ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
নিল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন, এটা আমাদের সবারই জানা। যদিও চাঁদের মাটিতে কোন মহাকাশচারী প্রথম বার প্রস্রাব করেছিলেন, এমন খবর বহু মানুষরই অজানা। সঠিক উত্তরটি হল, মহাকাশচারী এডউইন অলড্রিনই চাঁদে প্রথম বার প্রস্রাব করেছিলেন। এই কথা স্বয়ং অলড্রিন তাঁর লেখা বই ‘নো ড্রিম ইজ টু হাই’-তে জানিয়েছেন। তবে মহাকাশে নয়, স্পেসস্যুটের মধ্যে থাকা এক বিশেষ থলির মধ্যে অলড্রিন প্রস্রাব করেছিলেন। তাই চাঁদে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা প্রথম মহাকাশচারী হলেন অলড্রিনই।
কিন্তু চাঁদে যদি কেউ সরাসরি প্রস্রাব করেন, তা হলে কী হবে? উত্তরটি নির্ভর করবে আপনি কোন পরিবেশে থেকে প্রস্রাব করছেন তার উপর। এ নিয়ে মতামত জানিয়েছেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস মেসেঞ্জার। তাঁর মতে, মহাকাশচারী চাপযুক্ত এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের মধ্যে থাকলে সেক্ষেত্রে চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে পার্থক্য কেবল মাধ্যাকর্ষণ। মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর ছয় ভাগের এক ভাগ হল চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। তাই চাঁদে কাউ প্রস্রাব করলে পৃথিবীর তুলনায় তা আড়াই গুণ বেশি দূরে গিয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন:
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৬: বহু জনমের মায়া, ধরিল যে কায়া, ওগো ‘শিল্পী’ সে তো শুধু তোমারই ছায়া
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৪: গলায় মাছের কাঁটা ফুটলে ওষুধ খেলে গলে যায়?
এমনিতে চাঁদে অত্যন্ত নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় চাপ। তাই কেউ চাঁদে স্পেসস্যুটের বাইরে প্রস্রাব করেন তাহলে অত্যন্ত নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় চাপের প্রভাবে প্রস্রাব ফুটতে শুরু করবে। চাঁদে বাষ্প বহন করার মতো কোনও বায়ুমণ্ডল তা থাকায় সেই বাষ্প তখন চাঁদের দুর্বল মাধ্যাকর্ষণের জন্য নিচে পড়ে যাবে।
আরও পড়ুন:
প্রথম আলো, পর্ব-৩: পৃথিবীর প্রথম কবি কে, জানেন?
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১২: আমাকে আমার মতো থাকতে দাও
শরীরের সমান হয় আমাদের প্রস্রাবের তাপমাত্রা। সেই তাপমাত্রা ধরা যেতে পারে প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। অন্যদিকে স্পেসস্যুটের চাপ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় চাপের মতোই থাকে। ফলে চাঁদে স্পেসস্যুটের বাইরে প্রস্রাব করলে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কম থাকায় তা নিমেষেই বাষ্পে পরিণত হবে।