সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


অলঙ্করণ : সৌমি দাসমণ্ডল।

মাথার উপর রোদ্দুর ঝাঁ-ঝাঁ করছিল। এই বসন্তকালে লোকে যে কেন ছুটে আসে কেবলমাত্র পলাশের সৌন্দর্য দেখার লোভে, তা পাভেল বোঝে না। এই দেড় মাস তাকে কম ঘোরাঘুরি করতে হয় নি তথ্য সংগ্রহের কারণে। প্রথম প্রথম জায়গাটা ভালো লাগলেও, যত দিন এগিয়েছে, তত সে বিরক্ত হয়ে পড়েছে। তার উপর বৃদ্ধ-বয়স্ক মানুষের মেকআপ করে এই খর রৌদ্রে ঘুরে বেড়ানো আরো চাপের।

শালিনী একদিন রাতে ভিডিও কলে তাকে উদোম দেখতে দেখতে বলেছিল, “ইস্, তুমি দিন দিন সত্যিই বুড়িয়ে যাচ্ছ। তোমার শরীরের সেই চার্ম আর নেই। কে জানে, এ বার ফিরে এসে আমাকে আর খুশি করতে পারো কি না !” শুনে পাভেলের যা রাগ হয়েছিল, সে তক্ষুনি বারমুডাটা যথাস্থানে তুলে নিয়ে বলেছিল, “বাই, গুড নাইট। ঘুম পাচ্ছে আমার। ইচ্ছে হলে আবার কথা বলব!” বলে সেই যে ফোনটা স্যুইচড্ অফ করেছিল, এক সপ্তাহের আগে আর খোলেনি। এটা তার অনেকগুলি ফোনের মধ্যে একটি। এবং পার্সোনাল ফোন, বিশেষ করে শালিনীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে সে এই ফোনটাই ব্যবহার করে। অফিসিয়াল ফোনের নাম্বার ইচ্ছে করেই সে শালিনীকে দেয় নি। অফিস ছাড়া সেই নাম্বার বাইরের কেউ জানেই না। অতএব পার্সোনাল ফোন বন্ধ রাখলেও অফিসের কাজকর্মে কোন ব্যাঘাত ঘটে নি। যথাসম্ভব রিপোর্ট পাঠিয়েছে সপ্তাহে সপ্তাহে।

একেজি এবং শাক্য যেমন যেমন পরামর্শ দিয়েছে, তেমন তেমন তথ্য সংগ্রহের জন্য একেবারে জান লড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু আজ শাক্য যখন এসে পড়েছে, এবং এই মুহূর্তে পুলিশি গাড়িতে তার পাশে বসে সে পুরানা মোকামের জঙ্গলের দিকে যাচ্ছে, তখন পাভেলের মনে হল, সে বৃথাই এত দিন ধরে এখানে মাটি কামড়ে পড়ে ছিল। কাল সন্ধে থেকে একের পর এক যা যা ঘটে চলেছে, তা স্বাভাবিক সুস্থ মানুষকে তো বটেই, অনেক পোড় খাওয়া মানুষকেও ঘোল খাইয়ে ছাড়বে।
একটা সাধারণ শান্ত নিরীহ জনপদে কাল সন্ধের পর থেকে তিন-তিনটে খুন যে অস্বাভাবিকতার মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায়, তা তো স্বীকার করতেই হবে। শাক্য একবার আপনমনেই বলল, “না না, এত খুন তো হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তা-সত্ত্বেও কেন হচ্ছে? কাল থেকে এখানে যেন মৃত্যুমিছিল নেমেছে!”

পাভেল এর কী জবাব দেবে? অগত্যা সে চুপ করেই রইল। সত্যিই তো লালবাজারের পুলিশ ছদ্মবেশে অকুস্থলে উপস্থিত থাকাকালীন মাত্র দেড় দিনের মধ্যে এতগুলি মৃত্যুর মিছিল, তার কাছে যেন অসম্ভব ঠেকছে। যেন মনে হচ্ছে এখানে কোনও আইনের শাসন নেই। পর পর দু’ দিন তিন-তিনটে অস্বাভাবিক মৃত্যু শেষ কবে দেখেছে, মনে করতে পারছে না সে। তার উপর এই রকম ছোট জায়গায় ঘটনাটা খুবই আনকমন ব্যাপার বলে মিডিয়া এখন থেকেই হইচই করা শুরু করে দিয়েছে।

পুলিশ মন্ত্রকের দায়িত্বে বর্তমানে শাসক দলের হেভিওয়েট এক মন্ত্রী আছেন। তাঁর পদত্যাগ দাবি করে মিছিলও করেছে স্থানীয় বিরোধী দলগুলি। ক্রমেই কলকাতায় এই ঢেউ পোঁছবে এবং সেখানে তখন দ্বিগুণ হইচই শুরু হয়ে যাবে। নিতান্ত সুদূর মফস্বল বলে এখনও বিষয়টি আয়ত্তের মধ্যে আছে। কিন্তু কিছুদিন আগের ঘটনায় এক মন্ত্রীর আত্মীয় জড়িয়ে পড়েছিল, এবার আবার একেজি স্যারের ভাগ্নি জড়িয়ে আছে, এবার আর নিস্তার নেই। স্বয়ং একেজি স্যার এখানে এসে জুটলে আর দেখতে হবে না। তার আর শাক্যের কেরিয়ারে ব্যর্থতার চিরস্থায়ী দাগ পড়ে যাবে। একেজি স্যার অনেক ভরসা করেছিলেন তাঁদের উপর।

গাড়ি ছুটে চলেছিল। মফস্বল শহর জেগে উঠেছে এখন। এই মাঝবেলায় পথে গাড়ির ঢল না থাকলেও সাইকেল এবং রিকশ, তার উপর বাইকের যেন ভিড় লেগে গিয়েছে। তবে পুলিশের গাড়ি দেখে সকলেই পথ ছেড়ে দিচ্ছিল। শাক্য কথা বলছিল না। একমনে হাতে ধরা একটা ফাইল দেখছিল। ফাইলটা থানা থেকে বেরুনোর সময় সুদীপ্তের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছিল সে। তখন দেখার সুযোগ পায়নি। এখন পেয়েছে বলে নিবিহশট চিত্তে দেখছে শাক্য। পাভেল যে পাশে বসে আছে, সে খেয়ালও নেই তার। কাজ পেলে শাক্য সিংহ নাওয়া-খাওয়া ভুলে যায়, আর এ-তো পদে পদে মৃত্যুর মতো ধুন্ধুমার কেস! বিরক্তিতে পাভেল মোবাইলের নিউজ পেজগুলি খুলে দেখছিল একের পর এক।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক,পর্ব-৫৭: সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি

পর্দার আড়ালে, পর্ব-৫০: অর্ধশতাব্দী ছুঁলো ‘অমানুষ’

আজকাল নিউজ পেজগুলিতে নিউজ কম, বিজ্ঞাপন বেশি থাকে। সহজে লিঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে তুলুন থেকে সঙ্গমের সময় বৃদ্ধি হবে কীভাবে পর্যন্ত সব রকমের বিজ্ঞাপন থাকে এ গুলিতে। আর থাকে রিয়্যাল এস্টেটের বিজ্ঞাপন। এগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি যে প্রতারণার ফাঁদ, পুলিশ বিভাগে কাজ করে বলে পাভেল তা জানে ভালোভাবেই। বিশেষ করে অর্ধনগ্ন মডেলদের দিয়ে যে আপাত আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনগুলি দেওয়া হয় এবং ফোন নম্বর দিয়ে বলা হয়, বিশদে জানতে যোগাযোগ করতে, সেগুলিতে ক্লিক করলে সর্বস্ব খোয়াতে হতে পারে।

তবে নিউজ পেজগুলিতে কোথাও এখানকার খবর নেই। সম্ভবত, শহুরে বাবুরা এখনো এই খবর তেমনভাবে খাবে না বলেই মনে করছেন পেজগুলির কর্তৃপক্ষ। অলসমনে স্ক্রোল করতে করতে হঠাৎ একটা বিজ্ঞাপনের কাছে এসে চোখ আটকে গেল তার। বিজ্ঞাপনটি ছোট, জমি-বাড়ি কেনাবেচার বিজ্ঞাপন। সেখানে বলা হয়েছে—
তাড়াতাড়ি! তাড়াতাড়ি! তাড়াতাড়ি!
কলকাতা থেকে ঘণ্টা চারেকের দূরত্বে
শাল-পিয়াল-পলাশের বনের ধার ঘেঁষে, টিলাপাহাড়ের গায়ে
মনোরম পরিবেশে বর্তমানে চালু
একটি দ্বিতল রিসর্ট
নামমাত্র মূল্যে বিক্রি আছে।
কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আগ্রহী থাকলে
নিচে দেওয়া মেইল আইডিতে সত্ত্বর
ই-মেইল করুন।


এই বলে একটি মেইল আইডি দেওয়া হয়েছে। এমনিতে আহামরি কোন বিজ্ঞাপন নয়। কিন্তু চমকপ্রদ ব্যাপার হল, বিজ্ঞাপনের সঙ্গে ছোট করে বিক্রয়যোগ্য রিসর্টের যে ছবিটি দেওয়া হয়েছে, তা পিশাচ-পাহাড় রিসর্টের! অথচ কোথাও পিশাচ-পাহাড় কথাটার উল্লেখ নেই, এমনকি কোন্ স্থানে রিসর্টটি, তারও হদিশ পাওয়া এই বিজ্ঞাপন থেকে অসম্ভব। আরও অদ্ভুত ব্যাপার হল, এই ধরণের বিজ্ঞাপনে যেটা স্বাভাবিক, অর্থাৎ ফোন নম্বর দেওয়া, সেটাই এখানে দেওয়া নেই।
বোঝাই যাচ্ছে, বিজ্ঞাপনদাতা গোপনে ডিলতা সারতে চাইছেন। তিনি বা তাঁরা চান না, বিষয়টা অনেকের নাগালের মধ্যে আসুক। কিন্তু অবাক লাগছে এই ভেবে যে, আজ কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত কাপাডিয়া বা আর কেউ বলেন নি যে, রিসর্টটা বিক্রির কথা চলছে। কাপাডিয়া বলেছিলেন যে, রিসর্টটির মালিক বিদেশে থাকেন বেশিরভাগ সময়। তাঁর বকলমে কাপাডিয়াই সবটা দেখেন আর কলকাতা অফিসের একজন মহিলা যোগাযোগ রাখেন। কিন্তু তাঁরা কেউই কি কাপাডিয়া বা আর কাউকে বলেন নি যে, এটা তাঁরা বিক্রি করে দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করেছেন?
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৮: অভিভাবিকা মা সারদা

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৩: ত্রিপুরার সমৃদ্ধিতে রাজা বিজয় মাণিক্যের ভূমিকা অপরিসীম

সে শাক্যকে বিজ্ঞাপনটা না দেখিয়ে পারল না। শাক্যকে ডাকল সে। প্রথমবার শাক্য উত্তর দিল না কোন, এতটাই মগ্ন ছিল সে ফাইল পড়ায়। দ্বিতীয়বার ডাকতেই চোখ তুলে তাকাল। পাভেল কোন কথা না বলে আগে তার দিকে বিজ্ঞাপনটা এগিয়ে দিয়ে শুধু বলল, “পড় একবার!”
তার বলার মধ্যে এমন একটা সিরিয়াস ভাব ছিল যে কোন প্রশ্ন না করেই শাক্য বিজ্ঞাপনটায় চোখ রাখল। পড়তে বেশি সময় লাগল না তার। লাগার কথাও না। কিন্তু পড়ার পর যখন চোখ তুলে তাকাল, তখন তার চোখে কৌতূহল ও জিজ্ঞাসা। পাভেল তার ভাবনার কথা জানাল। শুনে শাক্য বলল, “তাহলে তুমি বলছ, ম্যানেজারের অজ্ঞাতেই পিশাচ-পাহাড় রিসর্ট বিক্রির কথা চালাতে চাইছে মালিকপক্ষ?”
“তেমনই তো মনে হচ্ছে, তাই না?”
“হুঁ! তাহলে আমাদের উচিত ফিরে গিয়ে সরাসরি কাপাডিয়াকে জিজ্ঞাসা করা। বিজ্ঞাপনের কথা আগে বলার দরকার নেই। আগে দেখা যাক, তাঁর প্রতিক্রিয়া কেমন হয়। তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।”
“কাপাডিয়া জানলে নিশ্চয়ই বলতেন আমাকে। তাঁর সঙ্গে অনেক কথাই হয় আমার। আমাকে তাঁর বয়সের কাছাকাছি ভেবে অনেক সুখদুঃখের কথাই তিনি শেয়ার করেছেন।”
“সে আগে। এখন যখন জেনে গেছেন, তুমি ছদ্ম অজয় বিশ্বাস, তখন কতটা মুখ খুলবেন জানি না! তবে চেষ্টা তো করতেই হবে।”
“হ্যাঁ।”
“পাভেল, আগে থেকেই কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ো না। হতেই পারে যে, বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপনটি তৈরির সময় নেট থেকে যে-কোন একটা রিসর্টের ছবি ডাউনলোড করে ব্যবহার করেছেন। সেখানে না জেনেই পিশাচ-পাহাড় রিসর্টের ছবিটা ব্যবহার করা হয়েছে। হতে পারে না কি?”
“সেটা হতেই পারে!”
“তবে আমাদের সতর্ক হতে হবে। যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই… শোননি ছোটবেলায় কখনও?”
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৬: কল্যাণী—অন্দরমহলের সরস্বতী

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-২২: শরীরচর্চা: জোড়াসাঁকো থেকে শান্তিনিকেতন

বলতে বলতে গাড়ি পুরানা মোকামের জঙ্গলের সামনে এসে থামল। ড্রাইভার বলল, “সাব্, আমরা চলে এসেছি। এটাই পুরানা মোকামের জঙ্গল।” তার গলায় সতর্কতার সুর শোনা গেল। সে কি ভয় পাচ্ছে? এই মাঝদুপুরে? তাও সে আর পাভেল আছে? শাক্য অবাক হল। কোন কোন মানুষ এত সুপারস্টিশাস হয়!

গাড়ি থেকে নামল তারা। অর্জুন, শাল, সেগুন, কুসুম ইত্যাদি গাছের ভিড় সেখানে। পলাশ গাছও আছে কিছু। সেগুলিতে আগুনে লাল ফুল ফুটে আলো হয়ে আছে। দু’ একটা হলুদ মচকা ফুলের গাছও চোখে পড়ল। পাখির দাক শোনা যাচ্ছিল। দুপুরের রোদে জঙ্গলশীর্ষ আল হয়ে আছে। তবে নিচে হালকা আলো-আঁধারি পরিবেশ। অনেক কাঁটাঝোপও এদিক-ওদিক চোখে পড়ল শাক্যদের। তারা নামতেই একজন এগিয়ে এসেছিল। সুদীপ্ত একজনকে পাঠিয়ে দিয়েছিল, যে ওদের তদন্তের সময় সঙ্গে ছিল। লোকটি সাইকেলে করে এসেছে দেখা গেল। অনতিদূরেই একটি সাইকেল রাখা আছে। লোকটি মধ্যবয়সী। এগিয়ে এসে নমস্কার করে বলল, “স্যার, আমার নাম জীবন। এস.আই স্যার আমাকে পাঠিয়েছেন।”

শাক্য বলল, “বেশ। তুমি আমাদের জায়গাটা দেখিয়ে দাও। ঠিক কোনখানে বাইকটা রাখা ছিল, সেইখানটা।”
“আসুন স্যার, এইদিকে”, বলে লোকটা এগিয়ে গেল। সে বেশ সাবলীল, বোঝাই যাচ্ছে, ভয়ডর কম। খানিকটা এগিয়ে একটা গাছের তলায় দেখিয়ে বলল, “এইখানে স্যার!”

শাক্য হাঁটু মুড়ে বসল। জায়গাটায় বাইকটা ছিল সন্দেহ নেই। বাইক রাখলে যেমন চিহ্ন থাকা উচিৎ মাটিতে তার চিহ্ন ছিল। যদিও শক্ত কাঁকুড়ে মাটি, কিন্তু জায়গাটায় অনন্তলতা আর কিছু বুনো ঘাস ভর্তি, তাদের থেঁতলানো চিহ্নই প্রমাণ দিচ্ছে ভারি কিছু এখানে রাখা ছিল। তবে বাইকের গায়ে ব্লাডের চিহ্ন থাকলেও মাটিতে কোন চিহ্ন নেই। বোঝাই যাচ্ছে, যদি ওই ব্লাড নিহত ব্যক্তির হয়, তাহলে অন্য কোথাও খুন করে এখানে বাইকটা রেখে যেতে পারে। আর সেটা হলে ধরে নিতে হয়, বাইকে বসা অবস্থাতেই তাকে খুন করা হয়েছিল। নাহলে ব্লাডস্পট থাকতে পারে না বাইকের গায়ে।

হঠাৎ তার মনে হল, আচ্ছা, যদি ওই ব্লাডস্পটটা নিহত ব্যক্তির না হয়? যদি মানুষেরই না হয়? তাহলে? চিন্তাটা সে মাথা থেকে তাড়িয়ে দিতে চাইল, কিন্তু পারল না। সে উঠে এদিক ওদিক দেখতে দেখতে কাছেই একটা কাঁটা ঝোপের নীচে ঝুঁকে পড়ল। এটা কী? সে হাত বাড়িয়ে জিনিসটা তুলে আনল। —চলবে।
* ধারাবাহিক উপন্যাস (novel): পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক (Pishach paharer atanka) : কিশলয় জানা (Kisalaya Jana) বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক, বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ।

Skip to content