সোমবার ৮ জুলাই, ২০২৪


অনেকের ইচ্ছে লম্বা চুল রাখার। কিন্তু তাদের প্রশ্ন কেন একটা নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের পর আর চুল লম্বা হয় না। এটা নির্ভর করে ‘হেয়ার লাইফ’-এর ওপর। সাধারণত একটা চুলের জীবন গড়ে দেড় বছর অর্থাৎ চুলের গোড়া থেকে জন্মানোর পর সেটা ওই সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তারপর চুলের রুট থেকে নতুন চুল জন্মায় এবং সেটা আস্তে আস্তে যখন ওপরে ওঠে তখন পুরোনো চুলকে ফেলে দিয়ে নিজেই পুরোনো চুলের জায়গাটা নিয়ে লম্বা হয়ে যায়। এই যে চক্র (সাইকেল) জন্মানো থেকে মরে যাওয়া অর্থাৎ উঠে যাওয়া এটাকে বলে ‘হেয়ার লাইফ’। এই যে পদ্ধতি সম্পূর্ণ হতে সময় লাগে গড়ে দেড় বছর। এবার কারও চুলের বেঁচে থাকার সময় হয়তো কম তাই সেটা আর বাড়ে না। আবার কারও বা চুলের বেঁচে থাকার সময় অনেক বেশি। এক্ষেত্রে হয়তো চুলের জীবন ৮-১০ বছর। তাই চুল অতটা লম্বা হয়েছে।
এবার আসি পরের কথায়। চুল লম্বা রাখার ইচ্ছের জন্য অনেকেই চুল কাটেন না। তাদের চুলের নীচটা আস্তে আস্তে সরু হয়ে শেষটা প্রায় লেজের মতো হয়ে যায়। এটা চুলের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর জন্য চুল ওঠার সমস্যা দেখা দেয়, চুল নীচ থেকে ভেঙে যায়। আর ভেঙে যায় বলেই আস্তে আস্তে নীচের দিকটা সরু হয়ে যায়। এক্ষেত্রে বিজ্ঞানটা বুঝতে হবে। সব ইচ্ছে পূরণ আমাদের হাতে থাকে না। প্রথম সমাধান হল যেখান থেকে চুলটা একটু একটু করে সরু হতে শুরু করেছে সেখান থেকে কেটে দিতে হবে অর্থাৎ চুলের নীচটা সমান থাকা একান্ত জরুরি।
এরপর ‘ইউ’ কাট বা যার যা ইচ্ছে ফ্যাশন কাট করা যেতে পারে। নীচটা সরু হয়ে গেলে সেখান থেকে চুলে জট পড়ার প্রবণতা দেখা যায়। মনে রাখতে হবে চুলের গোড়া থেকে যে লেন্থ পর্যন্ত সঠিক পুষ্টি পায় সেই পর্যন্ত চুলের লেন্থ রাখা উচিত। যতই লম্বা চুলের ইচ্ছে থাক না কেন সেটা এড়াতেই হবে, যাতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়া যাদের স্বাভাবিক চুল, প্রত্যেকের উচিত ছ’সপ্তাহ অন্তর চুলের ডগা কাটা। এটা একটা বিশেষ কাট যাকে বলে ‘এন্ডস লক’ অর্থাৎ চুলের ডগা যাতে না ফাটে ও নষ্ট না হয় তার জন্য এই কাটিং। এতে ৪০-৫০ শতাংশ চুল ওঠা বন্ধ হয় এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই নিয়মিত এই প্রসেস মেনে চলা উচিত, এতে চুলের লেন্থ ছোট হয় না।

ছবি: লেখক

লেখিকা শাকম্ভরী বডি অ্যান্ড বিউটি ক্লিনিক-এর প্রধান, যোগাযোগ : ঠিকানা: ২০৩, এপিসি রোড, শ্যামবাজার ফাইভ পয়েন্ট, কলকাতা-৪, মোবাইল: ৯১৬৩৪-১৪৪৪৩, হোয়াটসঅ্যাপ: ৭০০৩৮৯৩৮৮৩

Skip to content