ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
রোজ দিন সকালে দিকে চড়া রোদ দেখা দিলেও, বেলা গড়ালেই আকাশের মুখভার হচ্ছে। তার মধ্যে কখনও সখনও ঝমঝমিয়ে বর্ষণ। আর কয়েক দিন বাকি, তার পরেই শুরু হবে আশ্বিন মাস। কিন্তু আবহাওয়ায় শরতের ছিটেফোঁটা নেই। নীল আকাশ ও সাদা মেঘ যেন উধাও। কেন এমনটা হচ্ছে? বুধবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘‘বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্তটি সৃষ্টি হয়েছিল, সেটি এখন নিম্নচাপের রূপ নিয়েছে।’’ যদিও ভারী বর্ষণের একমাত্র কারণ নিম্নচাপ নয়, এটাও আবহাওয়া দফতর জানিয়ে দিয়েছে।
আবহবিদেরা জানিয়েছেন বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ মূলত ওড়িশার উপরেই প্রভাব ফেলবে। বাংলায় নিম্নচাপের প্রভাবের পাশাপাশি গত কয়েক দিনের ক্রমাগত বৃষ্টির পিছনে আরও একটি কারণ রয়েছে বলে হাওয়া দফতরের মত। এ প্রসঙ্গে আবহবিদদের বক্তব্য, ‘‘ঝাড়খণ্ড থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি মৌসুমী অক্ষরেখা অবস্থান করছে। সেই অক্ষরেখা আবার অতিক্রম করেছে দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে। মূলত মৌসুমী অক্ষরেখা এবং নিম্নচাপের জড়া ফলাতেই বাংলার বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।”
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৭: নাক বন্ধ হলেই নাকের ড্রপ? এতে শরীরে কোনও ক্ষতি হচ্ছে না তো?
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৫: ‘আপনজন’ Chronicles
আবহাওয়া দফতর এও জানিয়েছে, ‘‘বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। পরের দিন বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। এদিকে, কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস না থাকলেও মাঝে মধ্যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, দুই বর্ধমান এবং পুরুলিয়াতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে।