শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


রেখা। ছবি: সংগৃহীত।

বয়স তাঁর সত্তর ছুঁইছুঁই। তিনি ‘চিরসবুজ’ রেখা। আশির দশকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কেরিয়ার ছিল মধ্যগগনে। তার পর থেকে তাঁর ছবির সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে। তাতে কী, তাঁর সৌন্দর্যে এখনও মুগ্ধ দর্শক। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্কেরও কোনও শেষ নেই। বিশেষত অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে বহু কাটাছেঁড়া সমালোচনা হয়েছে। তখন অনেকেই ধারণা ছিল যে, অমিতাভর সঙ্গে রেখা গভীর কোনও সম্পর্কে জড়িয়েছেন। অভিনেতা অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারে রেখা স্বীকার করেছিলেন, অমিতাভের প্রতি তাঁর যথেষ্ট দুর্বলতার কথা।
সম্প্রতি আবারও চর্চার কেন্দ্রে সেই অভিনেত্রী। নায়িকার জীবনী ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইটিতে তাঁর জীবনের নানা গোপন তথ্য উঠে এসেছে। ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইটি লিখেছেন লেখক ইয়াসের উসমান।

ইয়াসের উসমানের দাবি করেছেন, রেখা বহু বছর ধরেই তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ফারজানার সঙ্গে গভীর সম্পর্কে রয়েছেন। ফারজানা অবশ্য দীর্ঘদিন নায়িকার সঙ্গে রয়েছেন। তাঁকে সব সময়ই অভিনেত্রীর পাশে দেখা যায়। এক কথায় ফারজানা হলেন, রেখার ছায়াসঙ্গী। নায়িকা অবশ্য বারবারই সহকারী ফারজানাকে তাঁর নিজের বোনই বলেই পরিচয় দিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন:

টাইগারকে প্রশংসায় ভরালেন দিশা, তবে কি চর্চিত যুগলের জীবনে পুরনো প্রেম ফিরে আসছে?

পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২১: পঞ্চমের সুরের মাদকতায় বুঁদ হয়ে আশা গাইলেন সেই তোলপাড় করা গান ‘পিয়া তু আব তো আজা…’

তবে ইয়াসের উসমানের লেখা ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইটি প্রকাশের পর অনেকেই অবাক হয়েছেন। সেই বইতে বলা হয়েছে, রেখার শোয়ার ঘরে একমাত্র ফারজানারই একমাত্র প্রবেশের অনুমতি আছে। অন্য কেউ সেখানে ঢুকতেই পারবেন না। এমনকি, ফারজানার অনুমতি ছাড়া নায়িকার পাশে কাউকেই ঘেঁষতেও দেওয়া যায় না। রেখার পেশাদার জীবন থেকে বাড়ির যে কোনও বিষয়ে ফারজানাই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেন। বইটিতে লেখক ইয়াসের লিখেছেন, রেখার সঙ্গে ফারজানার সম্পর্ক কয়েক দশক ধরে। অভিনেত্রী শারীরিক এবং মানসিক দু’দিক থেকেই তাঁর এই সহকারীর উপর নির্ভরশীল। রেখার সঙ্গে সহকারীর সম্পর্কে ফারজানার একজন ছেলের ভূমিকাই পালন করেন।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬৮: বাবা, ‘পিতা নোহসি’ বলো — এই কথাটি ঘুরেফিরেই কবির কানে বেজে উঠত

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৬: মজল আঁখি মজেছে মন, ইমোজি তোদের ডাকল যখন

ইয়াসের উসমানের দাবি ঘিরে সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। এই আবহে পরিস্থিতি সামলাতে মাঠে নেমেছেন ইয়াসের। লেখক তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট করেন। সেখানে উসমান লেখেছেন, ‘‘আমার লেখা ‘রেখা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইটির বক্তব্য বলে যে সব উদ্ধৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সবই মিথ্যে। এ সব করা হচ্ছে প্রচার বাড়ানোর লক্ষ্যে। আমার বইয়ে এরকম কোনও কথার উল্লেখ অবধি নেই। পাণ্ডুলিপিতে ‘একত্রবাস’ বা ‘যৌন সম্পর্ক’-এর মতো শব্দ আমি ব্যবহারই করিনি।’’ তাঁর লেখা ‘রেখা: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইয়ের নামে অপপ্রচার প্রচার বন্ধ না হালে তিনি আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও এ নিয়ে রেখা কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
আরও পড়ুন:

রিভিউ: ‘সির্ফ এক বান্দা কাফি হ্যায়’—মনোজ বাজপেয়ী একাই একশো

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-২৯: ডায়াবেটিসে কি আলু একদম বন্ধ?

লেখিকা মালবিকা সাংহাই-ও তাঁর বইতে এমনই লিখেছিলেন। মালবিকা তাঁর বইতে লিখেন, ফারজানা ছাড়া নায়িকার জীবন অচল। শোনা যায়, রেখার স্বামী মুকেশ অগরওয়াল নাকি অভিনেত্রী ও তাঁর সকারীর এই সম্পর্কের জন্যই আত্মহত্যা করেছিলেন। ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইটি এরকম বহু বিস্ফোরক তথ্য আছে। তাঁর মধ্যে রেখা ও ফারজানার বিষয়টি রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর সবাই হতবাক। যদিও এ নিয়ে এখনও অবধি রেখা কোনও মন্তব্য করেননি।

Skip to content