শনিবার ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫


স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ।

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের প্রেসিডেন্ট স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে স্মরণানন্দ মহারাজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
স্বামী স্মরণানন্দ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসাবে তিনি দায়িত্ব নেন। স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে তিনি অধ্যক্ষ হয়েছিলেন।

গত ২৯ জানুয়ারি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তাঁর মূত্রনালীতে সংক্রমণ হয়েছিল। ক্রমে তাঁর সেপটিসেমিয়া হয়ে যায়। স্মরণানন্দের শ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছিল। তাঁকে গত ৩ মার্চ ভেন্টিলেটরে দেওয়া হয়েছিল। গত ১৩ মার্চ তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। ওই অস্ত্রোপচাচের মাধ্যমে কৃত্রিম ভাবে শ্বাসকার্যের জন্য তাঁর শ্বাসনালীতে একটি নল ঢোকানো হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, স্বামী স্মরণানন্দ কিডনিতেও সমস্যা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৬: কল্যাণী—অন্দরমহলের সরস্বতী

ত্রিপুরার রাজ পরিবারে হোলি উৎসব

স্বামী স্মরণানন্দের জন্ম ১৯২৯-এ তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে। কম বয়সেই তিনি মাকে হারিয়েছিলেন। ১৯৪৬ সালে স্কুলের পাঠ শেষ করেন। এর পরে তিনি নাসিকে বাণিজ্য বিভাগে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। এর পরে মুম্বই পাড়ি দেন ১৯৪৯-এ। শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত তিনি মুম্বই রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ১৯৫২ সালে স্বামী শঙ্করানন্দের কাছে মন্ত্রদীক্ষা নেন। তখন তাঁর বয়স ২২ বছর। স্বামী স্মরণানন্দ ১৯৫৬ সালে ব্রহ্মচর্য নেন।
আরও পড়ুন:

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৩৫: ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪০: স্বভাবে অনন্য সুন্দরবনের বাঘ

কলকাতা শাখায় আসেন ১৯৫৮ সালে, ‘অদ্বৈত আশ্রম’-এ। ‘অদ্বৈত আশ্রম’-এর বিভিন্ন শাখায় তিনি টানা ১৮ বছর ধরে কাজ করেছেন। বিবেকানন্দ প্রবর্তিত ইংরেজি পত্রিকা ‘প্রবুদ্ধ ভারত’-এর প্রবন্ধক সম্পাদকও ছিলেন। ‘রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ’-এর সেক্রেটারি ছিলেন প্রায় ১৫ বছর ধরে। স্বামী স্মরণানন্দ রামকৃষ্ণ মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য হন ১৯৮৩ সালে। এর পরে ১৯৯১-এ তিনি চেন্নাই রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান হন।

Skip to content