শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

দিন দিন বেড়েই চলেছে হার্টের অসুখ। করোনা ভাইরেসের সংক্রমণের পরে পরেই হার্ট অ্যাটাকে পর পর মৃত্যুর খবর শোনা যাচ্ছিল। কেন হঠাৎ করে বেড়ে গেল হার্টের অসুখ?
হৃদ্‌রোগ চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, হার্ট অসুখ বৃদ্ধি পাওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম জীবনযাপনে পরিবর্তন, ভুল খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ প্রভৃতি। এ সবের পাশাপাশি হার্টের অসুখের জন্য কিছু বংশগত কারণও রয়েছে।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৬২: শ্রীমার দক্ষিণ ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬৪: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গিরা শাক ও যদু পালং

রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপদসীমার উপর থাকলে হার্টের স্বাস্থ্যে তার প্রভাব পড়ে। মনে রাখতে হবে, আমরা যত বেশি জাঙ্ক ফুডে অভ্যস্ত হচ্ছি, ততই রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ছে। তাই হার্টও ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে। ফলে হার্টের কর্মক্ষমতা কমছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ওজন, মানসিক চাপ, ডায়াবিটিস এসব তো তো রয়েছেই।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৯: ভারতের বিপ্লবী মেয়েরা এবং অন্তরে রবীন্দ্রনাথ

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৫২: পুলক রাখিতে নারি (কেল)

সাধারণত হার্টের অসুখে বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যথার সঙ্গে ঘাম হয়। শরীর খারাপ লাগে। ক্রমাগত শরীর খারাপ হলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। হার্টের করোনারি আর্টারিতে ব্লকেজ থাকলে নানা সমস্যা হয়। মুশকিল হল, কোনও কোনও সময় এই সব সমস্যা নিঃশব্দে দানা বাঁধে, যা আমরা বুঝতেই পারি না।
আরও পড়ুন:

বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩

রহস্য উপন্যাস: হ্যালো বাবু!, পর্ব-৪৬: দুবেজিকে নিয়ে ধৃতিমানের অনুমান সত্যি

কারও উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবিটিস থাকলে অথবা পরিবারে হার্টের অসুখের ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে ৩০- ৩৫ বছরের পর থেকেই বছরে এক বার করে হার্টের পরীক্ষা করা উচিত। ই সি জি পরীক্ষা, ব্লাড সুগারের পরীক্ষা এবং ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করে আগাম সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬১: ‘বন্ধু’ তোমার পথের সাথী

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১০: মর্ত্যে আনিল ধ্রুবতারকারে ধ’রে

হার্ট ভালো রাখতে দিনে অন্তত এক মাইল হাঁটতেই হবে। ধূমপান বর্জন করতে হবে। বন্ধ করতে হবে মদ্যপানও। এ সবের পাশাপাশি নিয়মিত রক্তের সিরাম এবং, লিপিড পরীক্ষা করে দেখতে হবে। কারও কারও হয়তো কম বয়সে বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দশ-পনেরো বছর পরে আবার পরীক্ষাগুলি করা প্রয়োজন। কারণ বাইপাস সারজারি করা হলেও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকেই যায়।

Skip to content