শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

কিশমিশ একটি অতি জনপ্রিয় খাবার। এটি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। তাই শুধু পূজা পার্বণ বা অনুষ্ঠান বাড়ি নয়, পাশাপাশি কিশমিশ রোজকার খাদ্য তালিকায় যথেষ্ট জায়গা করে নিয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে ২৯৯ কিলো ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কিশমিশ তন্তু আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৬ এবং বোরনের খুব ভালো উৎস।
 

একঝলকে কিশমিশের পুষ্টিগুণ

 

হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে

কিশমিশ রক্তে কোলস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয় খুব সহজেই। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল-এর মাত্রা কমাতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রয়োজন হয়। যা কিশমিশে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে।
 

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কিশমিশের জুড়ি মেলা ভার। কিশমিশ পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের ভালো উৎস। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটা বেশ ভালো।

আরও পড়ুন:

উজ্জ্বল ত্বক চান? রোজকার খাদ্যতালিকায় রাখুন এই সব খাবার

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৭: যাজ্ঞসেনী স্বয়ংবরা দ্রৌপদী কি শুধুই প্রতিহিংসার বাতাবরণ বিনির্মাণ করেন?

 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

কিশমিশের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থেকে মাঝারি। এটা রক্তে শর্করার বৃদ্ধির জন্য একটি পরিমাপক হিসেবে ব্যবহার হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে একটি স্বাস্থ্যকর পছন্দ হল কিশমিশ।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৩: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— কেরালি ও নোনা হাতিশুঁড়

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৬:কোনও একটি দাবিতে বিরোধীরা জোট বাঁধুক কখনও চায় না শাসক

 

হজমে সাহায্য করে

কিশমিশ তৈরিতে ডিহাইড্রেশন প্রক্রিয়ায় আঙুরের শর্করার অংশকে ফ্রুকটানে রূপান্তরিত করে এক ধরনের ফাইবার। যদিও আঙুরে ফ্রুকটান পাওয়া যায় না। দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভালো উৎস হওয়ায় কিশমিশ আপনার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা দূর করে।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-৮: যেথা আমি যাই নাকো / তুমি প্রকাশিত থাকো

 

ওজন বাড়াতে সাহায্য করে

কৃশকায় ব্যক্তি যাঁরা সহজে একটু ওজন বাড়াতে চান, তাদের জন্য কিশমিশ অনবদ্য। কিশমিশে থাকা শর্করা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
 

রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে

কিশমিশ রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে এবং অ্যানিমিয়া দূর করতে সাহায্য করে। আর আয়রনের একটি ভালো উৎস হল এই কিশমিশ।

আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

দশভুজা, পর্ব-৩৬: মৃণালিনী— রবি ঠাকুরের স্ত্রী-র লেখকসত্তা

 

মৌখিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে

মুখের পিএইচ বজায় রাখতে, দাঁত ভালো রাখতে এবং দাঁতের গোড়ার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কিশমিশ খুবই উপকারী। কিশমিশে থাকা আন্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ মুখে দুর্গন্ধ দূর করে এবং মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content