শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


মানুষ ও তার চারপাশের গাছপালা, জল, মাটি বায়ু যা কিছুকে কেন্দ্র করে সে বেঁচে থাকে তাই তার পরিবেশ। প্রাচীনকালের মানুষ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকে অন্যতম কর্তব্য বলে মনে করত। সে জন্য আলাদা করে পরিবেশ বাঁচানোর দরকার হয়নি। তবে পরবর্তীতে প্রাকৃতিক দূষণের মাত্রা এতটা বেড়েছে যে পরিবেশকে রক্ষা করার তাগিদে পথে নামতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
পরিবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের সূত্রপাত হয়েছিল মূলত বিশ শতকের দ্বিতীয় দশকে। ১৯৭২ সালে ৫ জুন দিনটিকে রাষ্ট্রসংঘ বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালনের ডাক দেয়। কিন্তু মানুষের সচেতনতার অভাবে পরিবেশ দূষণের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। আয়লা, আমফানের মতো বিপর্যয়ের জেরে একদিকে যেমন গাছপালা শূন্য হয়ে পড়েছে, তেমনি প্রাণ হারিয়েছে বহু প্রজাতির পশুপখিরাও। নীলকন্ঠ, বউ কথা কও, চড়ুই প্রভৃতি পাখি আজ প্রায় বিপন্ন। বিপন্ন হয়েছে উদ্ভিদরাও। আসুন, আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশবান্ধব জীবন যাত্রার পথে আর একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্কল্প নিয়ে কিছু অভ্যাসের বদল আনি। যেমন, প্লাস্টিকের বদলে কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা, অপ্রয়োজনে গাছ না কাটা, জল অপচয় না করা, শব্দ দূষণ এড়িয়ে চলা, যত্রতত্র প্লাস্টিক না ফেলা ইত্যাদি।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, পরিবেশের জন্য সবথেকে বড় ক্ষতিকর দূষণ, উষ্ণায়ন ও কার্বন। তাই প্রত্যেককে হাতে হাত মিলিয়ে পরিবেশকে ভালোবাসলে এবং সচেতন ও সতর্ক হলেই পরিবেশকে রক্ষা করা সম্ভব।

Skip to content