ছবি: প্রতীকী।
সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম গরম এক কাপ চা ছাড়া আলস্য যেন কিছুতেই কাটতেই চায় না। গল্প হোক বা রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক বা কাজের বিরতি— এক কাপ চা চা-ই চাই। কিন্তু যাঁদের এক কাপ করে সারা দিনে অনেক কাপ চা খাওয়া হয়ে যায়, চায়ের সঙ্গে চিনিও কিন্তু ততটাই শরীরে যায়। এতটা পরিমাণ চিনি খাওয়া একেবারেই ভালো নয়। তাহলে কি চায়ে চিনির পরিবর্তে গুড় মেশাবেন?
চিনি না গুড়
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৭৫: সত্যব্রত সকাশে
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৭৩: দুই মহর্ষির দ্বন্দ্বে কি ‘ইতি ও নেতি’র বিরোধেরই প্রতিফলন?
চায়ে চিনি বা গুড় ব্যবহার নিয়ে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, চায়ে গুড় দিলে, গুড়ে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের শরীর সহজে শোষণ করতে পারে না। এর ফলে গুড়ের পুষ্টিগুণ ঠিক ভাবে কাজেই লাগে না। মনে রাখতে হবে, আমাদের শরীর, চিনি না গুড় কোথা থেকে শর্করা পাচ্ছে, তা বড় কথা নয়, দুটোতেই তো দেহে শর্করাই ঢুকে পড়ছে। চিনির পরিবর্তে গুড় কেউ ব্যবহার করাই যায়। তবে এর জন্য কিন্তু শর্করার মাত্রার কিছু তারতম্য হবে না। এখানেই শেষ নয়, গুড়ের পরিবর্তে মধু দিয়ে দিয়ে চা করলেও বাড়তি পুষ্টিগুণ যুক্ত হবে না। কারণ, অনেকে হয় তো জানেন না, চায়ে থাকা উপাদান শরীরে খনিজ বা পুষ্টি শোষণের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে শর্করা বর্জন করতে হলে চিনি, গুড় দু’টিই ডায়েট থেকে বাদ দেওয়াই বুদ্ধিমানে কাজ হবে।
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৬: নান্দনিক শিক্ষায় উৎসাহী ছিলেন শ্রীমা
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫০: পুত্রস্নেহে অন্ধ হলে পিতাকেও ধৃতরাষ্ট্রের মতো দুর্দশা ভোগ করতে হয়
কোনও কোনও পুষ্টিবিদের আবার বক্তব্য, খালি পেটে চা খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। ভরা পেটেই চা খাওয়া উচিত। এমনকি, দিনভর চা খাওয়ারও মাপ থাকা উচিত। অতিরিক্ত ক্যাফিন জাতীয় পানীয় খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। আবার রাতে চা খেলে ঘুমেরও সমস্যা হতে পারে বলে তাঁদের মত।