ওষুধ খরচ বাঁচাতে হলে নিয়মিত ঘাম ঝরাতে হবে, আর রোজ খেতে হবে বেদানাও

ফলের পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার আছে বলে মনে হয় নেই। যে কোনও ফলে যত ধরনের প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ উপাদান রয়েছে, তা অন্য কোনও খাবারের মধ্যে থাকে না। যদি পুষ্টিবিদদের কাছে হরেক রকম ফলের মধ্যে বেদানারই কদর সব থেকে বেশি।

পুষ্টিগুণ বিচার বেদানার মধ্যে প্রায় ৯৩ ক্যালোরি রয়েছে। প্রোটিন রয়েছে। এতে প্রায় আড়াই গ্রামের মতো প্রোটিন পাওয়া যাবে। ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। ফলে বেদানা রোজ দিন খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই। পাশাপাশি বেদানায় এমন কিছু খনিজ উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পাওয়া যায়, যেগুলি সামগ্রিক ভাবে আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

 

রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে

● বেদানায় পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। ফলে বেদানা সিস্টোলিক ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি স্ট্রেস, টেনশনও কমাতেও এই ফলের ভূমিকা আছে। আবার হার্টের সমস্যা থাকলে অথবা হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে।

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে

● বেদানার আছে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি। তাই নিয়মিত বেদানার রস খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়়বে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুনও অনেক। পুষ্টিবিদদের কথায়, গ্রিন টি অথবা রেড ওয়াইনের থেকে বেদানার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রায় তিন গুণ বেশি। বেদানায় আছে তিন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। অ্যান্থো সিয়ানিন, এলাজিক অ্যাসিড এবং ট্যানিন। অ্যান্থোসিয়ানিন দেহ কোষ সুস্থ রাখে। ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সুবিধা নয়। সেই সঙ্গে ফোলা ভাব কমে। আবার ক্ষয়ও রুখতে পারে।

 

খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে

● অনেকে হয় তো জানেন না, বেদানা আর্টারি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তাই বেদানার রস আমাদের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আবার এতে উপস্থিত পলিফেনল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে নিয়মিত বেদানার রস খান।