বাজারে রকমারি ফলের ছড়াছড়ি। স্বাস্থ্য সচেতনরা বাজারে গেলেই কিছু না কিছু ফল কিনে আনেন। এটাও ঠিক, ফলের মতো এত স্বাস্থ্যকর খাবার খুব কমই আছে। আর রোজ নিয়মিত ফলাহারের অভ্যা আমাদেরস শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। তাই পুষ্টিবিদরা বাড়তি ওজন ঝরাতে ডায়েটে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে শরীরের যত্ন নিলেও সব ধরনের ফল খেলে কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এমন কিছু ফল রয়েছে, যেগুলি খেলে ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই বাড়তি ওজন ঝরাতে কোন কোন ফল রাখলে চলবে না, রইল হদিস।
আনারস
আনারস অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ একটি ফল। আনারস খাওয়া শরীরের স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। এই ফলে জলের পরিমাণ বেশি। তাই শরীরে জলের ঘাটতি মেটাতে আনারস খাওয়া বেশ ভালো। আনারসে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। আবার আনারসে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও কম নেই। তবে খুব বেশি আনারস খেলে আবার ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কলা
● কলা সারাবছরই পাওয়া যায়। এই ফল শরীরের তাৎক্ষণিক শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। যদিও দিনে একটির বেশি কলা খাওয়া মানে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ কলায় আছে ক্যালোরির পরিমাণ ১৫০। কার্বোহাইড্রেটের রয়েছে ৩৭.৫। তাই কলা প্রিয় ফল হলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে বেশি না খাওয়াই ভালো।
অ্যাভোকাডো
● অনেকেই আছেন যাঁরা সমাজমাধ্যমে দেখে ওজন কমানোর খাদ্যতালিকা তৈরি করে নেন। অনেকেই তাঁদের খাদ্যতালিকায় অ্যাভোকাডো টোস্ট রাখেন। এই ফলেও ফ্যাটের মাত্রা বেশি। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে অ্যাভোকাডো।
ডাবের শাঁস
● আমরা অনেকেই শাঁস রয়েছে এমন ডাব খেতে পছন্দ করি। রোজ দিন ডাবের শাঁস খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ ডাবের শাঁসে ফ্যাট এবং ক্যালোরি দুই-ই বেশি মাত্রায় থাকে। ফলে ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন ডাবের জল খেলেও ডাবের শাঁস খাওয়া যাবে না।
আম
● আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিন্তু আম খেলেও ওজন বেড়ে যেতে পারে। এক কাপ আছে প্রায় ৯৯ ক্যালোরি। আবার ফাইবারও বেশি থাকে। কার্বোহাইড্রেটও ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তাই ওজন কমাতে ডায়েটে বেশি আম না রাখাই ভালো।