ছবি: প্রতীকী।
অনেকের কাছে সমাজমাধ্যমই ধ্যান-জ্ঞান! রোজ দিন ঘুম থেকে ওঠা এবং ঘুমোতে যাওয়ার মাঝে যেটুকু সময় বেঁচে থাকে তার মধ্যে বেশির ভাগ সময়ই চলে যায় সমাজমাধ্যমে। কেউ কাজের জন্য, কাউ বা কেউ শখে সমাজ মাধ্যমে ঢুঁ মারেন। জরুরি কাজের মাঝে সমাজমাধ্যমে চোখ বুলিয়ে নেওয়া অনেকের কাছে আসক্তিতেই পরিণত হয়েছে বলে মনোবিদদের একাংশের মত। সমাজ মাধ্যমের এই নেশা রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। আমাদের ঘুমের স্বাভাবিক চক্রটিকেই বদলে দিয়েছে। তেমনটাই জানা গিয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা থেকে।
সম্প্রতি ‘জার্নাল অফ অ্যাডলসেন্ট হেল্থ’-এ এ নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সেই গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘুমের মান এবং তার স্বাভাবিক চক্রের সঙ্গে স্ক্রিনটাইমের সরাসরই সংযোগ রয়েছে। আমাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত মাত্রায় ঘুমের দরকার পড়ে। সমাজমাধ্যমের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জেরে আমাদের রাতে ঘুমের সময় খুবই কমে আসছে। আর দিনের পর দিন এই অভ্যাস চলতে থাকায় আমাদের ঘুমের স্বাভাবিক চক্রটি আমূল পরিবর্তন যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৪৭: ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও?
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’
এ প্রসঙ্গে গবেষণা প্রধান এবং ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুরোগ চিকিৎসক জ্যাসন নাগাটা জানিয়েছে, “আমরা গবেষণা করে দেখেছি, সারা রাত ফোন চালু রাখা, সাইলেন্ট মোডে থাকা সত্ত্বেও রাতভর বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রচুর নোটিফিকেশন আসাতে থাকে। এর জেরে রাতেও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম হয় না। এর জন্য সারা ক্ষণ মস্তিষ্ক সজাগ থাকে।” ফলে দিনের বেলা কিছুতেই কাজে মন বসতে চায় না। সারাক্ষণ ঝিমুনি ভাব থেকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৪: রাজা দশরথ, রাম, লক্ষ্মণ, সীতা সকলেই কি এক একটি জীবনবোধের প্রতীক?
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৩: রাজনীতিতে উন্নতির জন্য নিন্দা বা প্রশংসা ব্যক্তিগত পরিসরে করাই শ্রেয়, সভায় নয়
এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী কী করণীয়?
● শোয়ার ঘরে মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার রাখা যাবে না।
● বাড়ি ফিরে নির্দিষ্ট একটা সময়ে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দিতে হবে।
● সময় কাটাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গল্প বা আড্ডা দিন।
● রাত জেগে সমাজমাধ্যমে উঁকি দেওয়া যাবে না।