো হামার মাথায় ঢুকছে না!”
“আপনি হয়তো কারুর পাকা ধানে মই দিয়েছেন, সেই কারণেই…।” ঠাট্টা করল শাক্য।
কাপাডিয়া কাষ্ঠ হেসে বললেন, “না স্যার, আমার ও অভ্যাস নেই। আমি নির্বিরোধী মানুষ। পেটের দায়ে কাজ করতে নেমেছি। কাজ করব যতদিন শরীর থাকবে, ফিন ঘর ওয়াপস্‌ চলে যাবো।” সিরিয়াস গলায় বললেন কাপাডিয়া। ঠাট্টাটা বুঝতে পারেননি।
সুদীপ্ত বলল, “কে হতে পারে? কালাদেও যদি আক্রমণও করে, হঠাৎ করবে, কিন্তু ওত পেতে শিকার ধরার মতো কালাদেও ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে আছেন কখন ভিকটিম আসবে, সেটা ঠিক বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না!”
“কেন বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না আপনার স্যার?” কাপাডিয়া জিজ্ঞাসা করলেন।
সুদীপ্ত বলল, “তার কারণ, কালাদেও যেখানে-যেখানে আক্রমণ করেছে, সেখানে কিন্তু অতর্কিতই করেছে। আগে থেকে প্ল্যান-প্রোগ্রাম ঠিক করে করেনি। অথচ এক্ষেত্রে আপনার জন্য ঝোপের আড়ালে লুকিয়েই রইল, সেটাই কেমন বিশ্বাস হচ্ছে না। কারণ, আপনার জন্যই কেন? আপনার সঙ্গে কালাদেওর কিসের শত্রুতা? সেই কারণেই আমার খালি মনে হচ্ছে, কোন মানুষই হবে। আপনাদের রিসর্টের রাইভাল গোষ্ঠির কেউ হলেও হতে পারে!”

শাক্য বলল, “যদিও আপনি বলছেন, রাইভাল গোষ্ঠীর কেউ, আমার কিন্তু তা মনে হয় না অফিসার। তার কারণ, এমনিতেই কালাদেওর আবির্ভাবে পিশাচপাহাড়ের বদনাম হয়ে গেছে যথেষ্ট। আশেপাশের রিসর্টগুলি মাছি তাড়াচ্ছে। পিশাচপাহাড় রিসর্টও সে-কাজই করত, কিন্তু ওই যে, কিছু পার্টি কপালের ফেরে আটকা পড়েছে, তাদের উপায় নেই সেই জন্যই তারা আছে, সেইজন্যই এই পরিস্থিতিতেও আপনার রিসর্টে ট্যুরিস্ট পার্টি ভর্তি। এই দেখে রাইভ্যাল পার্টি আক্রমণ করতেই পারে, কিন্তু তাতে এলাকার বদনাম আরও ছড়াবে। যেখানে রিসর্টের ম্যানেজারই সুরক্ষিত নয়, সেখানে বাইরের কোন ট্যুরিস্ট সহজে আসতেই চাইবে না। ফলে অন্যান্য রিসর্ট বা হোটেলগুলির অবস্থা আরও সঙ্গিন হয়ে উঠবে। সুতরাং এমন ভুল এই মুহূর্তে কেউ করবে না বলেই মনে হয়। কারণ, অকারণ শত্রুতা দেখানোর সময় এটা নয়, নিজেদের ব্যবসা-রুটিরুজি বাঁচানোর সময়। তাছাড়া, মিঃ কাপাডিয়া ম্যানেজার মাত্র, মালিক নয়। সেক্ষেত্রে রাইভ্যাল গোষ্ঠীর কেউ যদি কাপাডিয়াকে মেরেও ফেলে যেতেন, তাহলেও কিছু যায় আসত না। মালিকপক্ষ তখন আর-একজন কাউকে ম্যানেজার করে পাঠাতেন। চালু রিসর্ট কেউ বন্ধ হয়ে যাক, চায়?”
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০৪: খরগোশ ও কচ্ছপ

শিবরাত্রি: তোমার নৃত্য অমিতবিত্ত ভরুক চিত্ত মম

মাথা নাড়লেন কাপাডিয়া, স্বীকার করলেন, শাক্যর কথা সঙ্গত, কোন মালিকই চাইবেন না অমন হোক। আর ম্যানেজারগিরি করার জন্য হাজার একজন এসে লাইন দিয়ে হত্যে হয়ে পড়বে মালিকের পায়ে। চাকরির বাজার এতটাই খারাপ যে, দারোয়ানের চাকরি খালি থাকলেও শ’য়ে শ’য়ে মানুষ এসে ভিড় করে।
শাক্য বলল, “মিঃ কাপাডিয়া মালিক হলে কিন্তু সত্যিই রিসর্টটা বন্ধ হয়ে যেত। কী বলেন?” শেষোক্ত প্রশ্নটি সে কাপাডিয়ার দিকে ছুঁড়ে দিল।
কাপডিয়া শিউরে উঠে বললেন, “তাহলে আর কী? সবাইকে একেবারে পথে এসে দাঁড়াতে হত! কম লোক কাজ করে রিসর্টে?”
সুদীপ্ত বলল, “তাহলে আপনি কী বলতে চাইছেন স্যার যে…”
শাক্য তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল, “হ্যাঁ…! কিন্তু এখন ও কথা নয়। কেবল মনে রাখুন, কালাদেও নয়, বাইরের কোন রাইভ্যাল গ্রুপও নয়, এই রিসর্টের বোর্ডারদের মধ্যেও কেউ আক্রমণ করতে পারেন, কিংবা বাইরের কেউ, যে কোনও কারণে মিঃ কাপাডিয়াকে শত্রু বলে মনে করে!”
সুদীপ্ত বলল, “বোর্ডারদের মধ্যে কেউ হলে ব্যাপারটি সত্যিই আরও ভয়ঙ্কর। এতগুলি বোর্ডারের মধ্যে একজন হত্যাপাগল লোক রয়েছে জানলেই তো আতঙ্কে অনেকে শিউরে উঠবে, তারপর রাতারাতি পালাতে চাইবে! অতএব সেই হত্যাকারী যেই হোক না কেন, তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে অবিলম্বে! নাহলে হয়তো আরও মৃত্যু…”
আরও পড়ুন:

ঈশ্বর কী সাড়া দেন তামিলে, সংস্কৃতে?

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯o: ছাতারে

শাক্য বলল, “আমিও তো সেটাই চাইছি অফিসার যে আততায়ী ধরা পড়ুক এবং এই নির্বিচার হত্যালীলা বন্ধ হোক। সেই আততায়ীকে খোঁজবার জন্যই তো গোটা পুলিশ ফোর্স উঠে পড়ে লেগেছে। আমারও একই প্রশ্ন, সে কে? আর কেনই বা কাপাডিয়ার উপরে অতর্কিতে হামলা চালালো? তবে, আমি কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলিনি যে, হোটেলের বোর্ডারদের মধ্যেই আক্রমণকারী আততায়ী আছে। সেটা তদন্তসাপেক্ষ। মনে রাখতে হবে যে, রিসর্টের মেইন গেট তখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ডাইনিং প্রায় শূন্য। কর্মচারীরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিয়েছেন কিংবা নিচ্ছেন। রিসর্ট আজ রাতের মতো ঝাঁপ বন্ধ করবার আগে মিঃ কাপাডিয়া চারপাশ ঘুরে দেখবার জন্য একবার বেরিয়েছেন। রোজই বেরোন, এতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। তিনি ফিরে এলে রিসর্টের এন্ট্রিডোরও বন্ধ হয়ে যাবে। এই সুযোগে রিসর্টের ভিতরের কেউ হলে তাকে কিন্তু আক্রমণ ব্যর্থ হওয়ার পরে সেই মূল দরজা দিয়েই ঢুকতে হবে। নাহলে জিমনাস্টিক জানতে হবে মেইন গেট ব্যবহার না করে নিজের রুমে পৌঁছানোর জন্য।”
সুদীপ্ত শুনছিল একমনে। শাক্য থামতেই মাথা নাড়ল, হ্যাঁ, সে বুঝতে পেরেছে। তারপর চিন্তিত মুখে বলল, “তাহলে…?”
কাপাডিয়া মিনমিন করে বললেন, “আমিও তো সেটা নিয়েই ভেবে চলছি আর শিউরে উঠছি। উয়ো লোগ যদি আমাকে খুন করে যেত, আমার পরিবার জলে ভেসে যেত।”
শাক্য বলল, “যে আপনাকে আক্রমণ করেছিল, সে আপনার ব্যাপারে অনেক তথ্য জানে। আপনি যে যত রাতই হোক না কেন, নিজে রিসর্টের চারপাশ দেখে নিশ্চিন্ত হয়ে তবে ঘুমাতে যান, এই তথ্য বাইরের কারুর পক্ষে জানা সম্ভবপর নয়। আর সেই কারণেই সে অপেক্ষা করছিল ঝোপের আড়ালে, কারণ সে জানত, আপনি পিছনের গেটে আসবেন।”
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৮৭: মা সারদার লিঙ্গপুজো

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৭: উত্তরণ-অবতরণ শেষে স্বপ্নের ‘সূর্যতোরণ’

সুদীপ্ত বলল, “সেক্ষেত্রে আমরা যদি সরাসরি চার্জ করি ইন্টারোগেশনের সময়…?”
“পাখি উড়ে যাবে অফিসার। আততায়ী সতর্ক হয়ে যাবে। কিন্তু আমি ভাবছি, কেন? কেন এত হত্যা-প্রতিহত্যার আয়োজন করতে হচ্ছে আততায়ীকে? প্রথমে একজন ট্যুরিস্ট পার্টি একজন খুন হলেন। তারপর এই রিসর্টেরই নিজেদের কর্মচারী খুন হল। আবার আজ মি. কাপাডিয়ার উপর আক্রমণ। আততায়ী চাইছে কী? কেনই বা কেবলমাত্র এই রিসর্টের সবার উপরেই তার এত আক্রোশ?”
“তাহলে আমরা ইন্টারোগেশন করব না?” সুদীপ্ত বেকুবের মতো জিজ্ঞাসা করে।
“কেন করব না? করব। তবে হাতে পেনসিল পড়ে থাকলে আমার কিছু বলার নেই। কাল সকালে স্পটটা আরও ভালো করে দেখবো বুঝলেন অফিসার!” শাক্য চিন্তা করতে করতে বলল।
এখানে এসেই শাক্য আর সুদীপ্ত মিলে রিসর্টের বাগানের সমস্ত আলো জ্বালিয়ে এবং নিজেরা পাঁচ ব্যাটারির টর্চ এনে, তা জ্বেলে সব জায়গা তন্ন-তন্ন করে দেখেছে। বিশেষ করে, পিছনের গেটের কাছটাতে। সেখানে আবার একটা নিয়ন আলো সারারাত জ্বলে। যদিও গাছপালা তার আলোকে নিচ পর্যন্ত পৌঁছাতে দেয় না, তাও জায়গাটা খুব একটা অন্ধকার নয় রিসর্টের অন্যান্য জায়গার তুলনায়। সেটাই অবাক করছে শাক্যকে। এত জায়গা থাকতে কেনই বা ওইখানেই আক্রমণ করা হল কাপাডিয়াকে ? মোটিভটা কী ? কাপাডিয়া তো চারপাশ দেখে-শুনে বুঝে তবেই পিছনে গিয়েছেন। আক্রমণটা অন্য কোথাও করতে পারত। এখানেই কেন?

পিছনে গেটের কাছে ফুল ও আগাছার ঝোপ। তারই পিছনে আলো নিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে শাক্য পরীক্ষা করছিল। ঝোপের আড়ালে অনেকখানি অংশের ঘাস থেঁতলে গেছে। তার মানে অনেকক্ষণ কেউ অপেক্ষা করছিল। তার চেহারা সামান্য ভারি অর্থাৎ ওভারসাইজড্! হালকা-পলকা লোক অপেক্ষা করলে ঘাসগুলির এতটা করুণ অবস্থা হত না!
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০৩: নির্বাসিত অর্জুনের দাম্পত্যজীবনে নতুন সম্পর্কের বিচিত্র সংযোজন

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১১২: দারুণ এক গগনবিহারী খেলনা বানিয়েছিলেন গগনেন্দ্রনাথ

আশেপাশে বোর্ডারদের অনেকেই এসে জুটেছে। তার মধ্যে পূষণ আর রিমিতা নিজেদের মধ্যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলছিল। পূষণের খুব কৌতূহল। শাক্য জানে, রিমিতা তার স্যারের ভাগ্নি। মেয়েটি শুনেছে খুব ডাকাবুকো। তার কথাবার্তা যেটুকু কানে আসছিল শাক্যর, তাতে মনে হচ্ছিল, পারলে মেয়েটি এক্ষুনি পিছনের গেট খুলে অন্ধকারে জঙ্গলের মধ্যে সরজমিনে তদন্ত করতে ছুটবে। পূষণও উৎসাহ দিচ্ছিল তাকে। শাক্য বিরক্ত হচ্ছিল, অতি উৎসাহ ভালো নয়। এখন না আটকালে, ওরা যদি সবার অলক্ষ্যে জঙ্গলে আততায়ীর সন্ধানে ছোটে, তাহলে একেজি স্যার খুব বিরক্ত হবেন এবং তখন ওদের জন্য আবার অন্য জরুরি কাজ ফেলে রেখে পুলিশের ফুলটিমকে জঙ্গলে দৌড়াতে হবে। সে চাইছিল যেভাবেই হোক ওদের নিরস্ত করতে। এক্ষেত্রে ধমকধামক খুব কাজে আসে। রিমিতা আর যাই হোক, নিজে তো পুলিশ নয়। অতএব পুলিশি ধমকের শক্তি তার জানার কথা নয়। নিজের মামা পুলিশের বড় অফিসার হলেও, স্যার নিশ্চয়ই প্রিয় ভাগ্নীকে পুলিশি ধমক দেন নি কখন। অতএব রিমিতা এ-ব্যাপারে অনভিজ্ঞ বললেই চলে।

শাক্য সেইজন্য ধমক দিল, “আঃ ! আপনারা বড্ড বেশি কথা বলছেন। এতে তদন্ত করতে অসুবিধে হচ্ছে। যান্‌ ভিতরে গিয়ে বসুন। আমরা এখানকার কাজ শেষ হলেই আপনাদের বক্তব্য শুনবো। যত আমাদের কাজে অসহযোগিতা করবেন, তত কিন্তু আপনাদেরই আটকে থাকতে হবে। তার চেয়ে ভদ্রলোকের মতো ভিতরে যান। আমাদের তাড়াতাড়ি কাজ করতে দিন! যান!”

ধমকে কাজ হল। ওরা দুজনেই সুড়সুড় করে সরে পড়ল অকুস্থল থেকে। বিশেষ কিছু দেখার ছিল না। কাল সকালে আবার দেখতে হবে ভেবে সুদীপ্তকে ডেকে ক্রাইম সিন টেপ দিয়ে ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলল সে। তারপর এসে বসেছে কাপাডিয়াকে নিয়ে। শাক্যর মধ্যে কোন ক্লান্তি বা বিরক্তির চিহ্ন ছিল না; বরং যেন কোন চ্যালেঞ্জকে অ্যাকসেপ্ট করেছে সে, এমনভাবে কথা বলছিল। শেষের খুব কাছে এসে পড়েছে সে, কেবলই মনে হচ্ছে। এইসময় এমন সব তুচ্ছ ঘটনা মূল তদন্তকে বিভ্রান্ত করে। কেউ কি ইচ্ছে করেই সেই বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে। কে সে? —চলবে।
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel): পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content