বুধবার ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪


অলঙ্করণ : সৌমি দাসমণ্ডল।

লোকটা অবাক হয়ে গিয়েছিল! অবাক হওয়ারই কথা। তার কাছে সঠিক খবর ছিল যে, আজ নুনিয়া রাতের খাবার খেয়ে তার নিজের জন্য নির্দিষ্ট তিন তলার ছোট্ট রুমটায় ঘুমাতে চলে গেছে অনেক আগে। এত রাতে তার আর জেগে থাকার কথা নয় বলে গভীর রাতের জন্যই অপেক্ষা করছিল সে। তেমনই নির্দেশ ছিল। সেইমতো ঘড়ির কাঁটা সাড়ে বারোটার ঘর পেরুতেই সে চুপিসাড়ে এসে উপস্থিত হয়েছিল তিনতলায়। গভীর রাত হলেও যেহেতু প্রবেশপথ এই বিশেষ দিনে বন্ধ থাকলেও খুলে যায় কোন এক অদৃশ্য জাদুমন্ত্রে, ফলে উপরে উঠে আসতে এমনিতে অসুবধা হওয়ার কথা নয়। তবে তা বলে নিশ্চিন্ত হয়ে ওঠাও যায় না। এক-আধজন যে-ব্যাপার জানে, তাকে তো আর রাষ্ট্র করে দেওয়া যায় না। অতএব সতর্ক হতেই হয়।

বিশেষ এই দিনে সিঁড়ির আলোগুলি সব জ্বলে না। আধো আলো-আধো অন্ধকার যত থাকবে তত সুবিধা। যাদের স্থানান্তরিত করা হবে, তাদের অবশ্য আগেই চেকআপের কথা বলে হাসপাতালের নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়, এবারেও হয়েছে। এরা এখন বিশেষ ওষুধের প্রভাবে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে আছে। প্রত্যেকের পরনে স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালের পোশাক। ভোরে নয়, খুব সকালের দিকটায়, যখন দুই রাজ্যের সীমানায় পাহারা শিথিল হয়ে পড়ে স্বাভাবিকভাবেই, তখনই দুটি অ্যাম্বুলেন্স বোঝাই হয়ে কিছুজন চলে যায় ভিন রাজ্যে। তাদের কেউ কখনও আর এখানে ফিরে আসে না।
তবে নুনিয়ার ব্যাপারটা আলাদাভাবে ভাবতে হয়েছে। নুনিয়াকে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাই সমস্যা। যদিও নুনিয়ার মেন্টর ফাদার এখন গুরুতর অসুস্থ, তবুও রোজ নিয়ম করে তিনি নুনিয়ার খোঁজখবর নেন, তার চেয়েও বড় কথা, এই চার্চের কেউ-কেউ নুনিয়ার উপরে অতিমাত্রায় সদয় বলে তাকে দেখতে না-পেলেই সেই খবর আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়তে দেরি হবে না। তার চেয়ে রাতের বেলা তুলে নিয়ে গিয়ে রটিয়ে দিলেই হল, নিজের অভ্যাস মতো মুমিয়া কোথাও বেরিয়ে পড়েছিল, তারপর আর ফেরেনি। কাল বেলার দিকে একটু খোঁজাখুঁজি করার নাটক করা হবে ঠিক হয়েই আছে, তারপর গুরুত্বের সঙ্গে থানায় গিয়ে নুনিয়া মিসিং বলে একটা ডায়েরি করতে হবে, যাতে কারও না সন্দেহ হয়, সে-জন্য। কেউ জানবে না, টেরও পাবে না যে, নুনিয়া তখন আর এখানে নেই!

লোকটা এই জাতীয় কাজ এর আগেও করেছে। কাকপক্ষীও টের পায়নি। টের পেলে মুশকিল। এই চার্চে তাদের দলের লোক থাকলেও তারা সংখ্যায় কম, তবে বিশেষ ক্ষমতাবলে শক্তিশালী। কিন্তু বিরুদ্ধপক্ষ বর্তমানে কম শক্তিসম্পন্ন হলেও যেহেতু তারা সংখ্যায় বেশি, ফলে জানাজানি হলে যতই শক্তিশালী হোক না কেন, সব বালির বাঁধের মতো ভেসে যাবে। তখন আর তাদের কোন শক্তিই কাজে আসবে না। হাতে হাতকড়া কেবল নয়, ফাঁসি নয়তো যাবজ্জীবন একেবারে বাঁধা। অতএব সবরকম সাবধানতা বজায় রেখে তবেই কাজ করতে হয়। ঝক্কি কম নয়। নেহাৎ টাকাটা ভালোই পাওয়া যায়, সেজন্য সে এই কাজে পড়ে আছে।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৯৩: কালাদেওর কবলে

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৩: দেবেন্দ্রনাথ হয়েছিলেন ‘কল্পতরু’

তবে এর চেয়ে বেশি টাকার কাজ অন্য জায়গায় পেলে সে এখান থেকে হাত ধুয়ে ফেলবে মনে-মনে ঠিক করেছে সে। বিপদ সে-ই বেশি ঘাড়ে নেয়, অথচ মূল অংশটা অন্য কারুর পকেটে যায়। অথচ ভেবে দেখলে, এখন ধরা পড়লে সে-ই পাবলিকের মার খাবে, অন্যরা ধরা পড়লেও তার দিকেই আঙুল তুলবে যে, সে-ই মূল কাজটি খাতায়-কলমে করেছে। ফলে তাদের মাথা আর সে—দুজনেই ফেঁসে যাবে। বাকিরা সেই সুযোগে কম সাজা পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে এসে মস্তি করবে। এই জন্যই সে চাইছে একটা সম্মানজনক অথচ ভালো ইনকাম হবে, এমন পেশায় চলে যেতে। তার আগে এই রকম আর কিছুদিন করে সে ক্যাপিটাল জমা করছে।

নুনিয়া মেয়েটিকে সে আগে দেখেছে। তার সম্পর্কিত দাদার গ্রামে থাকত। মেয়েটি অনেক ছোটবেলায় গণধর্ষনের শিকার হয়েছিল। তখন ব্যাপারটি কোনরকমে ধামাচাপা দেওয়া হয়। নুনিয়া তখন এতটাই বাচ্চা যে, রাতের বেলা কারা তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সে জানে না। তার পরেই তাকে এই চার্চের অরফ্যানহোমে ফাদার নিয়ে আসেন। তারা সবাই জানে, খুব ছোটবেলায় ওইরকম শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বলে, নুনিয়ার যৌন অঙ্গটাই চিরকালের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। বড় হওয়ার পরে এ-কারণেই নুনিয়া যদি বিয়ে-থাও করে, তাহলেও তার বাচ্চা হওয়া অসম্ভব। “আর সন্তানের জন্ম দিতে না পারলে মেয়েদের বেঁচে থেকে লাভ কী বল ?” এ-কথা বলেছিল তারা দাদা।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৮: সুন্দরবনের পাখি—শামুকখোল

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৬: ঠাকুরবাড়ির লক্ষ্মী মেয়ে

“সেটাই!” মাথা নেড়ে সায় দিয়েছিল সে। মেয়েরা বিয়ে-সাদি করবে, বাচ্চার জন্ম আর প্রতিপালন করবে, স্বামীকে সুখ দেবে যখনই চাইবে তখন, আর গায়ে-গতরে খেটে সংসার চালাবে—তাদের সমাজে এটাই নিয়ম। সেখানে যদি মা-ই না হতে পারল, নুনিয়ার বেঁচে থেকে লাভটাই বা কী? এই কারণে, যখন নুনিয়াকে তুলে নিয়ে যাবার প্রস্তাব পেল, সে আশ্চর্য হয়নি তেমন। চার্চ এই ধরণের খোটা সিক্কা নিয়ে কী করবে? এদের তো অন্য জায়গায় বেচে দেওয়াও সম্ভব নয়। দর উঠবে না বেশি। বন্ধ্যা জমিতে লাঙল চালিয়ে চাষার মজা কোথায়? তার উপর এই মেয়েটি ডেঞ্জারাস। হয়তো কিছু হত না, এখানেই এঁটো শালপাতার মতো একপাশে পড়ে থাকত। এক পেটে মেয়েটি আর কতই বা খেত? ও-টুকু খাবার এ-সব জায়গাতে রোজই ফেলা যায়। কিন্তু নুনিয়া তার নিজের দোষেই সেই অধিকার হারিয়েছে। তোর কী দরকার ছিল, সাপের লেজে পা দেওয়ার? তা-না-হলে যেমন লেখাপড়া না-করে জঙ্গলে-মঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলি, তেমনই বেড়াতিস। তা-নয়, তুই কি-না জঙ্গলে পুলিশের টিকটিকিকে বাঁচাতে গেলি? চার্চের অনেক গোপন খবর যে সে রাখে তাতে কোন সন্দেহ নেই তাদের আর। তাকে কাজটা দেওয়ার সময়ই বলা হয়েছিল, “এবারেরটা কিন্তু বেশ মুশকিলের কাজ। তবে করতে পারলে দ্বিগুণ টাকা পাবি!”
“আরে ঠিক আছে, কাজ হয়ে গেছে ধরে নাও!” সে আশ্বস্ত করে বলেছিল মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে।
“অমন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করিস না ! এ হল বজ্জাত কেউটে ! হাতে ধরলেও দেখবি পিছলে পালাতে চাইবে!”
“আমার কাছ থেকে পালানো অত সোজা নয়। বেশি ঠাণ্ডাই-মাণ্ডাই করলে দানা ভরে দেবো…!”
“খবরদার, এখনই নয়। ওকে এখন এখান থেকে সরিয়ে ফেলে রাখতে হবে কোন সেফ জায়গায়। তেমনটাই নির্দেশ। তারপর ওর মিসিং-এর বিষয়টা নিয়ে যে জলঘোলা হবে, তা খতিয়ে দেখে তারপর ওর ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেরে ফেললেই হবে না। ওর জানটার দম আছে। বাজারে ভালো রেট পাওয়া যাবে। কচি হার্ট না ! কেন বুঝিস না ? মেরে ফেলতে হলে তো আমরাই দানা ভরে, কী চাকু চালিয়ে জঙ্গলের গভীরে পুঁটে রেখে আসতে পারি। কেউ টের পাবে না। কিন্তু এর ক্ষেত্রে সেটা করা যাবে না। হাজার একটা লোককে জবাব দিতে হবে এখন ক’দিন ! ততদিন সাবধান।”
“ঠিক আছে। যা চাইছে বস, তাই হবে ! কিন্তু টাকাটা পেতে যেন দেরি না হয় !”
“হবে না ! কথা হয়ে গেছে। কাজটা হয়ে গেলে পরদিনই তোর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাবে !”
“বেশ। খুশি হলাম শুনে।”
“তবে…”
“তবে ?”
“কাজটা করতে গিয়ে যদি গোলমাল বাঁধে, তাহলে কিন্তু সেখান থেকে তোকে একাই বেরিয়ে আসতে হবে কায়দা করে। আমাদের নামটাম যেন না ওঠে! উঠলে তোরই বিপদ বাড়বে!”
আরও পড়ুন:

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-৯: আসছে আমার পাগলা ঘোড়া

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৯৩: কালাদেওর কবলে

লোকটা বুঝতে পারছিল, ফাঁসলে সে একাই ফাঁসবে। আর কাউকে ফাঁসিয়ে দিয়ে সে বেঁচে থাকতে পারবে না। এটা আসলে প্রচ্ছন্ন হুমকি, যাতে সে ধরা পড়লেও মুখ না খোলে। খুললে…! না, অতটা বোকা সে নয়। কিছুদিন আগে ধার করে স্মার্টফোনটা কি সে এমনি কিনেছে ? আজকাল অনেককিছুই সে রেকর্ড করে রাখে গোপনে। ওরা এখন ভাবে, সে এসব কিছু পারে না। ফলে তেমন নজর দেয় না তার দিকে। কিন্তু সে-ও ওদের মৃত্যুবাণ যে জোগাড় করে রাখছে, তা যদি ওরা টের পেত, তাহলে নুনিয়ার আগে তাকেই তুলে এনে পাচার করে দিত অন্যত্র।
সে বলেছিল, “আরে চিন্তা করছ কেন ? নুনিয়া হোক আর যে-ই হোক, কাজ ঠিক করে ফেলবো আমি!”

কিন্তু এখন হাত কামড়াচ্ছে সে। কেন যে নুনিয়াকে আন্ডারএস্টিমেট করে অত বাতেলা ঝেড়েছিল ওইদিন! এখন নুনিয়াই তো নেই তার রুমে! সে প্রথমে ভেবেছিল নুনিয়া শুয়ে আছে। কিন্তু বজ্জাত মেয়েছেলেটি যে একখানা বালিশকে কোনরকমে চাদর চাপা দিয়ে আগেই সটকেছে, তা সে কী করে জানবে? যদিও সে খানিকটা বিভ্রান্ত, কারণ আটটা নাগাদ নুনিয়া খাবার খেয়ে তার রুমে ঢুকে পড়েছিল বলে খবর আছে। সে বেরিয়েছে কি-না, তা নিশ্চিত করার জন্য তাদের লোক তুচ্ছ অজুহাতে দশটার সময় তার রুমে গিয়ে তার সঙ্গে কথাও বলেছে। ততক্ষণে তো সে নিজে চার্চে এন্ট্রি নিয়েছে। তবে অন্য ছুতোয়। তাকে সবাই দেখছে, কিন্তু কেউ কোনও সন্দেহ করতে পারছে না। অথচ সে ঠিক নজরে রাখছে যা-যা নজর রাখার। কিন্তু নুনিয়াকে তখন কেউ বাইরে বেরুতে দেখেনি। সন্ধে হলেই চার্চ থেকে বাইরে বেরোনোর পথগুলির একটি ছাড়া বাকি সবকটিতেই তালা পড়ে যায়। কেবল হাসপাতালের এমার্জেন্সি গেট খোলা থাকে। সেখানে চব্বিশ ঘণ্টাই চার্চের সিক্যুইরিটি গার্ড থাকে। দিনের বেলায় নুনিয়া যেখান-সেখান দিয়ে পালাতে পারলেও রাতের বেলা তার পক্ষে সব জায়গা দিয়ে পালানো সম্ভব নয়। তাহলে? নুনিয়া যদি রুমে না থেকে কোথাও পালিয়ে গিয়ে বসে থাকে, তাহলে সে কীভাবে গেল? কোন্‌ পথে? আর পালালোই বা কখন?
আরও পড়ুন:

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৪৬: আলাস্কার আকাশে অহরহ ব্যক্তিগত বিমান ওঠানামা করে

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪১: রবীন্দ্রনাথ ও ব্রজেন্দ্র কিশোর

ভাবতে ভাবতে হঠাৎ লোকটির শিরায় শিরায় ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল। সে যখন ঢুকেছিল, তখন দরজার পাল্লা
সে আধখোলা রেখেই ঢুকেছিল। প্ল্যান-অনুযায়ী হাতে থাকা ক্লোরোফর্ম-মেশানো রুমাল নাকের কাছে চেপে ধরে একেবারে বেহুঁশ করে কাঁধে তুলে বেরিয়ে যাবে সে, এমনটাই ঠিক ছিল। কাজটা করতে বড়জোর পাঁচ মিনিট লাগার কথা। কাঁধে নুনিয়ার বডি নিয়ে দরজা খোলা-বন্ধ করতে অসুবিধা বলেই সে সামান্য ফাঁক করেই ঢুকেছিল। তাছাড়া কেউ দেখলেও সন্দেহ করতে পারবে না, কারণ, প্রতিটি ফ্লোরে যেমন এই তিনতলাতেও দুই প্রান্তে ওয়াশরুম। ফলে কেউ রাতে উঠে দরজা সামান্য খোলা রেখে সেখানে যেতেই পারে। এই হোমে এত রাতে বাইরের লোকের প্রবেশ অসম্ভব বলেই সবাই জানে, তার উপর এটা মেয়েদের হোম। এই সব কারণেই সে নিশ্চিন্ত ছিল। এখন প্রশ্ন হল, নুনিয়া সেই সুযোগে পালিয়ে যায়নি তো? তাহলে তো সে জানে, একটি লোক এত রাতে তার ঘরে ঢুকেছিল। এটা সাধারণ বুদ্ধি দিয়েই সে ধরতে পারবে, কোন সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এত রাতে কেউ মেয়েদের ঘরে এভাবে চোরের মতো ঢোকে না! তাহলে তো সে পালাবে এবং এমন কোন জায়গায় গিয়ে শেলটার নেবে, যেখানে সে সেফ। কিন্তু নুনিয়া কোথায় যাবে? কোথায় সে সম্পূর্ণ সেফ ? কে তাকে শেলটার দেবে এখানে? এখন লাখ টাকার প্রশ্ন এটাই যে, নুনিয়া কোথায়? নুনিয়াকে যদি না-পাওয়া যায়, তাহলে যে তার কপালে আজ দুঃখ আছে, তা-নিয়ে তার মনে কোন সন্দেহ নেই। কী হবে এবার?
লোকটি অন্ধকারের মধ্যে কুল কুল করে ঘামতে শুরু করল! —চলবে।
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel): পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।

Skip to content