ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
অডিয়ো ক্লিপ, পর্ব-৪
মিস্টার সরখেলের কথা শোনার পর নীলাঞ্জনের কান মাথা ভোঁভোঁ করছে। প্রতিবার প্লেন থেকে নামার পর নীলাঞ্জনের এই সমস্যাটা হয়। কী অদ্ভুত সুচেতা কখনওই এরকম অসুবিধের মুখোমুখি হয় না। অনেকেরই হয় না কারও কারও হয়। একে এরোপ্লেন ইয়ার বা ব্যারোট্রমা বলে। ঠিক ধরেছেন এই ব্যারো শব্দটা ব্যারোমিটার থেকেই এসেছে। প্লেন ওড়ার সময় বা নামার সময় অনেকটা উঁচুতে যাওয়া কিংবা হঠাৎ উঁচু থেকে নিচে আসার সময় কানের ভিতরের বায়ুর চাপের সঙ্গে বাইরের কমতে বা বাড়তে থাকা বায়ুর চাপের তফাতটা খুব বেড়ে গেলেই এই সমস্যা শুরু হয়। কারও কারও শরীরের গড়ন এমন হয় যাতে তারা দ্রুত এই সমস্যার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে নীলাঞ্জনের মতো যারা, তারা পারে না। কানে ব্যথা করে কান বন্ধ হয়ে যায়। হাই তোলার চেষ্টা চুইংগাম চিবোনো কিছুতেই কোন লাভ নেই।
রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!, পর্ব-৩৭: এই দুর্ঘটনাটি ‘অ্যাটেম্পট টু মার্ডার’ও হতে পারে!
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৪: লোকশিক্ষক মা সারদা
—আচ্ছা আপনাদের এই ধরনের সন্দেহের কারণটা কী?
—সিসিটিভি ফুটেজ।
—আপনাদের কাছে অ্যাক্সিডেন্টের ফুটেজ আছে?
—ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলটা এমন ছিল যেখান থেকে ঠিক গাড়িটাকে দেখা
যাচ্ছে না। কিন্তু লরি দুটোর মুভমেন্ট দেখলে মনে হচ্ছে এটা
একটা প্ল্যানড অ্যাক্সিডেন্ট।
—লরি? আর দুটো লরি মানে?
—আগের সিগনালে সিসিটিভিতে আমরা পরপর দুটো লরিকে ডানলপ
থেকে বালিঘাট স্টেশনের দিকে যেতে দেখেছি। এই গাড়িটা ব্রিজের
কোনও একটা জায়গায় পিছনের লরিটাকে টপকে যায়।
—তারপর?
—ব্রিজের ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় এই গাড়িটা দুটো লরির মাঝে
ছিল। সম্ভবত আগের লরিটা আচমকা ব্রেক কষে দাঁড়ায় আর পিছনের লরিটা এসে মাঝের গাড়িটাকে সজোরে ধাক্কা মারে।
—সম্ভবত মানে?
—মানে এখন যেটা বললাম এটা পুরোটাই আন্দাজ। কারণ ওই যে বললাম ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলটা এমন তাতে আমরা দুটো লরিকে পরপর
দেখতে পাচ্ছিকিন্তু মাঝের গাড়িটাকে দেখতে পাচ্ছি না।
—দুটো নম্বর পেয়েছেন!
—ব্রিজের ক্যামেরায় নম্বর বোঝা যাচ্ছে না।
—কেন?
—দুটো লরির নম্বর প্লেট-এর ওপর কাপড় জাতীয় কিছু ঝোলানো
ছিল?
—কাপড় ?
—হ্যাঁ কাপড়। নম্বর প্লেট বদলানো ৭০ সালের হিন্দি সিনেমায়
হতো। মানুষের মাথা শয়তানের কারখানা মশাই। যেখানটা আপনি
ক্যামেরায় গণ্ডগোল স্পট করবেনসেখানে যদি নম্বর প্লেটের ছবিই না আসে, পরের কোন সিগনালে তো আর আপনি গাড়িটাকে স্পট
করতে পারবেন না কাজ হয়ে যাবার পর নম্বর প্লেটের কাপড়টা
খুলে নেবে আর গাড়ির গায়ে লেখা ওকে টাটা বা মেরা ভারত মহান
বা শিব দুর্গার ছবি দেখে তো আপনি গাড়ি চিনতে পারবেন না।
—তাহলে তো গাড়ির কোনও ট্রেসই নেই?
—আছে? আরএফআইডি। গাড়িতে লাগানো রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি
আইডেন্টিফিকেশন! ফাস্ট ট্যাগ।
—লরিতে থাকে? ওরা তো সবাই ক্যাশে টোল পেমেন্ট করে!
—লাকিলি প্রথম লরিতে ছিল, সারভিলেন্স ক্লিপিং লালবাজারে
সাইবারক্রাইম ডিপার্টমেন্ট চেক করছেন।
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩০: নলিনী দাশ— গণ্ডালুর সৃজনশিল্পী
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫৫: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— আমুর ও গোশিঙা
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-২: যতই দেখি তারে, ততই দহি…
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৫: প্রথম ভারতীয় সিভিলিয়ান সত্যেন্দ্রনাথ ভেবেছিলেন পরীক্ষায় পাশই করবেন না
—গোয়েন্দা শাখার অফিসার শ্রেয়া বসু আপনার সঙ্গে কথা বলতে এখানে আসছেন!
পর্দার আড়ালে, পর্ব-৫৬: প্রথমে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবির বিজ্ঞাপনে উত্তম কুমারকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি
গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১: ভাঙনের জয়গান গাও
একেবারে সিনেমার মতো জিপটা ড্রাইভ করে চায়ের দোকানের ঠিক পাশে এসে দাঁড়ালেন শ্রেয়া বসু। সাদা শার্ট, ফেডেড জিন্সের প্যান্ট, গলায় ঝুলোনো আইকার্ডটা শার্টের বামপকেটে গুঁজে রাখা। পায়ের স্নিকার। রাত বলে বোধহয় চোখে অ্যাভিয়েটর সানগ্লাসটা নেই।
সঙ্গে ছিপছিপে চেহারার এক যুবক গালে দাড়ি তাকে দেখলেও পুলিশ বলে মনে হয় না।
—নীলাঞ্জন রায়?
—হ্যাঁ।
—আমি শ্রেয়া, শ্রেয়া বসু। ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্ট।
কানে শুনতে শুনতে মনে হল “অ্যাম বন্ড ! জেমস বন্ড”
—আর ইনি ধৃতিমান চৌধুরী!—চলবে।