বৃহস্পতিবার ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫


আপন মনের মাধুরী মিশায়ে।

।।আব্দুল মিয়াঁ।।

ক্যাবিনেট মিশন ক্ষমতা হস্তান্তরে ত্রিস্তর সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার এবং কয়েকটি রাজ্য মিলিয়ে স্বয়ংশাসিত সরকারের প্রস্তাবও দেয় মিশন। প্রথমে রাজি থাকলেও শেষ মুহুর্তে লিগ বেঁকে বসে। তারা সারা দেশে এর প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেয়। বিনয়ের মনে পড়ে যায় খবরের কাগজে সে যেন দেখেছিল গত জুলাই মাসেই মুসলিম লিগ ১৬ অগস্ট ১৯৪৬-কে প্রতিবাদ দিবস ঘোষণা করেছিল। কিন্তু জুলাই মাসে সন্তানলাভের ঘটনায় তারিখ অত খেয়াল ছিল না। বিনয়ের হঠাৎ মনে হল সেদিনই ১৬ অগস্ট! খেয়াল না করে গগনকে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ার জন্যে আক্ষেপ হচ্ছিল বিনয়ের।

আচমকা অনেক মানুষের চিৎকার শুনে আতঙ্কিত বিনয়কান্তি। ছেলেকে দুহাতে আঁকড়ে ধরে। উত্তেজিত একটা দঙ্গল ক্রমশ এগিয়ে আসছে। শিরদাঁড়ায় একটা অজানা আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত। বিনয় একা থাকলে কোন সমস্যা ছিল না। সমস্যা তো গগনকে নিয়ে। কী পরিস্থিতি হতে যাচ্ছে? গগনের ওপর তার কী প্রতিক্রিয়া হবে? বিনয় কিছু বুঝতে পারছে না।

শোনা যাচ্ছে আব্দুলের কণ্ঠস্বর। আব্দুল নানা ভাবে বিনয়কান্তি এবং তার ছেলেকে রক্ষার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
—মোর মুনিবের বিবি আর ত্যানার ছাওয়াল!
গর্জে ওঠে উত্তেজিত লোকজন।
—মিছে কথা!!
আব্দুলের চিৎকার
—আল্লা কসম!!

ফিটনের দরজায় লাঠির আঘাত বাড়ে। ফিটনের দরজায় ক্রমাগত ধাক্কা বাড়ছে। দরজার ছিটকিনি নড়ছে। আব্দুল লাফ দিয়ে নিচে নেমে ফিটনের দরজা আগলে দাঁড়ায়। বিনয় ছেলের মুখে হাতচাপা দিয়ে আছে, পাছে সে ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। আব্দুল শেষ চেষ্টা করছে।
—খবরদার মা- বিটির ইজ্জতে ঘা দাও তোমরা। শরম নাই তোমাদের। দোজকের ভয় নাই।
ফিটনের অন্দরে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে আব্দুল বলে
—ঘাবড়ায়েন নি বিবি সাহেবা। আব্দুল মিঁয়া জান থাকতি কুন হালায় আপনার বুরখা ছুঁতে পারবেনি।

দঙ্গলের মধ্যে গুঞ্জন। বোধহয় আব্দুলের চেষ্টায় কাজ হয়েছে।
—ছাড়ান দাও এদের। মেয়ে-মানুষ আছে গাড়িতে হুজ্জত করোনি। যাও! কোচোয়ান যাও! জানো না, শওরে দাঙ্গা নেগেছ্যে। আজকের দিনে পথে বার হয়েছ্যো কুন সাহসে- যাও!! যাও- যাও!! জলদি ঘরে ফেরো মিঁয়া!

আবার ফিটন নড়ে ওঠে। বিনয়ের শরীর ঘামে ভিজে গিয়েছে। এতক্ষণ দমবন্ধ করেছিল। এবার বুক ভরে শ্বাস নেয়। তখনও গগনের মুখে হাত চাপা দিয়ে আছে বিনয়। উল্টোদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে দ্রুতগতিতে ফিটন ছুটিয়ে দেয় আব্দুল। দিনের আলো কমে এসেছে। বিনয় ভাবছে কোনওক্রমে বাড়ি পৌঁছতে পারলে এই ভয়ঙ্কর বিপদ এড়ানো যাবে। হঠাৎ আবার ফিটন থমকে যায়। আতঙ্কে বিনয়ের শরীর শক্ত হয়ে ওঠে। ফিটনের দরজায় টোকা পড়ে।
—জানলাটুকু খুলেন কত্তা, আমি আব্দুল!!

বিনয় জানালাটা খুলে দিতেই আব্দুল কাগজে মোড়া একটা কিছু জানলা দিয়ে বিনয়ের কোলের ওপর ফেলে দেয়।
—কত্তা! ওই মোড়কে মোর ফুপার ম্যাইয়ার বুরখা আছ্যে! হেইডা দিতিই আজ… চটপট সেটা গায়ে চড়িয়ে নেন কত্তা। লোকজনের মাথায় খুন চেপে আছ্যে। মুখের কথায় মানবেনে। আল্লাতালা যেমন বেপদ দেন, তেমন আপদ থিকেন তিনিই বাঁচান।

বিনয় গগনের দিকে তাকায়। আব্দুল সেটা খেয়াল করেই নিজের গলার কালো সুতোর তাবিজটা একটানে ছিঁড়ে বিনয়কে দিয়ে বলে
—এই তাবিজ খোকার গলায় পরায়ে দেন।
কথাটা বলেই আব্দুল লাফ দিয়ে ফিটনে উঠে, ঘোড়া ছুটিয়ে দেয়। খানিক দূরে পৌঁছে আব্দুলের কথাই সত্যি হল। আরও একদলের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ফিটন থামাতে হল। আতঙ্কিত বিনয় জুতো সরিয়ে খালি পায়ে বসলো, চোখ ঢাকা জালি দিয়ে বিনয় দেখছে। ফিটনের জানলার ফাঁকে জ্বলন্ত মশালের উজ্জ্বল আলো।
—দরোজাটা একটু খোলেন বিবিসাহেবা।
আরও পড়ুন:

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব-৪০: বসুন্ধরা এবং…

ছোটদের যত্নে: হঠাৎই জ্বর, মুখে-হাতে ঘা হচ্ছে শিশুদের! কষ্টকর হলেও ভয়ের কিছু নেই, জেনে নিন কোন রোগের উপসর্গ এগুলি

অযোধ্যা: প্রাচীন ভারতীয় ধর্ম-সংস্কৃতি সমন্বয়ের প্রাণকেন্দ্র/১

চিতল মাছের তো খেয়েছেন, এবার চিংড়ির মুইঠ্যার স্বাদ নিন, রইল সহজ রেসিপি

কাঁপা হাতে দরজা খুলে দেয় বিনয়। আলো-আঁধারে ফিটনের মধ্যে দেখা যায় বোরখা-পরা কেউ, বোরখায় মুখ প্রায় লুকিয়ে আছে বাচ্চা ছেলেটি কিন্তু গলার তাবিজ চকচক করছে আলো পড়ে। বিনয় দেখল হাতে চপার সোর্ড লাঠি মশাল নিয়ে জনাকয়েকের ভিড়, পরনে লুঙ্গি -গেঞ্জি বা খালি গা। আব্দুলকে চলে যাবার ইশারা করে লোকগুলো।

এবার প্রায় উর্ধশ্বাসে ফিটন ছুটিয়ে থমথমে গ্রে স্ট্রিটে পৌঁছোয় আব্দুল-বিনয়ের বাড়ির একটু আগের গলিতে অন্ধকারে দাঁড়ায়
—এসে গিয়েছি কত্তা বুরখা ছেড়ে জলদি ঘরে ঢুকে যান।
ফিটন থেকে নেমে বিনয় চেঁচিয়ে বলে
—তুমি যেও না, আমি আসছি।

বিনয় দেখে দোতলার অন্ধকার বারান্দায় আতঙ্কিত বসুন্ধরা, স্বর্ণময়ী। বিনয়কে দেখে বসুন্ধরা চেঁচিয়ে কাজের লোককে দরজা খুলে দিতে বলে। বিনয় দ্রুত গগনকে বাড়ি ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতে বলেই ফিরে যান, আব্দুলের কাছে। কিন্তু তার দেরি হয়ে গিয়েছে। কয়েকটা ছায়ামূর্তি হাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আব্দুলকে ঘিরে ধরেছে। বিনয় ছুটে যায় —

অন্ধকার বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে বসুন্ধরা, আতঙ্কে তাঁর চোয়াল শক্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু ছেলেকে বাধা দেয় না বসুন্ধরা। হঠাৎ কাঁধে কারও হাতের ছোঁয়ায় চমকে ওঠে বসুন্ধরা। স্বর্ণময়ী নিঃশব্দে বসুন্ধরার দিকে তাকায়। বসুন্ধরা স্বর্ণ’র হাতটা শক্ত করে ধরে চোখ বুজিয়ে তাকে অভয় দেয়। বসুন্ধরা জানেন তাঁর সন্তানের কোন ক্ষতি হবে না। সে ছুটে গিয়েছে একটি মানুষকে বাঁচাতে, বিনুর সহায় হবেন স্বয়ং জগদীশ্বর। বসুন্ধরার আত্মবিশ্বাস অপরিসীম। তাঁর ঈশ্বরবিশ্বাস অমিত। আর সেই মায়ের রক্তকণিকার স্নায়ুর শরীরের মানসিকতার নির্যাস থেকে সৃষ্টি হয়েছে অকুতোভয় বিনয়কান্তি। রামদা বল্লম ছোরা হাতে কপালে সিঁদুরের তিলককাটা ছায়ামূর্তিদের সামনে গিয়ে আব্দুলকে আড়াল করে দাঁড়ায় বিনয়।

—আব্দুলের কোনও ক্ষতি করবে না তোমরা। ও আজ নিজের জীবন বাজি রেখে রাজাবাজারে আমাকে আর আমার তেরো বছরের ছেলেকে প্রাণে বাঁচিয়েছে। আজ ও না থাকলে আমি আর আমার ছোট্টছেলেটার মৃতদেহ রাজাবাজারে পড়ে থাকত। নিজের গলার তাবিজ খুলে আজ আব্দুল আমার ছেলেকে পরিয়ে দিয়েছিল। আমাকে পরিয়েছিল ওর পিসতুতো বোনের জন্যে সেলাই করে আনা নতুন বোরখা। ওর কোনও ক্ষতি আমি হতে দেবো না। ওর গায়ে হাত দেবার আগে আমায় খুন করতে হবে। কিন্তু সেটা বড় সহজ হবে না —
আরও পড়ুন:

ত্বকের পরিচর্যায়: ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে? যত্নে কী কী করবেন? জেনে নিন ত্বক বিশেষজ্ঞের জরুরি পরামর্শ

সামনেই বিয়েবাড়ি? গয়নার বাক্সে থাকুক এই ৫ ধরনের গয়না

শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ২১: মন্থরার মন্ত্রণাবিষ—নয় রাজসিংহাসন, হোক নির্বাসন

গল্প: পরশ

এই বলে বিনয় পাশের জনের হাত থেকে রামদা ছিনিয়ে নেয়।
বিনয়কে এরা গাড়ি করে স্যুট-টাই পরে অফিস যেতে দেখেছে। রবিবারে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরে বাজারে যেতে আসতে দেখেছে। এদের কাছে বিনয় নির্বিরোধী ভদ্রলোক! কিন্তু সে যে এমন ডাকাবুকো এমন সাঙ্ঘাতিক হতে পারে সেটা এরা কল্পনা করতে পারেনি।
—মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়িঘর লুট করছে। মেয়েদের ইজ্জতহানি করছে আর আমরা ছেড়ে দেব?

—কেন ছাড়বে? যে অত্যাচার করছে, যাও এই রামদা দিয়ে তার গলা নামিয়ে দিয়ে এসো। কিন্তু আব্দুল নিরীহ নিরাপরাধ খেটে খাওয়া মানুষ। ও আজ আমাদের জীবন বাঁচিয়েছে। যে ওর ক্ষতি করতে আসবে, তার হাত দুটো আমি কাঁধ থেকে কেটে দেব। আব্দুলকে আমি আমার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যাব। ও আজ আমার অতিথি। কাল সকাল হলে নিমতলা ঘাটের কাছে ওর বাড়ি থেকে ওর বউ-ছেলে-মেয়েকে আমাদের বাড়িতে আশ্রয় দেব। আমার বাড়িতে লাঠি বল্লমও আছে, বন্দুকও আছে। আমার অতিথিকে আমি রক্ষা করতে পারব। আর এগুলো ফাঁকা আওয়াজ নয়, আমি এখনও নিয়মিত শরীরচর্চা করি।

বিনয়ের সবচেয়ে বড় গুণ সে দাপটের সঙ্গে কথা বলে। বিনয়ের কথার মধ্যে এত প্রত্যয় এত আত্মবিশ্বাস যে তার কথা একবার শুনলে তাকে কেউ অবিশ্বাস করতে পারে না অস্বীকার করতে পারে না। সেই মানুষগুলোও পারেনি। তারা আব্দুলকে ছেড়ে চলে গেছে। বিনয় তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে। বসুন্ধরা তাকে সামনে বসে সে রাতে খাইয়েছে। কথা রেখে পরদিন আব্দুলের বউ-ছেলে-মেয়েকে নিজের বাড়িতে এনে তুলেছে। পরের একটা মাস আব্দুলরা তাদের বাড়িতে থাকতো। আব্দুলের ফিটন গাড়ি, ঘোড়া ‘চুন্নি’ থাকত পাশেই একটি টিনের শেডের তলায়। যাকে দেখে বিনয়ের মনে পড়ে যায় বেনারসের টাঙ্গাওয়ালা বক্তিয়ার খানের আদরের সফরসঙ্গী ফুলমণির কথা। গ্রে স্ট্রিটের বাড়িতে মোটর-গ্যারাজ ছিল না। বিনয়ের গাড়িও থাকত সেখানে –

শহরের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় নিল। সরকারি ভাবে স্বাভাবিক হলেও অগস্টে সাম্প্রদায়িক স্বচ্ছতায় যে চিড় দেখা দিয়েছিল। দু-মাসের মাথায় অক্টোবরে পুজোর ঠিক পরপর নোয়াখালির দাঙ্গায় তা থেকে স্পষ্ট ফাটল দেখা দিল। আর সেই ফাটল থেকেই, সাতচল্লিশের দেশভাগের পরিস্থিতিতে পরিবেশটা এলোমেলো হয়ে গেল।

এর অনেক আগে থেকেই গুহবাড়ির বড়কত্তা গিরিজাশঙ্কর গুহ বয়সজনিত নানান অসুস্থতায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। ১০ অক্টোবর ১৯৪৬ লক্ষ্মী পুজোর রাতে নোয়াখালিতে হত্যাকাণ্ডের পর গিরিজাশঙ্কর গুহ বাখুন্ডার বাড়িঘর-ব্যবসা এসব নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা করতে থাকেন। চাইছিলেন কলকাতা থেকে বাখুণ্ডা ফিরে যেতে। কিন্তু শারীরিক অবস্থা ফিরে যাবার মত ছিল না। মানসিক দুশ্চিন্তায় শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। বাখুণ্ডায় তাঁদের রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি। সে তুলনায় ফড়েপুকুরের দোতলা বাড়ি কিছুই নয়। দু-সপ্তাহ খুব বাড়াবাড়ি হল, বসুন্ধরা আর স্বর্ণময়ীকে নিয়ে বিজয়া সারতে তো গিয়েছিলোই। তারপরেও দু-তিনবার অফিস ফেরতা ফড়েপুকুরে গিয়ে বড়কত্তাবাবুকে দেখে এসেছে বিনয়কান্তি। হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলেছিল। বেঙ্গল ক্লাবের সদস্য হিসেবে মেডিকেল কলেজ, ক্যাম্বেল হাসপাতাল বা শ্যামবাজারের কাছে কারমাইকেল হাসপাতালে পরিচিত ডাক্তার ছিলেন। কর্তাবাবু রাজি হননি। তিনি বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলেন। আর অদ্ভূত ব্যাপার এত প্রভাব-প্রতিপত্তি সত্ত্বেও গুহবাড়িতে বিনয় আগের মতোই মাথা নিচু করে থাকতো। কত্তামা তো বটেই, এমনকি গুহকত্তার বড়ছেলেকে দেখলেও বসার চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে উঠত আজকের বিনয়কান্তি দত্ত।

অসুস্থ গিরিজাশঙ্কর গুহ বারবার বলতেন ‘আজকের ছেলেদের বিনয়ের কাছ থেকে সহবৎ শিখতে হবে।’

এ শিক্ষা বসুন্ধরার থেকে দিনে দিনে পেয়েছে বিনয়কান্তি। মা বলে ‘মাথা নুয়ে থাকলে লোকের চোকে পড়েনা বিনু’, বিনয় জীবনের যত উচ্চতায় পৌঁছেছে মায়ের কথা মেনে তত ধীর-স্থির বিনয়ী হয়েছে।
২৪ অক্টোবর কালীপুজোর দিন মাঝরাতে চলে গেলেন গিরিজাশঙ্কর গুহ। বসুন্ধরা তাঁর ঠাকুরঘরে কালীঘাটের কালীমা’র ছবিতেই পুজোর ব্যবস্থা করেছিল। উপোস করেছিল। ছোট্ট আয়োজন। পুজো শেষে প্রায় ভোররাতে সকলে শুয়েছে। গুহবাড়ির লোক এসে দুঃসংবাদ জানালো। কাকভোরে মাকে নিয়ে গুহবাড়ি ছুটল বিনয়কান্তি।—চলবে

বসুন্ধরার কালী মা (ছবিঃ সংগৃহীত)

চিত্র সৌজন্য: সত্রাগ্নি
 

পরের পর্ব আগামী রবিবার

শ্মশানের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে মায়ের কথামত প্রদীপ থেকে আগুনের তাপ নিয়ে দাঁতে নিমপাতা ও ডালের কণা চিবিয়ে ফেলে রীতি মেনে স্নান সেরে সামান্য কিছু মুখে দিয়ে বিনয় ছুটল অফিসে। সকালে তার স্টেনো আর অ্যাকাউন্টেন্টকে অনুরোধ করে ছিল ছুটির পর কয়েক ঘণ্টা অফিসে থাকতে। ব্যবসাটা তার নিজের। কাজ শেষ না হলে ব্যবসার ক্ষতি।

* বসুন্ধরা এবং (Basundhara Ebong-Novel) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।
 

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content