পেয়ারা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি জনপ্রিয় ফল। সারা বছরই বাজারে হাজির থাকে। নিত্যদিন বাজারে যে পেয়ারা পাওয়া যায়, সেটির বাইরের অংশ সবুজ, ভিতরে সাদা। কিন্তু ‘গোয়াভা জুস’ বললে যে পানীয়টি পাওয়া যায়য় তার রং আবার গোলাপি! তাহলে কি ওই ‘গোয়াভা জুস’-এর মেশানো হয়? যদিও পুষ্টিবিদেরা কথায়, গোয়াভা জুস’ মোটেও রং মেশানো হয় না। শুধু শুধু সবুজ রঙের পেয়ারা পাওয়া যায় না। আরেক ধরনের পেয়ারাও পাওয়া যায়, যার ভিতরের অংশটি গোলাপি দেখতে। এই পেয়ারা ‘কাশীর পেয়ারা’ নামে পরিচিত। সাধারণত বোতলে বন্দি পেয়ারার রস বা ‘গোয়াভা জুস’ তৈরি করতে এই প্রজাতির পেয়ারা ব্যবহার করা হয়।
তাহলে কি দু’টি পেয়ারার পুষ্টিগুণ ভিন্ন হয়?
● এটা সত্যি যে দুটি পেয়ারা দেখতে একই রমক। তবে ওই দুই প্রজাতির পেয়ারার মধ্যে ফারাক আছে। সাধারণ পেয়ারায় ‘লাইকোপেন’ নামক উপাদান নেই। আবার গোলাপি রঙের পেয়ারার মধ্যে এই উপাদান রয়েছে। ‘লাইকোপেন’ হল বিটা-ক্যারোটিন। গোলাপি বা লাল পেয়ারা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। তাই লাল বা গোলাপি প্রজাতির পেয়ারা আমাদের হার্ট এবং ত্বকের জন্য ভালো। তবে সাধারণ সাদা পেয়ারায় লাইকোপেন না থাকলেও ভিটামিন সি-এ ভরপুর। আবার প্রচুর পরিমাণ ফাইবারও রয়েছে।
স্বাদে পার্থক্য রয়েছে?
● হ্যাঁ, দু’টি পেয়ারা স্বাদের দিক থেকেও কিছুটা আলাদাই। সাধারণত সারাবছর আমরা যে সাদা পেয়ারা খেয়ে থাকি তার স্বাদ খেতে কিছুটা কষা হয়। আবার লাল বা গোলাপি রঙের পেয়ারা স্বাদের মিষ্টি হয়। সাধারণ যে পায়ারা পাওয়া যায়, সেটি শক্ত প্রকৃতির হয়। তবে পাকে গেলে নরম হয়। কিন্তু লাল বা গোলাপি পেয়ারা কাঁচা হলেও নরম হয়।
পেয়ারার ভিতর সাদা না গোলাপি কী করে বুঝবেন?
● বাইরে থেকে একঝলকে দেখলে কোনওভাবেই বোঝার উপায় নেই। তবে কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে পেয়ারা চেনা যাবে সহজে। যেমন সাধারণ সাদা পেয়ারার বাইরের অংশবেশ গাঢ় সবুজ রঙের হয়ে থাকে। পেয়ারা পাকে গেলে হলদে রং হয়। আবার যে পেয়ারার ভিতরের অংশ লাল বা গোলাপি, তার বাইরের অংশ কাঁচাই হলদেটে সবুজ ধরনের হয়ে থাকে। আর পেয়ারা পাকে গেলে সম্পূর্ণ হলুদ রঙের হয়ে যায়।