ত্রিপুরা বিধানসভা।
পিতার মৃত্যুর পর ১৯২৩ সালে রাজা হলেন বীরবিক্রম। কিন্তু রাজা নাবালক থাকায় তখন রাজ্য পরিচালনার জন্য ছিল এক শাসন পরিষদ। শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯২৮ সালে বীরবিক্রমের রাজ্যাভিষেক ঘটে। এই উপলক্ষে রাজধানীতে বিরাট অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। সুসজ্জিত হাতির মিছিল-সহ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান উপভোগ করেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। বীরবিক্রমের রাজত্বকালে ত্রিপুরার উন্নয়নে এক নবদিগন্তের সূচনা ঘটে। সুদৃঢ় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা-সহ শিক্ষা, যোগাযোগ নানা ক্ষেত্রে বহুমুখী উদ্যোগ নেন রাজা।
আগরতলা-সহ রাজ্যের অভ্যন্তরে নানা রাস্তাঘাট নির্মিত হয়। কমলাসাগর থেকে দুটি রেলপথেরও মঞ্জুরী দিয়েছিলেন রাজা। রাজধানী আগরতলাকে এক আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আদেশ জারি-সহ উচ্চ শিক্ষা প্রসারে বিদ্যাপত্তন প্রকল্পের অধীনে একটি গ্ৰামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন তাঁর স্বপ্ন ছিল। আজকের এমবিবি কলেজ তথা বিশ্ববিদ্যালয় যেন সেই বিদ্যাপত্তনের স্মৃতি বহন করছে। সেই সময়ে ভারতে দেশীয় রাজ্যের রাজন্যবর্গের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বীরবিক্রম। তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল-সহ বিদেশ সফর করে ত্রিপুরাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন সর্বত্র।
আগরতলা-সহ রাজ্যের অভ্যন্তরে নানা রাস্তাঘাট নির্মিত হয়। কমলাসাগর থেকে দুটি রেলপথেরও মঞ্জুরী দিয়েছিলেন রাজা। রাজধানী আগরতলাকে এক আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করেন তিনি। প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আদেশ জারি-সহ উচ্চ শিক্ষা প্রসারে বিদ্যাপত্তন প্রকল্পের অধীনে একটি গ্ৰামীণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন তাঁর স্বপ্ন ছিল। আজকের এমবিবি কলেজ তথা বিশ্ববিদ্যালয় যেন সেই বিদ্যাপত্তনের স্মৃতি বহন করছে। সেই সময়ে ভারতে দেশীয় রাজ্যের রাজন্যবর্গের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বীরবিক্রম। তিনি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল-সহ বিদেশ সফর করে ত্রিপুরাকে পৌঁছে দিয়েছিলেন সর্বত্র।
বীরবিক্রম সপার্ষদ তিনবার ইউরোপ সফর করেন। অবশ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে রাজার তৃতীয় ইউরোপ সফর বিশ্ব সফরের রূপ নেয়। সেবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের সঙ্গে বীরবিক্রমের সাক্ষাৎ ঘটে। হোয়াইট হাউসের বারান্দায় প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট রাজাকে সম্বর্ধনা জানিয়েছিলেন। বীরবিক্রমই প্রথম ভারতীয় রাজা যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় অতিথির মর্যাদা পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় বারের ইউরোপ সফরে রাজার সঙ্গে হিটলারেরও সাক্ষাৎ ঘটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব পড়েছিল ত্রিপুরায়। ১৯৪৩ সালে দু’বার জাপানি বিমান হানা দেয় আগরতলায়। রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করার পাশাপাশি রাজা ব্রিটিশ বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য ত্রিপুরা থেকে সেনাবাহিনী পাঠান চট্টগ্ৰাম, আরাকান ও ব্রক্ষ্মদেশে। ত্রিপুরার বাহিনী যুদ্ধে কৃতিত্ব দেখায়।
বীরবিক্রমের রাজত্বকালে ত্রিপুরার অন্যতম ঘটনা হল রতনমণির নেতৃত্বে রিয়াং বিদ্রোহ। রাজকীয় বাহিনী অবশ্য শেষপর্যন্ত এই বিদ্রোহ গুড়িয়ে দিয়েছিল। পূর্বপুরুষদের মতো বীরবিক্রমও সাহিত্য সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। রাজা নিজেও সঙ্গীত রচনা করেছেন। রাজমালা নতুন ভাবে সম্পাদনা করিয়েছেন তিনি। লিখেছেন নাটক, প্রবন্ধ। তখন সাহিত্যানুরাগী হিসেবে রাজার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও। সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনে ডাক পড়তো তাঁর। ১৯৩১ সালে রবীন্দ্রনাথের ৭০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে কলকাতার টাউন হলে রবীন্দ্র শিল্প প্রদর্শনী ও মেলার উদ্বোধন করেছিলেন বীরবিক্রম। ১৯৪১সালে রাজা রবীন্দ্রনাথকে ভারত ভাস্কর উপাধি প্রদান করেন। দেশের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী কয়েক বছর নানা কারণেই ছিল ঘটনাবহুল। ভারতের পক্ষে যেমন, তেমনই ক্ষুদ্র পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার পক্ষেও।
বীরবিক্রমের রাজত্বকালে ত্রিপুরার অন্যতম ঘটনা হল রতনমণির নেতৃত্বে রিয়াং বিদ্রোহ। রাজকীয় বাহিনী অবশ্য শেষপর্যন্ত এই বিদ্রোহ গুড়িয়ে দিয়েছিল। পূর্বপুরুষদের মতো বীরবিক্রমও সাহিত্য সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। রাজা নিজেও সঙ্গীত রচনা করেছেন। রাজমালা নতুন ভাবে সম্পাদনা করিয়েছেন তিনি। লিখেছেন নাটক, প্রবন্ধ। তখন সাহিত্যানুরাগী হিসেবে রাজার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও। সাহিত্য সম্মেলনের উদ্বোধনে ডাক পড়তো তাঁর। ১৯৩১ সালে রবীন্দ্রনাথের ৭০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে কলকাতার টাউন হলে রবীন্দ্র শিল্প প্রদর্শনী ও মেলার উদ্বোধন করেছিলেন বীরবিক্রম। ১৯৪১সালে রাজা রবীন্দ্রনাথকে ভারত ভাস্কর উপাধি প্রদান করেন। দেশের স্বাধীনতার পূর্ববর্তী কয়েক বছর নানা কারণেই ছিল ঘটনাবহুল। ভারতের পক্ষে যেমন, তেমনই ক্ষুদ্র পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার পক্ষেও।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৬: ত্রিপুরার উন্নয়নে বীরচন্দ্র বহুমুখী কর্মসূচি রূপায়ণ করেছিলেন
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৪: সুন্দরবনের সুন্দরী গাছ
বিশ্বযুদ্ধের প্রভাব, স্বাধীনতা আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি, দেশ ভাগে তৎপরতা,সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-ত্রিপুরাকে নানা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ত্রিপুরায় রাজনৈতিক তৎপরতার মাত্রাও তখন বৃদ্ধি পেয়েছিল। চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল কিছুদিন আগেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার আশায় প্রজাগণ ছিলেন উন্মুখ। রাজ্যে গড়ে উঠেছিল নানা সংগঠন। রাজনৈতিক আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠছিল। ১৯৪৬ সালের এক ঘোষণায় ত্রিপুরার রাজ সরকার রাজ্যে বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল।
বীরবিক্রমের রাজত্বকালটা যেমন ভারতের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনই ছিল ত্রিপুরার পক্ষেও। এক জটিল পরিস্থিতিতে ভারসাম্য রক্ষা করে রাজত্ব করে গিয়েছেন তিনি। এর মধ্যেও শাসনব্যবস্থার সংস্কার-সহ শিক্ষা, শিল্প, কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নানা কর্মসূচি রূপায়ন করেছেন রাজা। সর্বোপরি বীরবিক্রম ছিলেন এক দূরদর্শী রাজা। মৃত্যুর মাত্র অল্প কিছু দিন আগে তিনি ত্রিপুরার ভারতভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ভারতের কনস্টিটিউয়্যান্ট অ্যাসেম্বলিতে ত্রিপুরার যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতে ত্রিপুরার প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী গিরিজা শঙ্কর গুহকে মনোনীত করেন রাজা। ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল টেলিগ্ৰাম মারফত নয়াদিল্লিতে অ্যাসেম্বলির সচিবকে তা জানিয়ে দেয়া হয়। এর কিছু দিন পরই ১৭ মে রাজার অকালমৃত্যু ঘটে।
বীরবিক্রমের রাজত্বকালটা যেমন ভারতের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনই ছিল ত্রিপুরার পক্ষেও। এক জটিল পরিস্থিতিতে ভারসাম্য রক্ষা করে রাজত্ব করে গিয়েছেন তিনি। এর মধ্যেও শাসনব্যবস্থার সংস্কার-সহ শিক্ষা, শিল্প, কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নানা কর্মসূচি রূপায়ন করেছেন রাজা। সর্বোপরি বীরবিক্রম ছিলেন এক দূরদর্শী রাজা। মৃত্যুর মাত্র অল্প কিছু দিন আগে তিনি ত্রিপুরার ভারতভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ভারতের কনস্টিটিউয়্যান্ট অ্যাসেম্বলিতে ত্রিপুরার যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতে ত্রিপুরার প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী গিরিজা শঙ্কর গুহকে মনোনীত করেন রাজা। ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল টেলিগ্ৰাম মারফত নয়াদিল্লিতে অ্যাসেম্বলির সচিবকে তা জানিয়ে দেয়া হয়। এর কিছু দিন পরই ১৭ মে রাজার অকালমৃত্যু ঘটে।
আরও পড়ুন:
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৯: কামিনী রায়, জনৈক বঙ্গমহিলা
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫৮: যুগান্তরেও রামচন্দ্র, পুরুষোত্তমরূপে প্রসিদ্ধ কেন?
পিতা বীরবিক্রমের মৃত্যুর পর রাজ্যাধিকারী হলেন পুত্র কিরীটি বিক্রম। কিন্তু রাজা নাবালক থাকায় রাজমাতা মহারানি কাঞ্চনপ্রভা দেবীর নেতৃত্বে গঠিত কাউন্সিল অব রিজেন্সি ত্রিপুরার শাসনভার পরিচালনা করতে থাকে। ১৯৪৭ সালের ১১ নভেম্বর রিজেন্ট মহারানি এক ঘোষণায় জানান যে, সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে পরামর্শ ক্রমে এবং উপযুক্ত বিচার বিবেচনার পর ভারত ডোমিনিয়নে ত্রিপুরার সংযুক্তির বিষয়ে প্রয়াত মহারাজা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু মহারাজা বীরবিক্রমের মৃত্যুর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতভুক্তির আগে পর্যন্ত ত্রিপুরা এক গভীর সংকটের সম্মুখীন হয়েছিল। ত্রিপুরাকে পাকিস্তানের দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্রের অঙ্গ হিসেবে ওপারে শুরু হয়েছিল মিছিল, মিটিং।
রাজা বীরবিক্রম।
ত্রিপুরাকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানিয়ে মুসলিম লীগ নেতাকর্মীরা কুমিল্লায় তিনটি জনসভা করেন। চাকলা রোশনাবাদের জমিদারির প্রজাদের দুর্দশা দূর করার দাবি জানায় তারা। দাবি মানা না হলে ত্রিপুরাতে ডাইরেক্ট একশনের হুমকি দেয়া হয়। জনসাধারণকে খাজনা না দেওয়া-সহ ত্রিপুরা রাজ্যকে বয়কটের জন্য প্ররোচিত করে তারা। নোয়াখালির ফেনিতেও মুসলিমলিগ কয়েকটি বৈঠক করে এবং প্রচারপত্র বিলি করে। সীমান্তের ওপারে যখন ষড়যন্ত্র, বিক্ষোভ, প্ররোচনা চলছিল তখন এপারে রাজধানী আগরতলাতেও অশান্তি, উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। এপারেও কয়েকজন প্রভাবশালী মানুষের সন্দেহজনক ভূমিকায় মানুষ ছিল উদ্বিগ্ন।
যাইহোক, শেষপর্যন্ত ত্রিপুরার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এবং রাজমাতা তথা রিজেন্ট মহারানি কাঞ্চনপ্রভা দেবীর তৎপরতায় ব্যর্থ হয় সেই ষড়যন্ত্র। মহারানি ত্রিপুরার অবস্হা সম্পর্কে তদানীন্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলকে অবহিত করেন। তারপর দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাটেলের সঙ্গে আলোচনা করেন। ত্রিপুরায় অতিরিক্ত ফৌজ আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে।
যাইহোক, শেষপর্যন্ত ত্রিপুরার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ এবং রাজমাতা তথা রিজেন্ট মহারানি কাঞ্চনপ্রভা দেবীর তৎপরতায় ব্যর্থ হয় সেই ষড়যন্ত্র। মহারানি ত্রিপুরার অবস্হা সম্পর্কে তদানীন্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলকে অবহিত করেন। তারপর দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাটেলের সঙ্গে আলোচনা করেন। ত্রিপুরায় অতিরিক্ত ফৌজ আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে।
আরও পড়ুন:
বিচিত্রের বৈচিত্র: হে নূতন…
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫৩: রবীন্দ্রনাথের পোশাকআশাক
পাকিস্তান-পন্থীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেয়ার পর ভারত সরকারের পরামর্শে ১৯৪৮ সালের ১২ জানুয়ারি কাউন্সিল অব রিজেন্সি রহিত করে রাজমাতা কাঞ্চনপ্রভা দেবী একক রিজেন্ট বা রাজ প্রতিনিধি রূপে ত্রিপুরার শাসন পরিচালনা করতে থাকেন। ১৯৪৮ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতে পালিত হয় শহিদ দিবস। ত্রিপুরা-সহ চাকলা রোশনাবাদ জমিদারীর সর্বত্র সেদিন শহীদ দিবস পালনে রাজমাতা প্রজাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
১৯৪৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে রাজমাতা তথা রিজেন্ট মহারানি কাঞ্চনপ্রভা দেবী তাঁর নাবালক পুত্র কিরীটি বিক্রম কিশোর মাণিক্যের পক্ষে ত্রিপুরার ভারতভুক্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ভারত সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মিনিস্ট্রি অব স্টেটস-এর উপদেষ্টা ভিপি মেনন। এই চুক্তি সম্পাদনের ফলশ্রুতিতে ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরার ভারতভুক্তি ঘটে। সুদীর্ঘ কাল রাজন্য শাসনের পর ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার দিকে যাত্রা শুরু হয় ত্রিপুরার।
১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি দেশে চালু হয় নতুন সংবিধান। সে অনুযায়ী ত্রিপুরা বিধানসভা বিহীন একটি ‘গ’ শ্রেণির রাজ্যে পরিগণিত হয়। ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর ত্রিপুরা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের ২১ জানুয়ারি ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে।—চলবে।
১৯৪৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে রাজমাতা তথা রিজেন্ট মহারানি কাঞ্চনপ্রভা দেবী তাঁর নাবালক পুত্র কিরীটি বিক্রম কিশোর মাণিক্যের পক্ষে ত্রিপুরার ভারতভুক্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ভারত সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন মিনিস্ট্রি অব স্টেটস-এর উপদেষ্টা ভিপি মেনন। এই চুক্তি সম্পাদনের ফলশ্রুতিতে ১৯৪৯ সালের ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরার ভারতভুক্তি ঘটে। সুদীর্ঘ কাল রাজন্য শাসনের পর ধীরে ধীরে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার দিকে যাত্রা শুরু হয় ত্রিপুরার।
১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি দেশে চালু হয় নতুন সংবিধান। সে অনুযায়ী ত্রিপুরা বিধানসভা বিহীন একটি ‘গ’ শ্রেণির রাজ্যে পরিগণিত হয়। ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর ত্রিপুরা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালের ২১ জানুয়ারি ত্রিপুরা পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা লাভ করে।—চলবে।
ত্রিপুরা তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলের বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে পান্নালাল রায় এক সুপরিচিত নাম। ১৯৫৪ সালে ত্রিপুরার কৈলাসহরে জন্ম। প্রায় চার দশক যাবত তিনি নিয়মিত লেখালেখি করছেন। আগরতলা ও কলকাতার বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে ইতিমধ্যে তার ৪০টিরও বেশি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের ইতিহাস ভিত্তিক তার বিভিন্ন গ্রন্থ মননশীল পাঠকদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও সে-সব উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। রাজন্য ত্রিপুরার ইতিহাস, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সম্পর্ক, লোকসংস্কৃতি বিষয়ক রচনা, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সঞ্জাত ব্যতিক্রমী রচনা আবার কখনও স্থানীয় রাজনৈতিক ইতিহাস ইত্যাদি তাঁর গ্রন্থ সমূহের বিষয়বস্তু। সহজ সরল গদ্যে জটিল বিষয়ের উপস্থাপনই তাঁর কলমের বৈশিষ্ট্য।