কয়েক দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছিল। এর মধ্যে পাহাড়ে মঙ্গলবার রাত থেকে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর জেরে পাহাড় থেকে সমতলের জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। ভারী বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ধসের জন্য অবরুদ্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়কও। এদিকে, কালিঝোরায় এনএইচপিসি বাংলো সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার বড় গাছ উপর পড়েছে। এর জন্য যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। আপাতত ভাবে তিস্তাবাজার থেকে মেল্লি হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার যে সড়ক বন্ধ রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে, আগামী কয়েক দিন দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় মঙ্গলবার রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর জেরে নতুন করে ধস নামতে শুরু করেছে পাহাড়ের একাধিক জায়গায়। কিছু রাস্তায় ধস নামার জন্য চলাচল বন্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৩৫: ডিন জানালেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঘুরতে ঘুরতেই আমার সঙ্গে ইন্টারভিউ পর্ব শেষ করবেন!
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—খলসি ও করঞ্জা
কালিম্পং জেলার লিকুভিড়ে ধস নামেছে। এর জন্য শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং এবং সিকিমের মধ্যে যানবাহন চলাচল বন্ধ। কালিঝোরাতেও ঝড় হয়েছে। তাই এনএইচপিসি বাংলো সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার উপর অনেক বড় গাছ উপড়ে গিয়েছে। ফলে সেই সব জায়জায় বিঘ্নিত যান চলাচল। প্রবল বৃষ্টির জেরে তিস্তাবাজার থেকে মেল্লি হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার সড়কও বন্ধ বলে খবর।
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭১: সাইকেল ও জীবন
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫১: জয়রামবাটির যথার্থ রক্ষয়িত্রী
মঙ্গলবার রাতের বর্ষণ তিস্তার ভয়াবহতাকে কিছুটা হলেও উস্কে দিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, তিস্তার জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। তিস্তাবাজার পার্শ্ববর্তী ডেওগ্রাম এলাকাতেও জল ধীরে ধীরে বাড়ছে। এদিকে গত বছর সিকিমে বিপর্যয়ের জন্য তিস্তা নদী গতিপথও বদলে ফেলছে। তিস্তা নদীখাত উঁচু হয়েছে। এর জন্যই টানা কয়েক দিন বৃষ্টি হলেই তিস্তা সমতলে ফুলেফেঁপে ওঠে। তাই প্রশাসন সে দিকে বাড়তি নজর রাখছে।