মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ছবি প্রতীকী।

সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুস্বাস্থ্য। করোনা পরিস্থিতি আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। তবে শরীরচর্চার জন্য চাই সঠিক পুষ্টি ও নিয়ম মেনে নিয়মিত ব্যায়াম। সারা দিন কাজের ব্যস্ততার পর নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে তরতাজা রাখতে নৈশভোজের পরে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। ফল পাবেন হাতেনাতে। কী কী উপকার পেতে পারেন?
 

হজমশক্তি বাড়ে

আমাদের হজমতন্ত্র সাধারণত হৃদযন্ত্রের সরবরাহ করা রক্তের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ গ্রহণ করে। তবে খাওয়ার পর এই রক্ত সরবরাহের মাত্রা দ্বিগুন হয়ে যায়। এই কারণে খাওয়ার পর ভারী কাজ করলে পেশিতে ব্যথা অনুভব হয়। তবে খাওয়ার পর যদি ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধীর গতিতে হাঁটা যায় তাহলে এই সমস্যা হবে না। বরং তা হজমশক্তি আরও ভালো হবে।

আরও পড়ুন:

আপনার হাড় দুর্বল হয়ে গিয়েছে? এই চারটি যোগাসন নিয়মিত করছেন তো?

সামান্য পরিশ্রমেই সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগছে? নিজের অজান্তে শরীরে পিসিওএস বাসা বাঁধেনি তো?

 

ওজন নিয়ন্ত্রণ

হাঁটলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, ভুঁড়িও কম হয় এটা সবারই জানা। কিন্তু রাতে খাবার পর নিয়মিত হাঁটলে রক্তে চর্বির পরিমাণ কম জমার কারণে ধমণীতে ফলক সৃষ্টি হতে না পারায় ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে সেটা হয়তো অনেকরই জানা নেই। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য রাতে হাঁটা খুবই উপকারী।

আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—বাইন ও গর্জন

‘এত বড় তারকা হয়েও একটুও বদলাননি’, রজনীকান্ত সাক্ষাতে মুগ্ধ অমিতাভ

 

ভালো ঘুমের জন্য

ঘুমের সমস্যা হলে, রোজ রাতে খাওয়ার পরে একপ্রস্থ হেঁটে আসুন। এতে রাতের ঘুম ভালো ভাবে হবে।
 

পেশী শক্তিশালী হয়

হাঁটলে পায়ের সঙ্গে দু’ হাতও সমান তালে চলে। এতে হাতের প্রতিটি জয়েন্ট, ঘাড়, কাঁধ, কোমরেরও ব্যায়াম হয়। এমনকি ব্যাকপেনের সমস্যা কমে যেতে পারে নিয়মিত হাঁটলে।

আরও পড়ুন:

সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২২: সরলাদেবী, এক পণ্ডিত মানুষ

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৮: সকালবেলাই হাঁটতে হবে?

 

অবসাদ কাটানোর সেরা উপায় হাঁটা

দৈহিক ক্লান্তির পাশাপাশি মানসিক ক্লান্তি দূর করার ক্ষেত্রেও হাঁটা অত্যন্ত কার্যকরী। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস মন ভালো রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে।


Skip to content