দিন দিন দাওয়াইয়ের খরচ বাড়ছে? রান্নায় তেজপাতার ব্যবহার করলে বাঁচতে পারে ওষুধের বাড়তি খরচ

বিরিয়ানি-পায়েস হোক বা রোজের ডাল-চচ্চড়ি— বেশির ভাগ রান্নাতেই ফোড়ন হিসেবে তেজপাতা দেওয়ার চল রয়েছে। তবে খেতে বসলে পাতে তেজপাতা দেখলে অনেকেই রেগে যান। শুধু রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে তোলাই নয়, শরীর ভাল রাখতেও তেজপাতার জুড়ি নেই। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে, হার্টের সমস্যা রুখতেও তেজপাতা ভীষণ উপকারী। এ ছাড়া তেজপাতা পুড়িয়ে সেই ঘ্রাণ নিয়ে থাকেন অনেকেই। এই পাতার মধ্যে যে তেল থাকে, তা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

তেজপাতা আর কোন কোন উপকারে লাগে?

 

কোলেস্টেরল

৫) মূলত রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের জন্যই স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো ঘটনা ঘটে। তেজপাতায় থাকা যৌগগুলি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।

 

জ্বর-সর্দি উপশমে

৪) সাধারণ ঠান্ডা লাগা, জ্বর-সর্দি উপশমে ভালো কাজ করে এই তেজপাতা। এতে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ গলায় সংক্রমণজনিত ক্ষত নিরাময়ে দারুণ কাজ করে।

 

ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

২) দেহে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে তেজপাতা। সে কারণে টাইপ ২ ডায়াবিটিস এড়াতে রান্নায় তেজপাতা ব্যবহার করা ভলো উপকার মিলবে। শুধু তাই নয়, আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বা দুষিত পদার্থ বার করতেও তেজপাতার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

 

হজম শক্তি বাড়ায়

১) বিশেষ এক ধরনের উৎসেচক রয়েছে তেজপাতায়। এই উৎসেচক আমাদের খাবার হজম করাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি পেটফাঁপা, গ্যাসের সমস্যা নিরাময়েও সাহায্য করে তেজপাতা। যাঁরা গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা তেজপাতার চা খেয়ে দেখতে পারেন।

 

ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা

৩) বর্ষাকালে ত্বকে হরেক রকম ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে একটি তেজপাতা চার কাপ জলে ফুটিয়ে নিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। এ ভাবে দিনে চার-পাঁচ বার এই তেজপাতা ফোটানো জল খেলে সুফল পাওয়া যাবে।