
বাঁদিক থেকে হেতাল ফল। হেতাল গাছ। বীজসহ গরিয়া গাছ। ছবি: সংগৃহীত।
গরিয়া (Kandelia candel)
গরিয়া মাঝারি থেকে তীব্র লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। তাই যেসব জায়গা নিয়মিত জোয়ারের জলে ডুবে যায় সেখানে যেমন জন্মায় আবার অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গাতেও জন্মাতে পারে। এদের সাধারণত গরান, গেঁওয়া, বকুল কাঁকড়া, গর্জন, হরগোজা ইত্যাদি গাছের সঙ্গে জন্মাতে দেখা যায়। তবে সুন্দরবনের সর্বত্র গরিয়া গাছের দেখা মেলে না। সুন্দরবনবাসীর কাছে জ্বালানি ও খুঁটি হিসেবে গরিয়া গাছ ব্যবহৃত হয়। পাতা গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এর বাকলে বেশি মাত্রায় ট্যানিন থাকার জন্য রং হিসেবেও বাকল ব্যবহৃত হয়।
লৌকিক চিকিৎসা
বাকলের ক্বাথ ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করতে দেখা যায়। পাতা সিদ্ধ করে তার নির্যাস ডায়াবিটিস রোগের কারণে অধিক মূত্রত্যাগ নিয়ন্ত্রণে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৯: ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—ওড়া, কেওড়া, চাক কেওড়া ও কৃপাল

মুভি রিভিউ: সত্যঘটনা অবলম্বনে ভায়োলেন্ট ওয়েব সিরিজ ‘ভাউকাল’ ভালো লাগবে
গোলপাতা (Nypa fruticans)

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৮: কোন অজানায় ‘পথে হল দেরী’

ভোটস্য পরিবেদনা
লৌকিক চিকিৎসা

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৯: বাইনাচ-গানেরও কদর ছিল ঠাকুরবাড়িতে

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৩: তরু দত্ত— এক আনন্দ বিষাদের তরুলতা
হেতাল (Phoenix paludosa)
“ক্রোধ ভরে সদাগর ফিরে আসে নিজ ঘর।
বিবাদ করি মনসার সনে॥
হেতাল লইয়া ফিরে দেখা যদি পায় তারে
পাঠাইবে যমের সদনে।।”
সুন্দরবনের মানুষের কাছে হেতাল গাছের আর এক নাম হল ঝাঁপি। হেতাল হল খেজুর গাছের মতো দেখতে একবীজপত্রী উদ্ভিদ। যেখানে জন্মায় ঘন ঝোপ তৈরি করে। এরা আলোকোজ্জ্বল এলাকায় ভালো জন্মায়। এককভাবে বা হরগোজা গাছের সাথে থেকে এরা নদী বা খাঁড়ির দু’পারে বিস্তৃত জঙ্গল তৈরি করে। এদের তীব্র লবন-সহন ক্ষমতা রয়েছে। ভাটার সময় জল যতদূর নামে সেখান পর্যন্ত কর্দমাক্ত জমিতে এরা বেশি জন্মায়। জোয়ারের সর্বোচ্চ সীমায় এদের দেখা মেলে খুব কম। হেতাল গাছ সোজা হয়ে বেড়ে ওঠে, কোনও শাখা হয় না। লম্বায় এরা সর্বোচ্চ ১৫/১৬ ফুট হয়। অবিকল খেজুর গাছের পাতার মতো দেখতে যৌগিক পাতা হয় এবং পাতার গোড়ার দিকে কিছু পত্রকের আগা সূচালো হয়ে কাঁটা তৈরি করে। গোড়ার দিকের পাতা পুরোনো হয়ে গেলে ক্রমশ হলুদ হয়ে যায় এবং শেষে কান্ড থেকে খসে যায়। হেতাল গাছের জঙ্গল হল বাঘেদের আদর্শ আস্তানা।
